আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো “ ৫৭ (পালমোনারি টনিক ড্রপস)” কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

প্রস্তত প্রণালী : Dr.Reckeweg R 57/ জার্মান কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ।

ব্যবহার : আর ৫৭ আর ৫৭ পালমোনারি টনিক ড্রপসটি  ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুসের যক্ষ্মা, ফুসফুসের রোগ যেমন শ্বাসকষ্ট, ক্রমাগত কাশি, রক্ত বা মিউকাস, শ্বাসকষ্ট, সিওপিডি ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।

আর ৫৭ ড্রপসটি উপকারিতা :  ফুসফুসের দুর্বলতা দূর করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস স্বাভাবিকভাবে পুনর্র্নিমাণে সাহায্য করে। এতে রয়েছে – আর্সেনাম জোডাটাম, ক্যালসিয়াম কার্ব-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকায় ফুসফুসের কার্যকরী অংশের দুর্বলতার (প্যারেনকাইমা) উপর কাজ করে যার ফলে নিশাচর ঘাম (ঘাম), রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে ও সর্দির প্রতি সংবেদনশীলতা। এটি ক্ষুধার অভাব, রক্তক্ষরণ, ফ্যাকাশেতা বা মুখের লিম্পিড (স্পষ্ট) দিকগুলির জন্যও নির্দেশিত।

আর ৫৭ ড্রপটির ইঙ্গিত : দুর্বল ফুসফুসের চিকিৎসায় সাহায্য করে। এই ড্রপের প্রতিকারের দুটি গ্রুপ রয়েছে যা দুটি ভিন্ন উপায়ে কাজ করে। শ্বাসনালী শ্লেষ্মা ঝিল্লির উপর এর প্রভাব ফেলে যাতে ফুসফুস পর্যাপ্ত পরিমাণে ময়শ্চারাইজড হয় যা বাহ্যিক রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অ্যাস্থেনিক (সমতল ও সরু বুক) পাশাপাশি কফযুক্ত (প্রচুর বা ফোলা) ধরণের রোগীদের উপকার করে। এটি যক্ষ্মা রোগের সংবেদনশীলতা হ্রাস করে ও অন্তঃসত্ত্বা ইমিউন প্রতিক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে যেকোনো সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

(১) আর্সেনাম জোডাট, D6 (Arsenum Jodat D6)।

(২) ক্যালসিয়াম কার্ব হ্যানেম D30 (Calcium Carb. Hahnem D30)

(৩) লাইকোপোডিয়াম D30 (Lycopodium D30)।

(৪) টিউক্রিয়াম D6 (Teucrium D6)।

(৫) ফস ফরাস উ৩০ (চযড়ংঢ়যড়ৎঁং উ৩০)

(৬) সালিসিয়া D30 (Silicea D30)

আর ৫৭ ফুসফুসের রোগে ড্রপসটি মূল বৈশিষ্ট্যগুলি দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি রোগের চিকিৎসার জন্য নিম্নলিখিত উপাদানগুলি থেকে প্রাপ্ত।

(ক) আর্সেনাম জোডাটাম (Arsenum Jodat) : টনিক হিসাবে কাজ করে এবং ক্ষুধা উদ্দীপিত করে।

(খ) ক্যালসিয়াম কার্বোহাইড্রেট, হ্যানেম (Calcium Carb Hahnem ) : এটির পুনঃক্যালসিফাইং প্রভাব রয়েছে যা টিস্যুতে অতিরিক্ত পানির সমস্যা দূর করে।

(গ) লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) : এটি লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে, লিভারের ডিটক্সিফিকেশন ফাংশন সহজ করে এবং ক্ষুধাকে উদ্দীপিত করে।

 (ঘ) টিউক্রিয়াম (Teucrium) : ফুসফুসের রোগ, ফুসফুসের যক্ষ্মা স্নেহ ও নিউমোনিয়াতে এর নির্দিষ্ট যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।

(ঙ) সালিসিয়া D30 (Silicea D30) : এটি সিরহাস পালমোমারি ফোকাল সেন্টারে পুনর্র্নিমাণকারী প্রভাব বিস্তার করে।

আর ৬০ ঔষধ সেবন বিধি : প্রাপ্ত বয়স্করা জন্য ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা, শিশুরা ৭ থেকে ১০ ফোঁটা ঔষধ ১/৪ কাপ পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩ বার অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করতে হবে।

চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন।

সতর্কতা : গর্ভবতী মা অথবা দুগ্ধদানকারী মারা ঔষধ সেবনের পূর্বে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করা উত্তম।

শর্তাবলী : কম্বেনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : হোমিওপ্যাথি সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করে কারণ এটি নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।

ঔষধ সংরক্ষণ : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।

ঔষধের গুণগতমাণ : এটি একটি প্রাকৃতিক পণ্য, এটি কখনও কখনও সামান্য বৃষ্টিপাত অথবা মেঘলা হতে পারে, কিন্তু এটি পণ্যের গুণমান এবং এর কার্যকারিতা প্রভাবিত করে না। যদি এটি ঘটে তবে পণ্যটি ব্যবহার করার আগে ভালভাবে ঝাঁকি নিন। একবার আপনি সীলটি ভেঙে ফেললে, ওষুধগুলি দ্রুত ব্যবহার করা উচিত।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন।  এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।  সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন।  আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।