সহবাস কালে যৌনি জ্বালাপোড়া, ব্যথার কারণ ও এর প্রতিকার
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো সহবাসের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথার কারন ও প্রতিকার কী । সবার জানা খুব জরুরী! তো আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
প্রথমবার মিলন বা সহবাসের সময় জ্বালাপোড়া বা নারীদের ব্যথা লাগার পিছনে স্বাভাবিক বা শারীরিক কিছু কারণ রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিবাহ পরবর্তী জীবনে বেশ কয়েকবার সহবাসের পরেও যৌন মিলনের সময় নারীদের ব্যথা লাগে। কমবয়সে বিয়ে হলে অনেক নারী বুঝতেই পারেন না যে শারীরিক সম্পর্কের কালে বা পরে যৌনাঙ্গে ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয় নয় এবং এটির প্রতিকার করা খুব জরুরি। নারী যৌনাঙ্গ হচ্ছে দেহের সবচাইতে স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ, যৌন সম্পর্ক কালে এই অঙ্গে ব্যথা পাওয়া বা কষ্ট অনুভুত হলে অতি দ্রুত অবশ্যই বিষয়টি প্রতিকার করতে হবে। অন্যথায় স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাওয়াটা বিচিত্র কিছু নয়।
উত্তেজিত হবার আগেই সহবাস :
যৌনমিলনের সময়ে যদি যৌনাঙ্গ যথেষ্ট পিচ্ছিল না হয়, তাহলে ভেতরে আঘাত পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে ছিলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া, ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতেই পারে।
প্রথমত : নারী শারীরিক ভাবে উত্তেজিত হতে পুরুষের তুলনার অধিক সময়ের প্রয়োজন। ফলে ফোর প্লে যদি দীর্ঘায়িত না হয়, তবে এক্ষেত্রে অনেক নারীই যথেষ্ট পরিমাণ উত্তেজিত বোধ করেন না। এদিকে শারীরিক কোন সমস্যার কারণেও যৌনাঙ্গ যথেষ্ট পিচ্ছিল হতে না পারে।
সঙ্গীর লিঙ্গের আকার : সঙ্গীর লিঙ্গের আকার যদি নারীর যৌ’নাঙ্গের তুলনায় অধিক বড় হয় সে ক্ষেত্রে ব্যথা পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার এবং এই ব্যথা বেশ তীব্র। বলা যেতে পারে অনেকটা পিরি’য়ডের ব্যথার মতো অনুভুত হতে পারে। যৌনির ভেতরে ছিলে যাওয়া, কেটে যাওয়া, জ্বলনি হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার।
প্রতিকার : প্রথমত সঙ্গীর সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলুন, এবিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা খুবই জরুরি। ফোর প্লে দীর্ঘায়িত করুন। নারীদেহের উত্তেজনা যত বাড়বে, ততই যৌ’নাঙ্গ ও যৌনাঙ্গের মুখ প্রসারিত হবে। ফলে সহবাস যথেষ্ট সহজ হবে।
যৌনতায় উন্মাদনা : খুব দ্রুত বা কামনায় অধীর হয়ে সহবাস (যৌন মিলন) করলে অনেক সময়েই ভ্যা’জাইনায় আঘাত প্রাপ্ত হতে পারে। অনেক বেশি সময় যৌনতার ক্ষেত্রেও এমনটাও হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ভঙ্গাঙ্কুর আঘাত পেয়ে থাকে বেশি ভাগ। পর্ন দেখে সহবাস করতে গেলেও এমনটাই হয়ে থাকে।
প্রতিকার : প্রচুর পরিমাণে লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে হবে, এতে আঘাত পাবার সম্ভাবনা মোটেই থাকবে না। যদি আঘাত লেগেই থাকে তবে একটি পাতলা কাপড়ে বরফ নিয়ে ভগা’ঙ্কুরে কিছুক্ষণ পর পর চেপে ধরেন । ঠাণ্ডা পানি দিয়ে যৌনাঙ্গ ধুয়ে নিতে পারেন। ভুল করেও যৌনাঙ্গের ভেতরে বরফ প্রবেশ করাবেন না।
কনডমের ঘর্ষণ : কনডমের ঘর্ষণে ফলে যৌনাঙ্গের ভেতরে আঘাত পাওয়া, ছিলে যাওয়া, কেটে যাওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। নারীরা এসব ক্ষেত্রে যৌনতা উপভোগও করতে পারেন না।
প্রতিকার : যদি কনডমের ঘষণের ফলে এই সমস্যা হয়ে থাকে তবে কনডমের ব্যান্ড পরিবর্তন করুন। অথবা অন্য কোন জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করুণ। প্রচুর লুব্রিকেন্টে ব্যবহারেও ফল পাবেন।
ইনফেকশন : যদি নারীর যৌনাঙ্গে কোন ধরণের ইনফেকশন হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে সহবাসের সময়ে ব্যথা পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। সাধারণ ইষ্ট ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত কোন ইনফেকশনের কারণে এটি হয়ে থাকে।
প্রতিকার : যদি কোন নারী ইনফেকশন হয়ে থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সঠিক চিকিৎসায় নিযে সুস্থ থাকুন। যৌনাঙ্গ সর্বদা পরিষ্কার রাখুন। নিজের যত্ন নিজেই নিন।
সহবাসের জ্বালাপোড়ার আরও কিছু কারণ :
ক/ কোন নারী জীবনের প্রথম সহবাস বা যৌন মিলন করে থাকে সেটা স্বভাবিকভাবেই একটু ব্যাথা হওয়াটাই স্বাভাবিক ।
এই ব্যাথাটা সাময়িক পরবর্তীতে যৌন মিলনকালে এমন আর না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রথম কারণ হলো যৌন মিলনে নারীর হাইমেন ছিঁড়ে যাওয়ার জন্য এটি হয়ে থাকে।
খ/ নারীর যৌন মিলনকালে যৌনীতে কামরস বের হয়, যেটা যৌন মিলনে সাহায্য করে। কোন কারণে যদি নারীর যৌনীতে পিচ্ছিল কারক কামরস না আসে, তখন এ অবস্থায় যৌন মিলনের নারী ব্যাথা পায়।
ঘ/ মাসিক বা ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যৌন মিলনে নারী ব্যাথা পেতে পারে।
ঙ/ যদি নারীর যোনীর আকার থেকে পুরুষাঙ্গ বড় হয়, তবে যৌন মিলনে নারী ব্যাথা হতে পারে।
চ/ মাসিক বা ঋতুস্রাব চলাকালে নারীরা অনেকটা অসুস্থ্য থাকে। তখন নারীর তলপেটে প্রচুর ব্যাথা হয়। এই সময়ই যদি যৌন মিলন করা হয় তবে সে ক্ষেত্রে ব্যাথা পায়।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।