শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন

পিরিয়ড বা মাসিক ব্যথা কমানোর ৪ উপায়

আরোগ্য হোমিও হল / ১৪৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:৪৬ অপরাহ্ন
পিরিয়ড বা মাসিক ব্যথা কমানোর ৪ উপায়

পিরিয়ড বা মাসিক ব্যথা কমানোর ৪ উপায়

আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মহিলাদের পিরিয়ড বা মাসিক ব্যথা কমানোর ৪ উপায় কি তা নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

পিরিয়ড মাসিকের সময়ে সবারই ব্যথা হয়? কম-বেশি সকলের হলেও অনেক নারীর মাত্রাতিরিক্ত ব্যথা হয়। পিরিয়ড বা মাসিকের সময়টা কোন ভাবেই সাধারণ সময় নয়। সুতরাং এই সময়টায় প্রত্যেক নারীকে কিছু অস্বস্তি মধ্যেই সকলকে পড়তে হয়। অল্প-বিস্তর ব্যথা সব মহিলার থাকে, আবার কমেও যায়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে এই ব্যথা মাত্রারিক্ত হয়ে যায়, সেটাই বিপদের।

পিরিয়ড মাসিক ব্যথা কেন হয়?
সাধারণত দেখা যায়, পিরিয়ড হওয়ার প্রথম এক বা দুইবছর এই সমস্যা থাকে না। এই সমস্যা শুরু হয় একটু একটু করে ডিম্বাশয় যেকে ডিম্বাণু নির্গমন শুরু হওয়ার পরে। কিন্তু সকল নারীর কি ব্যথা হয়? কম-বেশি সবার ব্যথা হলেও অনেক নারীর মাত্রাতিরিক্ত ব্যথা হয়। যে-সকল মহিলা অজ্ঞতা, ভয় ও উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে রক্তক্ষরণ তাদের ব্যথাবোধও প্রকট হয়।

ঔষধ সম্পের্কে জানুন –  যন্ত্রণাদায়ক মাসিক বা ঋতুস্রাবের ব্যথায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

অনেক ক্ষেত্রে দুর্বল মনের নারী-বাবা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কারণেও বাধক বেদনা বেশি অনুভব করে নারীরা । হই চই, মাথায় জল, পেটে সেঁক, পাখার বাতাস করে ঔই কিশোরী মনকে আরও দুর্বল ও ব্যাকুল করে তোলে। নানা রকম ওষুধ সেব এমনকী, অনেকে ব্র্যান্ডি জাতীয় মাদক সেবন করে এই সময়ে। এসব মোটেই উচিত নয় বলেই বক্তব্য চিকিৎসারা।

ঔষধ সম্পের্কে জানুন –  এইচ আর – ২১ (মাসিক সমস্যায় কার্যকর)

জেনে নেওয়া যাক পিরিয়ড বা মাসিকের ব্যথা কমানোর ৪ উপায়:
দৌঁড়ঝাঁপ, লাফালাফি, খেলাধূলা – সাধারণ কিছু নিয়মাবলি পালন করলে ব্যথা অনেক কম হয়। অকারণে দৌঁড়ঝাঁপ, লাফালাফি, খেলাধূলার ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়।

আলোচনা : কিশোরী মনের ভয় দূর করতে তার সঙ্গে সহজ ভাবে এই সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রশ্ন- পিরিয়ড বা মাসিকের বিষয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে ধৈর্য সহকারে তা শুনে আলোচনা করা উচিত। এছাড়া সাধারণ স্বাস্থ্যের উন্নতিও বাধক বেদনা কমাতে পারে।

ঔষধ সম্পের্কে জানুন –   কেন্ট ৪৬ (অতিরজঃস্রাব রোগে কার্যকর)

চিকিৎসকের পরামর্শ : তবে অনেক ক্ষেত্রে মাসিকের ব্যথা কমাতে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। ইস্ট্রোজেন হরমোন দিয়ে ডিম্বাণু নির্গমন বন্ধ করে ব্যথা কমানো হয়। ব্যথার ওষুধও খেতে হয়। তবে সেটা অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ঔষধ খাওয়া উচিত। আর এই ব্যথা কারও চিরকাল থাকে না। সন্তান ধারণের পরে এই ব্যথা কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে অবশ্য হরমোন চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন দেখা যায়। সুত্র – খবর এবেলা।

আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যতœবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন :  এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev