সায়াটিকা ও পক্ষাঘাত জনিত মানসিক লক্ষণ
সায়াটিকা হলো ‘নার্ভের শূলবেদনা‘ আর পক্ষাঘাত হলো শরীরের কোনো অংশের সম্পূর্ণ অসাড অবস্থা।‘ উভয় পীড়াতেই রোগী আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়া অন্যান্য মানসিক লক্ষণও অনেক দেখা দেয়। শরীরের কোনো কম্পন শুরু হলেও উক্তরূপ মানসিক লক্ষণ দেখা দেয়। এই কম্পন অনেক সময় সারা শরীরকে আক্রমণ করে বসতে পারে। তখন রোগীর মানসিক অবস্থা আরও মন্দের দিকে যায়। পীড়াগুলিকে নিরাময় না করা পর্যন্ত মানসিক লক্ষণগুলির অবস্থান ঘটে না। এখানে উক্ত তিনটি পীড়ারই চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা এখানে আলোচনা করা হচ্ছে।
সায়াটিকা
(১) সমস্যা : সায়াটিকা, বেদনা–যন্ত্রণা থাকেভ
সমাধান : নিকট্যাস্থিস ২০০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২) সমস্যা : সায়াটিকা, থেঁতলানির মতো বেদনা।
সমাধান : কার্বনিয়াম–সল্ফ ২০০ (প্রত্যহ সকালে দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৩) সমস্যা : সায়াটিকা, উড়ো বেদনা—নিয়মিতভাবে আসে ও অনেকক্ষণ স্থায়ী হয়।
সমাধান : কার্বনিয়াম–সল্ফ ৩০ (প্রত্যহ সকালে দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৪) সমস্যা : সায়াটিকা, নীচের অঙ্গে বেদনা–সহ সড়সড়ানি।
সমাধান : কার্বনিয়াম–সল্ফ ৬ (প্রত্যহ সকালে দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৫) সমস্যা : সায়াটিকা, বেদনা সব সময় থাকে না।
সমাধান : ভিস্কাম–অ্যালবাম ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)
(৬) সমস্যা : সায়াটিকা, রোগী পাশ ফিরতে পারে না, উঠে বসে তবে পাশ ফেরে।
সমাধান : নাক্স ভম ২০০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৭) সমস্যা :সায়াটিকা, শরীরের উভয় দিকে আক্রমণ ঘটে।
সমাধান : ভিঙ্কাম অ্যালবাম ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(৮) সমস্যা : পায়ে, পায়ের তলায় ও পায়ের গোলাড়িতে সায়াটিকার বেদনা।
সমাধান : এনানথিরাম ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(৯) সমস্যা : সায়েটিকা, নড়াচড়া করলে বেদনার বৃদ্ধি—স্থিরভাবে থাকলে উপাশম।
সমাধান : ব্রায়োনিয়া ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(১০) সমস্যা : ডানদিকের সায়াটিকা, বসলে ও নড়া– চড়া করলে বৃদ্ধি— শুলে উপশম।
সমাধান : ডায়স্কোরিয়া ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(১১) সমস্যা : সায়াটিকা, টেনে ধরার মতো বেদনা— স্থিরভাবে থাকলে বেদনার বৃদ্ধি—চলা ফেরা করলে একটু উপশম—শুলে সম্পূর্ণ উপশম।
সমাধান : এমন–মিউর ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(১২) সমাস্যা : সায়াটিকা থেঁতলে যাওয়ার মতো বেদনা—স্থিরভাবে থাকলে বেদনার বৃদ্ধি— শুয়ে থাকার পর উঠে বসলে বেদনার বৃদ্ধি।
সমাধান : রাসটক্স ২০০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৩) সমস্যা : সায়াটিকা, আঘাত লাগার পর থেকে বেদনার শুরু.।
সমাধান : আর্নিকা–মন্ট ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৪) সায়াটিকা, কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত বেদনা, অসাড়তা— অসাড়তা সহ বেদনা।
সমাধান : ন্যাফেলিয়ম ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৫) সমস্যা : সায়াটিকা, রাত্রে শুয়ে থাকলে ও বিশ্রামে যন্ত্রণার বৃদ্ধি।
সমাধান :ক্যালি হাইড্রো ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৬) সায়াটিকা, মেরুপুচ্ছে থেঁতলানি বেদনা —রোগী বসতে পারে না।
সমাধান : এমন–মিউর ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৭) সমস্যা : সায়াটিকা নড়াচড়া করলেই যন্ত্রণার বৃদ্ধি।
সমাধান : কলোসিন্থ ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(১৮) সমস্যা : সায়াটিকা, নড়াচড়া করলেই যন্ত্রণার বৃদ্ধি, পা ও কোমর অসাড় হয়ে থাকে।
সমাধান : কলোসিন্থ ২০০ (প্রত্যহ সকাল ও রাত্রে সেব্য)।
(১৯)সমষ্যা : সায়াটিকা, খানিকক্ষণ বসে বা শুয়ে থাকার পর উঠতে পেলে ভয়ানক বেদনা।
সমাধান : ফেরাম মেট ৩০ প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২০) সমস্যা : সায়াটিকা, মাঝরাত থেকে বেদনা যন্ত্রণার বৃদ্ধি, গরম সেঁক দিলে আরাম হয়।
সমাধান : আর্সেনিক এলবাম ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(২১) সায়াটিকা, নড়াচড়া করলে বেদনা– যন্ত্রণার বৃদ্ধি।
সমাধান : সিমিসিফিউগা ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।
(২২) সায়াটিকা প্রথমে কোমর আক্রান্ত হয় পরে পাছা থেকে উরুর পশ্চাদ্ভাগ আক্রান্ত হয়—রোগী হাঁটাচলা করতে পারে না:।
সমাধান : ক্যালি কার্ব ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২১) সমস্যা : সিফিলিক সায়াটিকা, ঊরুর নীচে বেদনা।
সমাধান : ফাইটোলক্কা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২২) সায়াটিকা, ঊরু থেকে হাঁটু পর্যন্ত বেদনা, হাঁটুর ভিতর যন্ত্রণা বসলেই বেদনার বৃদ্ধি।
সমাধান : ইগ্নেসিয়া ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৩) সমস্যা : সায়াটিকা, অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক বেদনা– ১ ঘন্টার বেশী স্থায়ী হয় না।
সমাধান : ইগ্নেসিয়া ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
(২৪) সমস্যা : উভয় দিকের সায়াটিকা।
সমস্যা : ভিঙ্কাম এলবাম ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।