Usnea Barbata Maydis Mother Tincture Q

উস্নিয়া ব্যার্বেটা মাদার টিংচার

আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো “ উস্নিয়া ব্যার্বেটা মাদার টিংচার” হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

উস্নিয়া ব্যার্বেটা হোমিওপ্যাথিক মাদার টিংচার সম্পর্কে ধারণা :

চলতি নাম – ট্রি-মস (Tree-moss)

পরিচিতি : উস্নিয়া ব্যার্বেটা বৃদ্ধের দাড়ি বা দাড়ি লাইকেন এই নামেও পরিচিত।

উস্নিয়া ব্যার্বেটা মাদার টিংচার এর ব্যবহার : উস্নিয়া ব্যার্বেটা এটি একটি হোমিওপ্যাথি প্রতিকারটি কনজেস্টিভ মাথাব্যথা এবং সানস্ট্রোকের কিছু ফর্মে ব্যবহার করা হয়। এর নির্যাসগুলি এন্টারোকক্কাস ফ্যাকালিস, গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া ব্যাসিলাস সাবটিলিস, মাইক্রোকক্কাস ভিরাডানস ও স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াসের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল কার্যকলাপ দেখায়।

উস্নিয়া ব্যার্বেটা মাদার টিংচার একটি ইমিউন সিস্টেম টনিক হিসাবে কাজ করে। এটি কনজেস্টিভ মাথাব্যথা ও সানস্ট্রোকের চিকিৎসার ব্যবহার হয়। উস্নিয়া ব্যার্বেটা ওষুধটি প্রস্রাব এবং শ্বাসযন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলির চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করা হয়। এটিতে এশটি শক্তিশালী অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এন্টারোকোকাস ফ্যাকালিস, গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া মাইক্রোকক্কাস ভিরাডানস এবং স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াসের বিরুদ্ধে কার্যকরী।

আরও পড়ুন –  আর ১৮৭ (মাথা ব্যথা ড্রপস)

উস্নিয়া ব্যার্বেটা সাইনোসাইটিস, কনজেসটিভ হেডেসে সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করা হয়।

কার্যকরী : ক্যান্ডিডিয়াসিস ও ফ্লু, ইন্টারস্টিশিয়াল সিস্টাইটিস।

উস্নিয়া ব্যার্বেটা এর কর্ম : অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল অ্যান্টিপ্যারাসাইটিক।

এছাড়াও অ্যান্টিটিউমার অথবা অ্যান্টিটিউমারিজেনিক, ডেমল্টসেন্ট, এক্সপেক্টর্যান্ট হিসাবে ব্যবহৃত হয়, ইমিউনোমোডুলেটর, পেশী শিথিলকারী

উস্নিয়া ব্যার্বেটা মধ্যে পুষ্টি : Barbatolicঅ্যাসিড, Lobaric।

আরও পড়ুন –  আর ৯ (ব্রঙ্কাইটিস, হুপিং কাশি, ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা)

উস্নিয়া ব্যার্বেটা লক্ষণ :
(১) এটি মাথাব্যথা ও কনজেশনের জন্য নির্দেশিত।
(২) উস্নিয়া ব্যার্বেটা ব্যথা উপশম দেয়, এছাড়াও ঠাণ্ডা ও বাধার মধ্যে কাশি এবং ঠান্ডা আলগা করতে সাহায়তা করে।
(৩) এটি মানবদের জীবাণু সাথে লড়াই করে যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
(৪) সাইনোসাইটিস, নাক কালো হওয়া ইত্যাদিতে উপকারী।
(৫) পৃষ্ঠের সংক্রমণ অথবা বাহ্যিক আলসার থেকে মুক্তি দিতে এটি ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন –  জরায়ুর মুখে ঘা বা সারভিক্সে সংক্রমনের লক্ষন

চিকিৎসক উস্নিয়া ব্যার্বেটা সুপারিশ?
ডাঃ সমৃদ্ধি শর্মা সান স্ট্রোক, কনজেস্টিভ মাথাব্যথা, মাথা ফেটে যাওয়ার অনুভূতি (বিশেষ করে মন্দিরে), থ্রোবিং ক্যারোটিডের জন্য

উস্নিয়া ব্যার্বেটা সুপারিশ করেন।
ডাঃ কীর্তি মাথাব্যথা থেকে দ্রুত উপশমের জন্য উস্নিয়া ব্যার্বেটা সুপারিশ করেন যা স্প্লিটিং ধরনের হতে পারে, চোখ বের হওয়ার মতো অনুভূতি। তিনি বলেছেন যে উস্নিয়া ব্যার্বেটা ওষুধ সেবনে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে উপশম পাওয়া যায়।

ডোজ: তিনি উস্নিয়া ব্যার্বেটা মাদার টিংচার ১০ ফোঁটা ১/৪ কাপ জলের সাথে পরামর্শ দেন।

উস্নিয়া ব্যার্বেটা রোগীর প্রোফাইল
মাথা : একটি তীব্র কনজেস্টিভ মাথাব্যথা যা ঘুমাতে ও শুয়ে থাকে এবং ঘুম থেকে ওঠার পরে ভাল হয়। প্রখর রোদে যাওয়ার কারণে মাথাব্যথা এবং শুতে বাধ্য হলে উস্নিয়া ব্যার্বেটা উপশম হয়। পুরো মাথা অথবা সামনের মাথা ব্যথা, মনে হয় যেন মন্দির ফেটে যাবে বা চোখ সকেট থেকে ফেটে যাবে।

চোখ : চোখের লালচে ভাব। চোখ থেকে তীব্র জলস্রাব বাহির হয়। খোলা অবস্থায় চোখে তীব্র জ্বালা করে।

আরও পড়ুন –  যোনিপথে বা জরায়ু মুখে ইচিনেস এর কারণ, লক্ষণ ও করণীয়

উস্নিয়া ব্যার্বেটা ডোজ সেবন বিধি :  অবস্থার উপর দুই ঘন্টা পর পর সেবন করা যেতে পারে। খাবারের আধাঘন্টা আগে ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক পরিমাণ মত পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩ বার সেবন করুণ। ঔষধ সেবনে কিছু উন্নতি হলে ঔষধ সেবনে পরিমান কমিয়ে  দিনে দুইবার সেবন করুণ। অসুখের লক্ষণ গুলি সম্পুর্ণ অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত সেবন করুণ। অথবা চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে ঔষধ সেবন করতে হবে।

চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন।

অন্যান্য ঔষধ : আপনি অ্যালোপ্যাথি ওষুধ, আয়ুর্বেদিক ইত্যাদির মতো অন্যান্য ওষুধে থাকলেও ওষুধ খাওয়া নিরাপদ।

হস্তক্ষেপ : হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি কখনই অন্য ওষুধের ক্রিয়াকলাপে হস্তক্ষেপ করে না।

সতর্কতা : সাধারণত গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যপান করানোর সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়|

বিশেষ সতর্কতা :সঠিকভাবে গ্রহণ না করলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে  ডোজ ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা   মধ্যে হওয়া উচিত।  ডোজ বিপজ্জনক হতে পারে এবং আতঙ্কিত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, এর ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। লিভার, কিডনি, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বয়স্কদের চরম সতর্কতার সাথে এই ঔষধটি ব্যবহার করা উচিত।

আরও পড়ুন –  গনোরিয়া বা প্রমেহ ও হোমিওপ্যাথি ঔষধ

শর্তাবলী : কম্বেনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : হোমিওপ্যাথি সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করে কারণ এটি নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। তবে প্রতিটি ওষুধ চিকিৎসকের নিয়ম মেনে খেতে হবে।

ঔষধ সংরক্ষণ : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর বেশি নয় একটি স্থির তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত।

ঔষধের গুণগতমাণ : এটি একটি প্রাকৃতিক পণ্য, এটি কখনও কখনও সামান্য বৃষ্টিপাত অথবা মেঘলা হতে পারে, কিন্তু এটি পণ্যের গুণমান এবং এর কার্যকারিতা প্রভাবিত করে না। যদি এটি ঘটে তবে পণ্যটি ব্যবহার করার আগে ভালভাবে ঝাঁকি নিন। একবার আপনি সীলটি ভেঙে ফেললে, ওষুধগুলি দ্রুত ব্যবহার করা উচিত।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।