শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

স্বামী-স্ত্রী সহবাস কি ভাবে করতে হয়?

আরোগ্য হোমিও হল / ১৮০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩, ৬:১৩ অপরাহ্ন

স্বামী-স্ত্রী সহবাস কি ভাবে করতে হয়?
আরোগ্য হোমি হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি অপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা আলোচনা করবো সহবাস কিভাবে করতে হয়, এই বিষয়ে ইসলাম ধর্ম কী বলে এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।

স্বামী-স্ত্রী সহবাস কি ভাবে করতে হয়?

স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রে এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষতি হয়। সর্বপরি এ দিকেই অত্যন্ত সুক্ষভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে পবিত্র আল কুরআনে। আয়াতের অর্থ হলো: “যখন স্বামী-স্ত্রীকে ঢেকে ফেললো তখন স্ত্রীর ক্ষীণ গর্ভ সঞ্চার হয়ে গেলো।” স্ত্রী যখন নিচে থাকবে আর স্বামী তার উপর উপুড় হয়ে থাকবে তখনই স্বামীর শরীর দ্বারা স্ত্রীর শরীর ঢাকা পড়বে। তাছাড়া এ পন্থাই সর্বাধিক সব চেয়ে আরামদায়ক। এ পদ্ধতিতে সহবাস করার সময় স্ত্রীরও কষ্ট হয়না এবং গর্ভধারণের জন্যেও তা উপকারী ও সহায়ক।

আরও পড়েন – সহবাস কালে যৌনি জ্বালাপোড়া, ব্যথার কারণ ও এর প্রতিকার

বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী বু-আলী ইবনে সীনা তার অমর গ্রন্থ “কানুন” নামক বইয়ে এই পন্থাকেই সর্বোত্তম পন্থা হিসেবে উলেখ করেছেন। ‘স্বামী নিচে আর স্ত্রী উপরে’ থাকার পন্থাকে নিকৃষ্ট পন্থা যাকে বলেছেন। কেননা নিকৃষ্ট পন্থায় সহবাসের সময় এতে পুরুষলিংগে বীর্য আটকে থেকে দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই অবশ্যই আমাদের এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সহবাস করতে গিয়ে আনন্দঘন মুহুর্তটা পরবর্তিতে বেদনার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। তার জন্য স্বামী-স্ত্রী সহবাসে উভয়ের বীর্য বাহির হওয়ার পর কিছু সময় নড়াচড়া না করে মিলিত অবস্থায় থাকতে হবে। অর্থাৎ স্ত্রী নীচে এবং স্বামী উপরে থাকবে। তাতে বীর্য জরায়ুতে ঠিক মত প্রবেশ করতে সুবিধা হবে, তা না হলে বীর্য বাহিরে পড়ে যেতে পারে।

আরও পড়েন – এইচ আর – ১৮ (পুরুষ বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় কার্যকর)

আর বীর্য বাহিরে পড়লে গর্ভ সঞ্চার হবে না। সহবাস করার পর হালকা গরম পানি দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর দুই জনের যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলতে হবে। ঠাণ্ডা পানিতে ধোয়া উচিত নয়? তারপর স্বামী-স্ত্রী দুইজনে কিছু মধু সেবন করা ভাল। সহবাস শেষে পর দুই জনে ফরজ গোসল করে ফযরের নামাজ আদায় করবেন । সকল নেয়ামতের মধ্যে সবচাইতে তীব্র আনন্দের নেয়ামত হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর সহবাস। স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের মাধ্যমে মানুষ পৃথিবীতেই জান্নাতের সুখের কিঞ্চিত নিদর্শন। সাধারণত স্ত্রী লাজুক স্বভাবের হয়ে থাকে এবং সহজাতভাবে সহবাসের জন্য তাড়িত হয় না। কেবলমাত্র যখন তার স্বামী তাকে বুকে টেনে নেয় এবং নানাবিধ উপায়ে আদর-সোহাগ করতে থাকে, তখনই স্ত্রীর দেহ-মনে সহবাস করার জন্য কামনা জাগে। স্বামীর পুরুষাঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় নরম থাকে। একমাত্র সহবাস কালীন যোনিগহবরে প্রবেশের উপযুক্ততা অর্জনের জন্য শক্ত হয়। এ সময় তা নরম অবস্থার চাইতে কারও ক্ষেত্রে ছোট হয়, আবার কারও ক্ষেত্রে অপরিবর্তিত থাকে, তবে অধিকাঙ্গশ ক্ষেত্রে কিঞ্চিত বর্ধিত হয়।

সূরা আল-আলাক্বে বর্ণনা অনুযায়ী, আল্লাহ মানুষকে একফোঁটা বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে এক থেকে তিন মিলিলিটার পরিমাণ বীর্যপাত হয়, যা ঘনীভূত হয়ে থাকে বলে এক ফোঁটার ন্যায় দেখায়, যা পবিত্র আল কুরআনে বর্ণনার সাথে একেবারে মিলে যায় এবং পবিত্র আল কুরআনে সত্যতা প্রমাণ করে। তবে অনেক স্বামীর বীর্যের পরিমাণ বেশি এবং এমনকি দশ-বারো ফোঁটা পর্যন্ত বীর্যও সহবাসে নির্গত হয়ে থাকে । তবে সন্তান জন্মদানে দরকার এক ফোঁটাই, বাকি বীয স্ত্রীর গর্ভে শুকিয়ে যাবে। সহবাসকে সার্থক ও আনন্দদায়ক করে তুলতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স্ত্রী যদি অকার্যকর হয়ে পড়ে থাকে, আর স্বামীর সাথে সাথে নিজের মত করে অগ্রসর না হয়, তবে সেই সহবাসে স্ত্রীও আনন্দ পায় না। এ ক্ষেত্রে স্বামী- স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে । এই ভাবে স্বামী তখান পরনারীর প্রতি আকর্ষণ এভাবেই জন্মায়। এই জন্য সহবাস কালীন সময়ে স্ত্রীর করণীয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা সকল নারীরই কর্তব্য।

আরও পড়েন – এইচ আর – ১৯ (মহিলা বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় কার্যকর)

সহবাস কালে স্বামী অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এর জন্য স্বামী কথা বার্তাও বলা থেকে বিরত থাকতে পারে। সহবাসের সময় স্বামীকে মিষ্টি দুগ্ধজাতীয় কোন খাদ্য দিলে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর মহব্বত বাড়ে। সহবাস করার পূর্বেই এই খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। স্বামীর গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে হবে। স্বামীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুম্বন (কিভাবে নারীর স্তনে চুম্বন করবেন জেনে নিন) করবে। প্রথম কয়েক দিনেই জেনে নিবেন কোন স্থানে চুম্বন ও স্পর্শ স্বামীর পছন্দনীয়। ওই সমস্ত স্থানে অধিক মনোযোগ দিবে কিন্তু অবশিষ্ট শরীরেও আদর করবে। তবে নারীসুলভ কোমলতায়। স্বামী উগ্রভাবে আদর করলেও স্ত্রীর উচিত হবে স্পর্শে কোমলতা বজায় রাখা। তবে চুম্বনে স্বামীর সাথে সমভাবে অংশগ্রহণ করবে এমনকি চুম্বনের প্রতিযোগিতা করলে আরও ভাল হয়। সহবাস করার সময় স্বামীকে আদরের সময় মৃদুভাবে অণ্ডথলিতে স্পর্শ করে রাখলে স্বামী-স্ত্রীর ভক্ত হয়ে যায়। তবে সাবধান কেননা অণ্ডোথলি অত্যন্ত স্পর্শকাতর তাই অতি মৃদু আঘাতেও মারাত্মক যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে।

আরও পড়েন – এইচ আর – ৪০ (পুরুষত্বহীনতায় কার্যকর)

