বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন

স্পঞ্জিয়া টোষ্টা (Spongia Tosta)

আরোগ্য হোমিও হল / ১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:২৩ অপরাহ্ন
স্পঞ্জিয়া টোষ্টা (Spongia Tosta)
স্পঞ্জিয়া টোষ্টা (Spongia Tosta)

স্পঞ্জিয়া টোষ্টা (Spongia Tosta)

পরিচয়–ঝলসান ঞ্জ ( Roasted Sponge)

ডা: ইউলিয়াম বরিক।

শ্বাসযন্ত্রের পীড়াতেই বিশেষ উপযোগী–কাশি, ঘুংড়ি কাশি প্রভৃতি। হাংপিণ্ডে পীড়া এবং কখনও কখনও যক্ষ্মাপ্রবণ ধাতুতে উপযোগী। শিশু, গৌরবর্ণ, শিথিল-তন্তু ও গ্রন্থি-স্ফীতিযুক্ত। সামান্য পরিশ্রমে অবসাদ ও দেহে ভার বোধ, তৎসহ বক্ষ ও মস্তকে রক্তের উচ্ছ্বাস। উৎকন্ঠা ও কষ্টকর শ্বাসক্রিয়া।

মন — উৎকন্ঠা ও ভয়। যাবতীয় উত্তেজনায় কাশির বৃদ্ধি হয়।

মস্তক- – মস্তকে রক্তোচ্ছাস, ফাটিয়া যাওয়ার ন্যায় শিরঃপীড়া; কপালে বেশী।

চক্ষু — জল পড়ে; আঠার মত পদার্থ বা শ্লেষ্মা নিঃসরণ।

নাসিকা — অবারিত সর্দিস্রাব ও নাসাবরোধ পর্যায়ক্রমে উপস্থিত হয়। শুষ্কতা। পুরাতন, শুষ্ক, নাসিকার সর্দি।

মুখগহ্বর —— জিহবা শুষ্ক ও বাদামীবর্ণ, ফোস্কাযুক্ত।

গলগহ্বর —— গলগ্রন্থি স্ফীত খোঁচামারা ব্যথা ও শুষ্কতা। হুলবিদ্ধব। জ্বালা ও হুলবিস্ধবৎ। গল-ক্ষত, মিষ্ট দ্রব্য খাইলে বৃদ্ধি। সুড় সুড় করিয়া কাশির উদ্রেক হয়। অবিরত গলা খেঁকারি দেয়।

পাকস্থলী — অত্যন্ত পিপাসা, প্রবল ক্ষুধা, গায়ে আঁট সাঁট পোষাক সহা করিতে পারে না। হিক্কা ।

পুং-জননেন্দ্রিয় — রেতঃরজ্জু ও অণ্ডকোষদ্বয় স্ফীত, তৎসহ বেদনা ও সপর্শ কাতরতা। অণ্ডকোষ প্রদাহ। উপকোষ-প্রদাহ। প্রদাহিত স্থানে উত্তাপ।

স্ত্রী-জননেন্দ্রিয় —  ঋতুর পূর্বে ত্রিকাস্থিতে বেদনা, ক্ষুধা ও বুক ধড়ফড়ানি। ঋতুকালে শ্বাসরোধের মত হইয়া জাগিয়া উঠে, (কুগ্রাম, আয়োড, ল্যাকে)। স্বল্প রজঃ তৎসহ হাঁপানি (পালস)।

 

স্বাবযন্ত্র্র —  যাবতীয় বায়ুপথের অথ্যান্ত শুস্কতা। স্বরভঙ্গ।  স্বরযন্ত্র  শুস্ক, সঙ্কুচিত এবং জ্বলাকর। কাশি শুস্ক ঘেউ ঘেউ শব্দের মত ক্রপযুক্ত। স্বরযন্ত্রে স্পর্শকাতরতা। ঘুংড়ি কাশি, শ্বাস গ্রহণে ও মধ্যরাত্রির পূর্বে বৃদ্ধি। শ্বাসক্রিয়া হয়, হাঁপানির মত কষ্টকর। মনে হয় স্বরযন্ত্রে ছিপির মত কি একটা রহিয়াছে। আহার বা পনের পর বিশেষতঃ গরম পানীয় উপশ্রম। শুস্ক পুরাতন সহানুভুতিক কাশি এবং হৃদপিণ্ডের যান্ত্রিক পীড়া স্পজিয়া দ্বার আরাম হয় (ন্যাজা)। বক্ষের গভীর অংশে কোন একটি ক্ষুদ্র স্থান হইতে অদম্য কাশির উপদ্রেক। ঐ স্থানটি বেদনাযুক্ত ও ঘৃষ্টবৎ বনে হয়। বক্ষদেশ দুর্বল কথা বলিতে কষ্ট হয়। স্বরযন্ত্র সংক্রান্ত যক্ষা। গলগণ্ড, তৎসহ সময়ে সময়ে শ্বাসবোধ ভাব। বায়ূনলীর সর্দি তৎসহ হিস্ হিস্ করা হাঁপানির ন্যায় কাশি। ঠাণ্ডা বাতাসে বৃদ্ধি। ঐ কাশিতে প্রচুর শ্লোম্মা উঠে এবং মাথা নীচু করিয়া শুইলে অথবা গম ঘরে থাকিলে শ্বাসকষ্ট উপস্থিত হয় আকস্মিক দুর্বলতাসহ বক্ষে চাপ ও উত্তাপের অনুভূতি।

হৃৎপিণ্ড — দ্রুত এবং প্রবল বুক ধাড়ফড়ানি, তৎসহ শ্বাসকষ্ট। রোগী শুইতে পারে না, কিন্ত চিৎ হইয়া বিশ্রাম করিলে সর্বাপেক্ষা ভাল থাকে। মধ্যরাত্রির পরে হঠাৎ বেদনা ও শ্বাসরোধ ভাবসহ জাগিয়া উঠে। হৃৎপিণ্ডে রক্তচ্ছাস, উষ্ণতা এবং মৃত্যুভয় (একোন) দেথা দেয়। হৃৎকপাটিকার অসম্পুর্ণ ক্রিয়া। হৃৎশূল। মুছভাব এবং উৎকষ্ঠাসহ ঘর্ম। রক্তের উচ্ছলন শিরাগুলি প্রসারিত। হৃৎপিণ্ড বক্ষের মধ্যে তরঙ্গায়িত হইয়া উঠে, যেন উহা উপর দিকে ঠেলিয়া বাহির হইবে। হৃৎপিণ্ডের বিবর্ধন, বিশেষতঃ দক্ষিণ পার্শ্বের, তৎসহ হাঁপানির ন্যায় লক্ষণ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev