শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

যৌন মিলনে নারীর সমস্যার ৫টি কারণ

আরোগ্য হোমিও হল / ২০২ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩, ৫:৩৬ অপরাহ্ন
যৌন মিলনে নারীর সমস্যার ৫টি কারণ

যৌন মিলনে নারীর সমস্যার ৫টি কারণ
আরোগ্য হোমিও হল এ আপনাকে স্বাগতম, এখানে আজ যৌন মিলনে নারীর সমস্যার ৫টি কারণ নিয়ে আলোচনা কররো। চলেন কথা না বাড়িয়ে মুল আলোচনায় যায়।

মহিলারা স্বাভাবিক ভাবেই অনেক লাজুক প্রকৃতির । তাদের ছোট ছোট সমস্যাই শেয়ার করেন না আর যদি যৌন সমস্যা হলে তো শেয়ার আর প্রশ্ন আসেনা। মহিলাদের এমন কিছু কষ্টের কথা তথা যৌন মিলন (সহবাস) নারীর সমস্যা নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের প্রবন্ধ। বিবাহিত মহিলা অথবা যারা বিয়ের পায়তারা করছেন তাদের জন্য এটি বিশেষ উপকারে আসবেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে, সমস্যাগুলোকে হালকা দৃষ্টিতে না দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়াই উচিত হবে।

(১) যৌন মিলনে মেয়েদের সমস্যা : যৌন চাহিদা হওয়ার পরেও লুব্রিকেশনের অভাব ও কারণ : অনেকেরই যৌন চাহিদা থাকার সত্তে¡ও যৌন স্থান ভিজে না। পানিশূন্যতা বা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ (কাউন্টার এন্টিহিস্টামিন), নার্সিং, মেনোপজের সময় হরমোন লেভেল পরিবর্তন এর উল্লেখযোগ্য কারণ।

চিকিৎসা : যৌন মিলনের সময় পিচ্ছিলকারক পদার্থ ব্যবহার করতে হবে, পানি জাতীয় ব্যবহার করলে সব চয়ে ভালো, কারণ এটি কনডম এর জন্যে নিরাপদ। কিন্তু কেউ যদি তৈলাক্ত পিচ্ছিলকারক ব্যবহার করে তা হলে এটি কনডমের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হতে পারে। রঙ দেয়া, সেন্ট দেয়া ও ফ্লেভার জাতীয় লুব্রিকেন্ট ব্যবহার নিষেধ কারণ তা ইস্ট ইনফেকশন করে শুকনো ভাব আরও বৃদ্ধি পতে পারে।

আরও পড়ুন – মহিলাদের সাদা স্রাবের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি

অনেকের প্রশ্ন, ইস্ট ইনফেকশন কি পুরুষ সঙ্গীর শরীরেও ইনফেকশন করতে পারে? উত্তর হবে হ্যাঁ। এটি অনেক কম হয়, কিন্তু হয়। একই রকম লক্ষণ যেমন- লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, যৌনমিলনের পর অস্বাভাবিক নিঃসরণ হতে পারে। যদি কোন পুরুষের ডায়াবেটিস থাকে, এন্টিবায়োটিক নিতে থাকে এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কোন কারণে কমে যায় তখন আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। খৎনা করা না থাকলেও এর ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। কারণ এর উপরের চামড়া ভেজা ভেজা থাকার কারণে ইস্ট বেড়ে ওঠায় সাহায্য করে।

আরও পড়ুন – সহবাস কালে যৌনি জ্বালাপোড়া, ব্যথার কারণ ও এর প্রতিকার

(২) মিশনারি (পুরুষ উপরে থাকা) পজিশনে যৌন মিলনের সমস্যা : শতকরা ২০ ভাগ নারীল জরায়ু নরমালের উল্টো দিকে থাকতে পারে অর্থাৎ জুরায়ু পেটের দিকে না থেকে শিরদাঁড়ার দিকে থাকতে পারে। এ অবস্থায় টেম্পুন বা ডায়াফ্রাম ব্যবহার করা কষ্টকর হয় কারণ তা জরায়ুর ভেতর পর্যন্ত চলে যেতে পারে। তাই মহিলার উপরে থেকে মিলনে কষ্ট লাঘব হবে। আর যদি মা হতে চাই, যৌন মিলনের পর উপুড় হয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে তা স্পার্মকে সাঁতরে জরায়ুমুখে যেতে সাহায্য করবে।

