Dr. ELI. G. Jones MD এর আরোগ্য বিধানঃ
হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য
ডাঃ অরবিন্দ সরকার
Dr. ELI. G. Jones MD এর আরোগ্য বিধানঃ
ডাক্তার মহোদয়ের এর Cancer its causes, Symptoms and Treatment নামক পুস্তক থেকে তার আরোগ্য বিধান এর কিছু মূল্যবান বিষয় উল্লেখ করছি-
ডাঃ জোন্স সূদীর্ঘ ৪০ বৎসর বহু নানা শ্রেণীর ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা করেছেন এবং দ্রুত আরোগ্য করেছেন। বিশ্বের কোন কিচিৎসক এত বেশী সংখ্যক ক্যানসার এর চিকিৎসা ও আরোগ্য করেছেন ডাঃ জোন্স অপেক্ষা বলে আমার জানা নেই। তিনি বলেছেন ক্যানসার চিকিৎসার জন্য বিশেষ সাহস ও দক্ষতার প্রয়োজন। ক্যানসার মানব জাতীর সর্বশ্রেষ্ট শত্রু। যে কোন চিকিৎসক ক্যানসার চিকিৎসা করতে যদি ভয় পান তাহলে তিনি কখনও এই চিকিৎসায় সাফল্য লাভ করতে পারবেন না । বাইরে ও অভ্যন্তরের ক্যানসার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসককে পরিপূর্ন জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তিনি মেটেরিয়া মেডিকার এ টু জেট সমস্ত ঔষধ গুলির কার্যকারিতা সন্বন্ধে সম্পূর্ন জ্ঞাত থাকবেন এবং তার নিজের প্রতি একটা দৃঢ় আস্তা আসবে এবং একটা আত্ম বিশ্বাস আসবে। আমি নিজে কখনও ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বলে দাবী করিনা, তবে এইটুকু দাবী করতে পারি যে, সূদীর্ঘ অভিজ্ঞতায় আমাকে এই শিক্ষাই দিয়েছে যে, এমন ঔষধ আছে যারা ক্যানসার আরোগ্য করতে সক্ষম। তবে ক্যানসার চিকিৎসার কোন সুনির্দিষ্ট ঔষধ থাকতে পারে না। ক্যানসার আক্রমনস্থল, রোগীর অবস্থা, রোগীর প্রকাশিত লক্ষণ ও চিহ্ন সমূহ দ্বারা বিভিন্ন স্থান হিসেবেও বিভিন্ন ঔষধ নির্বাচিত হবে। যে ঔষধটি লিভার ক্যানসার এ কার্যকরী হবে সেটি হয়ত স্তনের ক্যানসার এ কোন
কাজ করবেনা।
ক্যানসার রোগীর ক্ষেত্রে তা সে যত দুরেই যাক বা যত খারাপের দিকে যাক, সেটা কোন ব্যাপার নয়, এখানে দুটি জিনিসের উপর রোগীর আরোগ্য নির্ভর করে। যেমন :-
(১) রোগির নার্ভ পাওয়ার বা স্নায়ুমন্ডলীর শক্তিকে অবশ্যই বাড়াতে হবে এবং রোগীর ভাইটালিটি বা জীবনী শক্তিকে স্বাভাবিক অবস্থার যতটা কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া সম্ভব তার জন্য চেস্টা করতে হবে।
(২) আরোগ্য নির্ভর করে রোগীর অবস্থা, ঔষধের ক্রিয়ায় ত্রিয়াশীল হতে সক্ষম হবে কিনা অর্থাৎ রোগীর জীবনী শক্তি ঔষধের কাজকে প্রতিক্রিয়ান্বিত করতে সক্ষম হবে কিনা তাঁর উপর। এক কথায় চিকিৎসকের মূল কাজ হবে রোগীর ভিতটাকে এমনই শক্ত করে গড়ে তোলা যাতেকরে জীবনী শক্তির শক্তি বৃদ্ধি দ্বারা রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে পারে। অনেক সময় আমি লক্ষ্য করেছি যে, যখন রোগীর চক্ষু নাড়ীর গতি এবং জিহ্বা পরিচয় দেয়, যে দৈহিক নিঃসরন প্রণালী যথাযথভাবে চলছে, ভাল হজম হচ্ছে এবং নাড়ীর গতি নিয়মিত পূর্ন সবল তখন রোগবৃদ্ধির দিকে যেতে পারেনা। কিন্তু জীবনী শক্তির ক্ষীনতা যখন দেখা যায়। তখন রোগ খুবই কার্যকরীভাবে রোগীকে আক্রমন করে। কয়েক জন বিশিষ্ট এ্যালোপ্যাথিক ডিগ্রী ও বিদেশী, দেশী হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রীধারী হোমিও প্যাথিক চিকিৎসকের কিছু মন্তব্য যাহা আরোগ্য বিধান হিসেবে কাজ করে তা তুলে ধরছি।
এঁরা দুটি অবস্থাকে তুলে ধরেছেন যথা-
(ক) ক্যানসার হবার পূর্বাবস্থা (Pre-cancerous state)।
(খ) ক্যানসার উৎপত্তি অবস্থা (Cancerous State) এখন পর্যন্ত টিউমারকে ক্যানসার সৃষ্টির একটি কারণ বলা হয়েছে, অবশ্য সব টিউমারই ক্যানসার দেহের আভ্যন্তরীন প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া হিসেবে টিউমার হতে দেখা যায়।
ক্যানসার এর ক্রমবিকাশের ৩টি অবস্থার পার্থক্য ।
১। অ্যাসারিনিক স্টেট (Cancerinic state): আনসার সংক্রন্ত অবস্থা।
২। টিউমার বা অর্বুদ ।
৩। মেটাস্টিসিস বা স্থানান্তর।
এগুলি হলো ক্রমবৃদ্ধিশীল ক্যানসার বিষের অগ্রগতির ফল। যেমন টিউবার কুলার ধাতু ক্যানসার এর পূর্ববস্থা হতে পারে। (Clinical Manifestation of Cancerinic state) বা ক্যানসার ধাতুর প্রকাশের যে ইঙ্গিত রোগীর শয্যা পাশে পরীক্ষার দ্বারা জ্ঞাত হওয়া গেছে। এই গুলি জানার দ্বারা আমরা শুধু টিউমারের উৎপত্তিই জ্ঞাত হইনা প্রকৃত চিকিৎসার দ্বারা প্রতিরোধও করতে পারি।
নার্ভাস সিস্টেমের পরিবর্তনের দুটি মূখ্য কারণ যথা-
(ক) (Extrinic)-শোক, দুঃখ ভাবাবেগ।
(খ) (Intrinsic) বা রক্তের মধ্যে ক্রমাগতভাবে বিষাক্ত পদার্থের অনু প্রবেশ এবং অবস্থিতি যা দূরীভূত হয় না, কারণ যাই হোক, ফল একই হয়। কেন্দ্রীয় শক্তি দুর্বল হয়ে পরে এবং নানা উপসর্গের সৃষ্টি করে, যন্ত্রনা আসতে পারে যা কেন্দ্রীয় অথবা বাইরের প্রকাশমান রূপে আসতে পারে। গ্লান্ড সমূহের স্বাভাবিক ক্রিয়া বিচ্যুতির ক্রিয়াগত বিশৃঙ্খলা আসতে পারে।
ডাঃ ক্লার্ক বলেন, বিভ্যিা শ্রেনীর টিউমারের পার্থক্য নির্নয় আমার আদৌ ইচ্ছা নেই, ইচ্ছা নেই অক্ষতিকারক ও মারাত্মক টিউমারের পার্থক্য নির্নয়ে। কারণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য এই পৃথকীকরণে চিকিৎসার কোন সুবিধা হবে না। আমি এখন অসংখ্য সুনিশ্চিত দৃষ্টান্ত দিতে পারব যে অক্ষতিকারক টিউমার ক্যানসার নোসোডে আরোগ্য হয়েছে আবার অন্যদিকে ক্যানসার বা ক্ষতিকারক টিউমার উদ্ভিদজ ঔষধে আরোগ্য হয়েছে।
ডাঃ কুপারের পুত্র Dr. Le Hunti Cooper ও পিতার পথ অনুসরণ করে দৃষ্টি আকর্ষনকারী সাফল্য লাভ করেন। তারমতে আরোগ্য বিধান কল্পে লক্ষণ সাদৃশ্যে অনেক সময় একটি ঔষধকে নির্বাচন করার পক্ষে যথেষ্ট। অতএব আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে ৪টি পথ আছে, ঔষধ খুজে পাবার, যে কোন ক্যানসার রোগীর ক্ষেত্রে যথা-
(১) অবিকল লক্ষণ প্রতিচ্ছবি।
(২) অর্গানন হোমিওপ্যাথি।
(৩) ধাতুগত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
(ক) নোসোড বিশেষতঃ ক্যানসার নোসোড
(খ) চরিত্রগত বৈশিষ্ঠ্য যুক্ত হোমিও প্যাথিক ঔষধ সমূহ,
(গ) স্পেসিফিক ঔষধ সমূহ যেমন, থুজা” ভ্যাকসিনোসিসের ক্ষেত্রে।
8) Arborivital of Dr. Cooper অর্থাৎ কুপারের মত অনুযায়ী বৃক্ষ সঞ্জীবনী ঔষধ। এই বিস্তৃততর ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় এই রোগের চিকিৎসা করতে সক্ষম, এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক বন্ধুগনের তুলনায় ।
ডাঃ জে, বেনেডিকট্ ডি, কেষ্টো : Cancer, Cause, Care & Cure বইতে তিনি লিখেছেন :-
(1) An assessment of the vitality of the patient.
(2) Correct knowledge of the disease in order to assess the symptoms common.
(3) As Assessment of the totality of the symptoms presented by the patient during the terminal stage.
(4) The patients feeling (Fear of death, depression alternating state of mind ete) should be the
the key for prescription.
(5) Choice of the reamedy and potency keeping in view the vitality of the patient.
কয়েকটি মায়াজম একত্রিত হয়ে যখন জীবনীশক্তিকে আক্রান্ত করে তখনই জীবনী শক্তি দেহের কোন দুর্বল অঙ্গের মাধ্যমে রোগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। একত্রিত মায়াজমকে পর্যায়ক্রমে ঔষধের মাধ্যমে ধ্বংস করতে পারলেই ক্যানসার আরোগ্য হইবে। তবে-
(১) জীবনী শক্তির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রেখে ঔষধের শক্তি নির্বাচন করতে হবে।
(২) অবিকল প্রতিচ্ছবিযুক্ত লক্ষণ অনুসারে ঔষধ নির্বাচন করতে হবে।
(৩) জীবনী শক্তি বৃদ্ধি করা যায় এমন ঔষধ দিতে হবে।
(৪) রক্ত দূষণ মুক্ত করার ঔষধ দিতে হবে। এছাড়াও স্বাস্থ্য রক্ষা সম্পর্কে এই বিষয় গুলির বিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে যেমন –
(১) গ্রান্ড সমূহের স বাগের স্বাভাবিক ক্রিয়া।
(২) বহিরাঙ্গ ও সীমান্ত চর্ম।
(৩) নার্ভাস জিরো বা পরিচালিকা শক্তি ক্ষমতা ইত্যাদি । (গ্রন্থকার)।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।