হোমিওপ্যাথিক মানুসিক রোগ ও যৌন চিকিৎসা
ডা: জে. এন. পাত্র
ডি. এম. এস (কলকাতা ) ও
ডা: আর. এন. চন্দ্র
এম, ডি হোমিও প্রাপ্তন চিকিৎসক কলকাতা।
এটি মানসিক বিকৃতি। জ্বর-বিকারে রোগী নানা রকম প্রলাপ বকে। আবার অনেক সময় কোনো জ্বর-বিকার না হয়েও রোগী প্রলাপ বকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রলাপের কারণ জানা যায়, আবার অনেক সময় কিছুই বোঝা যায় না। এখন প্রলাপের চিকিৎসা-ব্যবস্থা বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
(১) সমস্যা : পরলোকগত আত্মীয়-স্বজন সম্বন্ধে বেশী কথা বলে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বেলেডোনা ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।
(২) সমস্যা : রোগী সব সময় বক-বক করে।
সমাধান : এই উপসর্গে রোগীকে সেবন করাতে হবে রাস-টক্স ৩০ বা বেলেডোনা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৩) সমস্যা : ঘুমন্ত অবস্থায় জোরে কথাবার্তা বলে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে প্লাম্বাম মেট ৩০ বা ওপিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৪) সমস্যা : কল্পনামিশ্রিত বকবকানি।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্ট্যামোনিয়াম ৩০ বা সালফার ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৫) সমস্যা : ঘুমন্ত অবস্থায় ধীরে ধীরে একই কথা বলে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে আর্সেনিক অ্যালবাম ৬। প্রত্যহ কালে ও রাত্রে সেব্য।
(৬) সমস্যা : একই কথা বার বার বলতে থাকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বেলেডোনা ৩০ বা ডারিফোরা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৭) সমস্যা : রোগী বিড়বিড় করে বকে— কথার কোনো অর্থ বোঝা যায় না।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে হায়োসিয়ামস ৩০ বা নাক্স ভম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৮) সমস্যা : বিষয়-আশয় সম্পর্কে একই কথা ঘুরেফিরে বলে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেব্য ব্রায়োনিয়া ৩০ বা ওপিয়ম ৩০ বা ডরিফোরা ৩। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৯) সমস্যা : রোগী ধর্ম বিষয়ে বা ঈশ্বর বিষয়ে থকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে পালসেটিলা ২০০ বা বেলেডোনা ২০০। প্রত্যহ সকালে সেব্য।
(১০) সমস্যা : রোগী সকলের কাছে ক্ষমা চায়; সকলের আশীর্বাদ প্রার্থনা করে।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করাতে হবে বেলেডোনা ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।
(১১) সমস্যা : রোগী অসংলগ্ন কথা বলে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ওপিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১২) সমস্যা : রোগী কবিতা আবৃত্তি করতে থাকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন থিয়া ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১৩) সমস্যা : রোগীর মধ্যে অধিক উগ্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে আর্সেনিক ৩০ বা বেলেডোনা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১৪) সমস্যা : রোগীর উগ্রভাব অধিক দেখা যায় বিকালে।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করতে দিন গ্রাফাইটিস ৩০ বা নাক্স-ভম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১৫) সমস্যা : রোগী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করতে দিন আর্সেনিক ৩০ বা হায়োসিয়ামস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১৬) সমস্যা : অশ্লীল কথা বলে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন লাইকোপোডিয়াম ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।
(১৭) সমস্যা : রোগী যে কোনো মুহূর্তে হাত-পা চালিয়ে দিতে পারে।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করতে দিন বেলেডোনা ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।
(১৮) সমস্যা : রোগী অন্য দেশ সম্বন্ধে কথা বলে।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করতে দিন ক্যানাবিস-ইণ্ডিকা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(১৯) সমস্যা : রোগী বোকার মতো বা নির্বোধের মতো ব্যবহার করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন স্ট্র্যামোনিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(২০) সমস্যা : রোগী চিৎকার করে কথা বলে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্ট্র্যামোনিয়াম ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(২১) সমস্যা : রোগী দৈনন্দিন কাজকর্মে খুব ব্যতিব্যস্ত হয়ে আছে এমন মনে হয়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন বেলেডোনা ২০০ বা হায়োসিয়ামস ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।
(২২) সমস্যা : রোগীর ক্রোধ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে একটিয়া-রেসিমোসা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২৩) সমস্যা : রাত্রে রোগীর ক্রোধ ভাব মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন একোনাইট ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২৪) সমস্যা : রোগী অন্ধ ব্যক্তির মতো হাতড়াতে থাকে।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করতে দিন প্লাম্বাম মেট ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২৫) সমস্যা : রোগীর বিকার জনিত হাসি বা আনন্দ প্রকাশ করা।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন ওপিয়াম ৩০ বা একোনাইট ৩০ বা বেলেডোনা ৩০ বা সালফার ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২৬) সমস্যা : রোগী হাতড়ায়, নখ খোঁটে, নাক খোঁটে, মাথা চুলকায়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বেলেডোনা ৩০ বা কোনিয়াম ৩০ বা ডালকামারা ৩০ বা জিঙ্ক-মেট ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২৭) সমস্যা : রোগী মাঝরাতে আনন্দ প্রকাশ করে। এই আনন্দ ডিলিরিয়াম- জাত ৷
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে স্ট্র্যামোনিয়াম ৩০ বা বেলেডোনা ৩০ বা হায়োসিয়ামস ৩০ বা থিয়া ৩০। তবে খুব ভালো কাজ হবে সিপিয়া ৩০ সেবন করালে। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য। •
(২৮) সমস্যা : ডিলিরিয়াম-জাত কৌতুক বা পরিহাস।
সমাধান : এই উপসর্গের উপযুক্ত ওষুধ ল্যাকটুকা ভিরোসা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(২৯) সমস্যা : রোগী হাত মুঠো করে থাকে।
সমাধান : এক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী ও সুফলদায়ক ওষুধ এট্রোপি ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৩০) সমস্যা : রোগী অত্যধিক আনন্দ প্রকাশ করে।
সমাধান : এই উপসর্গের উপযোগী ওষুধ বেলেডোনা ৬ বা এগারিকাস ৬ বা স্ট্র্যামোনিয়াম ৬ বা ক্যানাবিস-স্যাটাইভা ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।
(৩১) সমস্যা : কখনো আনন্দিত—কখনো বিষাদিত রোগী।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এগারিকাস ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।
(৩২) সমস্যা : রোগীর প্রায় অচৈতন্য অবস্থা শূন্যে কিছু ধরার চেষ্টা করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে হায়োসিয়ামস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৩৩) সমস্যা : রোগী হাত নাড়তে থাকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বেলেডোনা ২০০। প্রত্যহ রাত্রে আহারের আধঘন্টা পরে সেব্য।
(৩৪) সমস্যা : রোগী কামড়াতে চায়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বেলেডোনা ৩০। এক্ষেত্রে হাইড্রোসিয়ানিক-এসিড ৩০ সেবন করালেও উপকার হবে। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৩৫) সমস্যা : রোগী মুচকি মুচকি হাসে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে হায়োসিয়ামস ৬। প্রত্যহ ● সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।
(৩৬) সমস্যা : রোগী ছোরা মারতে চায়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে হায়োসিয়ামস ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।
(৩৭) সমস্যা : রোগী গান গাইতে থাকে; এটি ডিলিরিয়াম-জাত উপসর্গ।
সমাধান : এক্ষেত্রে সেবন করাতে হবে স্ট্র্যামোনিয়াম ৩০ বা ল্যাকটুকা ভিরোসা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৩৮) সমস্যা : রোগী কৌতুক করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ভিরেট্রাম এলবাম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৩৯) সমস্যা : রোগী দেওয়ালে ঘুসি মারে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে কোনিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৪০) সমস্যা : রোগী ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে চায়; মুখেও বেরিয়ে যাবার কথা বলে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন এগারিকাস ৬ বা বেলেডোনা ৬ বা ওপিয়াম ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।
(৪১) সমস্যা : রোগী মাঝে মাঝে নাক খুঁটতে থাকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন সিনা ৬ বা অরাম মেট ৬ বা জিঙ্ক- মেট ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।
(৪২) সমস্যা : রোগী নাকের মধ্যে আঙুল ঢোকাতে চেষ্টা করে; এটি একটি ভিলিরিয়ামের লক্ষণ।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন সিনা ৩০। প্রত্যহ দিনে ২ বার সেব্য।
(৪৩) সমস্যা : রোগী বলে যে সে তার বাড়িতে যেতে চায়। অথচ সে নিজের বড়িতেই আছে।
সমাধান : এমন উপসর্গে সেবন করতে দিন লাইকোপোডিয়াম ২০০। প্রত্যহ স্কালে ও রাত্রে সেব্য।
(৪৪) সমস্যা : রোগী হঠাৎ ঝাঁকি মেরে ওঠে।
সমাধান : এক্ষেত্রে একোনাইট ৩০ সেবন করালে উপকার হবে। প্রত্যহ কালে ও রাত্রে সেব্য।
(৪৫) সমস্যা : রোগীর অত্যধিক জ্বর; এ অবস্থায় বিছানা ছেড়ে ওঠার চেষ্টা করে।
সমাধান : এমন ক্ষেত্রে রোগীকে সেবন করতে দিন মর্ফিণাম ৬x। রোগীকে মাত্র ১ মাত্রা সেবন করাতে হবে।
(৪৬) সমস্যা : রোগী ঠোঁট নাড়ে, কথা বলার ভঙ্গি করে, তার কথা শোনা যায় না।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন বেলেডোনা ২০০। প্রত্যহ সকালে € রাত্রে সেব্য ।
(৪৭) সমস্যা : রোগী লাফ দিয়ে জলে পড়তে চায়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন বেলেডোনা ৩০ বা সিকেলি-কর ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৪৮) সমস্যা : রোগী বিছানা থেকে লাফিয়ে উঠে পালাবার চেষ্টা করে।
সমাধান : এই উপসর্গে প্রযোজ্য ওষুধসমূহ—বেলেডোনা ৩০ বা ব্রায়োনিয়া ৩০ বা কলোসিন্থ ৩০ বা একোনাইট ৩০ বা ওপিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে * রাত্রে সেব্য।
(৪৯) সমস্যা : রোগী হঠাৎ দৌড় দেবার চেষ্টা করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে কোনিয়াম ৩০ বা বেলেডোনা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৫০) রোগী দেওয়ালে মাথা ঠোকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন কোনিয়াম ৬। প্রত্যেহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।
(৫১) সমস্যা : রোগী বার বার জ্বর অবস্থায় বিছানা থেকে উঠতে চায়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন বেলেডোনা ৩০। প্রত্যেহ সকালে রাত্রে সেব্য।
(৫২) রোগী বিছানা ছেড়ে পালাবার চেষ্টা করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন একোনাইট ৩০ বা বেলেডোনা ৩০। প্রত্যেহ সকালে, রাত্রে সেব্য।
(৫৩) রোগীর আচ্ছন্ন অবস্থা, খুব ভয় পায় ও ব্যাকুল হয়ে পেড়ে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন ক্যালকেরিয়া কার্ব ২০০ বা বেলেডোনা ২০০ বা একোনাইট ২০০ বা পালসেটিলা ২০০ বা ব্যাপটেশিয়া ২০০ বা সিমিসিফিউগা ২০০ বা ওপিযাম ২০০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য । ডা: জার নির্শেত ঔষধ।
(৫৪) জ্বরের শীত অবস্থায় মধ্যে প্রলাপ বকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন আর্নিকা ৩০ বা বেলেডোনা ৩০ বা নাক্স ভম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৫৫) বিকারের ঘোরে স্পপ্নে বিভীবিসা দেখে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন বেলেডোনা ২০০ বা ওপিয়াম ২০০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৫৬) জ্বরের তীব্রতা বেশী, প্রলাপ করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন আর্নিকা ৩০ বা বেলেডোনা ৩০ বা চয়না ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৫৭) বিকার-জনিত স্বপ্ন দেখে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন ব্রায়োনিয়া ২০০ , অন্য ঔষধ ল্যাকেসিস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৫৮) বিকারে অতি পরিচিত ব্যাক্তিকেও চিনতে পারে না।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন মার্ক সল ৩০ বা ষ্ট্র্যামোনিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৫৯) সমস্যা : রোগী বিকারে ভয়ের কথা বলে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বেলেডোনা ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।
(৬০) সমস্যা : রোগী বিকার অবস্থায় চেতনা হারিয়ে ফেলে।
সমাধান : এই অবস্থায় সেবন করাতে হবে প্লাম্বাম মেট ২০০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৬১) সমস্যা : বিকারে ভয়ের স্বপ্ন দেখে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ওপিয়াম ৩০ বা এট্রোপিন ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৬২) সমস্যা : জ্বর ও জুর-জনিত ঘাম।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে থুজা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৬৩) সমস্যা : রোগী আধ্যাত্মিক কথাবার্তা বলে, ধর্ম সম্বন্ধীয় উপদেশ দেয়, প্রার্থনা জানায়, নিজের বাড়ি থেকে চলে যেতে চায়, চোখ থাকে আধবোজা অবস্থায়।
সমাধান : এই অবস্থায় রোগীকে সেবন করতে দিন ভিরেট্রাম এলবাম ২০০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৬৪) সমস্যা : প্রলাপ অবস্থা কেটে গেলে আগের কথা আর মনে পড়ে না, রোগী সুস্থ।
সমাধান : এই অবস্থায় সেবন করাতে হবে স্ট্র্যামোনিয়াম ৬। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৬৫) সমস্যা : রাতে ব্যথা-বেদনা বাড়ে ও রোগী ভুল বকে।
সমাধান : এই অবস্থায় সেবন করতে দিন ডালকামারা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৬৬) সমস্যা : রোগী খুব উগ্র হয়ে ওঠে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন প্লাম্বাম মেট ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৬৭) সমস্যা : রোগী অস্থির হয়ে ওঠে, বিছানা থেকে লাফিয়ে নামতে চায়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন হায়োসিয়ামস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৬৮) সমস্যা : রাত্রে ভুল বকার বৃদ্ধি ঘটে।
সমাধান : এই অবস্থায় সেবন করাতে হবে ব্রায়োনিয়া ৩০ বা ডিজিটেলিস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৬৯) সমস্যা : ভুল বকার বৃদ্ধি দিনে বা রাত্রে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে ব্রায়োনিয়া ৬ বা ডিজিটেলিস ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।
(৭০) সমস্যা : রোগী বিকারের ঘোরে চেঁচামেচি করে ও পালাতে চায়।
সমাধান : এই উপসর্গে রোগীকে সেবন করাতে হবে ভিরেটাম এলবাম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৭১) সমস্যা : রাত্রে সামান্য জ্বর কিন্তু রোগী প্রলাপ বকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে সালফার ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৭২) সমস্যা : গভীর রাত্রে সামান্য জ্বর অবস্থায় রোগী প্রলাপ বকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন থুজা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৭৩) সমস্যা : রোগী মেঝেতে গড়াগড়ি দেয় ।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বেলেডোনা ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।
(৭৪) সমস্যা : রোগী ঝগড়া করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এগারিকাস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৭৫) সমস্যা : জ্বর ও তৎসহ মাথাটা গরম।
সমাধান : এই উপসর্গে বেলেডোনা ৬ বা ব্রায়োনিয়া ৬ সেবন করতে দিন। ৩ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(৭৬) সমস্যা : রোগী শরীর দোলাতে থাকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে হায়োসিয়ামস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৭৭) সমস্যা : জ্বর, রোগী খুব অস্থিরতা বোধ করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে একোনাইট ৬। ৩ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(৭৮) সমস্যা : জ্বর, রোগী খুব শান্ত ও নম্র।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন প্লাম্বাম মেট ৬ বা ট্যাবেকম ৬। ৩ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(৭৯) সমস্যা : রোগীর মধ্যে মারামারি করার স্পৃহা পরিলক্ষিত হয়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বেলেডোনা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৮০) সমস্যা : ঘাম হলে রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন ইথুজা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৮১) সমস্যা : রোগীর মধ্যে খামখেয়ালীভাব দেখা দেয়।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বেলেডোনা ৬। ৩ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(৮২) সমস্যা : টাইফয়েডের রোগী, প্রলাপ বকে।
সমাধান ঃ এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে এট্রোপিনাম ৬। ৪ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(৮৩) সমস্যা : রোগী দিনে ভুল বকে না, কেবলমাত্র রাত্রে বকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে হবে বেলেডোনা ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৮৪) সমস্যা : রোগী নীরব হয়ে থাকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন এগারিকাস ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৮৫) সমস্যা : রোগীর উন্মাদের মতো অবস্থা।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন বেলেডোনা ২০০। প্রত্যহ রাত্রে সেব্য।
(৮৬) সমস্যা : রোগী অন্যায় আবদার করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন ক্যাম্ফর ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৮৭) সমস্যা : রোগী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। মনে হয় যেন সে স্বপ্নের মধ্যে কথা বলছে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন স্ট্র্যামোনিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৮৮) সমস্যা : রোগী বাড়িতে যেতে চায় অথচ সে বাড়িতেই আছে।
সমাধান এই উপসর্গে সেবন করতে দিন ব্রায়োনিয়া ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৮৯) সমস্যা : রোগী স্বপ্ন দেখে যেন কোনো জন্তু তাকে আক্রমণ করবে বলে তেড়ে আসছে। জেগে উঠে একথা সে মনে করে বলতে পারে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন ওপিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৯০) সমস্যা : রোগীর কখনো কান্না, কখনো হাসি, আবার কখনো বা ক্রোধ।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন একোনাইট ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।
(৯১) সমস্যা : শরীর উত্তপ্ত ও সেই সঙ্গে প্রলাপ বকা লক্ষণ।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন চিনিনম-সল্ফ ৬। ৩/৪ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(৯২) সমস্যা : রোগীর চোখের তারা যেন ঠেলে বেরিয়ে আসছে ও সেই সঙ্গে প্রলাপ বকা।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে প্লাম্বাম-মেট ৬। ৩/৪ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(৯৩) সমস্যা : বিকারে চোখ আধখোলা থাকে।
সমাধান : এই অবস্থায় রোগীকে সেবন করাতে হবে আর্সেনিক এলবাম ৬। ৩/৪ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(৯৩) সমস্যা : রোগী ভুল কথাবার্তা বলতে থাকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন নাক্স ভম ৬। ৩ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(৯৪) সমস্যা : রোগী বেশী বকবক করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন স্ট্র্যামোনিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৯৫) সমস্যা : রোগী বিড়বিড় করে বকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে হায়োসিয়ামস ৬। ৩ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(৯৬) সমস্যা : রোগী যৌন সঙ্গমের কথা বলে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বেলেডোনা ২০০। প্রত্যহ সকালের রাত্রে সেব্য।
(৯৭) সমস্যা : রোগী বাড়িতে যেতে চায় অথচ সে বাড়িতেই আছে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন ব্রায়োনিয়া ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(৯৮) সমস্যা : রোগী স্বপ্ন দেখে যেন কোনো জন্তু তাকে আক্রমণ করবে বলে তেড়ে আসছে। জেগে উঠে একথা সে মনে করে বলতে পারে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন ওপিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য।
(৯৯) সমস্যা : রোগীর কখনো কান্না, কখনো হাসি, আবার কখনো বা ক্রোধ।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন একোনাইট ৬। প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য।
(১০০) সমস্যা : শরীর উত্তপ্ত ও সেই সঙ্গে প্রলাপ বকা লক্ষণ।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন চিনিনম-সল্ফ ৬। ৩/৪ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(১০১) সমস্যা : রোগীর চোখের তারা যেন ঠেলে বেরিয়ে আসছে ও সেই সঙ্গে প্রলাপ বকা।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে প্লাম্বাম-মেট ৬। ৩/৪ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(১০২) সমস্যা : বিকারে চোখ আধখোলা থাকে।
সমাধান : এই অবস্থায় রোগীকে সেবন করাতে হবে আর্সেনিক এলবাম ৬। ৩/৪ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(১০৩) সমস্যা : রোগী ভুল কথাবার্তা বলতে থাকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন নাক্স ভম ৬। ৩ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(১০৪) সমস্যা : রোগী বেশী বকবক করে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করতে দিন স্ট্র্যামোনিয়াম ৩০। প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য ।
(১০৫) সমস্যা : রোগী বিড়বিড় করে বকে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে হায়োসিয়ামস ৬। ৩ ঘন্টা অন্তর সেব্য।
(১০৬) সমস্যা : রোগী যৌন সঙ্গমের কথা বলে।
সমাধান : এই উপসর্গে সেবন করাতে হবে বেলেডোনা ২০০। প্রত্যহ সকালের রাত্রে সেব্য।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।