শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
এইচ আর – ৪৪ (হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর)
ক্যাটাগরি : কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ, পাকিস্তান।
প্রস্তত প্রণালী : এইচআর মাসুদ/হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী প্রস্তুত।
ব্যবহার : এইচ আর – ৪৪ এনজিনা পেক্টোরিস এবং প্যালপিটেশন (গোল্ড ড্রপ) এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
এইচ আর – ৪৪ হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন নিয়ন্ত্রণে বর্ণনা :
ক/ এইচ আর – ৪৪ হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী।
খ/ এনজাইনা পেক্টোরিসের কারণে বুকে ব্যথা বার্যকর।
গ/ হৃদস্পন্দন এবং শ্বাসকষ্টে অত্যান্ত কার্যকর।
ঘ/ হার্ট, বাহু এবং কাঁধের অঞ্চলে ব্যথা কমায়।
ঙ/ হৃদপিন্ডের পেশীর দুর্বলতা উন্নত করে।
ইচ আর – ৪৪ ভূমিকা : প্রশাসনিক উপস্থাপনা: এনজিনা পেক্টোরিস, বা এনজাইনা হল অস্থায়ী বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি যা হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। রক্তের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে হৃদপিন্ডের পেশীতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন কমে যাওয়ার ফলে বুকে ব্যথা হয়।
এইচ আর – ৪৪ কারণ : এনজিনা, যা এনজাইনা পেক্টোরিস নামেও পরিচিত, তখন ঘটে যখন করোনারি ধমনী দিয়ে হার্টের পেশীতে রক্তের প্রবাহ করে হার্টের অক্সিজেনের চাহিদা পূরণের জন্য অপর্যাপ্ত হয়, যেমন – শারীরিক কার্যকলাপের সময়। করোনারি হার্ট ডিজিজ হল এনজিনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের হৃদয়ে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়া সবচেয়ে সাধারণ কারণ। করোনারি হার্ট ডিজিজ হল করোনারি ধমনীর অভ্যন্তরে ফ্যাটি জমা হয় যাওয়ার ফলে সেগুলি সরু হয়ে যায় এবং হৃৎপিণ্ডের পেশীতে প্রবাহিত রক্তের পরিমাণ সীমাবদ্ধ করে।
এনজিনা দুই প্রধান ধরনের যেমন –
১/ স্থিতিশীল এনজাইনা।
২/ অস্থির এনজাইনা।
স্থিতিশীল এনজাইনা: স্থিতিশীল এনজাইনা সবচেয়ে সাধারণ প্রকার, শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সময় বিকশিত হয় এবং সাধারণত শারীরিক কার্যকলাপ শেষ হয়ে গেলে অল্প সময় (প্রায় পাঁচ মিনিট বা তার কম) স্থায়ী হয়।
অস্থির এনজাইনা : অস্থির এনজাইনা কম সাধারণ এবং সাধারণত বিশ্রামের সময় ঘটে। অস্থির এনজাইনা সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং লক্ষণগুলি আরো গুরুতর হতে পারে।
এনজাইনা লক্ষণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে :
ক/ বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি বোধ করে।
খ/ বাহু, ঘাড়, চোয়াল, কাঁধ বা পিঠে ব্যথা বা অস্বস্তি বোধ।
গ/ বদহজম বা অম্বলের মতো ব্যথা করে।
ঘ/ শ্বাসকষ্ট এবং ক্লান্তি অনুভোব করে।
ঙ/ বমি বা বমি ভাব, ঘাম, এবং মাথা ঘোরা ইত্যাদি।
লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ইঙ্গিত: এনজিনা পেক্টোরিস এবং বুক ধড়ফড়ের প্রধান কারণ হচ্ছে আসীন জীবনযাপন,ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ রক্তে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস। এইচ আর ৪৪ – রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং হার্ট ও ধমনীকে শক্তিশালী করে তুলে। এটি মায়োকার্ডিয়াল সংকোচনের শক্তি বাড়ায়, করোনারি ও পেরিফেরাল সঞ্চালন উন্নত করে। এইচ আর – ৪৪ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের সমস্ত শারীরের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
এইচ আর – ৪৪ ঔষধ সেবন বিধি : ২০ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। শিশুরা ৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। সুস্থ হলে প্রতিদিন ৩ বার সেবন করুন। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।
বিশেষে দ্রষ্টব্য : চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না এতে শারীরিক ও মানুষিক ক্ষতি হতে পারে। ঔষধ সেবনে পুর্বে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুণ। লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকলে, আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
বিশেষ সর্তকর্তা : গর্ভবতী মহিলারা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন সম্পন্ন নিষেধ।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এইচ আর – ৪৪ ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানা নাই।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুগন্ধ-দুগন্ধ থেকে দুরে, শীতল ও শুস্ক স্থানে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এ ওয়েব সাইটের মুল উদ্দেশ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পের্ক কিছু দান করা বা তুলে ধরা। সাধারণ মনুষের উপকার হবে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ছাত্ররা উপকৃত হবেন। এ ওয়েব সাইটে থাকছে পুরুষ স্বাস্থ্য বা যৌনস্বাস্থ্য, গাইনি স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাদার টিংচার, সিরাপ, বম্বিনেশন ঔষধ, বাইকেমিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক বই, ইউনানি, হামদর্দ, হারবাল, ভেজষ, স্বাস্থ্য কথা ইত্যাদি। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।
