বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন

স্যাঙ্গুইনেরিয়া (Sanguinaria)

আরোগ্য হোমিও হল / ১১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:২০ অপরাহ্ন
স্যাবিনা (Sabina)
হোমিও বই

স্যাঙ্গুইনেরিয়া (Sanguinaria)

চলিত নাম–ব্লাড রুট (Blood Root)

ডা: ইউলিয়াম বরিক।

দক্ষিণ অঙ্গের ঔষধ এবং প্রধানতঃ শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীসমূহ, বিশেষতঃ শ্বাসযন্ত্রের উপর ক্রিয়া করে। ইহা প্রসারক ও সঙ্কোচক ধমনী ও শিরাসমূহের বিশৃঙ্খলা ঘটায় এবং তজন্য গণ্ডস্থলে সীমাবদ্ধ আরক্তিমতা, উত্তাপের উচ্ছ্বাস, মস্তকে ও বক্ষে রক্ত-সঞ্চার, শঙ্খস্থানের শিরাদ্বয়ের প্রসারণ, হাতের ও পায়ের তলায় জ্বালা প্রভৃতি রজঃলোপকালীন উপদ্রবসমূহ সৃষ্টি করে। গরম জল লাগার ন্যায় জ্বালা । ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রান্ত কাশি। যক্ষ্মা রোগ। হঠাৎ শ্বাসযন্ত্রের সদিস্রাব রোধ হইয়া উদরাময়। দেহের বিভিন্ন অংশে জ্বালা ইহার চরিত্রগত লক্ষণ

বায়ো কম্বিনেশন ২৫

মস্তক : সূর্যাবর্ত শিরঃপীড়া, দক্ষিণদিকে অধিক। নির্দিষ্ট সময়ে সবমন শিরঃপীড়া। বেদনা মস্তকের পশ্চাতে আরম্ভ হইয়া সম্মুখদিকে প্রসারিত হয় এবং চক্ষুর উপরে আসিয়া স্থির হয়, বিশেষতঃ দক্ষিণ চক্ষুতে। শিরাসমূহ ও শঙ্খদ্বয় প্রসারিত হয়। বেদনা শুইয়া থাকিলে ও ঘুমাইলে হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। ঋতুলোপকালে শিরঃপীড়া প্রতি সাতদিন অন্তর দেখা দেয় (সাইফ, স্যাবাড)। বাম পার্শ্বের কপালের অস্থির উপর অল্পপরিসর স্থানে বেদনা। চক্ষুদ্বয়ে জ্বালা। মস্তকের পশ্চাদ্দিকে ‘বিদ্যুৎ প্রবাহবৎ’ বেদনা। 

মুখমণ্ডল : মুখ-রাগ। স্নায়ুশূল, বেদনা উপর চোয়াল হইতে চারিদিকে ‘প্রসারিত হয়। গণ্ডদ্বয়ে রক্তিমাভা ও জ্বালা । বিলেপী মুখ-রাগ। চোয়ালের কোণের পশ্চাতে পূর্ণতা বোধ ও স্পর্শকাতরতা।

আরও পড়ুন –  মাথার ক্যানসার

নাসিকা : প্রতিশ্যায় লক্ষণ। পুরাতন সদি, তৎসহ প্রচুর দুর্গন্ধযুক্ত হরিদ্রাভ স্রাব। নাসিকার বহুপাদ রোগ। সর্দির অবসানে উদরাময় দেখ দেয়। পরাতন নাসিকা-প্রদাহ। ঝিল্লী শুষ্ক ও রক্তাধিক্যযুক্ত।

কর্ণ : কর্ণে জ্বালা। কর্ণশল, তৎসহ শিরঃপীড়া। কর্ণে গুন গুন শব্দ ও গৰ্জ্জনবৎ শব্দ। কানে বহুপাদ অর্বুদ।

গলগহ্বর : স্ফীত, দক্ষিণদিকে অধিকভ শুষ্ক ও সঙ্কুচিত। মুখগহ্বার ও গলদেশে ক্ষত, তৎসহ শুষ্কতা ও জ্বালা । জিহা সাদা, পুড়িয়া যাওয়ার ন্যায় অনুভূতি। স্নায়ুমূল-গ্রন্থির প্রদাহ।

পাকস্থলী : মাখন খাইতে চায় না। তীব্র (ঝাল) জিনিস পাইতে চায়। অতৃপ্ত পিপাসা। জ্বালা, বমন, বমি বমিভাব, তৎপর লালাস্রাব।। পকস্থলীতে নিমগ্নতা, মূর্ছাভাব এবং শূন্যতা বোধ (ফস, সিপিয়া)। পিত্তমিশ্রিত থুতু উঠে। পাকাশয়িক দ্বাদশাঙ্গুলাঙ্গের সর্দি।

উদরগহ্বর : সর্দির উপশমের সঙ্গে সঙ্গে উদরাময় দেখা দেয়।  যকৃৎ স্থানে বেদনা। উদরাময় পিত্তযুক্ত, জলবৎ, বেগে নির্গত ( টেট্রাম,  সালফ, লাইকো)। সরলান্ত্রের কর্কট রোগ।

আরও পড়ুন –  শ্বেতপ্রদর বা সাদাস্রাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

স্ত্রী-জননেন্দ্রিয় : প্রদরস্রাব দুর্গন্ধযুক্ত ও ক্ষতকর। ঋতুষার দুর্গন্ধযুক্ত প্রচুর। স্তনদ্বয়ে বেদনা। জরায়ুতে বহুপাদ অর্বুদ। ঋতুস্রাবের পূর্বে  চুলকানি  প্রৌঢ়াবস্থায় (বয়ঃসন্ধিকালে) ঋতুলোপকালীন উপদ্রবসমু।

শ্বাসযন্ত্র : স্বরযন্ত্রের শোথবৎ স্ফীতি। কন্ঠনালীতে বেদনা। বক্ষাস্থির বারি নীচে উত্তাপ ও টান টানভাব। স্বরলোপ। পাকাশয়িক গোলযোগ হইতে কাশি, উদ্গারে উপশম। বক্ষে জ্বালাকর বেদনাসহ কাশি, দক্ষিণ পার্শ্বে অধিক। শ্লেষ্মা দুশ্ছেদ্য, লোহার মরিচার বর্ণ, দুর্গন্ধযুক্ত এবং উহা তুলিয়া ফেলিয়া প্রায় অসম্ভব। ইনফ্লুয়েঞ্জার ও হুপিং কাশির পরবর্তী আক্ষেপিক কাশি। নুতন সদি দেখা দিলেই কাশি ফিরিয়া আসে। বক্ষাস্থির পিছনে সুর সুর করিয়া অবিরত থক্ থকে কাশি জন্মে; রাত্রিকালে শয়নের পর বৃদ্ধি। রোগীকে বিছানায় উঠিয়া বসিতে হয়। ডান বক্ষে জ্বালাকর টাটানি, উহা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ডান স্তনের বোঁটার নীচে তাঁর টাটানি। ঋতু বন্ধ হইয়া রক্ত ৰমন। ভীষণ শ্বাসকষ্ট ও বক্ষে আকৃষ্ণন। দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস ও পুঁজময় শ্রেমা উঠা। বক্ষে জ্বালা, যেন উষ্ণ বাষ্প বক্ষ হইতে উদরগহ পর্যন্ত জুড়িয়া আছে। সৌত্রিক তন্তু সংক্রান্ত যক্ষ্মা। নিউমোনিয়া চিৎ হইয়া শয়নে উপশম। পাকস্থলীর গোলযোগসহ হাঁপানি (নাজা) ফুসফুসের বিবৃদ্ধি, মূত্রে ফসফেট এবং শীর্ণতাসহ হাংকপাটিকা সম্বন্ধীয় পীড়া। হঠাৎ বায়ুনলীর সর্দি লোপ পাইয়া উদরাময় দেখা দেয়।

আরও পড়ুন –  শ্বাসযন্ত্রের পীড়া (Respiratory Organ)

হস্তপদাদি : দক্ষিণ স্কন্ধ, বাম উরুসন্ধি এবং গ্রীবাদেশের বাত। হাতের এবং পায়ের তলায় জ্বালা। দেহের যে-সকল অংশ কম মাংসাবৃত তথায় বাতবেদনা, কিন্তু সন্ধিস্থানে নহে। পায়ের আঙ্গুল ও পদতলে জালা। ডান দিকের স্নায়ুসমূহের প্রদাহ। আক্রান্ত স্থানে হাত দিলে বেদনা উপশমিত হয়।

চর্ম : রাস বিষাক্ততা দূর করে। লাল ফোস্কার মত উদ্ভেদ, বসন্তকালে বৃদ্ধি। জ্বালা ও চুলকানি, উত্তাপে বৃদ্ধি। স্বল্প ঋতুস্ৰাবসহবায়ঃব্রণ। গণ্ডাস্থির উপর সীমাবন্ধ লাল দাগ।

উপচয়, উপশম : বৃদ্ধি——মি‍ষ্ট দ্রব্য খাইলে, ডানদিকে, সঞ্চালনে , স্পর্শে ।

উপশম : অম্ল দ্রব্যে, নিদ্রায় ও অন্ধকারে।

সম্বন্ধ : অনুপুরুক –  টার্টার এসেটিক।

তুলনীয় : জাষ্টিসিয়া (বাযূনলীর সর্দি, নাসিকার স্রাব, স্বরভঙ্গ , অত্যান্ত স্পর্শানুভুতি)। ডিজিটেলিস (অধশিরাশূল)। বেল, আইরিস, মেলিলেটাস, ল্যাকে, ফেরাম, ওপি।

মাত্রা : শিরঃপীড়ায় মুল অরিষ্ট। বাত রোগে ৬ষ্ঠ শক্তি।

2454

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন লাইককমেন্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev