রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মা’জুন কুন্দুর – MaÕjun Kundur মূত্রতন্ত্রের গোলযোগ নিরাময়ে কার্যকর জওয়ারিশ যরঊনী–Zawarish Jarouni মূত্রতন্ত্রের যাবতীয় গোলযোগ নিরাময়ে কার্যকর সূজার্ন–SUZARN গণোরিয়া ও মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর সেলভিন–SELVIN শারীরিক ও জীবনী শক্তি বৃদ্ধিকারক ঔষধ এ্যালকুলী–ALKULI মূত্রকারক, প্রতিবন্ধকতা অপসারক ও জ্বর নিবারক এন্টিফেভ–ANTIFEV প্রাকৃতিক জ্বর নিবারক ফেভনিল–FEVNII জ্বর নিবারক ও শান্তকারক সফূফ আমলা–Sufoof Amla প্রোস্টেট গ্রন্থির সুরক্ষায় কার্যকর পামেট– PALMET প্রোস্টেট গ্রন্থির অতিবৃদ্ধির (বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া) চিকিৎসায় নিরাপদ এবং কার্যকরী হারবাল ওষুধ দোলাবী–DOLABI ডায়াবেটিস এর চিকিৎসায় কার্যকরী প্রাকৃতিক মহৌষধ

অ্যাডাল-৮৭ (ফ্লু, হাম, হারপিস)

আরোগ্য হোমিও হল / ২৯৬ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ৫:৫২ অপরাহ্ন
অ্যাডাল নং - ৮৭ (ফ্লু, হাম, হারপিস)

Edel – 87 (Flu, Measles, Herpes)

অ্যাডাল  – ৮৭ (ফ্লু, হাম, হারপিস)

আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো অ্যাডাল – ৮৭ (ফ্লু, হাম, হারপিস) নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

প্রস্তুত প্রণালী : অ্যাডেল নং- ৮৭ জার্মান কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।

ব্যবহার : অ্যাডাল – ৮৭ ঔষধ : এটি মানব শরীরে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণের জন্য যেমন – ফ্লু, হাম, চিকেন পক্স, ক্যান্ডিডোসিস, ওইটিস, হারপিস সিমপ্লেক্স ও মাউথ থ্রাশের মতো ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাল সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

অ্যাডাল – ৮৭ ঔষধের ভুমিকা : ব্যাকটেরিয়া দ্বার সৃষ্টি সাধারণ রোগের মধ্যে রয়েছে মূত্রনালীর সংক্রমণ, স্টেপ থ্রোট, যক্ষ্ণা ইত্যাদি। ভাইরাস জনিত রোগের মধ্যে রয়েছে সাধারণ সর্দি, চিকেন পক্স ইত্যাদি। মানুষের বেশিরভাগ অসুস্থতা রোগ সৃষ্টিকারী (প্যাথোজেনিক) ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণের কারণে এটি ঘটে।

সাধারণত ব্যাকটেরিয়া দুটি ভাবে বিভক্ত হয়ে উৎপাদিত হয়ে ভাইরাসগুলি হোস্ট কোষের ভিতরে প্রবেশের মাধ্যমে প্রতিলিপি তৈরি করে। ব্যাকটেরিয়া হল এককোষী অণুজীব ও ভাইরাসগুলি সেই ব্যাকটেরিয়া থেকে ছোট যার জন্য হোস্ট বডি যেমন – মানুষ, প্রাণী অথবা গাছপালা প্রয়োজন। ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সব চেয়ে বেশি সংক্রামক। ভাইরাল সংক্রমণের লক্ষণগুলি যেমন – জ¦র, ক্লন্তি, মাথাব্যথা, কাশি, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি। ভাইরাসগুলি যেমন – হাঁচি, কাশি, সংক্রামিত পোকামাকরে কামড়, বমি ইত্যাদি একজন থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে ছড়াতে পারে। ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, দূষিত জল বা খাদ্য দূষিত পৃষ্ঠ স্পর্শ ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায়।

আরও পড়ুন – বায়ো কম্বিনেশন ১৪ (জ্বর-সর্দি)

অ্যাডাল নং- ৮৭ : ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগের চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ (ড্রপগুলিতে পাওয়া যায়) এর কম্বিনেশন ঔষধ মিশ্রণের মাধ্যমে এতে আইলাসন্থাস গ্ল্যাডুলোসা, আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম ইত্যাদির মতো গুরত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি ফ্লু, হাম (ভাইরাল রোগ জ্বর ও লাল ফসকুড়ি সৃষ্টি করে), চিকেচ পক্স, কানের প্রদাহ (ওটিসিস), ক্যানাডিডসিস বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিশেষত ওরাল বা ভ্যাজাইনাল থ্রাশ অর্থাৎ ইস্ট ইনফেকশনের কারণে, হারপিস সিমপ্লেক্স ( একদন হারপিস ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট ভাইরাল সংক্রমণ) ইত্যাদি।

আরও পড়ুন – এইচ আর – ৯৯ (সর্দি এবং ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জায় কার্যকর)

অ্যাডাল নং- ৮৭ ঔষধের কম্বিনেশন মুল উপাদান :
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জনিত রোগের জন্য গুলিতে মধ্যে রয়েছে :
(১) আইলান্থাস গ্ল্যান্ডুলোসাস 6X (Alianthus Glandulosa 6X)।
(২) আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম 6X (Argentum Nitricum 6X)।
(৩) সিনকোনা পিউবসেনস 6X (Cinchona Pubescens 6X)।
(৪) ইচিনেসিয়া 12X (Echinacea 12X)।
(৫) ল্যাকেসিস-মিউটা 12X (Lachesis Mutus 12X)।
(৬) ন্যাস্টার্টিয়াম অ্যাকুয়াটিকাম 12X (Nasturtium Officinale 12X)।
(৭) মারুবিয়াম ভালগারি 4X (Merrubium Vulgare 4X)।
(৮) ভিজিটামক্স 4x (Visitumx 4x)

আরও পড়ুন – কেন্ট ৬১ (চিকেন পক্সে কার্যকর)

অ্যাডাল নং- ৮৭ বায়োকম্বিনেশর ঔধের কার্যকারিতা :

(১) আইলান্থাস গ্ল্যান্ডুলোসাস 6X (Alianthus Glandulosa 6X) : এই ঔষধটি টনসিল এবং অন্যান্য টিস্যুর সংক্রমণ দুর করে। এছাড়াও জ্বর, গুরুতর দুর্বলতা, লাল রঙের জ্বর (সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের কারণে জ্বর ও একটি স্কারলেট ফুসকুড়ি) শ্লেম্মা ঝিল্লির সংক্রমণ এবং পাচনতন্ত্রের মাইক্রোবিয়াল ভারসাম্যহীনতা (ডিসবায়োসিস) চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

(২) আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম 6X (Argentum Nitricum 6X) : এই ঔষধটি মিউকাস মেমব্রেনের সংক্রমণের চিকিৎসায় কার্যকর। এটি স্নায়ুর ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং অস্থিরতা, ক্লান্তি সহ মাইগ্রেন বা মাথা ব্যাথায় কাজ করে।

(৩) সিনকোনা পিউবসেনস 6X (Cinchona Pubescens 6X) : এই ঔষধটি জ¦র, দুর্বলতা ও ক্লান্তি চিকিৎসা করে। এছাড়াও এই ঔষধটি ব্রঙ্কাইটিস (ব্রংকিয়ার টিউবে শ্লেম্মা ঝিল্লির প্রদাহ), হুপিং কাশি (পারটুসিস), পিত্তথলির প্রদাহ (কলেসিস্টাইটিস) ও গ্যাস্ট্রাইটিস (পেটের আস্তরণের প্রদাহে কার্যকর। এটি মাথা ভাড় কমাতে সাহায্য করে ও খিটখিটে মিউকাস মেমব্রেন থেকে রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে।

(৪) ইচিনেসিয়া 12X (Echinacea 12X) : এই ঔষধটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় কার্যকর। লিউকোসাইট উৎপাদান এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা প্রতিক্রিয়াকেও সহায়তা করে। অন্ত্র এবং কিডনির নির্গমন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বা বিষাক্ত বিপাকীয় বজ্য নির্মূল করতে সহায্য করে।

আরও পড়ুন – র‌্যাক্স নং- ৬৯ (হাম )

(৫) ল্যাকেসিস-মিউটা 12X (Lachesis Mutus 12X) : এই ঔষধটি রক্তের সেপটিক অবস্থার বিরুদ্ধে কাজ করে ও সংক্রমণের বিস্তার থেকে সমগ্র শরীরকে সুরক্ষা দেয়।

(৬) ন্যাস্টার্টিয়াম অ্যাকুয়াটিকাম 12X (Nasturtium Officinale 12X) : ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ যেমন – ইউরোজলিক্যাল সংক্রমণ দুর করে এবং পিত্তথলিকে উদ্দীপিত করে। রক্তকে ডিটক্সফাই করে ও সারা শরীরে প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইকোবিয়াল হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও ত্বকের রোগ ও গলগন্ড প্রতিরোধ করে, থাইবয়েড গ্রান্থিও বৃদ্ধির ফলে ঘাড়রে ফুলে যাওয়া দুর করে।

(৭) মারুবিয়াম ভালগারি 4X (Merrubium Vulgare 4X)। : এই ঔষধটি লিম্ফ্যাটিক উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে যা গুরুতর স্বাসযন্ত্রেও সংক্রমণ, লিভারের ব্যাঘাত, লিম্ফ নোডের শক্ত হয়ে যাওয়া ও শ্লেম্মা ঝিল্লির সম্যাসা দুর করে।

(৮) ভিজিটামক্স 4x (Visitumx 4x) : ফ্ল, সাধারণ সর্দি, পোলিওমাইলাইটিস (সংক্রামক ভাইরাল রোগ যেমন – কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং অস্থায়ী অথবা স্থায়ী পক্ষাঘাত ইত্যাদি অন্তড়র্ভুক্ত সংক্রমণের চিকিৎসা করে।

আরও পড়ুন – এইচ আর – ৮৪ (ত্বকের অ্যালার্জিতে কার্যকর)

অ্যাডাল নং- ৮৭ ঔষধ সেবন বিধি : প্রাপ্ত বয়স্করা জন্য ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা, শিশুরা ৭ থেকে ১০ ফোঁটা ১/৪ কাপ জলে দিনে ৩ বার। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করতে হবে।

চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন

শর্তাবলী : কম্বেনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এই ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

সতর্কতা : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev