মাসিক বা ঋতুস্রাব চলাকালে সতর্কতা
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মহিলারা মাসিক বা ঋতুস্রাব চলাকালে সতর্কতা তা নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
ঋতু বা মাসিক :
প্রতিটি মহিলার বয়স বাড়ার সাথে সাথে দৈহিক হরমোন পরিবর্তন হওয়ার মাধ্যমে একটি পর্যায়ে চলে আসে, যখন তাদের শারীরিক ও মানষিক দিকে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এ সময়টি বয়ঃসন্ধি নামে পরিচিত। এই সময়ে নারী আর পুরুষের মধ্যে পার্থক্য স্পস্ট হয়ে উঠে। অর্থাৎ এসময় মহিলারা পরিপূর্ণ মেয়েতে পরিণত হয়। এ সময়ে আরেকটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া শুরু হয় যা প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত চলতে পারে, তাহলো মাসিক বা ঋতুস্রাব। মাসিক চলাকালীন অবস্থায় কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে সুস্থ্য থাকা যায়। অনেক সময় সামান্য সচেতনতার অভাবে অনেক মহিলা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগেন। আপনি একটু সচেতন হলেই সুস্থ্য থাকতে পারেন, তাই বলছি আপনি নিজে মাসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং অন্যকেও মাসিক বা ঋতুস্রাব সম্পর্কে সচেতন থাকতে সহায়তা করুন।
মাসিককালীন অসুস্থতা :
অনেক মহিলা মাসিকের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই সময় নিচে উল্লেখিত সমস্যা গুলি নিন্মে দেওয়া হলো :
.(ক) শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে।
(খ) জ্বর জ্বর ভাব, এমনকি অনেকের মৃদু জ্বরও হতে পারে।
(গ) আবার কারো মাথা ব্যথা, মাথাধরা, মাথাঘোরা, গা বমি বমি, ক্ষুধা কমে যাওয়া সাথে কোষ্ঠকাঠিন্যও থাকতে পারে।
(ঘ) অনেক মহিলার রক্তের চাপ বৃদ্ধি পায়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
(ঙ) কখনও কখনও নার্ভের গন্ডগোল দেখা দেয়।
(চ) দেহ অবসন্ন মনে হয় ।
পরিশেষে বলা যেতে পারে, মাসিকের স্রাব কমার সাথে সাথে উপরুল্লিখিত সব সমস্যা কমে যায়। সেটা ৩ দিন ৫ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
যদি আপনার তলপেটে ব্যথা বোধ হয়। বেশি ব্যথা হলে অবশ্যই নিকটের একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মাসিক বা ঋতুস্রাব কালীন কর্তব্য ও সতর্কতা :
(১) মাসিক চলাকালীন সময় অধিক শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করা উচিত নয়।
(২) অতিরিক্ত রাত জেগে কাজ অথবা পড়াশোনা করা ঠিক না।
(৩) বৃষ্টির পানিতে ভিজা অথবা বেপরোয়া লাফালাফি করা উচিত নয়।
(৪) মাসিক চলাকালীন সময় সংক্রমনের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এরজন্য অবশই পরিস্কার ন্যাকড়া বা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত।
(৫) ন্যাকড়া অবশই জীবানুমুক্ত রাখতে হবে। প্রয়োজনে ফুটন্ত পানিতে ধুয়ে শুকাতে হবে।
(৬) খুব বেশি সময় এক কাপড় যোনিমুখে রাখা স্বাস্থ্যসম্মত উচিত নয়।
(৭) মুত্রত্যাগের সময় অবশ্যই যৌনাঙ্গের চারপাশে ডেটল অথবা অন্য এন্টিসেপ্টক দ্বারা ধুতে নিতে হবে।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।