মাসে দু’বার মাসিক কারণ কী?
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মেয়েদের মাসে দু’বার মাসিক কারণ কী তা নিয়ে আজকের জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
নিয়মিত মাসিক হওয়া আপনার সুস্থ স্বাস্থ্যের লক্ষণ। কিন্তু আপনার মাসিক মাসে দু’বার হলে তা উদ্বেগের কারণ। আপনার জীবনযাত্রার পরিবর্তনই এর সবচেয়ে বড় কারণ। মাসে দু’বার পিরিয়ড বা মাসিক হওয়ার অন্যান্য কারণ কী হতে পারে, তা নিয়ে আজকের আলোচনা।
নিয়মিত মাসিক সাধারণত প্রতি ২৪-৩৫ দিনের মধ্যে হয়। তাই যদি আপনার ঋতুচক্র ২৪ দিনের হয়, তাহলে মাসে দু’বার মাসিক হতে পারে। তবে এই পরিস্থিতিতে এটি উদ্বেগের বিষয় নয়। কিন্তু যদি আপনার ঋতু চক্রটি এমন না হয়। তারপরও যদি আপনার মাসিক দু’বার আসে, তাহলে এটি উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এটা হওয়ার একাধিক কারণ থাকতে পারে।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা : ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন আপনার মাসিক নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের ভারসাম্য পরিবর্তনের কারণে মাসিক চক্রের পরিবর্তনও ঘটে। এর কারণে আপনার পিরিয়োড অনিয়মিত হতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন – জীবনযাত্রার পরিবর্তন, জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ, মানসিক চাপ ইত্যাদি । এইসব কারণে হরমোনের পরিবর্তন ঘটার করণেই মাসে দুইবার মাসিক আসার সবচেয়ে বড় কারণ।
থাইরয়েড : থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যার কারণে মাসে দু’বার মাসিক আসতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থি দ্বারা হরমোন উৎপাদনে পরিবর্তনের ফলে মাসিক চক্রের পরিবর্তন ঘটে। থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত নারীরাই প্রায়ই অনিয়মিত পিরিয়োড হয়। সুতরাং আপনার থাইরয়েড পরীক্ষা করা উচিত।
পেরিমেনোপজ : এটি মেনোপজের পূর্বের অবস্থা এবং প্রায়শই ৪০ বছরের বেশি বয়সি নারীদের মধ্যে ঘটে। এই সময়ে আপনার শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। যাহার কারণে আপনার মাসিক মাসে দু’বার আসতে পারে। এটি একটি সম্পন্ন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। তবে এর জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে মেনোপজের লক্ষণগুলি পরিচালনা করতে পারেন।
জরায়ুকে সিস্ট : জরায়ুতে সিস্ট হলে আপনার মাসিক অনিয়মিত হয়ে যায়। এতে করে আপনার হরমোন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এই কারণে আপনার ঋতুচক্র প্রভাবিত করে এবং এটির কারণে মাসে দু’বার মাসিক হওয়ার কারণ হতে পারে। অতএব যদি এটি আপনার সঙ্গে ঘটে থাকে, তাহলে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
স্ট্রেস : আমাদের ব্যস্ততম জীবনযাত্রায় স্ট্রেস খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। এই কারণে আপনার হরমোনের পরিবর্তন হতে পারে। যাহার ফলে মাসে দু’বার আপনার মাসিক হতে পারে। যদিও এটি শুধুমাত্র একবার বা দু’বার ঘটতে পারে। যদি এটি বারবার ঘটে তবে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।