শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

জিঙ্কাম ভেলেরিয়ানাম

আরোগ্য হোমিও হল / ৩০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
জেরোফোইলাম হোমিওপ্যাথি ঔষধ
জেরোফোইলাম হোমিওপ্যাথি ঔষধ

জিঙ্কাম ভেলেরিয়ানাম (Zincum Valerianum)

ডা: উইলিয়াম বরিক

অপর নাম – জিঙ্কের ভেলেরিনেট (Valerinate of Zine)

স্নায়ুশূল, হিষ্টিরিয়া, হাৎশূল এবং অন্যান্য যাতনাকর পীড়ার, বিশেষতঃ ডিম্বাশয়ের পীড়ার ঔষধ। পূর্বানুভূতি মৃগী রোগ। হিস্টিরিয়া রোগীর হৃৎপিণ্ডে বেদনা। মুখমণ্ডলের স্নায়ুশূল, শঙ্খাস্থি ও নিম্ন চোয়ালের অস্থিতে ঐ স্নায়ুশূল তীব্রতর হয়। শিশুদিগের নিদ্রাহীনতা। দুর্দম্য হিক্কা।

মস্তক- ভীষণ, স্নায়বিক, সবিরাম শিরঃপীড়া। বেদনায় রোগী পাগল হইয়া পড়ে। বেদনাটি রন্ধকরণ এবং ছুরিকাবিদ্ধবৎ। মস্তকের বেদনা তৎসহ বিষাদভাবের জন্য কিছুতেই নিদ্রা আসে না।

বায়ো কম্বিনেশন ২৫

স্ত্রী-জননেন্দ্রিয়- ডিম্বাশয়ের স্নায়ুশূল, বেদনা চিড়িক মারিয়া নিম্নদিকে ছুড়িয়া যায়, পা পর্যন্ত বিস্তৃত হইয়া পড়ে।

হস্ত-পদাদি— গ্রীবাদেশ ও মেরুদণ্ডে তীব্র বেদনা। স্থির হইয়া বসিতে পারে না; পদদ্বয়কে অবিরত সঞ্চালিত রাখিতে হয়। সায়েটিকা রোগে স্নায়ু শল ।

আরও পড়ুন – আর ২২ (স্নায়ু ব্যাধি)

মাত্রা – ১ম ও ২য় বিচূর্ণ। স্নায়শূল রোগে কিছুদিন যাবৎ ব্যবহার করিতে হয়।

সতর্কতা : হতে পারে এবং আতঙ্কিত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, এর ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। লিভার, কিডনি, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বয়স্কদের চরম সতর্কতার সাথে এই ঔষধটি ব্যবহার করা উচিত।

সতর্কতা : চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিকভাবে ঔষধ সেবন করা উচিত বেশি ডোজ বিপজ্জনক হতে পারে এবং আতঙ্কিত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, এর ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। লিভার, কিডনি, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বয়স্কদের চরম সতর্কতার সাথে এই ঔষধটি ব্যবহার করা উচিত।

সেবন বিধি : চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে ঔষধ সেবন করতে হবে।

চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। ওষুধ খাওয়ার সময় তামাক খাওয়া বা অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন।

আরও পড়ুন – র‌্যাক্স নং- ৫১ (হৃদশূল)

অন্যান্য ঔষধ : আপনি অ্যালোপ্যাথি ওষুধ, আয়ুর্বেদিক ইত্যাদির মতো অন্যান্য ওষুধে থাকলেও ওষুধ খাওয়া নিরাপদ।

অন্যান্য ঔষধে হস্তক্ষেপ : হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি কখনই অন্য ওষুধের ক্রিয়াকলাপে হস্তক্ষেপ করে না।

বিশেষ সতর্কতা : সাধারণত গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যপান করানোর সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়|

শর্তাবলী : হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : হোমিওপ্যাথি সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করে কারণ এটি নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। তবে প্রতিটি ওষুধ চিকিৎসকের নিয়ম মেনে খেতে হবে।

আরও পড়ুন – আর ৩৮ (পেটের ডান দিকে ডিম্বাশয়ের স্নেহ, সিস্ট, টিউমার)

ঔষধ সংরক্ষণ : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর বেশি নয় একটি স্থির তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত।

ঔষধের গুণগতমাণ : এটি একটি প্রাকৃতিক পণ্য, এটি কখনও কখনও সামান্য বৃষ্টিপাত অথবা মেঘলা হতে পারে, কিন্তু এটি পণ্যের গুণমান এবং এর কার্যকারিতা প্রভাবিত করে না। যদি এটি ঘটে তবে পণ্যটি ব্যবহার করার আগে ভালভাবে ঝাঁকি নিন। একবার আপনি সীলটি ভেঙে ফেললে, ওষুধগুলি দ্রুত ব্যবহার করা উচিত।

বায়ো কম্বিনেশন ২৫

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev