ক্যানসারের পূর্বলক্ষণ
হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য
ডাঃ অরবিন্দ সরকার
ক্যানসার ধর্মী রোগীর ইনটেস্টাইন বা অন্ত্রসমুহ লিভার ও কিডনী প্রথম আক্রান্ত হয় এবং এগুলিরই বিকৃতি প্রথম প্রকাশিত হয়, আর এই যন্ত্র গুলিই প্রথম সর্তক সংকেত জানায়। কিন্ত এই সতর্ক সঙ্কেতকে উপক্ষো করে এবং তাদের আরোগ্য দায়ক চিকিৎসা না করে তাদরে যন্ত্রনা ও বিশৃঙ্খালাকে চাপা দেওয়া হয়। (যন্ত্রটি আক্রান্ত হবার আগে তার যন্ত্রনার কষ্টের কথা নানা লক্ষণ ও চিহেৃর দ্বারা প্রকাশ করে।) কখনও চাপা দেওয়ার চিকিৎসা করেবেন না তাদের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধন করে আরোগ্য ব্যবস্থা করেন।
লিভার এর ক্রিয়া :- প্রত্যেকটি রোগীর লিভার ভালভাবে পরীক্ষা করুণ। এটি একটি প্রথম অত্যান্ত যন্ত্র যা ক্যানসার আক্রমনের সূচনা দেখিয়ে দেয়। রোগী প্রায়ই গরহজমের অভিযোগ করে, পেটটা ভারী বোধ করে, খাবার পর ঘমু আসে। লিভারটি সযত্নে পরীক্ষা করলে সেটির বিবৃদ্ধি দেখা যাবে, হজমের গোলমাল সহ টাটানি ব্যথা দেখা যাবে। অনেক সময় রোগীর লিভারের যন্ত্রনার কথা বলে এবং ভুল রোগ নির্নয় করা হয় হেপাটিক কলি বলে, আর দ্রুত মর্ফিয়া ইত্যাদি ইনজেকশন দিয়ে উপশম করে দেওয়া হয়। কিন্ত এই বিশৃঙ্খালা প্রকৃত ক্যানসার বিষ আক্রমনের সতর্কতা । প্রায় অনেক সময় রোগী লিভারের কষ্টের কথা কিছু বলে না, কিন্ত পাকস্থলীর অথবা অন্ত্রের গোলযোগের কথা প্রায়ই জানিয়ে থাকে, ডিসপেপটিক রোগী হিসেবে চিকিৎসা করা হয়। এদের খুব যত্ন করে পরীক্ষা করুন এবং ডানদিকে পাজরের হাড়ের নিচে (Rt. Hypocondria region) এ চাপ দিলেই বুঝা যাবে। সামনে দেখা যাবে এবং পিছনেও দেখা যাবে প্রচুর সংখ্যায় ভেরিকোসাইটিস (Xaricositis) এটা হলো অবজেকটিভ প্রমাণ যে বার বার রক্ত সঞ্চয় দ্বা লিভারটিকে আক্রমনের স্থান করে নিয়েছে। স্ট্যার্নামের নিকটস্থ দ্বিতীয় ইন্টার কস্ট্যাল স্থানে চাপ দিলে ব্যাথা বোঝা যাবে, লিভার থেকে দুরে হলেও এটা বাম এবং ডান উভয় দিকেই পাওযা যাবে। মুখ নাক কালে রং ধারণ করবে। গালের রং হলুদ হবে।
হজম ক্রিয়া : – হজমের গোলমালের বৃদ্ধির কমা বাড়া হয়, লিভারের ক্রিয়ার তারতম্য হেতু। তিনটি বিষয় পরিলক্ষিত হয়, যথা- মুখের আস্বাদ তিতো, সকরলেই বমির ভাব এবং উদরাময় ও কোষ্ঠকাঠিন্য পযৃায়ক্রমে। সকাল ঘুম ভাঙ্গার পর মুখ তিতো। রোগীর মুখের তিতো আস্বাদের জন্য সব খাদ্যেই অরুচি ভাব, সমুদ্র বিবমিষার সঙ্গে তুলনা করা চলে এটা ১৫ মাস অন্তর দেখা যায়।
অন্তসমুহ : অন্ত্রের গোলযোগ দেখ যায়, প্রায়ই উদরাময় ও কোষ্ঠকাঠিন্য পর্যায়ক্রমে দেখা যায, কখনও সুমিয়মিত ভাবে হয় না কখনও পেটের ফাঁপ দেখা যায। সাধারণতঃ বরতে কি যারা চির কোষ্ঠকাঠিন্য ভোগে এবং পায়খানার ঔষধ না খেলে পায়খানা হয় না তারাই ক্যানসার এর দিকে গতি সম্পন্ন হয়। জোলাপের দ্বারা উত্তেজনার সৃষ্টি ক্যানসার বিষ বৃদ্ধি সহায়ক।
কিডনী : রোগী কদাচিৎ এ সম্বন্ধে অভিযোগ করে। কোন সময় এ ঘন ঘন প্রস্রাব যায় অল্প পরিমাণে। কোন ক্ষেত্রেই সঠিক লক্ষণ প্রকাশ করত পারে না। যাই হোক দেখা যায় বহুক্ষণ হয়তো সুত্র ত্যাগ করলো না পরে হয়ত অল্প মুত্র ত্যাগ করলো। প্রস্রাবের রাসায়নিক পরীক্ষায় দেখা যায় ইউরিয়ার পরিমান কমে যায়। হাতের আঙ্গুল দিয়ে কিহনীর স্থানে (In Costo Iumber angle) চাপ দিলে ব্যাথা বোঝা যাবে। এগুলি কিডনীর ক্রিয়াহীনতার লক্ষণ, আর এটা সুনিশ্চিত হওযা যায় আইরিস স্কোপিক পরীক্ষায় দ্বারা (By inscopic examinaation).
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।