শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন

মাসিক দেরিতে হওয়ার ৬ কারণ

আরোগ্য হোমিও হল / ১৪৬ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৬:০০ অপরাহ্ন
মাসিক দেরিতে হওয়ার ৬ কারণ

মাসিক দেরিতে হওয়ার ৬ কারণ
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মেয়েদের মাসিক দেরিতে হওয়ার ৬ কারণ তা নিয়ে আজকের জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

ঔষধ সম্পর্কে পড়ুন – এইচ আর – ২১ (মাসিক সমস্যায় কার্যকর)

সাধারণত প্রতি ২৮ থেকে ৩৫ দিন পর পর একজন নারীর নিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক হয়ে থাকে। ১২ বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সী নারীদের মাসিক হয়ে থাকে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর নিয়মিত ও সময়মতো মাসিক হওয়াটা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ বলা হয়। তা যদি অনিয়মিত হয়ে পড়ে, তার মানেই শারীরিক কোনো সমস্যা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আপনাতে দেখেতে হবে কোনো অসুস্থতা শরীরে ভর করেছে কিনা বা জীবনচর্চায় কোনো ক্ষতিকর অভ্যাস যুক্ত হয়েছে কিনা, তার দিকে অবশ্যই আপনাকে নজর দেয়া উচিত। মাসিক দেরি হওয়ার পেছনে সাধারণত যে বিষয়গুলো দায়ী তা জেনে রাখা দরকার। মাসিক কতটা দেরি হলে তাকে ‘লেট’ বলা হয়? তবে বেশিরভাগ নারীর মাসিকের চক্র একই থাকে। এ ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ দেরি হওয়াটা স্বাভাবিক বলেই ধরা যায়। যেমন – একজন নারীর মাসিক হয় ২৫ দিন পর পর হয়। কোনো এক মাসে ৩০ দিন অথবা ৩১ দিন পর তার মাসিক হতেই পারে। আট দিন বা তার বেশিদিন দেরি হলে তাকে ‘লেট’ বলে গণ্য করা হয়।

মাসিক দেরি হওয়ার কারণ :
এর বেশ কিছু কারণে মাসিক সাময়িকভাবে বন্ধ থাকতে পারে বা দেরি হতে পারে। যেমন-

(ক) গর্ভাবস্থা : মাসিক দেরি হলে প্রথমেই নিশ্চিত হোন আপনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন কিনা।

(খ) বয়স : টিনেজ বয়সী ও মধ্যবয়সী নারীদের মধ্যে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পেছনের মুল কারণটি হল হরমোন।

(গ) স্ট্রেস : লম্বা সময় ধরে স্ট্রেসে থাকলে অনেকেরই মাসিক দেরিতে হতে পারে।

(ঘ) আর্লি প্রেগন্যান্সি লস : একজন নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন, কিন্তু তা জানতেন না। এর পর নিজে থেকেই তার মিসক্যারিজ অথবা গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। এ ঘটনায় সাধারণ মাসিকের তুলনায় কিছু দিন পর ভারী রক্তপাত হতে পারে, যাকে অনেকেই দেরিতে মাসিক হওয়া বলে ধরে নেওয়া হয়।

ঔষধ সম্পর্কে পড়ুন –গাইনো কার্ড সিরাপ (শ্বেত প্রদর ও মাসিকের সম্যাসায় টনিক)

(ঙ) কম ওজন : ওজন কম হলে সময়মতো মাসিক নাও হতে পারে। এমনকি কিছু দিন বন্ধও থাকতে পারে।

(চ) ফাইব্রয়েডস : জরায়ুতে টিউমার ধরনের এক ধরনের বৃদ্ধি হলো ফাইব্রয়েডস। এগুলো মাসিকের স্বাভাবিক চক্রকে বাধা দেয়।

(ছ) হরমনাল বার্থ কন্ট্রোল : জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেমন- পিল, প্যাচ, ইনজেকশন, আইইউডি। আপননি যদি এগুলো ব্যবহার করেন তবে মাসিক লেট হওয়া বা পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক।

(জ) স্বাস্থ্য সমস্যা : মনোনিউক্লিওসিস, ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি হওয়া, গলার ইনফেকশন- এ ধরনের সমস্যায় মাসিক লেট হতে পারে। তবে বড় কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- থাইরয়েডের সমস্যা অথবা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের কারণেও মাসিক লেটে হতে পারে।

সূত্র: হাফিংটন পোস্ট।

আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন  : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev