আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো “  আর – ২৫ (প্রোস্টাটাইটিস ড্রপস) ” কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

প্রস্তুত প্রণালী : Dr. Reckeweg R 26  / জার্মান কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ।

ব্যবহার : আর – ২৫ ড্রপসটি ব্লাডার ক্যালকুলি, প্রস্টেট সমস্যায় ব্যবহার করা হয।

আর – ২৫ প্রোস্টাটাইটিস ড্রপটি উপরকারিতা : আর – ২৫ ড্রপসটি বেশ কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধধ মিশ্রণের মাধ্যমে সৌম্য প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়ার লক্ষণ (ড্রপগুলিতে পাওয়া যায়)। এটিতে ক্লেমাটিস ইরেক্টা (Clematis Erecta), কোনিয়াম ম্যাকুলেটাম (Conium Maculatum) ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা দীর্ঘস্থায়ী এবং তীব্র প্রোস্টাটাইটিস (প্রস্রাব করার সময় জ্বলন্ত অনুভূতি) এবং এর অন্যান্য লক্ষণে কাজ করে।

আর – ২৫ প্রোস্টাটাইটিস ড্রপটি ইঙ্গিত : তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী প্রোস্টাটাইটিস এবং এর পরিণতি।

আর – ২৫ প্রোস্টাটাইটিস ড্রপটি ভূমিকা : সৌম্য প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়ার উপসর্গগুলি হল প্রস্রাবে রক্ত, প্রস্রাবের জ্বালা, প্রস্রাব করার সময় জ¦ালা ও ব্যথা, দুর্বল প্রস্রাব ব্যবস্থা এবং দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব। Prostatitis প্রোস্টেট গ্রন্থির ফুলে যাওয়া এবং প্রদাহ ইত্যাদি হিসাবে বর্ণনা করা হয়। যখন প্রোস্টেট গ্রন্থির সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টি হয় তখন তাকে ব্যাকটেরিয়াল প্রোস্টাটাইটিস বলা হয়। প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্রমাগত জ্বালা যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টি হয় না তাকে দীর্ঘস্থায়ী প্রোস্টাটাইটিস বলে। পরবর্তীতে টিকে বিপিএইচ অথবা বেনাইন প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়াও বলা হয়। এটি ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

(১) কোনিয়াম ম্যাকুলেটাম D5 (Conium Maculatum D5)|

(২) চিমাফিলা আমবেলাটা D3 (Chimaphila Umbellata D3।

(৩) ক্লেমাটিস ইরেক্টা D3 (Clematis Erecta D3)।

(৪) পালসেটিলা D3 (Pulsatilla D3)।

(৫) প্যারিরা ব্রাভা D2 (Pareira Brava D2)।

(৬) পপুলাস ট্রেমুলয়েডস D3 (Populus Trem D3)।

(৭) ফেরাম পিক্রিকাম D4 (Ferrum Picrin D4)।

(৮) সবল সেরুলাটা D2 (Sabal serrulata D2)।

আর – ২৫ ড্রপসটির পৃথক উপাদানের কর্মের মোড : আর – ২৫ ড্রপসটির মূল বৈশিষ্ট্যগুলি বিভিন্ন সৌম্য প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়ার উপসর্গগুলির চিকিৎসার জন্য নিম্নলিখিত উপাদানগুলি থেকে উদ্ভূত হয়েছে।

(ক) কোনিয়াম ম্যাকুলেটাম (Conium Maculatum) : এটি পক্ষাঘাতজনিত দুর্বলতা (অ্যাস্থেনিয়া) ও দুর্বল প্রস্রাবের প্রবাহের চিকিৎসা করে।

(খ) চিমাফিলা আমবেলাটা (Chimaphila Umbellata) : এটি মূত্রাশয়ের পাথর (ক্যালকুলি) এবং মূত্রাশয় থেকে মূত্রনালীর প্রান্ত পর্যন্ত প্রবাহিত ব্যথার চিকিৎসা করে। এটি প্রস্রাব করার সময় তীক্ষ্ণ ব্যথা বিশেষ করে রাতে প্রস্রাব করার অবিরাম তাগিদ ইত্যাদি।

(গ) ক্লেমাটিস ইরেক্টা (Clematis Erecta) :  এটি মূত্রনালী অথবা যোনি থেকে প্রদাহজনক স্রাব (গনোরিয়া) এবং অণ্ডকোষের প্রদাহ (অর্কাইটিস) জড়িত যৌনরোগ ও  পুঁজ ছাড়াই প্রস্রাব, অনিয়মিত ব্যবধানে প্রস্রাব হওয়া (অন্তরন্ত) প্রদাহজনিত অবস্থার চিকিৎসা করে।

(ঘ) পালসেটিলা (Pulsatilla) : প্রোস্টাটাইটিস, গনোরিয়া এবং অরকাইটিস, হলদেটে এবং ঘোলাটে প্রস্রাব, প্রোস্টেট গ্রন্থির হাইপারট্রফি এবং কুঁচকিতে ব্যথারও চিকিৎসা করে।

(ঙ) প্যারিরা ব্রাভা (Pareira Brava) : সৌম্য প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়ার উপসর্গগুলি যেমন – অন্ত্র (টেনেসমাস), ফোঁটায় প্রস্রাব, এবং মূত্রাশয় ক্যালকুলির তীব্র পুনরাবৃত্ত প্রবণতা। কিডনি থেকে উরু পর্যন্ত ব্যথা এবং প্রস্রাবে স্ফটিক (নুড়ি) একত্রিত হওয়ার চিকিৎসা করে।

(চ) পপুলাস ট্রেমুলয়েডস (Populus Trem) : এটি প্রস্রাবের তাগিদ যা বেদনাদায়ক, প্রোস্টেট গ্রন্থির (হাইপারট্রফি) বৃদ্ধি ও পেট এবং উপরের উরুর (কুঁচকি) মধ্যবর্তী স্থানে ব্যথারও চিকিৎসা করে।

(ছ) ফেরাম পিক্রিকাম (Ferrum Picrin) : এটি নিশাচর (রাতে সক্রিয়) প্রস্রাব করার ইচ্ছা, প্রস্রাবের অসংযম (নিয়ন্ত্রণের অভাব) ও প্রস্রাব করার স্বাভাবিক ইচ্ছার চিকিৎসা করে।

(জ) সবল সেরুলাটা (Sabal serrulata) :  এটি প্রস্টেট গ্রন্থির হাইপারট্রফির যাতে মূত্রাশয় জড়িত থাকে, প্রস্রাব করার অবিরাম তাগিদ এবং বেদনাদায়ক প্রস্রাবের চিকিৎসা করে।

আর – ২৫ ঔষধ সেবন বিধি : দীর্ঘস্থায়ী নিরাময়ের ক্ষেত্রে সকাল-দুপুর-রাতে অথবা সকালে রাতে ১০-১৫ ফোঁটা ঔষধ ১/৪ জলে মিশিয়ে সেবন করুণ। আক্রমণের আগে প্রতি দুই ঘন্টার জন্য ২০ ফোঁটা দেওয়া হয়। চিকিৎসার পর তিন মাস পর্যন্ত চলতে পারে। অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুণ।

চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন।

সতর্কতা : গর্ভবতী মা অথবা দুগ্ধদানকারী মারা ঔষধ সেবনের পূর্বে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করা উত্তম।

শর্তাবলী : কম্বেনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : হোমিওপ্যাথি সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করে কারণ এটি নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।

ঔষধ সংরক্ষণ : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।

ঔষধের গুণগতমাণ : এটি একটি প্রাকৃতিক পণ্য, এটি কখনও কখনও সামান্য বৃষ্টিপাত অথবা মেঘলা হতে পারে, কিন্তু এটি পণ্যের গুণমান এবং এর কার্যকারিতা প্রভাবিত করে না। যদি এটি ঘটে তবে পণ্যটি ব্যবহার করার আগে ভালভাবে ঝাঁকি নিন। একবার আপনি সীলটি ভেঙে ফেললে, ওষুধগুলি দ্রুত ব্যবহার করা উচিত।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন।  এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।  সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন।  আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।