শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন

অ্যাডাল-৪৩ (হার্টের দুর্বলতা ড্রপস)

আরোগ্য হোমিও হল / ১৩৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ৬:০৭ অপরাহ্ন
আডেল নং – ৪৩ (হার্টের দুর্বলতা ড্রপস)

Adele – 43 (Heart Weakness Drops)।

অ্যাডাল -৪৩ (হার্টের দুর্বলতা ড্রপস)।

প্রস্তুত প্রণালী :  জার্মান কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।

আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো অ্যাডাল– ৪৩ (হার্টের দুর্বলতা ড্রপস) কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

ব্যবহার : অ্যাডাল – ৪৩ নং ড্রপসটি কার্ডিওভাসকুলার ফংশন এবং বয়স সম্পর্কিত রক্ত সঞ্চালন সমস্যায় জনিত কার্ডিয়াক অপ্রতুলতা, এনজাইনা ও অন্যান্য কার্ডিয়াক সমস্যায় ব্যবহার করা হয়।

অ্যাডাল– ৪৩ ইঙ্গিত : কার্ডিয়াক অপ্রতুলতা, হার্টের পেশী দুর্বলতা, অ্যাপোলেক্সি, এনজাইনা পেক্টেরিস, আর্টেরিওসেক্লরোসিস, এক্সটাসিস্টোল, টাকাইকার্ডিয়া, কার্ডিয়াক, খিঁচুনি ইত্যাদিতে ইহা কার্যকর। এই ঔষধটি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই হৃদপিন্ডের রক্ত পাতলা ও রক্ত সংবহন সক্রান্ত লক্ষণগুলি দুর করতে সক্ষম। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপে হার্ট ও সংবহন সংক্রান্ত সমস্যায় একটি প্যাথোজেনিক সিস্টেমিক অবস্থা যা শরীর নিজে রোগ প্রতিরোধ করতে ব্যার্থ। ডিজেনারেটিভ অবস্থায় হৃদপিন্ডের পেশীকে দুর্বল করে এবং অ্যাপোলেক্সি অথবা হার্ট অ্যাটাক সহ হার্টেও সমস্যায় উপশ্রম করে ।

আরও পড়ুন – এইচ আর – ৪৪ (হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর)

অ্যাডাল  – ৪৩ কম্বিনেশন ঔষধের মিশ্রণ :
(১) আর্নিকা মন্টানা 4x (Arnica Mont 4x)।
(২) কালিয়াম কার্বোনিকাম (Calium Carbonicum 6x)।
(৩) কার্বো ভেজ 12x (Carbo Veg 12x)।
(৪) ক্র্যাটেগাস 6x (Crataegus 6x)।
(৫) ল্যাচেসিস মুটা (Lachesis Muta 12x)।
(৬) নেরিয়াম ওলেন্ডার 6x (Nerium Oleander 6x)।
(৭) নিকোটিয়ানা ট্যাবাকাম 6x (Nicotiana Tabacum 6x)।
(৮) পিউমাস বোল্ডাস 12x (Peumus Boldus 12x)।

আরও পড়ুন – কেন্ট ০৬ (হার্টের সমস্যয় কার্যকর)

অ্যাডাল – ৪৩ ঔষধের কার্যকারিতা :

(ক) আর্নিকা মন্টানা (Arnica Mont) : জমাট রক্তনালী এবং হাইপারটোনিক অথবা আপোলেক্সিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। প্রাইকোর্ডিয়াল উদ্বেগ, ডিসপেপটিক পরিস্থিতি ও স্পাস্টিক পেট ব্যথার সংবেদন গুলির সাথে এট এননাইনো পেক্টোরিস ও কার্ডিয়াকের প্রতিকার করে।

(খ) কালিয়াম কার্বোনিকাম (Calium Carbonicum) : এটি হৃৎপিন্ডের উদ্বেগ দুর করে, নাড়ির গতি অসঙ্গতি নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদপিন্ডের পেশীর দুর্বলতা এবং সংবহনতন্ত্রেরও বøকেজ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি হৃদপিন্ডের দুর্বলতা এবং হৃদযন্ত্রের অপ্রতুলতা থেকে মায়োক্যাডিয়াল ইনফার্ক পর্যন্ত উপসর্গ দুর করে।

(গ) কার্বো ভেজ (Carbo Veg): এটি কার্ডিয়াক পতন বিপদ দুর করে এবং রোমহেল্ড সিন্ড্রোম (গ্যাস্ট্রো কার্ডিয়াক) প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি মায়োকার্ডিয়াল দুর্বলতা এবং কার্ডিয়াক অপ্রতুলতার চিকিৎসা করে। বিচ্ছিন্নতা ও অপূর্ণ অক্সিডেশন এই প্রতিকারে সক্ষম।

(ঘ) ক্র্যাটেগাস (Crataegus) : হৃদপিন্ডের সমস্ত ক্রিয়াকলাপের জন্য কোনো ক্রমবধমান প্রভাব ছাড়াই এটি রক্তের ফ্লোকে ভারসাম্যপূর্ণ করে, রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করে ও অন্যান্য উপদানগুলির ক্রিয়াকলাপে সহায়তা করে। এটি রক্তনালীগুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। হৃৎপিণ্ডের সমস্যা নিরাময় করে।

আরও পড়ুন – র‌্যাক্স নং- ৫০ (হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা)

(ঙ) ল্যাচেসিস মুটা (Lachesis Muta) : এটি রক্তে সুপ্ত ও নির্ণয়যোগ্য সেপটিক উভয় অবস্থার চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। এটি হার্টকে সংক্রামক প্রবণতা থেকে রক্ষা করে যা এন্ডোকার্ডাইটিস ও মায়োকার্ডাইটিস হতে পারে, হৃদপিন্ডকে সম্পূর্ণরুপে অক্সিজেন ব্যবহার করতে সক্ষম করে অথবা রক্ত নালীগুলির কার্যকারিতা উন্নত করে।

(চ) নেরিয়াম ওলেন্ডার (Nerium Oleander) : এটি দীর্ঘস্থায়ী হৃদরোগের হুমকি বা চাপ কমাতে অত্যান্ত কার্যকর। এটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ মেটোরিজম, হৃদপিন্ডের দুর্বল ক্রিয়া আটকে থাকা ব্যথা, অস্থিরতা অনিদ্রা, হৃৎপিন্ডের উদ্বেগ,পরিপাকতন্ত্র ও মূত্রনালীর জ্বালা দুর করে করে।

(ছ) নিকোটিয়ানা ট্যাবাকাম (Nicotiana Tabacum): সংবহনতন্ত্রের দুর্বলতার বিরুদ্ধে কাজ করে এবং দুর্বল নাড়ি নিয়ন্ত্রণে ওলেন্ডারকে পরিপূরক করে, যার ফলে এনজাইনা পেক্টোরিস ও প্যাথোজিনিক সেক্লরোটিক পরিবর্তন প্রতিরোধ করে।

(জ) পিউমাস বোল্ডাস (Peumus Boldus) : এটি পিত্তথলির জন্য একটি শক্তিশালী উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে, এটি কনজেস্টিভ হার্ট এবং সংবহানতন্ত্রের বøকেজ থেকে মুক্তি দিতে এটি মুত্রবর্ধক হিসাবেও কাজ করে।

আরও পড়ুন – র‌্যাক্স নং- ৫১ (হৃদশূল)

অ্যাডাল নং – ৪৩ ঔষধ সেবন বিধি : প্রাপ্ত বয়স্করা জন্য ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা, শিশুরা ৭ থেকে ১০ ফোঁটা ১/৪ কাপ পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩ বার অথবা রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করতে হবে।

চিকিৎসকের কিছু পরারর্শ : ওষুধ খাওয়ার সময় মুখের কোনো তীব্র গন্ধ যেমন কফি, পেঁয়াজ, শিং, পুদিনা, কর্পূর, রসুন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খাবার/পানীয়/অন্য কোনো ওষুধ এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন।

শর্তাবলী : কম্বেনেশন হোমিওপ্যাথি ঔষধগুলি সাধারণত লক্ষণে উপর ভিভি করে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক সদৃশ্য বিধান একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেশি লক্ষণে সঙ্গে মিলিলে তবেই ব্যবহার যোগ্য। তা না হলে অবস্থার উপর নির্ভর করে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : এই ঔষধ সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

সতর্কতা : সুস্ক ও শীতল স্থানে সুগন্ধ-দুগন্ধ, আলো-বাতাস থেকে দুরে, শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক-কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev