এইচ আর – ২৯ (বিছানায় প্রস্রাবে কার্যকর)
ক্যাটাগরি : কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ, পাকিস্তান।
প্রস্তত প্রণালী : এইচআর মাসুদ/হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী প্রস্তুত।
র্যবহার : এইচ আর – ২৯ (ENURIS) বিছানায় প্রস্রাব বা বিছানা ভেজানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
এইচ আর – ২৯ বর্ণনা :
ক/ এইচ আর – ২৯ বিছানা ভেজা এবং এর সাথে সম্পর্কিত লক্ষণগুলির ক্ষেত্রে কার্যকর।
খ/ বিছানা ভেজা এবং মূত্রাশয় দুর্বলতায় কার্যকরী।
গ/ কাশি এবং হাঁচির সময় অনিচ্ছাকৃত প্রস্রাবে ব্যবহার করা হয়।
ঘ/ হেমাটুরিয়ায় অত্যান্ত উপকারী।
ঙ/ ঘন ঘন প্রস্রাবের জন্য সহায়ক।
এইচ আর – ২৯ ভূমিকা :
এনুরেসিস : বিছানা ভেজানো, বা বিছানায় প্রস্রাব করা অথবা নিশাচর enuresis, ঘুমের সময় অনিচ্ছাকৃত প্রস্রাবকে বোঝায়। দিনের বেলা পোশাকে হোক বা রাতে বিছানায় প্রস্রাব হোক না কেন, ভিজানোর জন্য মেডিকেল শব্দটি হল Enuresis। এনুরেসিসের আরেক নাম হল ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স। শিশু এবং ছোট শিশুদের জন্য, প্রস্রাব অনিচ্ছাকৃত প্রস্রাব করে ভিজে যাওয়া স্বাভাবিক। বেশির ভাগ শিশু ৪ বছর বয়সের মধ্যে কিছুটা মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। দিনের প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ সাধারণত প্রথমে অর্জন করা হয়, রাতের নিয়ন্ত্রণ পরে আসে।
এইচ আর – ২৯ বিছানা ভেজানোর প্রকার :
৪ ধরনের enuresis রয়েছে। একটি শিশু এই ধরনের ১ বা তার বেশি হতে পারে যেমন –
১/ রাত্রিকালীন (নিশাচর) enuresis : মানে রাতের বেলা বিছানা বা প্যান্ট ভিজে যাওয়া। এটাকে বিছানা ভেজানো বলা হয়। এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের enuresis।
২/ দিনের সময় (প্রতিদিনের) enuresis : দিনে ভিজছে।
৩/ প্রাথমিক enuresis: এটি ঘটে থাকে যখন একটি শিশু সম্পূর্ণরূপে টয়লেট প্রশিক্ষণে আয়ত্ত না করতে পারে।
৪/ সেকেন্ডারি enuresis: এটি তখন হয় যখন একটি শিশুর শুষ্কতা থাকে, কিন্তু তারপরে আবার ভিজতে থাকে।
এইচ আর – ২৯ বিছানা ভেজানোর কারণটি সম্ভবত নিম্নলিখিতগুলির সংমিশ্রণের কারণে হতে পারে যেমন –
ক/ মূত্রনালীর সংক্রমণ।
খ/ একটি সম্পূর্ণ মূত্রাশয় চিনতে অক্ষমতা।
গ/ একটি ছোট মূত্রাশয়।
ঘ/ নিদ্রাহীনতা।
ঙ/ একটি হরমোন ভারসাম্যহীনতা।
চ/ ডায়াবেটিস।
ছ/ মূত্রনালীর বা স্নায়ুতন্ত্রের কাঠামোগত সমস্যা।
জ/ দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য।
এইচ আর – ২৯ বিছানা ভেজানোর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ :
১/ কম আত্মসম্মান বোধ।
২/ অনিচ্ছাকৃত প্রস্রাব হয়।
৩/ উত্তোলন।
৪/ বিষণ্ণতা।
৫/ প্রস্রাবের সাথে স্ট্রেনিং, ড্রিবলিং বা অন্যান্য অস্বাভাবিক লক্ষণ।
৬/ ঘন ঘন, জরুরী বা প্রস্রাবের সময় জ্বালা করে।
৭/ কোষ্ঠকাঠিন্য।
এইচ আর – ২৯ বিছানা ভেজানোর সাধারণ ইঙ্গিত :
বিছানা ভেজানো বা নকটার্নাল এনুরেসিস বলতে ঘুমের সময় অনিচ্ছাকৃত প্রস্রাবকে বোঝানো হয়। মূত্রাশয়ের দুর্বলতার কারণে অনেক শিশুই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এইচ আর – ২৯ মূত্রাশয়কে শক্তিশালী করে এবং শিশুদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
এইচ আর – ২৯ ঔষধ সেবন বিধি : ২০ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। শিশুরা ৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক সমপরিমান পানির সাথে শিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। সুস্থ হলে প্রতিদিন ৩ বার সেবন করুন। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।
বিশেষে দ্রষ্টব্য : চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না এতে শারীরিক ও মানুষিক ক্ষতি হতে পারে। ঔষধ সেবনে পুর্বে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুণ। লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকলে, আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
বিশেষ সর্তকর্তা : গর্ভবতী মহিলারা রেজিষ্টর্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন সম্পন্ন নিষেধ।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এইচ আর – ২৯ ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানা নাই।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুগন্ধ-দুগন্ধ থেকে দুরে, শীতল ও শুস্ক স্থানে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এ ওয়েব সাইটের মুল উদ্দেশ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পের্ক কিছু দান করা বা তুলে ধরা। সাধারণ মনুষের উপকার হবে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ছাত্ররা উপকৃত হবেন। এ ওয়েব সাইটে থাকছে পুরুষ স্বাস্থ্য বা যৌনস্বাস্থ্য, গাইনি স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাদার টিংচার, সিরাপ, বম্বিনেশন ঔষধ, বাইকেমিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক বই, ইউনানি, হামদর্দ, হারবাল, ভেজষ, স্বাস্থ্য কথা ইত্যাদি। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।