লিউকোরিয়ার কারণ, প্রতিকার ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মেয়েদের সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়ার কারণ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে আজকের জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া হচ্ছে সমস্ত মেয়েদের একটি সর্বজনীন সমস্যা অধিকাংশ স্রাব জীবন শৈলী ও শারীরবৃত্তীয় সংক্রান্ত যাহার কোন চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না । এই স্রাব বা লিউকোরিয়া প্রচুর পরিমানে হচ্ছে, রক্তে দাগ, দুর্গন্ধ যুক্তস্রাব, স্বাভাবিক রংয়ের না হলে গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। সাধারণত, মহিলাদের স্বাভাবিক স্রাব পাতলা এবং সামান্য চটচটে হয়। এটা বলা যায় অনেকটা নাসিকা স্রাব (সর্দি) এর মত। এটি সাধারণত যোনি স্রাবের পরিমাণ, ডিম্বস্ফোটন এবং মানসিক চাপের বৃদ্ধি, মাসিক চক্রে তারতম্য হয়। ।
লিউকোরিয়ার কারণ কারণ : লিউকোরিয়ার বা সাদা স্রাব সাধারণত অন্যান্য অসুস্থতা দেখা দেয়। বিভিন্ন রুগে শারীরিক দুর্বলতার কারণে এটি বেশি দেখা যেতে পারে। এর প্রধান কারণ গুলো হচ্ছে – অপরিচ্ছন্নতা, ফাংগাল পরজীবী দ্বারা, ব্যাকটেরিয়া এবং যৌন রোগ ।
এছাড়াও আরও যেসব কারণে হয় :
(ক) কোষ্ঠ্যকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত থাকলে।
(খ) অসুখ হয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমলে।
(গ) রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে।
(ঘ) কৃমির সংক্রমন হলে।
(ঙ) মানসিক বিভিন্ন সমস্যা থাকলে যেমন – দুশ্চিন্তা, অশান্তি, অবসাদ এ ভোগলে।
(চ) রজঃনিবৃতি কালে।
(ছ) জরায়ুতে কোন ক্ষত হলে।
(জ) দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে কাজ করলে।
(ঝ) জরায়ু নিচে নেমে গেলে।
(ঞ) দীর্ঘস্থায়ী পিআইডি (পেলভিক প্রদাহজনিত রোগ) থাকলে।
(ট) যৌন রোগ : গনোরিয়া রোগ হলে।
লিউকোরিয়ার প্রতিকার :
(১) সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করে।
(২) যৌনমিলনে পরিচ্ছতা থাকলে।
(৩) মিলনের আগে ও পরে ভালভাবে ধৌত করতে হবে।
(৪) জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার আগে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নিতে হবে।
(৫) শাক-সব্জি ও পুস্টিকর খাবার খেতে হবে।
(৬) পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করতে হবে।
(৭) প্রাপ্ত ঘুম হতে হবে।
(৮) মানসিক দশ্চিন্তা ও অবসাদ দূর করতে হবে।
(৯) সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
(১০) ব্যায়ামের দিকে নজর দিতে হবে।
লিউকোরিয়ার রোগ নির্ণয়:
ভাজাইনাল, স্পেকুলাম, যোনিপথ ও জরায়ুমুখ পরীক্ষা করতে হবে। লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাবের কালচার এবং সেন্সিটিভিটি টেস্ট, গ্রাম স্টেইন এবং স্মেয়ার টেস্ট করতে হতে পারেন।
লিউকোরিয়ার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা : মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিক প্রয়োগের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে লক্ষণ মিলিয়ে তবেই ঔষধ দিতে পারবেন। তবে সূনির্বাচিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ দ্বারা লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাব আরোগ্য করা সম্ভব ।
রবিন মার্ফির রেপার্টরির প্রথম সারির ঔষধ গুলি নিন্মে দেওয়া হল :
এলুমিনা, আর্সেনিক এল্বা, আর্স আয়ড, ক্যাল্ক কার্ব, ক্যাল্ক সালফ, কস্টিকাম, জেলসেমিয়াম,গ্রাফাইটিস, আয়োডিনাম, ক্যালি আর্স, ক্যালি কার্ব, ক্রিয়োজোট, মেডোরিনাম, মার্ক সল, মিউরিটক এসিড, ন্যাট্রাম মিউর, ন্যাট্রাম ফস, নাইট্রিক এসিড, প্লাািম, পালসেটিলা, সেপিয়া, সাইলিসিয়া, স্টেনাম, থুজা, সালফ ।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।