বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

আর ১৮৫ (উচ্চ রক্তচাপ)

আরোগ্য হোমিও হল / ১০৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪, ৪:৫৩ অপরাহ্ন
আর ১৮৫ (উচ্চ রক্তচাপ)

Dr. Reckeweg/ R 185 (high blood pressure)
আর ১৮৫ (উচ্চ রক্তচাপ)
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো “ আর ১৮৫ (উচ্চ রক্তচাপ)” কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
প্রস্তুত প্রণালী : Dr. Reckeweg/  আর ১৮৫ হাইপারটেনশন ড্রপসটি জার্মান কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ।
আর ১৮৫ হাইপারটেনশন ড্রপসটির ইঙ্গিত : রক্তচাপের অস্থির হাইপারটেনসিভ ব্যাধি ও বর্ডারলাইন হাইপারটেনশন।
আর ১৮৫ হাইপারটেনশন এর প্রধান উপাদানের কর্মের মোড :  বিভিন্ন কার্যকর্মের ফোকাস সহ অস্থির উচ্চ রক্তচাপকে প্রভাবিত করে।

আরও পড়ুন –  অ্যাডল-৮ (উচ্চ রক্তচাপ)

আর ১৮৫ হাইপারটেনশন ড্রপসটির মুল উপদান মিশ্রণ :
(১) আর্নিকা (Arnica)।
(২) অরাম মেটালিকাম (Aurum metallicum)।
(৩) ক্রেটিগাস (Crataegus)।

আরও পড়ুন –   এইচ আর – ১১ (উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় কার্যকর)

আর ১৮৫ হাইপারটেনশন ড্রপসটির কার্যকারিতা :
(ক) আর্নিকা (Arnica) : সংবহনতন্ত্রের উপর অর্গানোট্রপিক প্রভাবিত করে। যেমন – মুখমণ্ডল গরম ও লাল হওয়া, কপালের মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, নিদ্রাহীনতা, হৃৎপিণ্ডে অত্যাচারী অনুভূতি, ধড়ফড়ানি অথবা ধমনীতে স্পন্দনের সঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের উত্তেজনা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদি লক্ষণ বিদ্যমান থাকে।
(খ) অরাম মেটালিকাম (Aurum metallicum) : সংবহনতন্ত্রের উপর ফাংশনটিওট্রপিকে প্রভাবিত করে। এর প্রধান লক্ষণগুলি হল – তাপ সংবেদন এবং মাথার দিকে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া এবং মাথায় গুঞ্জন, কানে আওয়াজ, তীব্র হৃদপিন্ড ধড়ফড় অনিয়মিত হৃদস্পন্দন ও উদ্বেগ এবং শ্বাসকষ্ট, বিশেষ করে মাথা, লিভার এবং কিডনিতে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা।

আরও পড়ুন –  কেন্ট ৩২ (উচ্চ রক্তচাপে কার্যকর)

(গ) ক্রেটিগাস (Crataegus) : সংবহনতন্ত্রের উপর ঙৎমধহড়ঃৎড়ঢ়রপ প্রভাব বিস্তার করে। এর প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে – নার্ভাসনেস, দ্রুত, অনিয়মিত, দুর্বল নাড়ি, টান টান মাথাব্যথা, মাথায় রক্ত পড়া ইত্যাদি।
আর ১৮৫ ঔষধ সেবন বিধি : প্রাপ্ত বয়স্করা জন্য ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা, শিশুরা ৭ থেকে ১০ ফোঁটা ঔষধ ১/৪ কাপ পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩ বার অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করতে হবে।
চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। গর্ভবতী নারীরা ঔষধ সেবনের পূর্বে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুণ।

আরও পড়ুন –   এন – ৮৫ (উচ্চ রক্তচাপের ড্রপস)

শর্তাবলী : কম্বেনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এই ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
সতর্কতা : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন।  এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।  সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন।  আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev