ডায়াবেটিসসহ ১০ জটিল রোগে মহৌষধ তেলাকুচা
তেলাকুচা অনেক মানুষের কাছেই পরিচিত একটি গাছ। এটি একটি লতানো উদ্ভিদ জাতীয় গাছ। যাহার পাতা ও কাণ্ড গাঢ় সবুজ রঙের, ফুল সাদা ও ফল পেকে গেলে টকটকে লাল হয় । তেলাকুচা একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। পঞ্চভূজ আকারের পাতা গজানো এ গাছটি অন্য গাছকে জড়িয়ে বেড়ে ওঠে।
তেলাকুচা সাধারণত বন-জঙ্গলে, রাস্তার পাশে কিংবা বাড়ির আশেপাশে জন্ম হয়। টকটকে লাল ফল দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। তবে এই গাছটি বেশ অবহেলিত ভাবে বেড়ে উঠে। যত্ন করে এ গাছ খুব কম সংখ্যক মানুষই লাগিয়ে থাকে। তবে জানলে আপনি অবাক হবেন, অবহেলিত এই লতা জাতীয় গাছটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তেলাকুচা রয়েছে প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন থাকায় আমাদের জটিল জটিল অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। তবে চলুন কথা না বড়িয়ে মুল আলোচনায় যায়।
তেলাকুচা গাছের ওষুধি গুণাগুণ :
ডায়াবেটিস রোগ : নানা কারণে আমাদের দেহে ডায়াবেটিস রোগ বাসা বাঁধে। যা ধীরে ধীরে আমাদের শরীরকে অকেজ করতে থাকে। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি। এ ক্ষেত্রে তেলাকুচা গাছ খুবই উপকারী। তেলাকুচার কান্ডসহ পাতা ছেঁচে রস তৈরি করে প্রতিদিন সকাল-বিকেল এই রস আধাকাপ পরিমাণ পান করুন। এছাড়াও তেলাকুচার পাতা রান্না করে খেলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।
জন্ডিস রোগ : জন্ডিস রোগ হলে অনেকেই ভয় পেয়ে যান। ভয় না পেয়ে ভরসা রাখুন তেলাকুচা গাছের উপর। যা খুব উপকারী। জন্ডিস সারাতে তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস তৈরি করে প্রতিদিন সকালে আধাকাপ পরিমাণ এই রস পান করুন। আল্লাহ্ চাইলে এতেই উপকার পাবেন।
পা ফোলা রোগ : পা ফুলে যাওয়া কিংবা শোথ রোগ অনেকেরই মানুষের হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে গাড়িতে ভ্রমণ বা অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে পা ফুলা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে তেলাকুচার মূল ও পাতা ছেঁচে নিন এবার এর রস ৩ থেকে ৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকালে সেবন করুণ। আল্লাহ্ চাইলে এতেই সমস্যার সমাধান মিলবে।
শ্বাসকষ্ট রোগ (হাঁপানি নয়) : অনেকে মানুষের শ্বাসকষ্ট সমস্যায় ভুগে থাকেন। বিশেষ করে বুকে সর্দি বা কাশি বসে যাওয়ার কারণেই শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। এটা থেকে রক্ষা পেতে তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে এবার ৩ থেকে ৪ চা চামচ পরিমাণ তিন থেকে সাত দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খান। আল্লাহ্ চাইলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা মিটে যাবে।
কাশি বা কফ : কাশির উপশমেও তেলাকুচা অত্যান্ত উপকারী। যদি শ্লেস্মাকাশি হয়, শ্লেস্মা তরল করতে এটি বেশ কাজ করে। কাশির উপশমে ৩ থেকে ৪ চা চামচ তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে এবার এর সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খান। আল্লাহ্ চাইলে এতেই সমস্যার সমাধান মিলবে।
শ্লেম্মা জ্বর : শ্লেষ্মা জ্বর থেকে রক্ষা পেতে ৩ থেকে ৪ চা চামচ তেলাকুচার মূলও পাতা পাটায় বেটে রস করে নিতে হবে। এবার রস হালকা গরম করে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ দিন সকাল ও বিকেলে সেবন করুণ। আল্লাহ্ চাইলে এতেই সমাধান মিলবে।
প্রসূতি স্তনে দুধ স্বল্পতা : প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসবের পর অনেকের স্তনে দুধ আসে না। আবার অনেক প্রসূতির শরীর ফ্যাকাশেও হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখা দিলে ১টি তেলাকুচা ফলের রস হালকা গরম করে মধু মিশিয়ে নিন। এবার এর রস পরিমাণ মতো সকাল ও বিকেল ১ সপ্তাহ খান। আল্লাহ্ চাইলে এতেই ইস্তনে দুধের স্বল্পতা দূর হয়ে যাবে।
ফোঁড়া ও ব্রণ : ফোঁড়া ও ব্রণ ভালো করতে তেলাকুচা পাতা জাদুর মতো কাজ করে থাকে। তেলাকুচার পাতা ছেঁচে ফোঁড়া ও ব্রণে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে ব্যবহার করুন। আল্লাহ্ চাইলে এতেই দ্রুত মুক্তি মিলবে।
আমাশয় : যদি মানুষের প্রায়ই আমাশয় হতে থাকে তবে তেলাকুচার মূল ও পাতার রস ৩ থেকে ৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খান। ৩ থেকে ৭ দিন নিয়ম করে এর রস পানেই আল্লাহ্ চাইলে উপশম মিলবে।
খাবরে অরুচি : অনেক মানুষে সর্দিতে মুখে অরুচি হয়ে থাকে। যদি কারো এই অবস্থা হয় তবে তেলাকুচার পাতা একটু সিদ্ধ করে পানিটা ফেলে দিন। এবার এটি ঘি দিয়ে শাকের মত রান্না করে নিন। খেতে বসে প্রথমেই এই শাক খেলে খাওয়াতে রুচি আসবে। সুত্র-ডেইলি-বাংলাদেশ।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এ ওয়েব সাইটের মুল উদ্দেশ্যে হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পের্ক কিছু দান করা বা তুলে ধরা। সাধার মনুষের উপকার হবে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ছাত্ররা উপকৃত হবেন। এ ওয়েব সাইটে থাকছে পুরুষ স্বাস্থ্য বা যৌনস্বাস্থ্য, গাইনি স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাদার টিংচার, সিরাপ, বম্বিনেশন ঔষধ, বাইকেমিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক বই, ইউনানি, হামদর্দ, হারবাল, ভেজষ, স্বাস্থ্য কথা ইত্যাদি। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন লাইক – কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।