বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন

গনোরিয়া বা প্রমেহ ও হোমিওপ্যাথি ঔষধ

আরোগ্য হোমিও হল / ৪৪৬ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৪, ৪:২৭ অপরাহ্ন
গনোরিয়া বা প্রমেহ ও হোমিওপ্যাথি ঔষধ

গনোরিয়া বা প্রমেহ ও হোমিওপ্যাথি ঔষধ
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো গনোরিয়া বা প্রমেহ এবং হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আজকের জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।

গনোরিয়া বা প্রমেহ ও হোমিওপ্যাথি ঔষধ

গনোরিয়া : গনোরিয়া বা প্রমেহ হলো এসটিআই বা যৌনবাহিত একটি রোগ। স্ত্রী-পুরুষদের প্রস্রাবনালীর অভ্যন্তরস্থ শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির প্রদাহ হয় সেখান থেকে পুঁজেরমত স্রাব নিঃসৃত (Discharge) হলে তাকে প্রমেহ বা গনোরিয়া রোগ বলে। এটি ‘নিসেরিয়া গনোরি’ নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে সৃষ্ট একটি রোগ। এ রোগের ক্ষেত্রে রক্তের সাথে জীবানুর সংস্পর্শ তেমন থাকে না। এটি বংশানুসারে সংক্রমিত হয় না। অবাধ যৌন মিলনের ফলে নারী-পুরুষের যৌনাঙ্গে এ রোগের জীবানু ক্ষত সৃষ্টি করে থাকে। যৌন মিলনের ফলে এক দেহ হতে অন্য দেহে স্থানান্তরিত হয়। রোগটি প্রথমে পুরুষের মূত্রনালীর পিছনের গর্ত ফসা-ন্যাভিকিউলারিস (Fosa nevicularis) নামক স্থানে আরম্ভ হয়ে ধীরে ধীরে মূত্রনালী, মূত্রথলি ও অন্ডকোষ আক্রান্ত হয়। পরে পুরুষের ইউরেথ্রেরার মিউকাস ঝিল্লি, মুখ গহবর গলা, চোখ ও পায়ুপথ সহ যে কোন পথেই ছড়াতে পারে। পুরুষের বন্ধ্যাত্ব করতে পারে।

নারীদের ক্ষেত্রেও মূত্রনালী (Urethra), মূত্রথলী (Urinary Bladder), জরায়ু (Uterus), ফ্যালোপিয়ান টিউব (Fallopian tube) ইত্যাদি আক্রান্ত হয় । আর শিশুদের ক্ষেত্রে গনোরিয়াগ্রস্ত মায়ের পেট থেকে সন্তান হবার সময় ইহার পুঁজ সন্তানের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন- চোখ, গলা, জয়েন্ট ইত্যাদিতে আক্রমণ করে। এটি গর্ভকালীন জটিলতা জটিলতা সৃষ্টি করে।

আবিস্কার : নিসেরিয়া নামক এক চিকিৎসা বিজ্ঞানী ১৮৭৯ সালে এ রোগের জীবানুটি আবিস্কার করেন। ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এ রোগের ঝুঁকি বেশী থাকে।

আরও পড়ুন –   নারী যৌনাঙ্গের ভ্যাজিনাল ট্রাইকোমোনিয়াসিস হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

সুপ্তিকাল : এ রোগের সুপ্তিকাল ২ থেকে ১৪ দিন। তবে ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যেই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। রোগের প্রাথমিক আক্রমণ স্থান পুরুষের ক্ষেত্রে মুত্র পথের সম্মুখ অংশে জীবানু সংক্রমণ শুরু করে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে তা প্রোস্টেট গ্রন্থি এমনকি মুত্রথলি বা শুক্রাশয় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে ।

সংক্রমণের উপায় : এ রোগে অল্প বয়সের মেয়ে ও শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে। বাচ্চারা সংক্রমিত বিছানার চাদর, তোয়ালা ব্যবহারে রোগটি অর্জন করতে পারে। এছাড়াও ঘনবসতি এবং অপরিচ্ছন্নতা থেকেও বাচ্চাদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর আক্রান্ত মাতৃদেহ হতে সংক্রমিত হতে পারে। যৌন মিলনের সময় আক্রান্ত দেহের বহিযৌনাঙ্গ যেমন – মুখ ও পায়ুপথ থেকেও সংক্রমণ ঘটে।

গনোরিয়া সংক্রমণের কারণ :
গনো-কক্কাস এর নেসেরিয়া গনোরিয়া (Neisseria gonorrhoeae) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা রোগটি হয়ে থাকে। এটি একটি সংক্রামক রোগ। সিফিলিসের রোগের মত এটিও গনোরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সেক্সুয়াল কন্টাক্ট দ্বারা সংক্রমিত হয়। বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০-২৫ কোটি লোক গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়।

আরও পড়ুন –   পুরুষদের যৌনাঙ্গে হারপিসের হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

গনোরিয়া কীভাবে সংক্রমিত হয়?
শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ পুরুষ লক্ষণবিহীন অবস্থায় (Symptom-less stage) থাকে। এদিকে শতকরা ৫০ থেকে ৭৫ ভাগ নারীই লক্ষণবিহীন (Symptom less) অবস্থায় থাকলেও তাদের জরায়ু (Uterus) জীবাণু বহন করে এবং প্রদাহ (Inflammation) সৃষ্টি হয়। এ কারণে একজন যৌনকর্মীর (Sex worker) সংস্পর্শে প্রতিদিন যে কয়জন পুরুষ যৌনমিলন করে সবাই গনোরিয়াতে আক্রান্ত (Gonorrhea infection) হলেও তবে যৌনকর্মীর কোনরূপ অসুবিধা হয় না। মুখমেহনের মাধ্যমে ঔই পুরুষে গলার ভেতরের অংশকে আক্রান্ত করে। এতে করে গলা ব্যথা অথবা ঘন পুঁজের মতো কাশি হতে পারে। পায়ুপথে যৌনকার্যের মাধ্যমে মলদ্বার ও রেকটামে প্রদাহ হয়। প্রসবের সময় মা গনোরিয়া দ্বারা আক্রান্ত থাকলে ঔই শিশুর চোখ গনোরিয়ায় আক্রান্ত হয়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অসাবধানতাবশত জীবাণুযুক্ত (Germ) পরিধেয়, তোয়ালে (Towel) ব্যবহার করলে বা গনোরিয়ায় আক্রান্ত কারো দ্বারা ধর্ষিত (Rape) হলে বাচ্চাদের যোনিপথে প্রদাহ হয় ।

গনোরিয়া বা প্রমেহ ও হোমিওপ্যাথি

গনোরিয়া রোগ প্রকাশের সময় কাল :
পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ১৪ দিন। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সময় আরও একটু বেশি লাগে। সাধারণত জীবাণু সংক্রমণের পরে ১ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায়। অনেক নারীর যৌনাঙ্গে জীবাণুদ্বারা সংক্রমণ ঘটলেও সাধারণত তারা লক্ষণ বিহীন জীবাণু বাহক হিসেবে অনেক সপ্তাহ বা মাস গড়িয়ে যায়।

গনোরিয়ার লক্ষণ : গনোরিয়া আক্রান্ত রোগীর দেহে তেমন স্পষ্ট বাহ্যিক লক্ষণ প্রকাশ পায় না বলে এটি ব্যাপক বিস্তৃত যৌনবাহিত রোগ হিসেবে পরিচিত। নারী ও পুরুষের লক্ষণগুলি লক্ষ্য করা যায় তা নিন্মে আলোচনা করা হলো।

গনোরিয়া আক্রান্ত পুরুষের লক্ষণ :

(১) মূত্র মূত্রনালী চুলকায়, সুড়সুড় করে ত্যাগকালে জ্বালাপোড়া করে।
(২) প্রস্রাবের পথ কিট কিট করে কামড়ায়
(৩) লিঙ্গের অগ্রভাগে লালচে ভাব দেখা যায় ।
(৪) লিঙ্গপথে পুঁজ নিঃসৃত হয়।
(৫) স্বাভাবিকের চেয়ে বার বার মূত্র ত্যাগের ইচ্ছা।
(৬) শুক্রাশয় ও অন্ডকোষে ব্যথা অনুভব করে ।
(৭) এ রোগে পুরুষাঙ্গ অথবা গায়ে ক্ষত বা ঘা দেখা যায় না।
(৮) মুত্রনালী পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হওয়ার ফলে প্র¯্রাব বের হয়ে আসতে পারে না।
(৯) মুত্রনালী পথে প্রতিবন্ধকতার কারণে কিডনীতে মারাত্মক ক্ষতি হয়। (১০) অন্ডকোষ ফুলে আপেলের মতো বড় হতে পারে।
(১১) সমকামীর পায়ুপথে মিলন করলে পায়ুপথেও সংক্রমন হতে পারে। (১২) পায়ুপথে তীব্র ব্যথা ও পুঁজ নিঃসৃত হতে পারে।
(১৩) মুখ মৈথুনে অভ্যস্তদের মুখে সংক্রমণ তথা ঘা, গলা ব্যথা হয়।
(১৪) সংক্রমণের দীর্ঘদিনের ফলে অস্থিসন্ধি প্রদাহ হয়।
(১৫) মস্তিস্কের প্রদাহ, ত্বকে ক্ষত, সেপটিসেমিয়া এমনকি হৃৎপিন্ডের ক্ষতি হতে পারে।
(১৬) পুরুষাঙ্গের ভিতরের নালীতে এবং মুখের কাছে যোনাঙ্গেও চারপাশে ক্ষত হয় তা থেকে ধীরে ধীরে চার দিকে বিস্তৃত হয়।

গনোরিয়ায় আক্রান্ত মহিলাদের লক্ষণ :

(ক) তলপেটে ব্যথা অনুভূত হয়।
(খ) দুই রজ:চক্রের মধ্যবর্তী সময়ে প্রচুর যোনি¯্রাবসহ রক্তপাত হয়।
(গ) যৌনাংগে ব্যথা, সূচীবিদ্ধ যন্ত্রণা।
(ঘ) অনিয়মিত রজঃচক্র।
(ঙ) জ্বর ও গায়ে ফুসকুঁড়ি।
(চ) কষ্টদায়ক যৌন মিলন।
(ছ) ডিম্বাবাহী নালীতে প্রদাহ হয়।
(জ) প্রস্রাবের পথ কিট কিট করে ও কামড়ায়।

আরও পড়ুন –   জরায়ু ইনফেকশনের কারণ, লক্ষণ, করনীয় কী?

গনোরিয়া বা প্রমেহ রোগীর মুত্রত্যাগে কষ্ট :
(১) যৌনাঙ্গ ফুলে যায় ও যোনির ওষ্টে লালসহ দগদগে ঘা হয়।
(২) যৌনিপথে অস্বাভাবিক রস যেমন- সাদা, সবুজ বা হলুদ) নিঃসরণ হয়।
(৩)জনন ইন্দ্রিয়ে প্রদাহ, এ থেকে পুঁজ পড়ে।
(৪) বার্থোলিন গ্রন্থির প্রদাহ হয়।
(৫) পায়ুপথে যৌনকার্য থেকে বা নিজের সংক্রমিত যৌনি থেকে মলদ্বারে সংক্রমন হতে পারে।
(৬)পুরুষাঙ্গের ভিতরের নালীতে এবং মুখের কাছে এবং নারীদের মূত্রনালী ও যোনির চারপাশে ক্ষত হয় তা থেকে ধীরে ধীরে চার দিকে বিস্তৃত হয়।
(৭) সময়মত চিকিৎসা না করলে মূত্রনালী অবরুদ্ধ হয়ে যায়। সরু ধারায় মূত্র বের হয় এবং তা কষ্টকর হয়।

(৮) আনন্দহীন যৌন মিলন (Pleasure less sex) এবং নিদ্রাকালে স্বপ্নে (Night pollution) শুক্র ক্ষরণ হয়।
(৯) বাত (Gout) হৃদরোগ (Heart disease), স্নায়ুশুল, চোখের রোগ (Eye disease) প্রভৃতি রোগ দেখা দিতে পারে।

