এক্স-রে হোমিওপ্যাথি ডাইলেশন ৩০, 200, ১এম, ১০এম, সিএম
X-Ray homeopathic-medicine 30. 200. 1M. 10M. CM
ডা: উইলিয়াম বরিক
(পরিচয়- বোতলে এলকোহল রাখিয়া, উহার উপরে এক্স-রে প্রতিক্ষেপন করিয়া প্রস্তুত করা হয়।)।
দেহে পুনঃপুনঃ রোন্টজেন রশ্মি এক্স-রে লাগাইয়া চর্মপীড়া জন্মে এবং ঐ চর্মপীড়া কর্কট রোগে পরিণত হয়। অসহ্য=বেদনা। কামজ গ্রন্থিসমুহ বিশেষভাবে আক্রান্ত হয়। ডিম্বাশয় ও অণ্ডকোষাদ্বয় শুকাইয়া যায়। বন্ধার জন্মে। রক্তের লসিকাসমূহের এবং অস্থিমজ্জার বিকৃতি ঘটে। রক্তাকল্পতা এবং রক্তে শ্বেত কণিকার আধিক্য জন্মে। ফলে আরোগ্য ক্রিয়া ব্যাহত হয়। যথা, দগ্ধ ক্ষত কিছুতেই আরোগ্য হইতে চায় না। নিয়চিকা।
আরও পড়ুন – কেন্ট ১৮ (চর্ম রোগে কার্যকর)
ইহা কৈশিক প্রণালীসমূহকে উত্তেজিত করে। দৈহিক ও মানসিক উভয় বিধভাবে জীবনীশক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে। চাপা পড়া লক্ষনসমুহ বহিঃপ্রকাশিত করে, বিশেষতঃ অঞ্জিরিকা দোষজ এবং অন্যান্য মিশ্র প্রকারের দোষজ লক্ষণ। ইহার হোমিওপ্যাথিক ক্রিয়া কেন্দ্র হইতে পরিধির দিকে, অর্থাৎ ভিতর হইতে বাহিরদিকে।
মস্তক : মস্তক ও মুখমণ্ডলের বিভিন্ন অংশে খোঁচামারা বেদনা। দক্ষিণ চোয়ালের উপরে অনুগ্র বেদনা। গ্রীবার আড়ষ্টতা। মাঝে মাঝে হঠাৎ গ্রীবাদেশে, কটূ কটূ করিয়া উঠে, কানের পিছনে অত্যাধিক বেদনা। বালিশ হইতে মাথা তুলিতে গেলে ঘাড়ের পেশীতে বেদনা। কানে পূর্ণতা বোধ মাথার মধ্যে ঝিন ঝিন করে।
আরও পড়ুন – এন – ০২ (গ্যাইনি সম্যাসা ড্রপস)
মুখগহর : জিহ্বা শুক, অসমান এবং বেদনাযুক্ত, হিজিয়ার সময় গলায় ব্যথা লাগে। বমি বমিভাব ।
পুংজননেন্দ্রিয় : কাম বিষয়ক স্বপ্ন, সঙ্গমেচ্ছা লুপ্ত। লুপ্ত গনোরিয়া স্রাব পুনঃপ্রবর্তিত করে।
হস্তপদাদি : খাত বেদনা। সর্বাঙ্গীণ ক্লান্তি ও অস্বস্তি বোধ। হাতের তালু কর্কশ ও শল্কমুক্ত।
চর্ম : শুক, চুলকানিযুক্ত একজিমা। নখের গোড়ায় অস্থিপুতন। চর্ম শুস্ক কোঁচকান। ফাটা চর্মে বেদনা। আঁচিলের ন্যায় মাংসরদ্ধি। নখগুলি হইয়া উঠে।
পুরু হইয়া উঠে। পিচচিকা।
উপচয়, উপশম-বৃদ্ধি : শয্যায়, অপরাহে, সন্ধ্যাকালে ও রাত্রিতে এবং খোলা বাতাসে।
আরও পড়ুন – অ্যাডাল-৭৮ (একজিমা, সোরিয়াসিস, ফোড়া)
সম্বন্ধ- তুলনীয় : ইলেক্ট্রসিটাস – দুগ্ধ শর্করায় তড়িৎশক্তি প্রয়োগ করিয়া প্রস্তুত হয় (উৎকণ্ঠা, স্নায়বিক কম্পন, অস্থিরতা, বুক ধড়ফড়ানি, শিরঃপীড়া। ঝড়বৃষ্টির ভয়, অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ভার বোধ)। ম্যাগ্নেটিস পোলি আছো চুম্বক, দুগ্ধ শর্করা বা পরিশ্রুত জল চুম্বকশক্তি দ্বারা প্রভাবিত করিয়া প্রস্তুত হয়। ( সর্বাঙ্গে জ্বালাকর ছুরিকাবিদ্ধবৎ বেদনা, সন্ধিস্থানে যেখানে দুই অস্থির কোমল অংশ মিলিত হইয়াছে, তথায় ভাঙ্গিয়া যাওয়ার সাথে বেদনা। কোঁচামারা ব্যথা, ঝাঁকি দেওয়া ব্যথা। পেরেক পোতার ন্যায় রাখা। শিরঃপীড়া, পুরাতন ক্ষত হইতে নূতন করিয়া রক্তস্রাব হয়। ম্যাগ্নে- টিস পোলাস আর্কটিকাস-চুম্বকের উত্তর প্রান্ত (অস্থির নিদ্রা, স্বপ্নসঞ্চরণ, গ্রীবাদেশে কটূ কট্ শব্দ, শীতলতার অনুভূতি, দন্তশূল), ম্যাগ্নেটিস পোলাস অস্ট্রেলিস-চুম্বকের দক্ষিণ প্রান্ত (পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখের অভ্যন্তরে তীব্র বেদনা, পদাঙ্গুলির নখ ভিতরে ঢুকিয়া যায়, পদসন্ধি সহজেই মচকায়, পা ঝুলাইয়া রাখিলে ব্যথা করে)।
মাত্রা : ১২শ ও উচ্চতর শক্তি।
সতর্কতা : সঠিকভাবে ঔষধ সেবন না করলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। ডোজ ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা ঔষধ পানির সঙ্গে সেবন করা উচিত বেশি ডোজ বিপজ্জনক হতে পারে এবং আতঙ্কিত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, এর ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। লিভার, কিডনি, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বয়স্কদের চরম সতর্কতার সাথে এই ঔষধটি ব্যবহার করা উচিত।
সেবন বিধি : অবস্থার উপর দুই ঘন্টা পর পর সেবন করা যেতে পারে। খাবারের আধাঘন্টা আগে ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা ঔষধ একঢোক পরিমাণ মত পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩ বার সেবন করুণ। ঔষধ সেবনে কিছু উন্নতি হলে ঔষধ সেবনে পরিমান কমিয়ে দিনে দুইবার সেবন করুণ। অসুখের লক্ষণ গুলি সম্পুর্ণ অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত সেবন করুণ। অথবা চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে ঔষধ সেবন করতে হবে।
চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। ওষুধ খাওয়ার সময় তামাক খাওয়া বা অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন –র্যাটানহিয়া পেরুভিয়ানা (3X- Q) মাদার টিংচার
অন্যান্য ঔষধ : আপনি অ্যালোপ্যাথি ওষুধ, আয়ুর্বেদিক ইত্যাদির মতো অন্যান্য ওষুধে থাকলেও ওষুধ খাওয়া নিরাপদ।
অন্যান্য ঔষধে হস্তক্ষেপ : হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি কখনই অন্য ওষুধের ক্রিয়াকলাপে হস্তক্ষেপ করে না।
বিশেষ সতর্কতা : সাধারণত গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যপান করানোর সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়|
শর্তাবলী : মাদার টিংচার হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : হোমিওপ্যাথি সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করে কারণ এটি নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। তবে প্রতিটি ওষুধ চিকিৎসকের নিয়ম মেনে খেতে হবে।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর বেশি নয় একটি স্থির তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত।
ঔষধের গুণগতমাণ : এটি একটি প্রাকৃতিক পণ্য, এটি কখনও কখনও সামান্য বৃষ্টিপাত অথবা মেঘলা হতে পারে, কিন্তু এটি পণ্যের গুণমান এবং এর কার্যকারিতা প্রভাবিত করে না। যদি এটি ঘটে তবে পণ্যটি ব্যবহার করার আগে ভালভাবে ঝাঁকি নিন। একবার আপনি সীলটি ভেঙে ফেললে, ওষুধগুলি দ্রুত ব্যবহার করা উচিত।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।