অবজেকটিভ লক্ষণ সমূহ
অবজেকটিভ লক্ষণ সমূহ
ডাঃ অরবিন্দ সরকার
প্রি-ক্যানসারস্টেট বা ক্যানসার পূর্ববস্থায় চর্মের ও শ্লৈষ্মিকঝিল্লির বা মিউকাস মেমব্রেনের নানা অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা যায়।
চর্ম :- প্রায়ই দেখা যায়, রোগীর চর্ম হয় শুষ্ক অথবা তৈলাক্ত (Greasy) এবং কাল কাল বিন্দুতে আচ্ছাদিত, বিশেষতঃ প্রথমেই নাকের পাতায় এবং কানের পাতায় দেখা যায়, পরে কপালে দেখা যায়, সর্বশেষে গোটা মুখেই ছড়িয়ে পড়ে। যুবকদের দেখা যায় লালচে উঁচু মত ছোট ছোট অর্বুদ (Red indurated tumours appears whose centre is comosed of the black point) যার মধ্যে থাকে কালমত বিন্দু অনেকে বলবেন বয়ব্রন বা টিউমার, পরে বয়স বেশী হলে শুষ্ক কাল বিন্দু গুলিই অবশিষ্ট থাকে। ভালভাবে লক্ষ্য করলে ঘারের দিকে বিন্দু বিন্দু উঁচু কাল কাল দাগ দেখা যাবে। বুকে এবং পেটে লালচে ছোট ছাপ দেখা যাবে যার আয়তন আলপিনের মাথার মতন থেকে মশুর কলাইয়েল মত। এগুলি বংশগত নয়, এগুলি নিজ জীবনেই দেখা যায় এবং সেই সব মাতাপিতার যাদের যৌন রোগের ইতিহাস সহ যারা ক্যানসারণিক স্টেটে প্রবেশ করেছে বা ক্যানসার সংক্রান্ত অবস্থায় প্রবেশ করেছে।
মিউকাস মেমব্রেন, দুটি মূল্যবান চিহ্ন প্রকাশ করে :-
(১) রঙ্গীন হওয়ার
(২) রূপাস্তরন।
(ক) মিউকাস মেমব্রেনের রঙ্গীন হওয়া বিশেষ বিবেচনা সহকারে গুনান্বিত করা হয়, ঠোঁট দুটি কালচে নীলবর্ণ বা সীসক বর্নের হয় এবং উজ্জ্বল নীল রক্তবর্ণ থেকে লালচে বেগুনীবর্ণে পরিবর্তিত হয়। সালফার রোগীর মত বা টিউবার কুলিনামের রোগীর মত ক্যানসার ধর্মী রোগীর ঠোট কখনও উজ্জ্বল লাল বর্ন দেখা যায় না।
(খ) মিউকাস ও চর্মের সংযোজন স্থলের রূপান্তর- যদি লক্ষ্য করা যায় মুখের কোণে ফাটা ক্ষত আর সেটা যদি সিফিলিটিক ইতিহাস সংক্রান্ত না হয় এবং জিহ্বা যদি ফাটা ফাটা মত হয় তাহলে নিশ্চয় জানবেন যে, তার মাতা-পিতার ক্যানসার সংক্রান্ত অবস্থা ছিল এবং সেও বংশগতভাবে ঐ প্রবনতা প্রাপ্ত হয়েছে। ওয়ার্টস বা আঁচিল, প্যাপিলোমা বা স্তনের বোঁটার মত উঁচু উদ্ভেদ এবং কন্ডাইলোমাস বা এক শ্রেনীর টিউমার বিশেষ সমূহ ক্যানসার সংক্রান্ত অবস্থার চিহ্ন স্বরূপ ।
তিনটি অবস্থার চিকিৎসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই :-
(১) যদি কোন কারণ ব্যাতিতই ক্রমাগত দুর্বল বোধ করতে থাকে বা দুর্বল হতে থাকে এবং সেই রোগী যদি ডিউবারকুলার সংক্রান্ত না হয়, তাহলে ক্যানসার সংক্রান্ত বলে চিন্তা করতে হবে। দৈহিক ধাতব পদার্থহীনতা সোরিক কারণে হলে তাকে নেট্রাম মিউর দিয়ে তার দ্রুত ওজন ফিরিয়ে আনুন তার পরে ক্যানসার সংক্রান্ত অবস্থার চিকিৎসা করুন।
(২) আর্টেরিয়াল হাইপারটেনশন(Arterial Hypertension) বা ধমনীর রক্ত চাপ বৃদ্ধি রোগও একটি অভ্যন্তরীন বিক্রিয়া বা বিকৃতির পরিনতি। এই রোগের বহু অগ্রসরমান সত্য বলে প্রমানিত তথ্য দ্বারা ব্যাখা করা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ নিয়ম হিসেবে জেনে রাখনু যে প্রত্যেকটি রক্ত চাপ বৃদ্ধির রোগী যাদের ঠোট লাল নয় বরং কালচে নীল অথবা বেগুনী বর্ণের তারা ক্যানসার সংক্রান্ত অবস্থার মধ্যে।
(৩) আঘাত হেতু অনেক সময় যে কোন যন্ত্রে ক্যানসার হবার প্রবনতা তৈরীর উদ্দীপক কারণ হতে পারে। ক্যানসার সংক্রান্ত অবস্থা টিউমার হবার অনেক বৎসর আগে থেকে থাকতে পারে।
(৪) ডাঃ কেন্ট তার রেপার্টরীতে বলেন- প্রচন্ড হুপিং কাশি ও নিউমোনিয়া প্রথম শিশু কালে হওয়াটা ক্যান্সার ধর্ম সৃষ্টির সহায়তা করে। গ্ল্যান্ড বিবৃদ্ধি জনিত জ্বরে দীর্ঘদিন ভোগা ইত্যাদি অনেক লক্ষণকে ক্যান্সার প্রবণতা ধর্মী হিসাবে ধরা হয়ে থাকে।
আরোগ্য সম্ভাবনা (Prognosis) :- ক্যান্সার সংক্রান্ত অবস্থা কি আরোগ্য সাধ্য? অবস্থা, বয়স, শ্রেণী ইত্যাদির উপর আরোগ্য নির্ভর করে। আরোগ্য দুটি মূল অবস্থা বা কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন-
(খ) অকাল বার্ধক্য।
(খ) বিষাক্ত বস্তুর আক্রমন। বিশেষ বয়সের বার্ধক্যে সর্বক্ষেত্রে ক্যান্সার আরোগ্য সম্ভব এটা বলা যায় না।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।