চর্ম ক্যানসার (Skin Cancet)
হোমিও চিকিৎসায় ক্যানসার আরোগ্য
ডা: অরবিন্দ সরকার
চর্ম ক্যানসার (Skin Cancet), মানুষের যেসব ক্যানসার হয় চামড়ার তার মধ্যে সব থেকৈ বেশী। রোগ মুক্তির হারও ৯৭% অনুপাতের
রোগের লক্ষণ ও চিহ্ন :- শরীরের যে কোন স্থানে যেখানে সূর্য কিরণ বেশী লাগে প্রথমে চামড়ার উপরে ছোট একটা স্থান উঁচু হয়ে উঠবে, চামড়ার উপর আশেঁর মত আস্তরন লেগে থাকবে। ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে তার আয়তন হবে ইঞ্চি। প্রথমে প্রদাহের কোন লক্ষণ থাকবে না। বৃদ্ধি প্রাপ্ত চামড়া শক্ত, অস্বচ্ছ, চামড়ার স্বাভাবিক রং প্রথম দিকে যথাযথ থাকলেও পরে পরিবর্তন হবে, চামড়ার উপর ফাটল দেখা দেবে, অন্য জীবানুর সংক্রামণও ঘটতে পারে, প্রদাহ শুরু হতে পারে। চামড়ার পুরু অংশটা ধীরে ধীরে বাড়ে, কিনারার দিকে ক্যান্সারের ঘা দেখা দেয়। শেষের দিকে জ্বালা অনুভব করতে পারে।
দুস্ট মেলানোমা (Malegnant Malanoma) :- চামড়ার যেসব ক্যান্সার হয় তার মধ্যে এটাই সর্বাঙ্গে ও সর্বযন্ত্রে ছড়িয়ে পড়তে পারে। খুব দ্রুত মৃত্যু ঘটতে পারে। সমস্ত ক্যান্সারের মধ্যে এটা ১-৩% । প্রথমে সিস্ট কোন রঞ্জক পদার্থ বিশিষ্ট টিউমার পরে দুষ্ট মেলানোমায় রূপ নেয়। চামড়ার উপর বিভিন্ন রং-এর তিল, জড়ুল, আঁচিল, জট বা যতুক থেকে এর উৎপত্তি হতে পারে। যখন ঘা দেখা দেয় রক্তপাত শুরু হয়, যখন তখন। কিংবা শক্ত হয়ে যায় তখনই সন্দেহ জাগা উচিত যে এটা ক্যান্সার ।
চর্ম ক্যান্সার চিকিৎসা :- ক্যালেন্ডুলা, হউফরবিয়া, হোয়াংনান। মিউকাস মেমব্রেন- হাইড্রাসটিস।
এলাইনথাস (Alainthus) :- লক্ষণ অদ্ভূত ভাবে সদৃশ্য সাংঘাতিক (Malignant) স্কারলেটিনা । চর্ম দেখতে কালশিরাপরা অথবা বেগুনে। কালশিরা, হতচেতন অবস্থা, দৃঢ়মূল বিশেষ (Malignancy) হয় এর মূল বৈশিষ্ট্য। (বরিক)।
এমোনিয়াম-কার্বনিয়াম (Ammonium Carbonium) :- দুষ্ট স্কারলেটিনা নিদ্ৰালুতা সহ। গ্রন্থিগুলি ফোলা, কালচে লাল ক্ষত গ্রীবাতে । অনুজ্জল ফুস্কুরির বিকাশ, ত্রুটিপূর্ণ জীবনী শক্তি। (বরিক)।
আরও পড়ুন – টেল্যুরিয়াম ৩x (চর্ম রোগে কার্যকরী)
এলুমেন (Alumen) :- একটি অদ্ভূত অবস্থা অব্যাহত ও আরোগ্যের মধ্যে যার প্রবণতা দৃঢ়তার দিকে সেখানে, যেখানে ক্লেশকর উপরিভাগ। সমস্ত আরোগ্য যাদের প্রকৃতি সাধারণতঃ ক্যান্সার পীড়া সম্পর্কিত কারণ ক্যান্সারে আমাদের জানা বিশেষ প্রকৃতির ভবিষ্যৎ, যার প্রবণতা শক্তভাব। এপিথেলিওমার মত ভবিষ্যৎও দেখা যায় আরোগ্য হয়। আরোগ্য অগ্রগামী করে ঐরূপ একটি অবস্থার, বিশৃঙ্খলতা যেখানে একটি নিচু ধরনের টিস্যু তৈরী হতে দেখা যায় এই দৃঢ় অবস্থা যা ক্যান্সারের শেষ পরিণতি । (কেন্ট)।
এনিলিনাম (Anilinum) :- ক্যান্সারের বি-বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়, বিষক্রিয়া শ্বাসপ্রশ্বাসের দ্বারা, বাস্প বা ধূম হইতে যে ব্যক্তি বা লোকেরা এনিলিন দিয়া রং এর কাজ করে, বিশেষ দ্রব্য তাহার চর্মে ক্যান্সার ঘটায় । সাইনোসিস বিশেষ চিহ্ন । (ক্লার্ক)।
এনথ্রাসিনাম :- দুস্ট ক্ষতে, দৃঢ়তা, সেলুলার, টিস্যুর, ফোড়া এবং গ্রন্থিস্ফীতি যেখানে পূজযুক্ত ফোস্কা থাকে। গ্রন্থিফোলা, কোষপূর্ণ মাংসের ইডেমা এবং শক্ত অবস্থা, অসহ্য চুলকানি । (বরিক)।
এপিস-মেল (Apis-Mel):- ছোট ক্ষত, ছাইয়া রং-এর খোলসসহ, গভীর এবং একটি থেকে অন্যটায় ধাবমান। বেদনা জ্বালা, হুল ফুটান যন্ত্রনা, চুলকানি, সূচ ফোটান যন্ত্রনা। তীক্ষ্ণ, তীব্র, জ্বালা ক্ষতে বেদনা অথবা অর্বুদে বেদনা। পূজ সামান্য অথবা হালকা হলুদ রং এর। বিষ প্রদাহ চামড়ার চারদিকে। কাল বেগুনী রং এর পুরাতন ক্ষত চিহ্ন। তৃষ্ণাহীন অথবা তৃষ্ণাবৃদ্ধি সামান্য পরিমাণ জলের। বৃদ্ধি-সকালে উপশম ঠান্ডা পানিতে, চাপে, বাম পাশে ।
আরও পড়ুন – অ্যাডাল-১২ (চর্ম রোগ)
আর্সেনিক (Arsenic) :- চিমনি সুইপার ক্যান্সার (অন্ডকোষের ক্যান্সার)। বিভিন্ন প্রকার বিষপ এই সম্প্রদায়ের, বিশেষ উপকারীজনক আর্সেনিক দিয়া চিকিৎসায়। ক্যান্সারের ক্ষত অবস্থায় ইহার অনুরূপ বৈশিষ্ট্যমূলক লক্ষণানুসারে ব্যবহার করিতে হইবে। (লয়ুরী)।
টিউমার, দূষিত, ধ্বংসকারী, সহজে রক্ত ক্ষরন। রক্ত ক্ষরন যুক্ত। কাল ফুস্কুরী অথবা ব্রণ টিউমারে অথবা ক্ষতের চারিদিকে। প্রধান কৃষতা অত্যাধিক দুর্বলতা, চর্মের বিবর্ণতা, মোমের মত, শুকনা এবং কর্কশ। অতিরিক্ত দুর্বল অবস্থা। ঘুমের ঘোরেও যন্ত্রনা অনুভব করে, তীর বিদ্ধের মত যন্ত্রনা বা ছুরি ঢুকানো যন্ত্রনা, প্রচুর পূজ, জলের মত রক্তের মত ক্ষত কারক। বৃদ্ধি-সন্ধ্যায় এবং রাত্রে, ঠান্ডাতে। উপশম-গরমে। গ্রীবার লিম্ফোমা, চর্ম ইহার উপরে গর্তযুক্ত। (লিলিয়েস্থাল)।
এপিথেলিয়াল ক্যানসার ঠোঁটের উপর মুখমন্ডলে এবং জিহ্বায়, আর্সেনিক বিনা প্রশ্নে প্রমানিত আরোগ্য কারী এবং যাহা কদাচিত ঘটেনা।২৪২ (ডাঃ হুঘেশ)।
বেলোডোনা (Belladonna) :– ফরাস শক্ত জাতীয় ক্যানসারাস ক্ষতে স্পর্সে জ্বালা যন্ত্রনা, কাল মামারী রক্তের স্বরের নিচে। সামান্য পূজ । (লিলিয়ে স্থাল)।
আরও পড়ুন – বায়ো-কম্বিনেশন ২০ (চর্ম, ত্বক, ব্রণ, হারপিস)
ব্রায়োনিয়া (Bryonia) :- অলস টিউমার যাহা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি, ধীর সহ এবং অসম্পূর্ণ পাকা ৷ (লিলিয়ে স্থাল)ভ
ক্যালকেরীয়া-কার্বোনিকাম (Calcarea Carbonicum) :- ইহার বিশ্ময়কর ব্যবহার উপশমকারী এবং দমন করে দুই ক্ষতের, যেখানে দুষ্ট ক্ষতের মূল শক্ত জাতীয় ৷
কার্বোলিকাম এসিডাম (Carbolicum Acidum) :- চর্ম উত্তপ্ত বা ক্লেশকর এবং অন্য লক্ষন দেখা দেয়, জ্বালা, ঝন ঝন করা, চুলকানী এবং অবশবোধ। গলিত নির্গত। প্রস্রাব অত্যন্ত কাল অথবা জলপাই সবুজ রং এর। (ডাঃ চূগা)।
ক্রোমিকাম (Chromicum Acidum) :- ইহা দেখা যায় প্রয়োজনীয় ক্যানসারে, আঁচিল ইহার উপরে। ৩x দুই অথবা তিন বার দিনে সুপারিশ করেন। (ডাঃ চূর্গা)।
সিকুটা (Cicuta) :- এপিথেলিওমা বৃদ্ধিতে মধূর রং এর মামরী সহ আবৃত থাকে । বৃদ্ধের জন্য যথোপযুক্ত এবং শিশুর।
কন্ডুরাঙ্গো (Condurango) :- এটি উন্মুক্ত ক্যানসার বা ক্যানসারাস ক্ষতে খুবই কার্যকরী। এটি যন্ত্রনাটি সহনীয় করে। চোখের নিচের পাতার এপিথেলিয়াল ক্যানসার নাকের বাম দিকের ঠোঁটের ক্যানসার, অপরিচ্ছন্ন শোষযুক্ত ক্ষত সহ চারিদিকে শক্ত ফোলা, জ্বালা যুক্ত যন্ত্রনা। ঠোটের কোন দুইটি যন্ত্রনা যুক্ত ফাটা । গালের ক্ষতে মাড়ী ফুটো হয়ে যায়। গালে শক্ত মাংস, জিহ্বার ক্যানসার ডাঃ জোন্স এক আউন্স জলে ৫ ফোটা হিসেবে ৩ ঘন্টা অন্তর দিতে বলেন। শক্তি ১x, ৩x, ৩, ৬, ১২, ৩০ ।
ইহা দেখা যায় ইহার প্রধান ব্যবহার ক্যানসার আরোগ্য কারী হিসেবে বিশেষত যে ক্যানসার এর উৎপত্তি এপিথেলিয়াল কাঠামো থেকে ।
(ক্লার্ক)।
স্কিরাস এবং উন্মুক্ত ক্যানসার। ইহা অদ্বিতীয় আরোগ্যকারী, উপশম করে জ্বালা এবং হুলফুটানো যন্ত্রনা দায়ক ক্যানসার। (লিলিয়েন্থাল)।
আরও পড়ুন – কেন্ট ১৮ (চর্ম রোগে কার্যকর)
ডালকামরা (Dulcumra) :- যখন ক্যানসার হয় ফুস্কুরির প্রতিক্রিয়া যনিত কারনে এর রোগীটির রোগ বৃদ্ধি ঠান্ডা হইতে এবং স্যাত স্যাতের থেকে।(ডাঃ চূগা)।
গেলিয়াম-এপারিন (Galium – Aparine):- এপিথেলিওমা, ধীর ইহার বৃদ্ধি, গীট স্থাপন করে উপরিভাগের চারিদিকে। (লিলিয়েন্থাল)
ইহার শক্তি আছে স্থগিত করা অথবা পরিবর্তন করা ক্যানসারের কাজে । দৃঢ়মূল চর্মের পীড়া। (বরিক)।
গ্রাফাইটিস (Graphitis) :- ডিসকেরিয়া সহ সেই ব্যক্তির টিউমার। আব, মসৃন, এবং চকচকে মাথার উপরের চামড়ায়। লোমুকূপের পূজ কোষ বিশেষ করে যখন এথেরোমেটাস, পূজ সামন্য বা অপ্রতুল এবং ঘ্রান আসে সমূদ্রের মাছের লবনাক্ত জলের । সংযোজক কলার স্কেলেরোসিস। (লিলিয়েন্থাল)।
আরোগ্য সহযোগী হয় যখন ক্যানসার ক্ষতের শক্ত মূলে জ্বালা যন্ত্রনা, উত্তপ্ত কলা এবং পুরাতন ক্ষতের চিহ্ন তখন ইহার প্রধান প্রয়োজনীয়তা ক্যানসারাস বৃদ্ধিতে এবং নালীক্ষতে । (কেন্ট)।
মোটা, অসস্তিকর ঠান্ডা এবং কোষ্ঠবদ্ধ রোগীর। যে কোন আঘাত এ নালী ক্ষতের সৃষ্টি । ক্যানসার সহযোগী ফুস্ফুরী থেকে প্রবাহিত হয় ঘন মধুর মত রস বা জলিয় পদার্থ।
গুরানা (Gurana) :- লিউপাসে এটি প্রয়োজনীয় যখন ইহা হয় গিরিমাটি বিশেষ লাল রং এর, হলুদ দাগ সহ, কপালের পার্শ্বদেশের উপরে । ২০ ফোটা মাদার টিং চার- অর্ধ গ্লাস জলের মধ্যে-১ চা চামস ২ঘন্টা পর পর সুপারিশ। (ডাঃ চূগা)।
হিপার সালফ (Hepar Sulpher) :- ক্ষতকারক যন্ত্রনা ক্যানসারাস ক্ষতে, সামান্য স্পর্শে রক্তক্ষরণ, হলদে চর্ম এবং গাত্রবর্ণের রং। মুখের চারিপার্শ্বে ফোস্কা, ঠোঁট এবং চিবুক যাহা যুক্ত করে ক্যানসারের ক্ষতে। তাড়াতাড়ী বিস্তার, চাপবোধ এবং বিরামহীন ভোতা যন্ত্রনা পাকস্থলীতে, খাবার পর প্রশমিত ।(লিলিয়েস্থাল)।
আরও পড়ুন – কেন্ট ৩৪ (চর্ম রোগে কার্যকর)
অতিরিক্তি সংবেদনশীলতা সামান্য স্পর্শে। বায়ূর শুষ্কতা, ক্যানসারের ক্ষতে যন্ত্রনা। (ডাঃ চূগা)।
হাইড্রাসটিস (Hydrastis) :- এই আরোগ্য সদৃশ্য কি? জুসেট নিরুপন করেন এপিথেলিয়াল প্রবনতায় এবং নিশ্চিত হয়, বিশেষ মূল্য এপিথেলিওমাতে। (দে)।
এটি আরোগ্যকারী হিসেবে প্রয়োজন, দুষ্ট ক্ষত চিকিৎসায় ইহা যদিও আরোগ্য করেনা তবুও রোগীকে পুনঃ পুনঃ প্রচুর শান্তনা দেয়, কারণ ইহা দূর করে তীব্র দূর্গন্ধ, পরিবর্তন করে যন্ত্রনা এবং দমন করে সাংঘাতিক অবস্থা। (কেন্ট )
চর্ম হয় সংযুক্ত, দেখতে নানা বর্ণের ছাপযুক্ত এবং কোঁচকানো । (চৌধুরী)।
ক্যানসার শক্ত, সংযুক্ত, চর্ম নানাবর্ণের ছাপযুক্ত কুঁচকানো কেটে ফেলার মত যন্ত্রনা, ছুরি দিয়ে কাটার মত। ক্ষত বসে যায় ভিতরে, যেখানে ইহা দোষ যুক্ত পুস্টি নিয়ন্ত্রন করে এপিথেলিওমাতে। (বরিক)।
হাইড্রোকোটাইল (Hydrocotyle) :- লিউপাস ক্ষত শূন্য । ইহা ছড়ায় নাকের উপর দিয়া, চামড়া হয় মোটা এবং মাথার উপরে চামড়ার ছাল ওঠা এবং প্রচুর ঘর্ম। নিম্ন শক্তির পরামর্শ (ডাঃ চূগা)।
হাইপেরিকাম (Hypericum) :- নালিঘা যুক্ত ক্যানসার স্পর্শাসহিষ্ণু। (ডাঃ চূগা)।
কেলি-আসোনিকাম (Kali – Arsenicum) :- অনেক দিন ক্যাপি-আর্স ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করলে সোরিয়াসিসের জন্য এপিথেলিয়াল ক্যানসার ঘটায়। শুকনা পুরাতন এ্যাগজিমা । সোরিয়াসিসের অসংখ্য জেবরা দাগ। প্রচুর চুলকানি, জেবরা দাগ গুলি আরও সক্রিয় হয়, মাথার উপরে চর্মে এবং ছোটগুলি স্থানান্তরিত হয়। তারা চলে গেলে ও লাল থেকে যায। (ক্লার্ক)।
ক্যালি-আর্সের রোগি ম্যথায় উঠা রোগ হয়। চর্মের ক্যান লাল দাগ থেকে যায় । ধাবিত হয় এবং চর্ম তা আশংঙ্কা জনক কোন রকম বাহিরের লক্ষন ছাড়া ামড়ার নিচে অসংখ্য গীট বা নডিউলস।
কেলি-ফসফরিকাম (Kali-phosphoricum):- স্মরণ রাখতে হবে এটি আরোগ্যকারী সন্দেহজনক ম্যালিগন্যান্ট টিউমার এর ক্ষেত্রে। ক্যানসার যখন আরোগ্য শুরু হয়, চর্ম টান টান থাকে ক্ষতটির উপর।
আরও পড়ুন – টেল্যুরিয়াম ৩x (চর্ম রোগে কার্যকরী)
ল্যাকেসিস (Lachesis) :- ক্যানসারের নালীক্ষতে, ঘাতে, অথব পচনশীল মাংসে, যাহা হাড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয় এবং খন্ড খন্ড হইয়া যায়। ক্ষত অত্যন্ত স্পর্শাসহিষ্ণু, নিচটি অসমতল, ক্ষত হইতে তীব্র দূর্গন্ধযুক্ত জলীয় পদার্থ নির্গত। পচা ঘায়ে আক্রান্ত ক্ষত, ঘা, প্রদাহান্বিত জ্বরসহ, দ্রুত এবং সবিরাম, নাড়ী, মূৰ্চ্ছা, বমির ইচ্ছা, পিত্ত বমি, কাপুনী এবং ঠান্ডা ঘর্ম, লিউপাস এবং অন্যান্য চর্ম পীড়ায় চারিদিকে স্ফুস্কুরি, ফোস্কা এবং ছোট ক্ষত । (ক্লার্ক)।
ম্যালানোটিক,কলোয়েড এবং এনসেফালয়েড ক্যানসার। ক্ষতে স্পর্সাসহিঞ্চু, ক্ষত হইতে তীব্র দূর্গন্ধ যুক্ত জলীয় পদার্থ নির্গত। রক্ত কালো, জমাট বাধেনা। তীব্র জ্বালা, পচা ঘায়ে আক্রান্ত দাগ । (লিলিয়েস্থাল)।
ম্যালিগন্যান্ট ফুস্ফুরি । ১৮৫৩ খৃস্টাব্দে ব্রকলিনে অধিকতর শক্তিশালী অবস্থায়, প্রচুর বিস্তৃত স্থানে এপিড্যামিক অবস্থায় ম্যালিগন্যান্ট ফোস্কা ছড়াইয়া পানি। ডাঃ ডানহাম চিকিৎসা করেছিলেন শুধু ল্যাকেসিস সকল রোগীই উদ্ধার করেছিলেন অতি তাড়াতাড়ী (লিলিয়েছাল)।
ছোট ক্ষত চারিদিকে বিস্তৃতি, পুরাতন ক্ষতের চিহ্নে যন্ত্রনা। বেদনা অথবা জ্বালা ক্ষত স্পর্শ করিলেই। টিউমার এর নিকটের চর্ম-কাল শিরাযুক্ত অথবা লাল বর্ণের ছাপযুক্ত দেখতে।
মেলানোসিস, কলোয়েড অথবা এনসেফালয়েড ক্যানসার। পচা ঘায়ের আক্রান্ত স্পট (গ্যাংগ্রিনিয়াস স্পট) (লিপিনো স্থান)।
ক্যানসারে নীলচে অথবা কালো রং এ পরিবর্তিত, পুনঃ পুনঃ প্রচুর রক্ত ক্ষরণ এবং জ্বালা। অনেক পীড়াতে প্রস্রাবে রক্ত আসে। ইহা নিদর্শন করে রক্ত ভাঙ্গা অবস্থার । (ই,বি ন্যাম)।
নাইট্রিকাম এসিডাম (Nitricum Acidum) :- ক্যানসার এর ক্ষতে হয়ত আরম্ভ অবস্থায় নয়ত অগ্রগামী অবস্থায় এক বা একাধিক ঔষধসহ জরুরী চিকিৎসায় এটি পুনঃ পুনঃ প্রমাণিত। ঐরূপ পূর্বের চিকিৎসার পর কমপক্ষে ৬ দিন পার হওয়ার পর ২য় ডোজ ব্যবহার্য্য(যদি কোন ফল না পাওয়া যায়) অথবা ৬দিন পর পরবর্তী ডোজ ব্যবহার্য্য (যদি কোন ফল না পাওয়া যায়) পররবর্তী ডোজ ব্যবহার্য্য। (রোগ তখন উন্নতি হওয়া উচিত এবং প্রতিদিন উন্নতি হবে) সালফার হয় অত্যাবশ্যকীয় মধ্যবর্তী ঔষধ হিসেবে। (দেউরী)।
পেনিসিলিন (Penicilline) :- আমি দেখছি প্রয়োজন যেখানে ক্যানসারের প্রচুর শক্ততা এবং পাকিয়া পূঁজ হওয়ার প্রবনতা, অত্যাধিক যন্ত্রনা এবং পূজঁ তৈরী হয় এবং পচাইয়া দেওয়ার অবস্থা, বিশেষ করে সেখানে এলোপেথিক পেনিসিলিন ইনজেকশন রোগীকে দেওয়া হইয়াছে। (ডাঃ চূগা)।
পেট্রোলিয়াম (Petroleum) :- শীতকালের ক্ষুদ্র উদ্ভেদ দমন হইয়া যদি ক্যানসার হয়। বালিকাদের ক্লোরোসিস ক্ষতসহ অথবা ক্ষত বিহীন পাকস্থলী, চর্মের চির বা ফাটা ইত্যাদি । (ডাঃ চূগা)।
ফসফরাস (Phosphorus) :- ছত্রাক এবং রক্তক্ষরণ বিবৃদ্ধিতে । ছত্রাক হেমাটয়েডস । (দে)।
কন্ডাইলোমেটা বা শ্লেষ্মাগোটা, ডুমুরে আঁচিল, ক্ষুদ্রমাংসাকুর বৃদ্ধি জননেনন্দিয়ে এবং যোনিতে। রক্ত ক্ষরণকারী আঁচিল। ইরেকটাল টিউমার, বাহিরের জননেন্দ্রিয়ের রক্তক্ষরণ সহ। ফাইব্রয়েড টিউমার স্তনের, যন্ত্রনা দায়ক গীট মামারীতে। ফাইব্রয়েড টিউমার জরায়ুর প্রচুর রক্তপাত সহ। প্রয়োজনীয় ক্যানসার এর ক্ষতে যাহাতে রক্তপাত হয় এবং ছত্রাক আবির্ভাব। (কেন্ট)
আরও পড়ুন – এন – ৬৫ (চুলকানী যুক্ত চর্মরোগে কার্যকর)
ফাইটোলেক্কা (Phytolacca) : ক্ষত দেখতে ছিদ্রকর, চর্বীর মত মূল, ক্ষত হতে দূর্গন্ধযুক্ত জলীয় পদার্থ নির্গত। সিফিলিটিক ক্যানসার। সিফিলিটিক ক্ষুদ্র উদ্ভেদ এবং নালী ঘায়ের ২য় এবং ৩য় অবস্থা। Squamus eruption, tinea Capitis, shingles, itch, pityriasis, posoreasis, slowly disquamating ending up in a purple spot যদি পুরাতন টি মরে যায় নতুন একটি আসে । যন্ত্রনাহীন টিউমার দমন করে। (ক্লার্ক)।
