শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সেনচুরিন – CENTURIN মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী জওয়ারিশ মুছ্তগী – Jowarish Mustagi প্রাকৃতিক হজমকারক ও বায়ুনাশক জওয়ারিশ কমূনী – Jowarish Kamuni অম্লাধিক্য, হিক্কা এবং বদহজম রোগে কার্যকরী হলার‍্যান্ট – HOLARANT দীর্ঘমেয়াদী আমাশয় ডায়রিয়া নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর হান্টার –HANTAR ডায়রিয়া এবং পেপটিক আলসার নিরাময়ে কার্যকর ডিসনি – DYSNI আমাশয় ও ডায়রিয়া নিরাময়ে কার্যকরী হামদর্দ ও আর এস – Hamdard O R S খাওয়ার স্যালাইন জওয়ারিশ আমলা – JOWARISH AMLA পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক এবং বায়ুনাশক জওয়ারিশ জালীনূস – Jowarish Jalinoos বায়ুনাশক, হজমকারক এবং লিভারের শক্তিবর্ধক  জওয়ারিশ বিসবাসা –Jowarish bisbasa পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক ও হজমকারক

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের লক্ষণ, কারণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

আরোগ্য হোমিও হল / ১৮৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:০৪ অপরাহ্ন
সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া কোনো রোগ নয়

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের লক্ষণ, কারণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মেয়েদে মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের লক্ষণ, কারণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

মেয়েদের সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ দিন পর পর পিরিয়ড বা মসিক হয়ে থাকে। প্রতিটি মাসিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। ব্যক্তিভেদে মাসিক ব ৩ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত হতে পারে। এগুলোর যে কোন একটা সমস্যা হতে পারে। তাই পিরিয়ড নিয়ে রোগ বালাই এর শেষ নেই। আমি মূলত মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা রক্তপাত নিয়ে লেখার চেষ্টা করবো। আপনার সমস্যাগুলো চিনে নিয়ে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করাই এই লেখাটির উদ্দেশ্য।

ঔষধ সম্পর্কে পড়ুন –  এইচ আর – ২১ (মাসিক সমস্যায় কার্যকর)

২১ দিনের কম সময় অথবা ৩৫ দিনের বেশি সময় ধরে রক্তক্ষরণ হওয়া অথবা ৭ দিনের বেশি সময় ধরে রক্তক্ষরণ হলে আপনার চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক। এর সাথে বয়স অনেক বড় একটা ব্যাপার কাজ করে। মাসিক শুরুর এবং শেষের সময়টাতে এই সমস্যাগুলো একটু বেশি হয়। আমাদের দেশে ১২/১৩ বছর বয়সেই প্রথম মাসিক শুরু হয় আর শেষ অথবা মেনোপজের বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছর।

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার লক্ষণ :
(ক) মাসে ২ অথবা ৩ বার মাসিক বা ঋতুস্রাব হতে পারে।
(খ) মাসিক এক নাগাড়ে অনেকদিন ধরে চলতে পারে
(গ) শুরু হওয়ার ১ থেকে ২ দিন পরই শেষ হয়ে যায় আবার কয়েকদিন পর আবার শুরু হয়
(ঘ) প্রতি ১ অথবা ২ ঘন্টায় কাপড় বা স্যানিটারি ন্যাপকিন একাধিক বার পরিবর্তন করতে হয়।
(ঙ) আগে নিয়মিত হলেও এখন লক্ষ্যনীয়ভাবে অনিয়মিত হচ্ছে।
(চ) রাতের বেলা স্যানিটারি প্যাড অথবা কাপড় পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে।
(ছ) মাসিকের রক্তের সাথে রক্তের বড় চাকা চাকা যেতে পারে।
(জ) অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় ব্যাঘাত।
(ঞ) ক্লান্ত, অবসাদ অনুভব অথবা শ্বাসকষ্ট হয়।

আপনার যদি এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ঔষধ সম্পর্কে পড়ুন –  কেন্ট ৪৬ (অতিরজঃস্রাব রোগে কার্যকর)

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণ :
(১) হরমোনের অসামঞ্জস্যতা বা ভারসাম্যহীনতা কমে গেলে।
(২) গর্ভধারণজনিত অনিয়মিত পিরিয়ড হয়।
(৩) গর্ভনিরোধ বড়ি খাওয়ার ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড হয়।
(৪) শারীরিক ওজন বাড়লে বা কমলে অনিয়মিত পিরিয়ড হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি থাইরয়েড রোগ এবং পলিস্টিক ওভারিয়ান রোগের সম্ভাবনা বেশি। আবার যদি শারীরিক ওজন কমে গেলে ক্যান্সার, যক্ষারোগ বাড়াতে পারে।
(৫) অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেও হতে পারে।
(৬) জরায়ুর টিউমারের ফলে হতে পারে।
(৭) জরায়ুতে পলিপ হলে এ সমস্যা হতে পারে।
(৮) এডেনোমায়োসিস (Adenomyosis)|
(৯) জরায়ুতে কপার টি (IUCD) ব্যবহার করলে (জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী ডিভাইস)।
(১০) জরায়ু, ডিম্বাশয় বা জরায়ু মুখে ক্যান্সার হলে।
(১১) বংশগতভাবে রক্তের রোগের ইতিহাস থাকলে।
(১২) এন্ডোমেট্রিওসিস (Endometriosis) রোগের কারণেও এটা হতে পারে।
(১৩) ওষুধের সাইড ইফেক্ট থেকেও এ সমস্যা হতে পারে।

ঔষধ সম্পর্কে পড়ুন – গাইনো কার্ড ট্যাবলেট (শ্বেত প্রদর ও মাসিকের সম্যাসায় টনিক)

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার :
(ক) রোগের ইতিহাস বা মাসিক চক্র জানা দরকার
(খ) রক্ত গ্রুপিং ও অন্যান্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
(গ) আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করাতে হবে।
(ঘ) এন্ডোমেটরিয়াল বায়োপসি।
(ঙ) প্যাপ টেস্ট।
(চ) ডি এন্ড সি।

ঔষধ সম্পর্কে পড়ুন –  গাইনো কার্ড সিরাপ (শ্বেত প্রদর ও মাসিকের সম্যাসায় টনিক)

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে চিকিৎসা :
রোগ নির্ণয়ের উপর ভিত্তি করে সাধারণত চিকিৎসা দেয়া হয়। এটা সার্জিক্যাল অথবা নন সার্জিক্যাল হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার করণীয়।

(১) নিয়মিত আপনার মাসিক শুরুর দিনটির হিসাব রাখুন। ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখতে পারেন।
(২) কতদিন পর্যন্ত থাকে, তার হিসাব রাখা উচিত।
(৩) কতগুলো প্যাড পরিবর্তন করতে হচ্ছে, তার হিসাব রাখুন।
(৪) কোন শারীরিক দুর্বলতা অথবা অন্য কোন সমস্যা হলে তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুণ।
(৫) অতিরিক্ত রক্তপাত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
(৬) অ্যাসপিরিন ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকুন ।
(৭) সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
এভাবে আপানার লক্ষণগুলো চিনে রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে তার প্রতিকার নিজেই করুন এবং সুস্থ ও রোগহীন জীবন যাপন করুন, এটাই প্রত্যাশা।

আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যতœবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev