Dr. Reckeweg R 131/ আর ১৩১ (কার্ডুয়াস হেপাটিক ড্রপস)
(R 131 (Carduas Hepatic Drops)
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো “ আর ১৩১ (কার্ডুয়াস হেপাটিক ড্রপস)” কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
প্রস্তুত প্রণালী : Dr. Reckeweg/(কার্ডুয়াস হেপাটিক) ড্রপসটি জার্মান কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।
আর ১৩১ কার্ডুয়াস হেপাটিক ড্রপসটির লক্ষণ : এটি লিভারের সিরোসিস, হেপাটাইটিস, জন্ডিস, অগ্ন্যাশয়ের কর্মহীনতা। রোগী উচ্চ মাত্রায় অ্যালকোহল সেবন এবং অ্যান্টি লিপিড, অ্যান্টি হাইপারটেনসিভ ওষুধ ইত্যাদির মতো শক্তিশালী ওষুধের কারণে দীর্ঘস্থায়ী লিভারের রোগ ইত্যাদি।
আর ১৩১ কার্ডুয়াস হেপাটিক ড্রপসটির মুল উপদান কম্বিনেশন :
(১) কার্ডাস মার (Cardus Mar)।
(২) কোয়াসিয়া (Quassia)।
(৩) চিমাফিলা (Chimaphilla)।
(৪) জুগ্লান্স (Juglans)।
(৫) ট্যারাক্সাকাম (Taraxacum)।
(৬) ফেসোলাস (Phaseolus)।
(৭) সিলা (Scilla)
আর ১৩১ (কার্ডুয়াস হেপাটিক ড্রপস) প্রধান উপাদানের কর্মের মোড :
(ক) কার্ডাস মার (Cardus Mar) : এটি লিভারের সিরোসিস, হেপাটাইটিস, ফোলা পিত্তথলি, পিত্তথলির পাথর, জন্ডিস, হেপাটিক কনজেশন ইত্যাদিতে কার্যকার।
(খ) কোয়াসিয়া (Quassia) : এটি ফোলা সহ লিভার সিরোসিস। গ্যাস এবং অম্লতা, বর্ধিত প্রস্রাব। ডায়াবেটিসের কারণে যকৃতের কর্মহীনতা ইত্যাদি।
(গ) চিমাফিলা (Chimaphilla) : এটি মূত্রবর্ধক উদ্দীপক, হেপাটিক এবং রেনাল শরীর থেকে টক্সিন এবং অতিরিক্ত জল বের করে দেয়।
(ঘ) জুগ্লান্স (Juglans) : এটি লিভার, অন্ত্রকে উদ্দীপিত করে ও পিত্ত প্রবাহকে উৎসাহিত করে। বেদনাদায়ক পিত্তথলির পাথর, লিভারের অঞ্চলে ব্যথা, লিভারের ব্যাঘাতের কারণে শরীরের চুলকানি ইত্যাদি।
(ঙ) ফেসোলাস (Phaseolus) : সাধারণ ফোলা সহ দুর্বল হার্ট। ডায়াবেটিক জটিলতা।
(চ) ট্যারাক্সাকাম (Taraxacum) : এটি বর্ধিত লিভার এবং প্লীহা, হেপাটোরেনাল সিনড্রোম। পেট ফাঁপা, ক্ষুধা হ্রাস, তিক্ত স্বাদ ইত্যাদি।
(ছ) সিলা (Scilla) : এটি ওডেমা, কার্ডিয়াক ও সংবহনজনিত দুর্বলতার সাথে মূত্রবর্ধক প্রতিরোধ করে।
(জ) সরসাপারিলা (Sarsaparilla) : এটি বিপাকীয় নিয়ন্ত্রক ও মূত্রবর্ধক উদ্দীপক। হাত পায়ে চুলকানি ইত্যাদি।
আর ১৩১ ঔষধ সেবন বিধি : প্রাপ্ত বয়স্করা জন্য ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা, শিশুরা ৭ থেকে ১০ ফোঁটা ঔষধ ১/৪ কাপ পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩ বার অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করতে হবে।
চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন।
শর্তাবলী : কম্বেনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এই ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
সতর্কতা : গর্ভবতী মা অথবা দুগ্ধদানকারী মায়েরা ঔষধ সেবনের পূর্বে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করা উত্তম।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
এ জাতীয় আরো খবর.......