স্বামীর আনন্দ হচ্ছে স্ত্রীর যোনিগহবরে প্রবেশের মাধ্যমে। কিন্তু স্বামী অনেক সময় জানে না যে স্ত্রীর আনন্দ সহবাসের পূর্বে আদর সোহাগে। তাই এই বিষয়ে অসন্তুষ্টি থাকলে স্বামীকে খুলে বলতে পারেন এবং নিজের চাহিদা স্বামীর গোচরে আনতে হবে। ২৫ বছরের কম বয়সী পুরুষরা সাধারনত বেশি সময় নিয়ে মিলন বা সহবাস করতে পারেনা। তবে তারা খুব অল্প সময় মধ্যে আবারও পুনরায় সহবাস করার জন্য উত্তেজিত/উত্তপ্ত হতে পারে। ২৫ এর পর বয়স যত বাড়বে মিলনে বা সহবাসে পুরুষ তত বেশি সময় বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পুনরায় জাগ্রত (ইরিকশান) হওয়ার ব্যাভধানে সাথে বাড়তে থাকে। এক নারী কিংবা একপুরুষের সাথে বার বার মিলন করলে যৌন মিলনে বেশি সময় দেয়া যায় এবং মিলনে বা সহবাসে বেশি তৃপ্তি পায়। কারন স্বরুপ: নিয়মিত সহবাস বা মিলনে একে অপরের শরীর এবং ভাললাগা বা মন্দলাগা, পছন্দসই আসনভঙ্গি, সুখ দেয়া নেয়ার পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত থাকে।

আরও পড়েন – কেন্ট ৫০ (যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর)

যারা বলেন “এক তরকারী দিয়ে প্রতিদিন ভাত খেতে ভাল লাগেনা – তাই পর নারী ভোগের লালসা” – তাদেরকে আমি অনুরোধ করছি, দয়াকরে মিথ্যাচার করবেন না। এমন যুক্তি ভিত্তিহীন। পরকীয়া ভাল করতে পারেনা, তবে তারা আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। মাত্র কয়েক মিনিটের কাম ভাব নিবারনের জন্য আজীবনের সম্পর্কে অবিশ্বাসের কালো দাগ লাগাবেন কেন? আধুনিক যুগে আমাদের দেশের ১০-১২ বছরের ছেলে-মেয়েরা পর্যন্ত জেনে যাচ্ছে কিভাবে সেক্স বা সহবাস করতে হয়। তাই বলা যায়, বিয়ে তো বহুদূরের কথা, বর্তমানে ছেলেমেয়েদের গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড হওয়ার আগেই তারা এ বিষয়ে বহু কিছু জানে।
নারীদেহের মধ্যে ঠোট সবচাইতে যৌনত্তেজক অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। ঠোটের মাধ্যমেই নারীদেহ উত্তেজনার সূচনার সবচেয়ে জোরালো সংকেতটি বহন করে। সহবাস বা মিলন করার সময় মেয়েটি তার সঙ্গীর গালে, গলায়, বুকে, কানে স্পর্শ করলে ছেলেটি যেমন আনন্দ পায় তেমনি মেয়েটিও অন্যরকম এক আনন্দ লাভ করে।

আরও পড়েন – এন – ৪১ (যৌন দুর্বলতায় কার্যকর)

যারা অনেক পর্ণ মুভিতে দেখা যায় যে সেখানে মেয়েরা ছেলেদের লিঙ্গ চুষতে খুব পছন্দ করে। বিদেশে বাস্তবেও অনেক মেয়েই ছেলেদের লিঙ্গ শুধু তাকে আনন্দ দেওয়ার জন্যই চুষে না। সে নিজেও এতে আনন্দ পায়। এর মূল কারন হলো তার ঠোট ও জিহবার স্পর্শকাতরতা। ছেলেটির দেহের এ দুটি দিয়ে স্পর্শ করে সে যে আনন্দ লাভ করে, এই কারনে নিজের ছেলেটির লিঙ্গের স্পর্শে তার আনন্দ হয়। মেয়েদের যৌন চাহিদা পুরুষদের ৪ ভাগের এক ভাগ। কিশোরী মেয়েদের যৌন ইচ্ছা সবচেয়ে বেশী।

আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev