ম্যাগ্নশিয়া সালফিউরিকা (Magnesia Sulphurica)
চলাতি নাম – এপসম সল্ট (Epom Salt)
ডা: উইলিয়াম বরিক।
চর্ম, মুত্রযন্ত্র ও স্ত্রী-জননেন্দ্রিয় সংক্রান্ত লক্ষণগুলি প্রধান। সালফেট অব ম্যাগ্নেশিয়ার বিরেচক ক্রিয়া ইহার গুন নহে, মানব দেহে উহা কখনই অশোষিত হয় না বলিয়া বিরেচক ক্রিয়া দেখা দেয়। ইহার প্রকৃত গুণাবলী কেবল মাত্র শক্তীকৃত হইবার পরই পরিস্ফুট হয় (পার্সি ওয়াইল্ড)।
মস্কক : আশঙ্কাযুক্ত। শিরঃঘুর্ণন, ঋতুকালে মস্কক ভারি বোধ হয়। চক্ষুজ্বালা করে, কর্ণে নানারুপ শব্দ শুনে।
পাকস্থলী : পুনঃপুনঃ উদ্গার, পচা ডিমের মত স্বাদ, মুখে জল উঠে।
মুত্রযন্ত্র : মুত্রত্যাগের পর মুত্রপথের মুখে খোঁচামারা বেদনা ও জ্বালা। মুত্রধারা সবিরাম ও ফোঁটা ফোঁটা করিয় পড়ে। প্রাতঃকালে মুত্রস্রাব প্রচুর, উজ্বল হরিদ্রাবর্ণ, শীঘ্রই ঘোলাটে হইয়া উঠে এবং প্রচুর লালবর্ণ তলানি পড়ে। মুত্র নিঃসৃত হইবার সময় ঈষৎ সবুজ। মুত্র পরিস্কার বর্ণ এবং প্রচুর পরিমাণে নিঃসৃত। বহুমুত্র (ফসফোরিক এসিড, ল্যাকটিক এসিড, আর্স ব্রোম)।
স্ত্রী-জননেন্দ্রিয় : গাঢ় প্রদরস্রাব, ঋতুস্রাবের মতই প্রচুর পরিমাণ, তৎসহ চলাফেরা করিলে পৃষ্ঠের নিন্মাংশে এবং উরুদেশে। ঋতুস্রাব চৌদ্দ দিন পরে পরে আসে, গণ কাল ও প্রচুর। ঋতৃস্রাব নিয়মিত সময়ের বহু পুর্বে এবং থামিয়া থামিয়া দেখা দেয়।
গীবা ও পৃষ্ঠদেশ : স্কন্ধদ্বয়ের মধ্যে নিস্পেষণ ও ক্ষতবৎ বেদনা, তৎসহ হাতের মুঠার মত বড় একটি পিণ্ডবৎ জিনিষ চাপান রহিয়াছে-এরুপ অনুভুতি, সেজন্য রোগিণী চিৎ হইয়া বা একপার্শ্বে চাপিয়া শুইতে পারে না, ঘর্ষণ করিলে বেদনার উপশম। পৃষ্ঠের নিন্মাংশে প্রবল বেদনা, যেন ছড়িয়া গিযাছে। এই বেদনা ঋতু প্রকাশের পূর্বে দেখা দেয।
হস্ত-পদাদি : শয়নকালে এবং প্রাতে নিদ্রাভঙ্গের পর বামবাহু ও বামপদ অসাড় হইয়া যায়।
চর্ম : সারা দেহে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্রণ, উহাতে প্রবল চুলকানি। লুপ্ত চর্মরোগ (সালফ)। বাম হাতের আঙ্গুলির অগ্রভাগে সুড় সুড় করে, ঘর্ষণে উপশম। আঁচিল। ইরিসিপ্লাস (দ্রব ঔষধ বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার্য)। শোথ (অধিক মাত্রায় প্রযোজ্য।
জ্বর : বেলা ৯টা হইতে ১০টার মধ্যে শীতবোধ। পৃষ্ঠে কম্পন, একপার্শ্বে উষ্ণতা এবং অপর পার্শ্বে শীতলতা।
সম্বন্ধ : বলা হয় যে, মফিন ইনজেকশনের কালে সমান্য পরিমাণ ম্যাগ্নেমিয়া সালফ উহাতে যুক্ত করিলে, ইনজেকশনের গুণ শতকরা ৫০ হইতে ১০০ ভাগ বর্ধিত হয়।
এলোপ্যাথিক মাত্রা : পিত্তশিলাজনিত শূল রোগে ম্যাগ সালফ রোগ র্নিণয় করে এবং ঔষধরুপে ব্যবহৃত হয়। মাত্রা ২ হইতে ৪ চা চামচ একগ্লাস উষ্ণ জলে মিশাইয়া আক্রমণের প্ররন্তে ব্যবহার করিলে, আক্রমণ প্রতিরুদ্ধ হয় এবং শূল বেদনা দুর হইয়া থাকে।
এপসম সল্ট একটি বিশেষ ক্রিয়াশীল লবণ জাতীয় বিরেচক ঔষধ, ইহা সম্পুর্ণ বিশুদ্ধ হইলে সামান্য বেনদা ও বমনভাব উৎপন্ন করে। আন্ত্রিক ক্রিয়ার উপরে ইহার কোনই অধিকার নাই। ইহার ক্রিয়ায় অন্ত্রমধ্যে অনেকখানি তরল পদার্থের চাপ সৃষ্টি হয়, উহাতে নাড়ী ফুলিয়া উঠে এবং ঐ চাপে মল নিঃসৃত হয়। ইহাতে অন্ত্রের অতি সামান্য উত্তেজনা হয় অথবা আদৌ হয় না। অন্যান্য লবণজাতীয় ঔষধের ন্যায় ইহা পারদদোষে, ক্রিমিরোগে এবং অন্যান্য প্রকার বিষাক্ততায় নিঃসারক ঔষধরুপে ব্যবহৃত হয়। এপসম সল্ট সাধারণতঃ ১ হইতে ২ ঘন্টার মধ্যে ক্রিয়া প্রকাশ করে, গরম জলেন সহিত এবং প্রাতঃকালে প্রাতঃকালীন আহারের পুর্বে ব্যবহৃত হইলে আরও দ্রুত ক্রিয়া প্রাকশ করে। সামান্য প্রকার কোষ্ঠশুদ্ধির জন্য সাধারণতঃ এক পুর্ণ চা চামচ ব্যবহার করিবে, বিবেচনের জন্য মাত্র দুই হইতে চারি চা চামচ। ইহার সহিত কিছু লেবুর রস ও চিনি মিশািইযা ইহার স্বদের উন্নতি করা যাইতে পারে।
বিরেচন কার্য ব্যতীত ম্যাগ সালফ দ্রবণ ইরিসিপ্লাস, আইভি বিষাক্ততা, সেলুলাইটিস ও অন্যান্য প্রকার স্থানীয় প্রদাহে প্রদাহনাশক এবং কণ্ডুয়ন প্রশমক ঔষধরুপে ব্যবহার করা চলে। ইহার জলীয় দ্রবণে ভিজাইয়া পটি দিবে।
মাত্রা : মুল লবণ হইতে ৩য় শক্তি। বাহ্যিকভাবে একভাগ ঔষধ ও ৪ ভাগ জলের মিশ্রণ-রক্তবিষাক্ততা,-ইরিসিপ্লাস, অণ্ডকোষপ্রদাহ, ফোঁড়া প্রভৃতিতে।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।