স্কোলোপেনড্রা (Scolopendra) :- ম্যালিগন্যান্ট ফুফুরী। একটি বড় কালো দাগ হয়, ইহার মধ্যে খানে ইসার (eschar) হয় যাহা ৫(পাঁচ) ফ্রাঙ্ক পিচের মত । লিম্ফ্যাটিক গ্রন্থি ফোলা ইহার সাথে। ম্যালিগন্যন্টস্ স্ফুস্কুরি। (ক্লার্ক)
সাইলিসিয়া (Silicea):- ক্যানসার ক্ষত, তীব্র দূর্গন্ধ যুক্ত। ম্যলিগন্যান্ট পাকিয়া পূজযুক্ত বিশেষত ঝিল্লিতে। পিস্টওরা (Carbuncles) দুস্ট প্রকারের টিউবারাস দাগ চামড়ায়, হালকা লাল রং এর। (ক্লার্ক)।
আধা দুস্ট এবং ক্যানসারাস টিউমার, স্কিরাস জাতীয় শক্ত উপরের ঠোঁটে এবং মুখমণ্ডলে। সিবাসিস এবং সাইনোবিয়াল পূজকোষ (Cyst) ফাইব্রয়েড টিউমার, ইপিউলিস (Epulis), এনসেফালোমা ওকুলী (Encephaloma oculi) রক্ত ফোড়া এবং আঁচিল, গেলিও ম্যাটোসিস (Gliomatosis)।(লিলিয়েস্থাল)।
লিউপাস এবং সার্কোমা যাহাতে পুরু হলুদ রং এর রস এবং তীব্র দূর্গন্ধ নির্গত (ডাঃ দূর্গা)।
আরও পড়ুন – সালফার আয়োড ৩x (চর্মপীড়ায় কার্যকরী)
স্ট্যাফিসেগ্রিয়া (stafisagria):- ঠোঁট ক্ষত যুক্ত এবং মরামাস জ্বালা যন্ত্রনাসহ, যন্ত্রনা দায়ক ক্ষুদ্র মাংসাকুর গালের ভিতরে স্কার্ভি, সিফিলিস এবং পারদ বিষক্রিয়া । (লিলিয়েস্থাল)।
স্টিলিনজিয়া-এস (stillingia-s) :- অধ্যাপক রবার্ট এস. নিউটন, নিউ ইয়ার্ক সিটির একজন বিখ্যাত ক্যানসার বিশেষজ্ঞ তাহার জীবনে বহু ক্যানসার এবং সিফিলিস এই ঔষধ প্রয়োগে আরোগ্য করেছেন। (ডাঃ চুর্গা)।
স্ট্যামোনিয়াম (Stramonium) :- উন্মুক্ত ক্ষতের কিনার শক্ত, উঁচু এবং অপারেশনের পর সবুজ বমি, মলমূত্রাদি ত্যাগ বন্ধ, পশুর মত চাহনি, অন্ধকারে অত্যন্ত বিরুপ ভাব।
সিফিলিনাম (Syphilinum) :- ক্যানসার চিকিৎসায় এটি দরকারী। বৃদ্ধি সূর্যাস্ত হইতে সূর্যদয়, ছাইয়া রং ক্ষতের মূলে, ফোড়া হতে বিরক্তকর দূর্গন্ধ স্রাব। বার বার ফোড়ার আগমন হয়। (ডাঃ চূর্গা)।
থুজা (Thuja) :- রক্তক্ষরণ যুক্ত ছত্রাক বৃদ্ধি। ছত্রাক টিউমার অরবিটের, এপিথেলিযাম এর নানা প্রকার এবং কলিফ্লাওয়ার মাংসবৃদ্ধি। ডাঃ হেলম্ফিথ মনে করেন থুজা মুলল্যবান সারকোমা, পেপিলোমেটা, নাকের এবং কানের আর চিকিৎসার ক্ষেত্রে।
জিঙ্কা-মেটালিকাম (Zincum-Metalieum) :- চঞ্চল অনুভূতি পা এবং চিচের অঙ্গে ফুস্কুরী দমনের পর, এগুলি জিঙ্কোর নিদর্শণ। (ডাঃ চুগা)।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।