বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

 কেলি সাফফিউরিকাম

আরোগ্য হোমিও হল / ২০২ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ৬:৪৩ পূর্বাহ্ন

কেলি সাফফিউরিকাম (Kali Sulphuricum)

ভিন্ন নাম – পটাশিয়াম সালফেট , কেলি সালফ, পটাশি, সালফাস।

উপদান : Potassium Sulphate of Potash

রাসায়নিক ফর্মূলা : K2SO4

কেলি সাফফিউরিকাম ঔষধটির ক্রিয়াস্থল : বিশেষত: চর্ম এবং শ্বাসতন্ত্র।

কেলি সাফফিউরিকাম ঔষধটির বিশেষত্ব : যে কোন পীড়ায় পুংজননেন্দ্রিয়, মলদ্বার ফোঁড়া, কার্ব্বংকল, শ্বাসনালীর পীড়া প্রভৃতিতে যদি নি:সৃত স্রাব বা গয়ার হরিদ্রা বা সজুজ বর্ণের পিচ্ছিল হয় তাহা হইলে ইহা অতি উৎকৃষ্ট ঔষধ। ইহার জিহ্বাতেও হরিদা বর্ণের পিচ্ছিল লেপ থাকে। সন্ধ্যাকালে, গরম বদ্ধ ঘরে পীড়া লক্ষণের বৃদ্ধি, এবং মুক্ত শীতল বাতাসে, মাঝ রাতের পর এবং সর্বপ্রকার শীতলতায় পীড়া লক্ষণের হ্রাস হওয়া এই ঔষধের প্রধান প্রয়োগ লক্ষণ। লুপ্ত চর্মপীড়া বাহির করার ক্ষমতা ইহাতে বিশেষভাবে আছে। মোট কথা কেলি সালফের স্রাবম পীড়া লক্ষণের হ্রাসবৃদ্ধি, লুপ্ত উদ্ভেদের পুনরুঙ্খান ক্ষমতা, শুস্ক ও খসখসে চর্মকে মসৃণ করার ক্ষমতা এবং বেদনার প্রকৃতি এই সকল বিষয় মনে থাকিলে এই ঔষধের অধিকার ভুক্ত সকল রোগেরই চিকিৎসা সহজসাধ্য হইবে।

কেলি সাফফিউরিকাম ঔষধটির প্রয়োগ নির্দেশেকা : চর্মের উপর এর তীব্র ক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। চর্ম থেকে মাছের আঁশের মত পর্দা উঠে, চর্ম অমসৃণ হয়ে যায়। মাথায় খুশকি হয় ও চুল উঠে। এছাড়াও বুকে ঘড় ঘড় শব্দযুক্ত হাঁপানী, বাতজ্বর, অগ্নিদগ্ধের তৃতীয়াবস্থায় যখন ক্ষত থেকে রক্ত ও হলুদ বর্ণের স্রাব বের হয়, বৈকালীন জ্বর এবং সে সাথে হাত পা চোখ মুখে জ্বালা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ঔষধটি বিশেষভাবে কার্যকর। বসন্ত, হাম ইত্যাদির দানা/গুটিগুলি কোন কারণে বসে গেলে এই ঔষধটি ব্যবহারে দানাগুলো পুনরায় বের হয়ে আসে। প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম অকজালেট বর্তমান থাকলে এবং ক্যালিসালফের অন্যান্য লক্ষণে এই ঔষধটি বিশেষ ভাবে ফলপ্রদ হয়ে থাকে।

কেলি সাফফিউরিকাম ঔষধটির পরিচায়ক লক্ষণ :

১/ এই ঔষধের অধিকারভূক্ত যাবতীয় পীড়ার লক্ষণেই বৈকালে, উত্তপ্ত রুদ্ধ গৃহে, তৈলাক্ত দ্রব্য ভক্ষণে বৃদ্ধি এবং মধ্যরাত্রির পর, শীতল উন্মুক্ত বায়ূতে ও শীতল স্থানে হ্রাসপ্রাপ্ত হয়।

২/ যে কোন পীড়ায় যে কোন স্থন হইতেই স্রাব নি:সৃত হউক না কেন, যদি ইহা পিচ্ছিল হরিদ্রা বা সবুজবর্ণের হয়, তাহা হইলে এই ঔষধ বিশেষ উপযোগী জিহ্বাতেও পিচ্ছিল হরিদ্রাবর্ণের লেপ থাকে।

৩/ শ্বাসনালীল যাবতীয় পীড়ায় পূর্বোক্ত প্রকারের গয়ার এবং হ্রাস বৃদ্ধির লক্ষণ থাকিলে। বক্ষে ঘড়ঘড় শব্দ হয়। কাশিতে কাশিতে অনেক কষ্টে দুশ্ছদ্য হরিদ্রাবর্ণের শ্লেম্মা গলায় অসিয়া আবার ভিতরে চলিয়া যায়। কখনও বা অতি সহজে প্রভৃত শ্লেম্মা উঠে।

৪/ স্নাযুশূল, বাত অথবা যে কোন প্রকারের বেদনাই হউক না কেন, যদি বেদনা স্থান পরিবর্তনশীল হয়।

৫/ বসন্ত ও হামের যখন দানা সকল বসিয়া যায়, অথবা কোন কারণে না উঠে।

৬/ চর্মরোগ কোন মলম ইত্যাদিতে বসিয়া যাইবার পর কেন পীড়া হইলে ইহার দ্বারা লুপ্ত চর্মরোগ পুন: প্রকাশিত হয়।

৭/সর্বপ্রাকারের জ্বরে হ্রাস বৃদ্ধির লক্ষনে ১ নং লক্ষণ দ্রষ্টব্য) দ্বারাই এই ঔষধ ব্যবহৃত হইযা থাকে। অতিশয় অস্থিরতা এবং শীতলতায় তাহার উপশ্রম। চর্ম শুস্ক ও খসখসে। পুরাতন জ্বর বৈকালে হাত পা চোখ মুখ জ্বালা করিয়া বেগ হয়।

৮/ ওলাউঠা পীড়ার প্রথমবস্থায়। কলেরায় যখন রোগী অতিশয় অস্থিরতা প্রাকাশ করে এবং উপশ্রম আশায় কেবল ঠাণ্ডা স্থানে থাকিতে চাহে ও শীতল জল পান করে, তখন অতি সুন্দর ঔষধ।

কেলি সাফফিউরিকাম ঔষধটির বৃদ্ধি উপশ্রম :

বৃদ্ধি : রুদ্ধ ও উত্তপ্ত গৃহে, বিশ্রামে, তৈলাক্ত খাদ্য আহারে, বিকাল ৫টা হইতে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত, তামাক ও অম্ল ফল ভক্ষণে।

উপশ্রম : শীতল বাতাসে, শীতল পানীয়, শীতল স্থানে, মাঝরাত্রের পর সঞ্চালনে, বেদনাযুক্ত স্থন চাপিয়া শয়ন করিলে।

সমন্ধ : জ্বর ও  প্রদাহিক পীড়ায় ফেরাম ফসের সহিত এবং শূল বেদনায় ম্যাগফসের পর এই ঔষধ ভাল খাটে। সর্দি

ও শ্বাস প্রশ্বাস ক্রিয়া সংক্রান্ত যন্ত্রের পীড়ায় কেলি মিউরনেট্রাম মিউরের সহিত এবং বক্ষের মোটা ঘড় ঘড় শব্দ ও পাকস্থলীর বেদনায় নেট্রাম মিউরের সহিত পার্থক্য নির্ণয় আবশ্যক। সাধারণ ভাবে সাইলিসিয়া ইহার উপযোগী ঔষধ।

শক্তি : সচরাচর 6X শক্তি ব্যবহৃত হয়। পুরাতন জ্বরাদিতে 12X এবং উপক্রম ও ব্যবহৃত হয়। তবে 28X শক্তির উপর কমই ব্যবহৃত হ।

কেলি সাফফিউরিকাম ঔষধটির বিশেষ বিশেষ পীড়ায় ব্যবহার : শ্বাসকাশ, ক্যাটারষ্ট, সর্দি কোরিয়া, অজীর্ণ, একজিমা, মাথার খুস্কী, এপিথিলিওমা, গ্লীট, গণোরিয়া, বাত, মাথাঘোরা, হুপিং কাশি, ম্যালেরিয়া জ্বর, কলেরা, অর্শ, হৃৎকম্পন প্রভতি কয়েকটি পীড়ায় ইহা ব্যবহৃত হয়।

কেলি সাফফিউরিকাম ঔষধটির তুলীয় : হোমিওপ্যাথিক ঔষধ পালসেটিলার সাথে হইার অনেক লক্ষণে সাদৃশ্য আছে। হ্রাসবৃদ্ধি ও স্রাবের প্রকৃতিতে উভয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। তাবে কেলি সালফের মেজাজ খিটখিটে এবং পালসের মেজাজ দিয়া ফল না পাইলে কেলি সালফ দিয়া আশাতীত ফল পাওয়া যায়। কেলি মিউরের পর প্রায়ই কেলি সালফ ব্যবহৃত হয়।

কেলি সাফফিউরিকাম ঔষধটির সেবন বিধি : প্রাপ্ত বয়স্কারা ৫টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩ অথবা ৪ বার। অপ্রাপ্ত বয়স্করা ৩টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩ অথবা ৪ বার কুসুম কুসম গরম পানির সহিত সেবন করতে হবে অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেনব করুন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এ ওয়েব সাইটের মুল উদ্দেশ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পের্ক কিছু দান করা বা তুলে ধরা। সাধারণ মনুষের উপকার হবে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ছাত্ররা উপকৃত হবেন। এ ওয়েব সাইটে থাকছে পুরুষ স্বাস্থ্য বা যৌনস্বাস্থ্য, গাইনি স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাদার টিংচার, সিরাপ, বম্বিনেশন ঔষধ, বাইকেমিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক বই, ইউনানি, হামদর্দ, হারবাল, ভেজষ, স্বাস্থ্য কথা ইত্যাদি। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev