সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

মাসিকের সময় জমাট বাঁধা দলা দলা রক্ত, অবহেলা করলেই মহা বিপদ

আরোগ্য হোমিও হল / ৩৫৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:৫৭ অপরাহ্ন
মাসিকের সময় জমাট বাঁধা দলা দলা রক্ত, অবহেলা করলেই মহা বিপদ

অতিরিক্ত ঋতুস্রাব? জমাট বাঁধা দলা দলা রক্ত, অবহেলা করলেই মহা বিপদ
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মহিলাদের অতিরিক্ত ঋতুস্রাব? জমাট বাঁধা দলা দলা রক্ত, অবহেলা করলেই হতে পারে মহা বিপদ তা নিয়ে আজকের জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

অতিরিক্ত ভারী ঋতুস্রাব মেনস্ট্রয়াল ব্লিডিং’ (Menstruation) অনেকেরই হয়। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে ঋতুচক্র শুরু হওয়ার পরে প্রথম প্রথম ব্লিডিং অনেকের বেশিই হয়। তবে এতে ভয়ের খুব একটা কারণ নেই। কিন্তু যদি আপনার ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে থাকে অথবা অতিরিক্ত ব্লিডিং শুরু হয় তখন চিন্তার কারণ আছে। খেয়াল রাখতে হবে পিরিয়ড বা মাসিকের সময় দলা দলা রক্ত বেরচ্ছে কিনা, রক্তের রঙ গাঢ় খয়েরি অথবা কালো হয়ে গেছে কিনা, তখন রোগীনিকে ফেলে রাখা ঠিক হবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কেনইবা জমাট বাঁধছে রক্ত? পিরিয়ড বা মাসিকের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে চিকিৎসকের ভাষায় ‘হেভি মেনস্ট্রয়াল ব্লিডিং’ বলে। যদি আপনার বেশি রক্তপাত হয় তবে অনেক সময়ে রক্ত তরল অবস্থায় না বেরিয়ে জমাট বেঁধে বেরোয়। অধিক মাত্রায় রক্তক্ষরণের জন্য এমনটা হতে পারে। রক্তের রঙ গাঢ় খয়েরি অথবা কালো হয়। চাপ চাপ রক্ত বের হতেও দেখা যায় অনেক নারীর। তবে কমবয়সী মেয়েরা এটায় বেশি ভুক্তভোগী। অতিরিক্ত রক্তস্রাবের সঙ্গে তলপেটেও ভয়ানক ব্যথা করে। এমন হলে বুঝতে হবে তলপেটে কোনও একটা সমস্যা রয়েছে। এগুলিকে ‘পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ’ বলে। যোনিদ্বার অথবা ফেলোপিয়ান টিউবে সংক্রমণ হলেও এমনটা হয়। কি কি কারণে হতে পারে পিরিয়ড ক্লট? থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে জরায়ুতে পলিপ, জরায়ুতে ফাইব্রয়েড ব্লিডিং ডিসঅর্ডার ইউটেরাসে ক্যানসার টিউমার অথবা ক্যানসার হলেও এই সমস্যা দেখা দেয়।

ঔষধ সম্পর্কে পড়ুন – এইচ আর – ২১ (মাসিক সমস্যায় কার্যকর)

পিরিয়ড ক্লট কোন বয়সে বেশি হয়?
নিয়মিত সময়ে ঋতুস্রাব শুরু না হওয়া, ঋতুস্রাবের পরিমাণ বেশি হওয়া অথবা নির্দিষ্ট দিন অন্তর ঋতুস্রাব শুরু না হওয়া, এ সব সমস্যাই সাধারণত বেশি দেখা যায়। তবে অবশ্যই চিন্তার কারণ রয়েছে অত্যধিক মাত্রায় রক্তক্ষরণ এটিকে পিউবার্টি মেনোরেজিয়া’ বলে। এ ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে রক্তপাত হতে থাকে। এমন হলে আপনাকে অবশ্যই চিকৎসক দেখানো জরুরি। সাধারণত প্রতিটি ঋতুচক্রে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ মিলিলিটার রক্ত বেরোয়। কিন্তু যখন ৮০ মিলিলিটার কিম্বা তার থেকে বেশি রক্তপাত হয় তখনই রক্ত জমাট বাঁধতে দেখা যায়। ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়স অবধি মহিলার এই সমস্যা দেখা দেয়। ৫০ বছরের পরে ঋতুস্রাবের পরিমাণ কমতে থাকে, তখন ঔই নারী মেনোপজের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু তখনও যদি তার অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হতে থাকে তাহলেও চিন্তার কারণ রয়েছে। অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, পিরিয়ড ক্লট থেকে হতে পারে অন্যান্য রোগও মেনোরেজিয়া অথবা অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হলে এবং লাগাতার চাপ চাপ রক্ত বের হতে থাকলে তা শরীরে রক্তের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে, এতে করে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি বাড়ে মেয়েদের। এমনিও মহিলাদের রক্তাল্পতার সম্ভাবনা বেশি থাকে, ঋতুচক্রে হেভি ব্লিডিং-এর সমস্যা থাকলে তা রক্তাল্পতার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে পিউবারটির সময় থেকে এই বিষয়গুলো খেয়াল না রাখলে পরবর্তীকালে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন এবং থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যের কারণেও ভারী ঋতুস্রাব বা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। অনেক সময় ক্যানসারের কারণে অথবা রক্তের অসুখের জন্যেও অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়। হেভি ব্লিডিং হলে তার থেকে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, স্ট্রেস বেড়ে যায়। তাই নিজে থেকে চিকিৎসা না করে অবশ্যই একজন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞকে দেখানো উচিত। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, কথায় কথায় ওষুধ খাওয়া, জীবন যাত্রা মান পরিবর্তন ইত্যাদি মহিলার শরীরের নানা হরমোনের ভারসাম্যে পরিবর্তন আনছে। যাহার ফলেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, পিরিয়ড ক্লট, তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি নানা উপসর্গ দেখা দেয়। সুত্র- দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা ‘সুখপাঠ’।

ঔষধ সম্পর্কে পড়ুন – গাইনো কার্ড সিরাপ (শ্বেত প্রদর ও মাসিকের সম্যাসায় টনিক)


আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যতœবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন  : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev