Dr. Reckeweg R 44/ আর ৪৪ (রক্ত সঞ্চালনের ব্যাধি)
R 44 (Disorders of the Blood Circulation)
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো “ আর ৪৪ (রক্ত সঞ্চালনের ব্যাধি)” কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
প্রস্তুত প্রণালী : Dr. Reckeweg R 44/ জার্মান কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ।
ব্যবহার : আর ৪৪ নিম্ন রক্তচাপ, সংবহনজনিত দুর্বলতা, সঞ্চালন এবং হাইপোটোনির দুর্বলতা, হৃৎপিণ্ডের ক্লান্তি এবং অলসতা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
আর ৪৪ ড্রপসটির উপকারিতা : এই আর ৪৪ ড্রপসটির সাহায্যে আপনার হৃদপিণ্ড ও সংবহন সংক্রান্ত স্বাস্থ্যকে পুনরুজ্জীবিত করে। নিম্ন রক্তচাপের চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে আপনার শক্তি এবং জীবনীশক্তি পুনরুদ্ধার করে। এটি আপনার হৃদয়কে শক্তিশালী করে, আপনার সিস্টেমকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং আপনার শরীরকে যে ভারসাম্য কামনা করে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়। এটি হাইপোটেনশনের ক্লান্তিকে বিদায় করে।
হাইপোটেনশন বোঝাবেন কি করে : নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণগুলি দৈনন্দিন জীবনকে উল্লেখ যোগ্যভাবে প্রভাবিত করে, অন্যদের মধ্যে রয়েছে – মাথা ঘোরা, মূর্ছা যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি, বমি বমি ভাব ও ক্লান্তি হিসাবে উপস্থাপন করে। হাইপোটেনশন অন্তর্নিহিত অবস্থার সংকেত দিতে পারে যা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে রক্ত প্রবাহকে সীমাবদ্ধ করে ও হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য ইভেন্টের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। কারণগুলি ব্যাপক ভাবে পরিবর্তিত হয়, ডিহাইড্রেশন থেকে গুরুতর সংক্রমণ পর্যন্ত, প্রতিটি ক্ষেত্রে যতœশীল বিবেচনার প্রয়োজন হয়।
আর ৪৪ ড্রপসটির প্রধান উপাদানগুলির কর্মের পদ্ধতি : নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণগুলি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে আর ৪৪ এর কার্যকারিতা এর মূল উপাদানগুলি থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
(১) ক্রেটিগ্যাস D1 (Crataegus D1) : এটি একটি মায়োকার্ডিয়াম টনিক হিসাবে বেশি পরিচিত, ঐধঃিযড়ৎহ হৃদয়ের পেশী শক্তিশালী করে ও কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য সমর্থন করে।
(২) লরোসেরাসাস D3 (Laurocerasus D3) : শ্বাসযন্ত্রের জ্বালা দুর করে এবং রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
(৩) ওলেন্ডার D3 (Oleander D3) : বিশেষ ভাবে হার্টের ব্যবস্থাকে উন্নত করে এবং রক্তচাপকে স্বাস্থ্যকর স্তরে উন্নীত করতে সাহায্য করে।
(৪) স্পার্টিয়াম স্কোপ D2 (Spartium Scop D2) : এর সংবহনতন্ত্রের সুবিধার সাথে অন্যান্য উপাদানের এটি পরিপূরক।
আর ৪৪ ড্রপসটির প্রতিকার : এটি শুধুমাত্র একটি প্রতিকার নয় বরং অসুস্থতার সময় শরীরের স্ব-নিরাময় ক্ষমতার জন্য একটি উদ্দীপক ঔষধ, নিম্ন রক্তচাপের অবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে নির্দিষ্ট সহায়তা প্রদান করে। এটি স্ব-পুনরুদ্ধারের জৈবিক প্রক্রিয়াগুলিকে পরিপূরক করার জন্য তৈরি করা হয়েছে, চিকিৎসায় একটি অনুঘটক হিসাবে কাজ করে।
আর ৪৪ ড্র্র্র্র্র্র্র্র্র্রপসটির সেবন বিধি : দীর্ঘস্থায়ী নিরাময় ক্ষেত্রে, ১০-১৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক পানি মিশিয়ে খাবারের আগে প্রতিদিন সকাল-দুপুর-রাত্রে সেবন করতে হবে। কর্কশতা এবং ভয়েসের উপর অযাচিত চাপের ক্ষেত্রে ঘন ঘন সেবন সুপারিশ করা হয ়: প্রতি ৫-১০-১৫ মিনিটে ১০-১৫ ফোঁটা সেবন করুণ। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করতে হবে।
চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন।
সতর্কতা : গর্ভবতী মা অথবা দুগ্ধদানকারী মারা ঔষধ সেবনের পূর্বে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করা উত্তম।
শর্তাবলী : কম্বেনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : হোমিওপ্যাথি সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করে কারণ এটি নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
ঔষধের গুণগতমাণ : এটি একটি প্রাকৃতিক পণ্য, এটি কখনও কখনও সামান্য বৃষ্টিপাত অথবা মেঘলা হতে পারে, কিন্তু এটি পণ্যের গুণমান এবং এর কার্যকারিতা প্রভাবিত করে না। যদি এটি ঘটে তবে পণ্যটি ব্যবহার করার আগে ভালভাবে ঝাঁকি নিন। একবার আপনি সীলটি ভেঙে ফেললে, ওষুধগুলি দ্রুত ব্যবহার করা উচিত।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
এ জাতীয় আরো খবর.......