(৩) যৌন নারীর চাহিদা কমে যাওয়া : মেনোপজের কাছাকাছি বয়সের নারীদের এটি একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। মেনোপজের আগে নারীর দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোন লেভেল কমে যায়। লুব্রিকেশনের অভাবে ব্যথা থেকে আগ্রহ কমে যাওয়ার এর প্রধান কারণ।

চিকিৎসা : হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি, ইস্ট্রোজেন ক্রিম ও সাপোজিটরি আর লুব্রিকেন্ট (পিচ্ছিলকারক) কাজ দিতে পারে।

আরও পড়ুন – এইচ আর – ১০১ (জ্বালাপোড়া ও চুলকানিতে কার্যকর)

(৪) যৌন মিলনের পর প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কারণ : চাপে ঘষা লেগে মূত্রনালিতে ইরিটেশন ফলে জ্বালাপোড়া হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ যৌন মিলন আর যৌনস্থানের শুষ্কভাবও এর গুরুত্বপূর্ণ কারণ। আবার প্রস্রাবনালীতে ইনফেকশন হলেও এই সমস্যা হতে পারে। যদি প্রস্রাব করার যৌন স্থানে লাগার পর জ্বালাপোড়া হয় তবে বুঝতে হবে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মুত্রথলি খালি হওয়ার সাথে সাথে যদি ব্যথা বাড়তে থাকে তা হলে মুত্রথলি ইনফেকশনের সন্দেহ বেড়ে যায়।

চিকিৎসা : যৌন মিলন করার পর বাথ টাব ভর্তি কুসুম গরম পানিতে বসে থাকলে ব্যথা কমতে পারে। তাছাড়া পিচ্ছিলকারক কিছু ব্যবহারেও উপকার পাওয়া যেতে পারে। যদি এসব কিছুতেই লাভ না হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুণ। কারণটা ইনফেকশনের দিকেই বেশি ইঙ্গিত করছে। বেশি বেশি পানি পান করলে পিচ্ছিলতা ও ইনফেকশন থেকে মুক্তি দুইটা উপকার পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন – গাইনো কার্ড সিরাপ (শ্বেত প্রদর ও মাসিকের সম্যাসায় টনিক)

(৫) যৌনমিলনের পর তীব্র দুর্গন্ধ ও চুলকানির কারণ : বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে এ সমস্যা হতে পারে। একাধিক মিলন সঙ্গীর কারণেও এ সমস্যা হয়ে থাকে। আপনার যৌনস্থানের ভেতরে কিছু দেয়া থাকলে (যেমন চিকিৎসার জন্যে অথবা রোগ নির্ণয়ে কোন কিছু ব্যবহার করা হলে) তা থেকেও এ ধরণে সমস্যা হতে পারে। এর পাশাপাশি ইনফেকশনের আরো কিছু লক্ষণ থাকতে পারে যেমন – অস্বাভাবিক নিঃসরণ, জ্বালাপোড়, চিকিৎসা না করা হলে ডেট এর আগেই সন্তান প্রসব হওয়া, স্বল্প ওজনের বাচ্চা জন্ম নিতে পারে।

চিকিৎসা এন্টিবায়োটিক, যেমন- মেট্রোনিডাজল বা ক্লিন্ডামাইসিন ব্যবহারে লাভ হতে পারে। যাদের বাচ্চার জন্মকালীন ওজন কম বা যাদের সময়ের পূর্বেই সন্তান জন্ম নিয়েছে তাদের স্ক্রিনিং করাতে হবে।


আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev