এইচ আর – ৩৬ (প্যারালাইসিস চিকিৎসায় কার্যকর)
ক্যাটাগরি : কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ, পাকিস্তান।
প্রস্তত প্রণালী : এইচআর মাসুদ/হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী প্রস্তুত।
ব্যবহার : এইচ আর – ৩৬ প্যারালাইসিস নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।
এইচ আর – ৩৬ প্যারালাইসিসের বর্ণনা :
ক/ এইচ আর – ৩৬ স্নায়ুতন্ত্রের জন্য কার্যকর।
খ/ সেরিব্রাল ধমনীর আর্টেরিওস্ক্লেরোসিসের কারণে পক্ষাঘাতে ব্যবহার করা হয়।
গ/ পক্ষাঘাতের সময় স্নায়ুতন্ত্রের চিহ্নিত ক্রিয়াকে উন্নত করে।
ঘ/ এটি পেশী দুর্বলতাকে উন্নত করে এবং পেশীর প্রদাহ যন্ত্রনা কমায়।
ঙ/ দুর্বল স্মৃতিশক্তি বা সাধারণ দুর্বলতায় ব্যবহার করা হয়।
এইচ আর – ৩৬ প্যারালাইসিসের ভূমিকা :
পক্ষাঘাত : পক্ষাঘাত যা শুধুমাত্র একটি পেশী বা অঙ্গকে প্রভাবিত করে আংশিক পক্ষাঘাত, যা পালসি নামেও পরিচিত, সমস্ত পেশীর পক্ষাঘাত হল সম্পূর্ণ পক্ষাঘাত, যেমনটি বোটুলিজমের ক্ষেত্রে হতে পারে।
এইচ আর – ৩৬ অবস্থান : স্থানীয়ভাবে প্যারালাইসিস শরীরের শুধুমাত্র একটি অংশকে প্রভাবিত করে যেমন – মুখ বা হাত।
সাধারণ প্যারালাইসিস হল এমন একটি অবস্থা যা শরীরের একাধিক অংশকে প্রভাবিত করে। প্যারালাইসিসের প্রকারের মধ্যে রয়েছে:
১/ মনোপ্লেজিয়া : যা শুধুমাত্র একটি বাহু বা পাকে আক্রান্ত করে।
২/ হেমিপ্লেজিয়া : যা শরীরের একই পাশে একটি বাহু এবং একটি পাকে আক্রান্ত করে।
৩/ প্যারাপ্লেজিয়া : যা উভয় পাকে আক্রান্ত করে।
৪/ Quadriplegia, বা Tetraplegia যা উভয় বাহু এবং উভয় পাকে আক্রান্ত করে।
এইচ আর – ৩৬ প্যারালাইসিসের সবচেয়ে সাধারণ কারণ :
ক/ সেরিব্রাল পালসি।
খ/ পোস্ট-পোলিও সিন্ড্রোম।
গ/ ঘা সংক্রান্ত মস্তিষ্কের আঘাত।
ঘ/ নিউরোফাইব্রোমাটোসিস।
ঙ/ জন্মগত ত্রুটি।
এইচ আর – ৩৬ প্যারালাইসিসের লক্ষণ ও উপসর্গ :
১/ দুর্বলতা বা দৃষ্টিশক্তি হারানো।
২/ স্মৃতিশক্তি হ্রাস।
৩/ বিভ্রান্তি।
৪/ ভারসাম্য বা সমন্বয়ের ক্ষতি।
৫/ হঠাৎ অসাড়তা।
৬/ ঝাপসা বা অস্বাভাবিক কথাবার্তা।
৭/ চেতনা হ্রাস.
৮/ অসংযম।
এইচ আর – ৩৬ প্যারালাইসিসের ইঙ্গিত :
প্যারালাইসিস বলতে বুঝায় শরীরের কোন অংশে পেশীর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়াকে বুঝায়। মস্তিষ্ক এবং পেশীগুলির মধ্যে বার্তাগুলি যাওয়ার পথে কিছু ভুল হলের ঘটনা ঘটলে এটি হয়ে থাকে। পক্ষাঘাত সাধরণত সম্পূর্ণ এবং আংশিক হতে পারে, পক্ষাঘাত বেশি ভাগে দেখা যায় স্ট্রোক, মেরুদন্ডের আঘাত, স্নায়ুর রোগ যেমন – গুইলেন ব্যারে সিনড্রোম, বেলস পালসি, পোলিওমাইলাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ব্রেন টিউমার, এইচ আর – ৩৬ পক্ষাঘাতের সমস্ত প্রভাব দূর করে এবং আপনাকে জীবনকে করে সুখী ও সুস্থ জীবন।
এইচ আর – ৩৬ ঔষধ সেবন বিধি : ২০ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। শিশুরা ৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। সুস্থ হলে প্রতিদিন ৩ বার সেবন করুন। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।
বিশেষে দ্রষ্টব্য : চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না এতে শারীরিক ও মানুষিক ক্ষতি হতে পারে। ঔষধ সেবনে পুর্বে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুণ। লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকলে, আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
বিশেষ সর্তকর্তা : গর্ভবতী মহিলারা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন সম্পন্ন নিষেধ।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এইচ আর – ৩৬ ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানা নাই।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুগন্ধ-দুগন্ধ থেকে দুরে, শীতল ও শুস্ক স্থানে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এ ওয়েব সাইটের মুল উদ্দেশ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পের্ক কিছু দান করা বা তুলে ধরা। সাধারণ মনুষের উপকার হবে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ছাত্ররা উপকৃত হবেন। এ ওয়েব সাইটে থাকছে পুরুষ স্বাস্থ্য বা যৌনস্বাস্থ্য, গাইনি স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাদার টিংচার, সিরাপ, বম্বিনেশন ঔষধ, বাইকেমিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক বই, ইউনানি, হামদর্দ, হারবাল, ভেজষ, স্বাস্থ্য কথা ইত্যাদি। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।