ছাফী ক্যাপসুল –SAFI প্রাকৃতিক রক্ত পরিশোধক
প্রাকৃতিক রক্ত পরিশোধক
ক্যাটাগরি : অ্যালার্জি প্রতিরোধক, কোষ্ঠকাঠিন্য দূরকারক, চর্মরোগের ওষুধ, ডায়াবেটিসের ওষুধ, রক্ত জমাটবদ্ধতা প্রতিরোধক, হামদর্দ ঔষধ ।
কার্যকারিতা : ছাফী ক্যাপসুলটি রক্ত দূষণ, ব্রণ, ফোড়া, ফুসকুড়ি, একজিমা, সোরাইসিস, খোঁস-পাচড়া, চুলকানী, নাকের রক্তক্ষরণ, কোষ্ঠকাঠিন্য, স্থূলতা , হাম, প্রস্রাবকালীন জ্বালা-পোড়া ইত্যাদি।
ঔষধের বর্ননা : ছাফী ক্যাপসুলটি হার্বাল রক্ত পরিশোধক যা চর্মরোগ যেমন- ব্রণ, ফোঁড়, কুঁড়ি, আর্টিকেরিয়া, চুলকানী, – ইত্যাদি নিরাময় করে, নাকের রক্ত ক্ষরণ প্রতিরোধ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে, হজমের ত্রুটি দূর করে, প্র জ্বালা-পোড়া প্রতিরোধ করে। সাধারণ বিষণ্ণতা দূর করে, মন প্রযুক্ত রাখে, বাড়তি ওজন কমিয়ে স্লিম ও স্মার্ট করে।
শরীরের বর্জ্য পদার্থ মল-মূত্র এবং ঘামের সাথে বের করে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, লিভার ও কিডনীতে বিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহ নিশ্চিত করে। ফলে পূর্ণ অংগগুলোর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ছাকীতে ব্যবহৃত হার্বাল উপাদান লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে, রোগ জীবাণু ধ্বংস করে সু-স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চুলে প্রয়োজনীয় বাদ্য সরবাহ করে এবং ভুল উঠা ও চুল পাকা বন্ধ করে। থাকা হকের নীচে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের করে শরীরের চুলকানি ও জ্বালাপোড়া নিবারণ করে এবং ত্বককে লাবণ্যময় করে কোলে থাকা মা এবং গর্ভস্থিত সন্তানকে পরিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহ করে। ছাফী কেবল রক্ত দুষ্টিজনিত রোগ থেকেই রক্ষা করে না বরং দেহের সমস্ত ব্যবস্থাকেই (Organic system) নিয়ন্ত্রণ করে। পরিশোধিত রক্ত বাড়ায়, হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও ক্ষুধামান্দ্য । জলবসন্ত, হাম-এর কারণে জ্বালাপোড়া উপশম করে এবং ক্ষত ও দাগ নির্মূল করে। জাকী রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমায়।
ঔষধের কার্যকারিতা : ছাফী ক্যাপসুলটি মূল্যবান প্রকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে প্রস্তুত বহুমুখী গুণসম্পন্ন হারবাল পলিফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ, যা বিগত ১৯৩৯ সাল থেকে রক্ত ও চর্ম রোগের চিকিৎসায় সাফল্যের সহিত চিকিৎসকরা ব্যবহার করে আসছেন । ছাফী ঔষধটি রক্ত বিশুদ্ধের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে রক্তকে পরিশোধন করে। ইহা মূত্র ও ঘর্ম নিঃসরণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে অন্ত্রের গতি বৃদ্ধি করে। ছাফী ঔষধটি নাকের রক্তক্ষরণ বন্ধ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে, কোষস্থ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ঋতু পরিবর্তনকালীন সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ঔষধটির উপাদান: প্রতি ৫ মিলি সিরাপে আছে (জলীয় নির্যাস আকারে) :
(1) Cassia angustifolia (সোনাপাতা) ১৭.০০ মিগ্রা।
(2) Clitoria ternatea (অপরাজিতা) ২.০০ মিগ্রা,।
(3) Cassia occidentalis (কালকাসুন্দে) ১২.৫০ মিগ্রা।
(4) Curcuma longa (হলুদ) ১.২৫ মিগ্রা।
(5) pomoea turpethum (তেউরী মূল) ২.০০ মিগ্রা।
(6) Rosa damascena (গোলাপ ফুল) ২.০০ মিগ্রা।
(7) Sphaeranthus indicus (মুন্ডীরী ফুল) ২.০০ মিগ্রা।
(8) Gentiana kurroo (নীলকন্ঠী) ২.০০ মিগ্রা।
(9) Fumaria parviflora (ক্ষেতপাপড়া/ শাহতারা) ২.০০ মিগ্রা।
(10) Rheum emodi (রেউচিনি) ১৩.০০ মিগ্রা।
(11) Artemisia absinthium (নাগদনা) ২.০০ মিগ্রা।
(12) Nymphaea alba (শাপলা ফুল) ১.২৫ মিগ্রা।
(13) Dalbergia sissoo (শিশু পাতা) ১.২৫ মিগ্রা।
(14) Pterocarpus santalinus (রক্তচন্দন) ১.২৫ মিগ্রা।
(15) Tinospora cordifolia (গুলঞ্চ) ১.২৫ মিগ্রা।
(16) Terminalia chebula (হরীতকী) ১.২৫ মিগ্রা।
(17) Zingiber zerumbet (একাঙ্গি) ১.২৫ মিগ্রা।
(18) Swertia chirata (চিরতা) ১.২৫ মিগ্রা।
(19) Andrographis paniculata (কালমেঘ) ১.২৫ মিগ্রা।
(20) Bauhinia racemosa (রক্তকাঞ্চন) ১.২৫ মিগ্রা।
(21) Azadirachta indica (নিম) ১.২৫ মিগ্রা।
(22) Ocimum sanctum (তুলসী) ২.৫০ মিগ্রা।
ঔষধ সেবনবিধি :
প্রাপ্ত বয়স্ক : ২-৪ চা চামচ (১০-২০ মিলি) দৈনিক ১ থেকে ২ বারসেব্য অথবা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক : ১/২-১ চা চামচ (২.৫-৫ মিলি) দৈনিক ১ থেকে ২ বার অথবা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
বিঃ দ্রঃ সিরাপ ছাফী সাধারণত সকালে এক কাপ দুধ/পানি অথবা ফলের রসের সাথে সেব্য। যদি অবস্থা তীব্র হয় আরো ২ মাত্রা গ্রহণ করতে হবে। একমাত্রা বিকালে এবং অন্যটি শয়নের সময়। কোষ্ঠকাঠিন্যে ক্ষেত্রে ছাফী সিরাপ ঔষধটি গরম দুধ অথবা গরম পানির সাথে রাতে সেবন করতে হবে। ব্যবহারের সময়সীমা কমপক্ষে ১ মাস হতে হবে।
ক্যাপসুল সেবন বিধি : ১টি করে সকালে ও রাত্রে আথবা চিকিৎসকের পরামর্শ সেবন করুণ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে কোন উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
সতর্কতা : ছাফী সেবনের সময়ে ক্ষুধার পরিমাণের চেয়ে কম খেতে হবে।
বিশেষ সতর্কতা : শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
খবার বিধি নিষেধ : ভাজা, মসলা এবং গুরুপাক খাদ্য পরিহার করতে হবে।
সংরক্ষণ : আলো-বাতাসা থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
পরিবেশনা : প্রতি বাক্সে ৫x৬ ক্যাপসুল।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।