Dr. Reckeweg R 190/ আর ৮৮ (অ্যান্টি ভাইরাল)
R 190 (anti viral drops)
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো “ আর ৮৮ (ভাইরাল সংক্রমণ) ” কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
প্রস্তুত প্রণালী : Dr. Reckeweg R 88 (অ্যান্টি-ভাইরাল) জার্মান কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ।
আর ৮৮ (অ্যান্টি-ভাইরাল) ঔষধধের ইঙ্গিত : ভাইরাল জ্বর, হাম, মনোনিউক্লিওসিস, ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, হাত-পা এবং মুখের রোগ (এইচএফএমডি) হারপিস, ইত্যাদির মতো যে কোনও ভাইরাল ধরণের রোগে কার্যকর অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ।
আর ৮৮ (অ্যান্টি-ভাইরাল) ঔষধের ব্যবহার : এটি যেকোনো ধরনের ভাইরাল রোগের চিকিৎসার জন্য একটি কার্যকর। সাধারণ ভাইরাল রোগগুলি হল জ্বর এবং ঠান্ডায় করা যেতে পারে। সংক্রমণ ঘটে যখন মানবদেহ একটি ভাইরাস প্রবেশ করে এবং শরীরের কোষগুলিতে আক্রমণ করে। যে ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করে তা অনুকূল পরিস্থিতিতে দ্রুত পুনরুত্পাদন করে এবং ঔই ব্যক্তিকে অসুস্থ করে হাম, হারপিস, সোয়াইন ফ্লু, ডেঙ্গু ইত্যাদি ভাইরাসজনিত রোগের উদাহরণ।
আর ৮৮ (অ্যান্টি-ভাইরাল) ঔষধের কর্মের পদ্ধতি : কক্সস্যাকি, ডিফটেরিনাম, এপস্টাইন বার, হারপিস সিমপ্লেক্স, হারপিস জোস্টার, ইনফ্লুয়েনসিনাম, মনোনিউক্লিওসিস, মরবিলিনাম, পোলিওমাইলাইটিস, ইত্যাদি। উপরের উপাদানগুলি অত্যন্ত পাতলা যাতে কোনও ভাইরাসই পণ্যে না থাকে তবে ভাইরাসের শক্তি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উদ্দীপিত করে। এটি নিরাপদে (পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া) ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা বাড়াতে কার্যকর ভুমিকা রাখে। ক্যারিওফিলাস অ্যারোমেটিকাস: প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ভাইরাল।
আর ৮৮ (অ্যান্টি-ভাইরাল) ঔষধের লক্ষণ : এটি অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে ভাইরাল রোগের চিকিৎসা করা যায় না। দূষিত বাতাস শ্বাস নেওয়া, দূষিত খাবার খাওয়া, পোকামাকড়ের কামড় বা সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে অরক্ষিত যৌন মিলনের মাধ্যমে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। অন্যান্য সাধারণ ভাইরাল রোগের মধ্যে রয়েছে ফ্লু, চিকেনপক্স, এইচআইভি, হাম, সংক্রামক ভাইরাল রোগ যেমন – জ্বর এবং লাল ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে, পেটের ফ্লু, ভাইরাল নিউমোনিয়া, ভাইরাল হেপাটাইটিস ইত্যাদি। লক্ষণগুলি হল ক্লান্তি, জ্বর, বিরক্তি, হাঁচি, ফুসকুড়ি, ডায়রিয়া, বমি হওয়া, বমি বমি ভাব, নাক বন্ধ হওয়া, ফোলা লিম্ফ নোড, ফোলা টনসিল ইত্যাদি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাইরাসজনিত রোগের ফলে ডিহাইড্রেশন, নিউমোনিয়া, বুকে ব্যথা, উচ্চ জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ঘাড় শক্ত হওয়া, জরায়ুর ক্যান্সার, হাঁপানির মতো গুরুতর জটিলতা দেখা দিতে পারে। সাইনোসাইটিস, শক ও কোমা।
আর ৮৮ (অ্যান্টি-ভাইরাল) ঔষধের কম্বিনেশন :
(১) ইউফ্রেসিয়া D5 (Euphrasia D5)।
(২) এপস্টাইন বার D30D60, D200 (Epstein Barr D30D60, D200)।
(৩) ডিপথেরিনাম D30, D60, D200 (Diphterinum D30, D60, D200)।
(৩) ক্যারিওফিলাস অ্যারোমেটিকাস D30, D60, D200 (Caryophyllus aromaticus D30, D60, D200)।
(৪) সিজিজিয়াম অ্যারোমেটিকাম D3 (Syzygium aromaticum D3)।
(৫) মনোনিউক্লিওসিস D30, D60, D200 (Mononucleosis D30, D60, D200)।
(৬) মরবিলিনাম D30, D60, D200 (Morbillinum D30, D60, D200)।
(৭) পোলিওমাইলাইটিস D30, D60, D200 (Poliomyelitis D30, D60, D200)।
(৮) ভি-গ্রিপ c D30, D60, D200 (V-Grippe D30, D60, D200)।
(৯) হারপিস সিমপ্লেক্স D30 D60, D200, D300, D300, D300, D300 , D200)।
(১০) হারপিস সিমপ্লেক্স (Harpes Simplex D30 D60, D200, D300, D300, D300, D300 , D200)।
আর ৮৮ (অ্যান্টি-ভাইরাল) ঔষধের কার্যকারিতা :
(ক) হারপিস সিমপ্লেক্স (Harpes Simplex), কক্সস্যাকি (Coxsackie), ডিফটেরিনাম (Diphterinum) , মনোনিউক্লিওসিস (Mononucleosis) বা এপস্টাইন বার (Epstein Barr), ইনফ্লুয়েনসিনাম (influenzae), হারপিস সিমপ্লেক্স (Harpes Simplex), মরবিলিনাম (Morbillinum), পোলিওমাইলাইটিস (Poliomyelitis), ভি-গ্রিপ (V-Grippe) এগুলো হল ভাইরাসের ক্ষয়প্রাপ্ত ফর্ম ডেরিভেটিভস। যে ভাইরাসের শক্তি ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা বৃদ্ধি করে।
(খ) ক্যারিওফিলাস অ্যারোমেটিকাস (Caryophyllus aromaticus) : এটি ভাইরাসজনিত রোগের চিকিৎসায় প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ভাইরাল হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি ভাইরাল।
(গ) ইউফ্রেসিয়া (Euphrasia) : এটি ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। একটি ইমিউন উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে।
আর ৮৮ ঔষধ সেবন বিধি : প্রাপ্ত বয়স্করা জন্য ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা, শিশুরা ৭ থেকে ১০ ফোঁটা ঔষধ ১/৪ কাপ পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩ বার অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করতে হবে।
চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন।
সতর্কতা : গর্ভবতী মা অথবা দুগ্ধদানকারী মায়েরা ঔষধ সেবনের পূর্বে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করা উত্তম।
শর্তাবলী : কম্বেনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এই ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
এ জাতীয় আরো খবর.......