সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

আরোগ্য হোমিও হল / ৩৫৬ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩, ৫:৫৩ অপরাহ্ন
স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
আরোগ্য হোমিও হল এ আপনাকে স্বাগতম, এখানে আজ স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের  কার, লক্ষণ,  কি করার দরকার, ও হোমিওপ্যাথিক  চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা কররো। চলেন কথা না বাড়িয়ে মুল আলোচনায় ফিরে যায়।

শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে স্তন বা ব্রেস্ট। সাধারণত ব্রেস্টের কোনো অংশ শক্ত হওয়াকে ব্রেস্ট টিউমার বলে। ব্রেস্ট সাধারণত দুই ধরনের টিউমার হতে পারে – বিনাইল টিউমার (ক্যান্সারবিহীন) ও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার (ক্যান্সার)। বিনাইল টিউমারের অবস্থান ও তার উৎপত্তি স্থলে সীমাবদ্ধ থাকলেও ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের আগ্রাসী ভূমিকা যা রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে দেহের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বা গ্রন্থিকেও আক্রান্ত করতে পারে। বর্তমানে যে সব নারীরা ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য আসছেন তাদের অনেকের বয়স ৪০ বছরের কম যা রীতিমত দুশ্চিন্তার কারণ।

স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণসমূহ :
ব্রেস্ট ক্যান্সারের জন্য দায়ী আমাদের খাদ্যাভাস। দৈনন্দিন জীবনে খাদ্য গ্রহণকৃত প্রতিটি খাবারের সঙ্গে আমরা বিষ খাচ্ছি। আজকাল আমরা প্রচুর ফাস্টফুড বেশি খায়, সবুজ শাক-সবজি খুব কমই আহার করি। এসব খাদ্যদ্রব্য আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সবল করার পরিবর্তে দুর্বল করছে। তার সঙ্গে রয়েছে দুশ্চিন্তা, নিদ্রাহীনতা, কম শারীরিক পরিশ্রম ও অতিরিক্ত স্থূলতা। অতিরিক্ত স্থূলতা ব্রেস্ট ক্যান্সারের সবচেয়ে আরেকটি বড় কারণ। এ সকল বিষয়ের সঙ্গে যদি বংশগতির ধারায় ক্যান্সার থাকে তাহলে নারী সর্বোচ্চ পর্যায়ের আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছে।

আবার কোন নারীল ব্রেস্টে আঘাতের থেকেও প্রথমে টিউমার এবং পরবর্তীতে ক্যান্সার হতে পারে। সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানোও নারী স্তন ক্যান্সারের আরো একটি কারণ। ইদানীং দেখা যাচ্ছে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে নারীরা ব্রেস্ট ছোট রাখার জন্য বিভিন্ন প্রকার মালিশ ব্যবহার করছে এবং নানাবিধ অবৈজ্ঞানিক ঔষধ সেবন করছেন যা ক্রমান্বয়ে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে।

স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ বা উপসর্গ :
ব্রেস্টের কোনো অংশ শক্ত হওয়া, ব্রেস্টের নিপিলের আকৃতির পরিবর্তন : হওয়া, ব্রেস্টের নিপিল থেকে রক্ত বা তরল পদার্থ বের হওয়া, ব্রেস্টের নিপিলের আশেপাশে র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া, বগল ফুলে যাওয়া বা চাকা চাকা দেখা দেয়া, ব্রেস্টের ভেতরে গোটা হয়ে ওঠা বা শক্ত হওয়া অথবা ক্ষতের সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আধুনিক বিজ্ঞানের বল যেতে পারে এক বিস্ময়কর অবদান। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ভাণ্ডারে ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসায় – আর্সেনিক এ্যাল্বাম,  এসিড নাইট্রিক,  আর্সেনিক আয়োড, কার্সিনোসিন, কার্বো-এ্যানিমেলস,   সোরিনাম, সিফিলিনাম, মেডোরিনাম, ন্যাট্রাম সালফ, ফাইটোলক্কা, টিউবারকুলিনামের মতো অসংখ্য কার্যকরী ওষুধ রয়েছে যার পরশে প্রতিদিন অসংখ্য ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগী আরোগ্য লাভ করছে। আজ সাধারণ মানুষ বুঝেছেন যে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যান্সারের রোগীদেরকে বিনাকষ্টে স্বল্পসময়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এ কারণে সচেতন ব্যাক্তিরা ব্রেস্ট ক্যান্সারে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি রোগীর দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য রোগীকে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন পদ্ধতি, নিয়মিত ঘুম, ব্যায়াম, মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপন ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে।

আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev