কেউ বাত রোগে আক্রান্ত হলে তার মনের মধ্যে নানা ধরনের চিন্তা দেখা দেয়। এইসব চিন্তাই মানসিক লক্ষণ। এ ধরনের মানসিক লক্ষণসমূহ দূর করতে হলে বাত রোগের যথাযথা চিকিৎসা প্রয়োজন। পীড়ার প্রাথমিক অবস্থায় ৬ বা ৩০ শক্তির ওষুধ এবং পুরাতন অবস্থায় ২০০ শক্তির ওষুধ প্রযোজ্য।
(১) বাত, গেঁটে বাত।
ঔষধ : ইরিডিয়ম (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য) ।
(২) পুরাতন বাত-জনিত গাঁটে ব্যথা।
ঔষধ : পেট্রোলিয়ম (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩) হাঁটু ফোলা ও বেদনা।
ঔষধ : ক্যালি-হাইড্রো (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪) কাঁধ, আঙুল, হাঁটু প্রভৃতিতে বাতের বেদনা।
ঔষধ : লিথিয়াম-কার্ব (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৫) তরুণ বাত ও প্রদাহ-যন্ত্রণা।
ঔষধ : গুয়েকাম (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৬) হাতের কবজির ও গোড়ালির বাত ও বেদনা।
ঔষধ : এব্রোডেনাম (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৭) হাঁটুতে ও অন্য স্থানে বাত—নড়া-চড়ায় বৃদ্ধি।
ঔষধ : ব্রায়োনিয়া (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৮) বাঁ কাঁধে ও সন্ধিতে বাত।
ঔষধ : ফেরম-মেট (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য) ।
(৯) বাতের বেদনা, রাত্রে ও স্থির থাকলে বৃদ্ধি।
ঔষধ : ম্যাগ্নেসিয়া-কার্ব (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(১০) ঊরুতে ও হাঁটুতে বাতের বেদনা।
ঔষধ : ড্যাফনি-ইন্ডিকা (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১১) পায়ের গোড়ালিতে বাত—মাথা অপেক্ষা পা উঁচু করে রাখলে যন্ত্রণা কমে যায়।
ঔষধ : ফাইটোলক্কা (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য) ।
(১২) সারা শরীরে পক্ষাঘাতের মতো আড়ষ্টতা।
ঔষধ : লিথিয়াম-কার্ব (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেবা)।
(১৩) প্রনেহ স্রাব বন্ধ হয়ে বাত রোগ, বেদনা।
ঔষধ : এস্প্যারাগাস (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৫) বাত, গাঁটে খড়ির মতো পদার্থ জমে।
ঔষধ : এমন-ফস (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৬) কোমরে বাত।
ঔষধ : রেডিয়ম (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য) ।
(১৭) আঙুলের নখের নীচে তৃতীয় গাঁটে বাত।
ঔষধ :বার্বেরিস (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য) ।
(১৮) কোমরের নীচের হাড়ে বাত—প্রতি ঋতু পরিবর্তনে ব্যথা-বেদনা।
ঔষধ : ক্যালকেরিয়া ফস (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য) ।
(১৯) প্রমেহ জনিত বাত।
ওষুধ : জ্যাকারান্ডা (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২০) ডান হাঁটুর বাত।
ঔষধ : জ্যাকারান্ডা (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য) ।
(২১) বাত, পায়ের আঙুলে ও পায়ের তলায় বেদনা।
ঔষধ : এপোসাইনাম এন্ড্রোসি (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(২২) শরীরের বৃহৎ সন্ধিসমূহে বাত।
ঔষধ : এক্লিপিয়াস (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য) ।
(২৩) বাত, আক্রান্তস্থল টেনে ধরে।
ঔষধ : এমন-মিউর (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৪) তরুণ বাত, আঙুল আক্রান্ত হয়।
ঔষধ : এন্টিম-ক্রুড (প্রত্যহ সকালে, দুপরে ও রাত্রে সেব্য) ।
(২৫) গেঁটে বাত, বেদনা সরে সরে বেড়ায়।
ঔষধ : কচিকম (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৬) বাত, সমস্ত গাঁট আক্রান্ত হয়।
ঔষধ : এসিড-ল্যাকটিক (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৭) দুই হাঁটুর গাঁটে বাত।
ঔষধ এঙ্গাষ্টিউরা ভেরা (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৮) বুড়ো আঙুলে বাত।
ঔষধ : ইলাটিরিয়াম (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৯) ঘাড়ে বাত, ঘাড় সেঁটে ধরে।
ঔষধ : এনাকার্ডিয়াম-ওরিয়েন্ট (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য) ।
(৩০) চোয়ালের বাত, কোনো দ্রব্য চিবানো কষ্টকর হয়।
ঔষধ : রাস-টক্স (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩১) অনবরত শুক্রক্ষয় জনিত বাত রোগ।
ঔষধ : জিনসেং (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩২) অল্পপরিসর স্থানে বাত।
ঔষধ : রডোডেন্ড্রণ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩৩) প্রায় সকল প্রকার বাত।
ঔষধ : মেডোহ্রিণাম (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩৪) বৃঙ্গাঙ্গুলির ও কব্জির বাত।
ঔষধ : স্যাবাইনা (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য) ।
(৩৫) বাত, গেঁটে বাত, প্রমেহ জনিত বাত।
ঔষধ : ভিস্কাম-এলবাম (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩৬) প্রমেহস্রাব বন্ধ হয়ে বাত, গর্মীপীড়া জনিত বাত।
ঔষধ : সার্মাপ্যারিলা (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩৭) সন্ধি শক্ত—তৎসহ বাত।
ঔষধ : স্ট্রিকনিনাম (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য) ।
(৩৮) হাতে বাত, অসাড় অবস্থা, হাত নাড়তে পারে না।
ঔষধ : লাবর্ণম (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩৯) প্রমেহস্রাব বা প্রদরস্রাব বন্ধ হয়ে বাত।
ঔষধ : স্যাবাইনা (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
বি. দ্র. : বেদনর অনেক ওষুধ বাতরোগে ব্যবহৃত হয়, আবার বাতরোগের অনেক ওষুধ বেদনায় প্রয়োগ করে উপকার পাওয়া যায়। দুটি পীড়া প্রায় একই রকম; সেজন্য ওষুধও একই রকম। চিকিৎসককে ওষুধ ও শক্তি নির্বাচন করতে হবে পীড়ার গুরুত্ব ও প্রাবল্য বুঝে। কোনো ওষুধ দিনে দু’বার সেবন করালেই হয় আবার কোনো ওষুধ তিনবার সেবন করানোর প্রয়োজন হয়। সব ক্ষেত্রেই চিকিৎসককে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে ও উপসর্গগুলিকে ভালোভাবে বিবেচনা করে ওষুধ নির্বাচন করতে হবে। যাঁরা বই পড়ে ওষুধ সেবন করবেন তাঁরাও এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করবেন; তবেই বাঞ্ছিত ফললাভ সম্ভব হবে।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।