Ustilago Maydis Mother Tincture Q
অস্টিলাগো মেডিস মাদার টিংচার
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো “ অস্টিলাগো মেডিস মাদার টিংচার” হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
অস্টিলাগো মেডিস হোমিওপ্যাথি মাদার টিংচার সম্পর্কে ধারণা :
পরিচিতি : কর্ন স্মুট এই নামেও পরিচিত।
প্রস্তুত প্রনালী : ছত্রাক অস্টিলাগো মেডিস ভারতীয় ভুট্টা পাওয়া এক ধরনের ছত্রাক কর্ন স্মুট থেকে অস্টিলাগো মেডিস মাদার টিংচার তৈরি করা হয়েছে।
অস্টিলাগো মেডিস ঔষধের ব্যবহার : অস্টিলাগো মেডিস একটি সুপরিচিত ওষুধ যা যৌন অঙ্গ সম্পর্কিত ব্যাধিগুলির চিকিৎসায় সহায়ক। এটি ব্যবহার করে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় করা হয়।
এটি মহিলাদের যৌনাঙ্গে (প্রজনন অঙ্গ) চিহ্নিত প্রভাব সহ একটি কার্যকর এবং অ্যান্টি-সাইকোটিক। কঠিন মাসিকের, ওভারাইটিস, গর্ভাশয়ে ক্র্যাম্পিং ইত্যাদিতে কার্যকরী। এছাড়াও চুল পড়ার জন্য একটি সুপরিচিত প্রতিকার হিসাবে কাজ করে।
অস্টিলাগো মেডিস ঔষধের উপকারিতা :
এই ছত্রাকটি প্রায়ই মহিলাদের যৌনাঙ্গের স্নেহের জন্য হোমিওপ্যাথিক একটি প্রতিকার হিসাবে কাজ করে। এই ঔষধের ব্যবহারগুলি হল, অনিয়মিত মাসিক রক্তপাত (প্যাসিভ, নন-প্যাসিভ, স্ট্রিং ব্লিডিং), ডিম্বাশয়ে জ্বালা, কালো পিরিয়ড এবং ডিম্বাশয় অথবা গর্ভাশয়ে ব্যথা, যার মধ্যে ক্র্যাম্পিং অন্তর্ভুক্ত।
অস্টিলাগো মেডিস এর ইঙ্গিত :
(১) মহিলাদের অপর্যাপ্ত বুকের দুধে কার্যকরী।
(২) ওভারিয়ান টিউমার ও কঠিন মাসিক
(৩) অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা, কোরিজা।
ডাঃ বিকাশ শর্মা অস্টিলাগো মেডিস সুপারিশ করেছেন
(ক) সেরা রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
(খ) প্রচুর, গাঢ় রক্তের সাথে অস্বাভাবিক জরায়ু রক্তপাতের ক্ষেত্রে কার্যকর।
(গ) অ্যাডেনোমায়োসিসে গাঢ় রঙের মাসিক প্রবাহ পরিচালনায় চমৎকার ওষুধ।
(ঘ) কালো জমাট রক্ত মেনোপজের ভারী সময়কাল সংজ্ঞায়িত করে তখন সবচেয়ে ভাল প্রতিকার।
(ঙ) জরায়ু ফাইব্রয়েডের যেখানে মাসিকের রক্তপাত অন্ধকার সেখানে অত্যন্ত উপযুক্ত ওষুধ।
(চ) হস্তমৈথুনের জন্য অপ্রতিরোধ্য আকাঙ্ক্ষা উস্টিলাগো ওষুধ দিয়ে চিকিত্সা করা হয়।
ডা: গোপি অস্টিলাগো মেডিস সুপারিশ করেছেন
(১) জরায়ুর ক্যান্সারের জন্য অস্টিলাগো মেডিস মাদার টিংচার এটি একটি সংবেদন সহ যেন ফুটন্ত জল পিঠ বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে এবং সহজেই রক্তপাত হয়।
(২) অস্টিলাগো মেডিস ৩০ মাসিকের জন্য খুব কার্যকর হলেও ডিম্বাশয় জ্বালা খুব তাড়াতাড়িকাজ করে। মাসিকের সময় চরম ব্যথা করে।
(৩) ফাইব্রয়েড জরায়ুতে আন্তঃ-ঋতুস্রাবের রক্তক্ষরণের চিকিৎসার জন্য অস্টিলাগো মেডিস সর্বোত্তম ঔষধ, যেখানে সামান্য প্রবাহে প্রবাহিত হয়।
অস্টিলাগো মেডিস রোগীর প্রোফাইল :
(ক) মাথা : মাথায় পূর্ণতা অনুভূতি, মাসিক অনিয়মের কারণে স্নায়বিক মাথাব্যথা। অত্যধিক ল্যাক্রিমেশন সহ চোখের গোলায় ব্যাথা করে।
(খ) পুরুষ : কটিদেশীয় অঞ্চলে নিস্তেজ ব্যথা ও প্রচণ্ড হতাশা এবং মানুষিক বিক্রিতি। অনিয়ন্ত্রিত হস্তমৈথুন, কামোত্তেজক অভিনব এবং প্রেমময় স্বপ্নের সাথে অত্যধিক অনিচ্ছাকৃত বীর্যপাত করে। হস্তমৈথুনের অপ্রতিরোধ্য প্রবণতা সহ নির্গমন করে।
(গ) মহিলা : যোনি থেকে রক্তপাতম রক্ত কালো, জমাট বাঁধা, লম্বা কালো ও স্ট্রিং তৈরি করে। জরায় থেকে সহজেই রক্তপাত হয়। প্রসবের পরে রক্তক্ষরণ, প্রচুর সাদা স্রাব, ভিকারিয়াস মাসিক, ব্যথা ও ফোলা সঙ্গে
(ঘ) ডিম্বাশয় জ্বলা সংবেদন, গর্ভপাতের পরে প্রচুর মাসিক। সামান্য উস্কানি থেকে রক্তের স্রাব। উজ্জ্বল লাল রক্ত আংশিক জমাট বাঁধা।
(ঙ) জ্বর : জ্বর প্রথমে স্পন্দন ত্বরান্বিত হয় এরপর দুর্বল হয়, বুক ধড়ফড় করে, প্রচুর ঘাম।
(চ) অঙ্গপ্রত্যঙ্গ : পিঠ বরাবর ফুটন্ত পানি আছেত এই রকম অনুভূতি সহ পেশী দুর্বলতা। পেশী সংকোচন তা বিশেষ করে নিম্ন অঙ্গের।
(ছ) ত্বক : ত্বক শুষ্ক একজিমা, তামার রঙের দাগ, খিটখিটে সংবেদন, রোদে পোড়া, সোরিয়াসিস, চুল পড়া, ছোট ছোট ফোঁড়া হওয়ার প্রবণতা।
সতর্কতা : সঠিকভাবে গ্রহণ না করলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। যৌন কর্মহীনতার ক্ষত্রে ডোজ ১৫ থেকে ৩০ মিলিগ্রামের মধ্যে হওয়া উচিত। ১০০ মিলিগ্রাম ডোজ বিপজ্জনক হতে পারে এবং আতঙ্কিত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, এর ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। লিভার, কিডনি, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বয়স্কদের চরম সতর্কতার সাথে এই ঔষধটি ব্যবহার করা উচিত।
চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন।
সতর্কতা : সাধারণত গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যপান করানোর সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়|
শর্তাবলী হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : হোমিওপ্যাথি সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করে কারণ এটি নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। তবে প্রতিটি ওষুধ চিকিৎসকের নিয়ম মেনে খেতে হবে।
অন্যান্য ঔষধ : আপনি অ্যালোপ্যাথি ওষুধ, আয়ুর্বেদিক ইত্যাদির মতো অন্যান্য ওষুধে থাকলেও ওষুধ খাওয়া নিরাপদ।
হস্তক্ষেপ : হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি কখনই অন্য ওষুধের ক্রিয়াকলাপে হস্তক্ষেপ করে না।
ঔষধ সংরক্ষণ : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর বেশি নয় একটি স্থির তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত।
ঔষধের গুণগতমাণ : এটি একটি প্রাকৃতিক পণ্য, এটি কখনও কখনও সামান্য বৃষ্টিপাত অথবা মেঘলা হতে পারে, কিন্তু এটি পণ্যের গুণমান এবং এর কার্যকারিতা প্রভাবিত করে না। যদি এটি ঘটে তবে পণ্যটি ব্যবহার করার আগে ভালভাবে ঝাঁকি নিন। একবার আপনি সীলটি ভেঙে ফেললে, ওষুধগুলি দ্রুত ব্যবহার করা উচিত।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।