গনোরিয়া বা প্রমেহ এবং হোমিওপ্যাথি ঔষধ :
(ক) রোগটি পুরাতন হলে (Chronic) পুজ পড়া (Puss), জ্বালা পোড়া (Burning), সুড়সুড় করা, ব্যথা (Pain) প্রভৃতি বিদ্যমান থাকে।
(খ) জীবাণু চোখকে আক্রমণ (Eye infection) করলে চোখের যন্ত্রনা করে। অবিরাম পুজ পড়ে (Puss discharge), চোখের পাতা ফুলে যায়।
(গ) লিঙ্গ-মুখ আরও স্ফীত ও লাল হয়ে ওঠে এবং প্রবল স্পর্শ কাতর হয়। লিংগ উত্থান কালে অত্যান্ত কষ্ট হয়। লিংগ উত্থানের এই কষ্টকে কর্ডি বলে। কুঁচকীর গ্লান্ডগুলো প্রদাহ (Gland infection) হয়ে ফুলে যায় ও ব্যথা করে এবং ক্ষতের সৃষ্টি হয়। একে বাগী বা বিউবো (ইঁনড়) বলে।
(ঘ) মলদ্বার (Rectum) ও পেরিনিয়ামে (Perineum) দপদপানি ও টাটানি যন্ত্রনা করে।
(ঙ) গ্লিট বা ক্রনিক (Chronic) অবস্থায় যদি প্রস্টেট গ্লান্ডের (Prostate gland) প্রদাহ থাকে তা হলে প্রস্রাব করার সময় (During micturation) অনেকক্ষণ বসে অথবা দাড়িয়ে থাকতে হয়। সহজে প্রস্রাব হয় না, অল্প অল্প ফোঁটা ফোঁটা পড়ে অথচ প্রস্রাবের বেগ লেগেই থাকে এবং সমগ্র মুত্রনালী, পেরিনিয়াম ও কোমরে দপদপানি যন্ত্রণা করে।

গনোরিয়া জটিলতা :
প্রাথমিক অবস্থায় (Early stage) চিকিৎসা করলে এ রোগ খুব সহজেই নির্মূল হয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। শুক্রনালি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, উপ-শুক্রাশয় (এপিডাইডাইমিস) নষ্ট হতে পারে।
এর ফলে যৌনরসে বীর্যকোষ থাকায় ওই ব্যক্তি সন্তানের পিতা হতে পারে না। রোগটি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার ফলে সে যার সঙ্গে যৌন মিলন করবে সেই এই রোগে আক্রান্ত হবে। এ ছাড়া এই রোগ দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার ফলে প্রস্টেটগ্রন্থির প্রদাহের ফলে প্রস্রাব আটকে যায় বা বন্ধ হয়।

আরও পড়ুন –   যৌনাঙ্গে চুলকানির ৭ টি কারণ ও প্রতিকার

গনোরিয়া রোগ নির্ণয় :
গনোরিয়া রোগ ক্ষেত্রে রোগীর বিস্তারিত ইতিহাস (ঐরংঃড়ৎু) শুনতে হবে। সে এরই মধ্যে কোনো যৌন সম্পর্ক (ঝবী ধপঃ) স্থাপন করেছিল কি-না প্রশ্ন করে ভালো করে জানতে হবে। সম্পর্ক থাকলে তা কতদিন আগে এবং কত জনের সঙ্গে যৌন মিলন করেছে। এসব জেনে নিতে হবে। এরপর পরীক্ষা করতে হবে।
যদি স্বল্পস্থায়ী আক্রমণ (অপঁঃব) হয়ে থাকে তাহলে পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তা (টৎবঃযৎধ) থেকে নিঃসরিত পুঁজ অথবা পদার্থ (উরংপযধৎমব) এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে মূত্রনালি (টৎবঃযৎধ) ও জরায়ু (টঃবৎঁং) নিঃসরিত পদার্থ পরীক্ষা করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদি (Chronic) হলে প্রস্টেটগ্রন্থি ম্যাসাজের পর নিঃসরিত পদার্থ (Prostate fluid) পরীক্ষা করতে হবে অথবা সকালের প্রথম ফোঁটা প্রস্রাবও (First drop of urine) পরীক্ষা করতে হবে। মহিলাদের ক্ষেত্রে জরায়ু নিঃসরিত বস্তু পরীক্ষা করতে হবে। এ ছাড়াও কালচার ও সেনসিটিভিটি পরীক্ষা করা যেতে পারে।

গনোরিয়া রোগ প্রতিরোধের উপায় :
যে কোন সংক্রমণ প্রতিরোধের (Protect infection) সবচেয়ে সুনিশ্চিত উপায় হল যৌন মিলন এড়িয়ে (Avoid illegal sex) যাওয়া অথবা পারস্পরিক বোঝাপড়ায় যৌনকার্য্যর জন্য একটিমাত্র সঙ্গী বেছে Select valid sex partner) নেওয়া, যার কোন যৌনসংক্রমণ রোগ নেই৷ এক কথাই ইসলামী আইন মেনে চললেই গনোরিয়া প্রতিরোধ করা
সম্ভব।
গনোরিয়া বা প্রমেহ এবং হোমিওপ্যাথি ঔষধ :
গনোরিয়া রোগ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিতে অত্যন্ত ফলদায়ক ঔষধ রয়েছে। নির্দিষ্ট মাত্রায় লক্ষণভেদে ঔষধ প্রয়োগে এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় (Cure) করা সম্ভব। চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
গনোরিয়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত রবিন মার্কির রেপার্টরি হতে ঔষধ নিম্নরুপ :

প্রথম এর গ্রড :
(১) ক্যানাবিস স্যাট (Cannabis Sativa)|
(২) থুজা অক্সিডেন্টালিস (Thuja Occidentalis)|
(৩) মেডোরিনাম(Medorrhinum)|

দ্বিতৃয় গ্রেড এর ঔষধ :
(১) সিপিয়া অফ (Sepia off)|
(২) পালসেটিলা (Pulsatilla)|
(৩) সালফার (Sulphur)|
(৪) একোনাইট ন্যাপ (Aconite Nap)|
(৫) ক্যাপসিকাম (Capsicum)|
(৬) ক্লিমেটিস ইরেকটা (Clematis Erecta)|
(৭) জেলসিমিয়াম (Gelsemium)|
(৮) হাইড্রাস্টিস ক্যানাডেনসিস (hydrastis Canadensis)|
(৯) ক্যালি বাই (Kali-Bichrom)|
(১০) মার্ক কর (Merc Cor)|
(১১) পেট্রোসেলেনিয়াম (Petroselinum)|
(১২) এসিড নাইট্রিক (Acid Nitric)|
(১৩) এসিড ফুলরিক (Acidum Fluoricum)|
(১৪) মার্কসল (Mercurius Sol)|
(১৫) সাইলিশিয়া (Silicea)|
(১৬)আর্জেন্ট মেট (Argentum Metallicum)|
(১৬) আর্জেন্ট নাইট্রিকাম (Argentum Nitricum)|
(১৭) সিনেবেরিস (Cinnabaris)|
(১৮) মেজোরিয়াম (Mezereum)|
(১৯) এসিড ফস (Acid Phos)|
(২০) ক্যান্থারিস (Cantharis)|
(২১) কোপাইভা অফিসিয়ালিস (Copaiva Off)|
(২২) কিউবেরা অফিসিনালিস (Cubeba Officinalis)|

তৃতীয় গ্রেড এর ঔষধ :
(১) এলুমেন (Alumina)|
(২) এগ্নাস কাস্ট (Agnus cast)|
(৩) এপিস মেল (Apis Mellifica)|
(৪) এসিড বেঞ্জায়িক (acid Benzoic)|
(৫) হিসার সালফ (Hepar Sulphur)|
(৬) ক্রিয়োজোট (Kreosot)|
(৭) ক্যালি সালফ (Kali Sulphuricum)|
(৮) ন্যাট্রাম সালফ (Natrum Sulph)|
(৯) স্যাবাল সেরুলেটা (Sabal Serulata)|
(১০) স্যাবাইনা অফ (Sabina Off)
(১১) টেলুরিয়াম (Tellurium)|
(১২) জিঙ্কাম মেট (Zincum Met)|

আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন  : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev