সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন
Dr. Reckeweg R38 (Affections of the abdomen-right side)
আর ৩৮ (পেটের ডান দিকে ডিম্বাশয়ের স্নেহ, সিস্ট, টিউমার)
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো “ আর ৩৮ (পেটের ডান দিকে ডিম্বাশয়ের স্নেহ, সিস্ট, টিউমার)” কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
প্রস্তত প্রণালী : Dr. Reckeweg R38/ জার্মান কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ।
আর ৩৮ ড্রপসটির ইঙ্গিত : আর ৩৮ ড্রপসটি ডিম্বাশয়ের ডান দিকে স্নেহ, , ডান দিকে ডিম্বাশয়ের প্রদাহ, অ্যাডনেক্সাইটিস, সালপিনাইটিস, প্যারামেট্রাইটিস। এটি ডান ডিম্বাশয়ের সিস্ট এবং সৌম্য টিউমার, স্বরযন্ত্রের শোথ, স্টিনক্সের পরবর্তী প্রভাব ও অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহের শুরুতে কার্যকর।।
আর ৩৮ ড্রপসটির মুল উপাদান :
(১) আর্সেনিকাম অ্যালবাম (Arsenicum album)।
(২) এপিস মেলিফিকা (Arsenicum album)।
(৩) ব্রায়োনিয়া (Bryonia)।
(৪) সালফার (Sulfur)।
প্রধান উপাদানগুলির কর্মের পদ্ধতি : বিভিন্ন উপাদানের সম্মিলিত ক্রিয়া পেটের ডান দিকে মনোনিবেশ করে।
(ক) আর্সেনিকাম অ্যালবাম (Arsenicum album) : ডান দিকে রেনাল ডিসঅর্ডার এবং রেনাল শূলতে নির্দিষ্ট ক্রিয়া সহ প্রতিকার করে। এর বৈশিষ্ট্য অ্যানেক্সাইটিস, প্যারামেট্রাইটিস, সালপিনাইটিস ও ডান দিকের অন্যান্য স্নেহের কারণে এই ক্ষেত্রে উত্তেজনা ও নিরুৎসাহ সৃষ্টি করে।
(খ) এপিস মেলিফিকা (Arsenicum album) : এটি পেটে (ডান দিকে) জ্বলন্ত ব্যথার উপর নির্দিষ্ট ক্রিয়া যেমন – ডিম্বাশয়ের প্রদাহ এটিতে পাওয়া যায়। রিসোর্পশন দ্বারা সিস্টের উপর উপকারী ।
(গ) ব্রায়োনিয়া (Bryonia) : এটি অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ কমায়। এর প্রধান উপসর্গ হল বিশ্রামের সময় এবং চাপের মধ্যে উন্নতি হয়। পেটের প্রদাহ (আয়িং করার সময় আক্রান্ত পার্শ্বে উন্নতি আনা হয়)।
(ঘ) সালফার (Sulfur) : এটি সম্পূর্ণ করার সময় এপিস (Apis) এর প্রভাব বৃদ্ধি করে। চুলকানি এবং psoric ব্যাধি হ্রাস যা সবসময় ডিম্বাশয় স্নেহ অনুসরণ করে।
চিকিৎসকের মন্তব্য :
ডান ও বাম উভয় দিকে পেটের প্রদাহের সাথে আর ৩৯ এবং আর ৩৮ এর বিকল্প ব্যবহার ১ থেকে ২ ঘন্টার ব্যবধানে নির্দেশিত হয়। জ্বরের সাথে আর ১ যা প্রদাহও কমবে। এই ধরনের স্নেহ কিডনিতে প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী এই সত্যটি কখনই হারাবেন না। আর তাই আর ২৭ও শেষ পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে।
আর ৩৮ ড্রপসটি সেবন বিধি : দীর্ঘস্থায়ী নিরাময়ের ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকাল-দুপুর-রাত (৩ বার) খাবারের আগে ২০ মিনিট আগে একঢোক পরিমাণ মতো পাানি ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা ঔষধ মিশিয়ে সেবন করুণ। যদি আপনার তীব্র প্রদাহ এবং খিঁচুনি ব্যথা অথবা কোলিকের ক্ষেত্রে আরও ঘন ঘন ঔষধ সেবন করা যেতে পারে।
চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন।
সতর্কতা : গর্ভবতী মা অথবা দুগ্ধদানকারী মারা ঔষধ সেবনের পূর্বে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করা উত্তম।
শর্তাবলী : কম্বেনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : হোমিওপ্যাথি সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করে কারণ এটি নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
ঔষধের গুণগতমাণ : এটি একটি প্রাকৃতিক পণ্য, এটি কখনও কখনও সামান্য বৃষ্টিপাত অথবা মেঘলা হতে পারে, কিন্তু এটি পণ্যের গুণমান এবং এর কার্যকারিতা প্রভাবিত করে না। যদি এটি ঘটে তবে পণ্যটি ব্যবহার করার আগে ভালভাবে ঝাঁকি নিন। একবার আপনি সীলটি ভেঙে ফেললে, ওষুধগুলি দ্রুত ব্যবহার করা উচিত।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যতœবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
