মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন
সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া কোনো রোগ নয়
আরোগ্য হোমিও হল এ আপনাকে স্বাগতম, এখানে আজ সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া কোনো রোগ এটা নিয়ে আলোচনা করা হবে। চলেন কথা না বাড়িয়ে মুল আলোচনায় ফিরে যায়।
সাদাস্রাব হচ্ছে শারীরিক বিষয়। এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। স্রাব খুব বেশি পরিমাণে না হলে এটি কোনো রোগ নয়। সাধারণত জরায়ু ভেজা থাকলে সুস্থ থাকে। মহান সৃষ্টিকর্তা মেয়েদের এভাবেই সৃষ্টি করেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. দীনা লায়লা হোসেন।
সাধারণ প্রাকৃতিক নিয়ম ১২ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত একটা মেয়ের মাসিক চলতে থাকে। এ সময় মাসিকের আগে বা পরে কিংবা দুই মাসিকের মাঝে যে ডিস্টার হয়, সেটিই লিউকোরিয়া। এটি নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। এটির কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে যদি মনে করেন তবে ব্যাঘাত হচ্ছে চিকিৎসা করাতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা রং ও ধরন কেমন, তরল কি না তা জেনে পরীক্ষা করাই। এরপরই চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তবে লিউকোরিয়া থেকে সুরক্ষার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে। নিউরোসিল খাবার খেতে হবে যেমন – নিউট্রেশন, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খান। এর পাশাপাশি আপনাকে প্রোটিন জাতীয় খাবারের পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। প্রতি বেলায় এক পিস মাছ-মাংস অথবা ডিম খাবার তালিকায় রাখেন। এক কাপ দুধ খেতে পারেন । প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। এর পাশাপাশি ফ্যাটের পরিমাণ তো থাকতে হবেই।
তবে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার না খাওয়া ভাল। শাকসবজি বেশি খান । ওভার প্রোটিন শাকসবজি না খাওয়ায় উত্তম। পর্যাপ্ত পানি পান করেন। একই সাথে মনে রাখবেন, রান্নার সময় যে লবণ দেই তাই যথেষ্ট। খাবারের সময় পাতে আলাদা লবণের প্রয়োজন নেই।
কেউ অতিরিক্ত মোটা হয়ে থাকলে নিয়মিত শারীরক চর্চা (ব্যায়াম) করতে হবে। আন্ডারওয়েট হলেও লিউকোরিয়ার অসুবিধা হতে পারে। আমাদের মধ্যে সাধারণত একটি ভুল ধারণা রয়েছে, সাদাস্রাবের কারণে শরীর শুকিয়ে যায়। প্রোটিন, মিনারেল সবকিছু বের হয়ে যায়, এ রকম কিছুই হয় না। সম্পন্ন ভুল ধারণা। বাড়তি ওজনের মেয়ে আবার কম ওজনের নারীদেরও সমস্যাটি হতে পারে।
যদি নিউট্রেসিনাল সাদাস্রাব না হয়, তবে আমাদের সবকিছু ঠিক থাকবে। কিন্তু সাদাস্রাবের রং সবুজায়ন, দুর্গন্ধযুক্ত হয়, খুব বেশি দইয়ের মতো সাদা হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসা নিতে হবে।
বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ উভয়ের কারণে এটি হতে পারে। অনেক সময় দেখা গেছে, স্ত্রী চিকিৎসা নিয়ে ভালো ছিলেন। কিন্তু স্বামী চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে স্ত্রী আবারো সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। রক্তশূন্যতা, অ্যাসোসিয়েটেড, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাগুলোর বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। বড় কথা সাদাস্রাব হওয়ার পরিবেশ রেখে দিলে এটি বারবার ফিরে আসবে। সূত্র: ডক্টর টিভি।
রোগীর প্রতি পরামর্শ
প্রতি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। প্রতিদিন আমিষ জাতীয় খাবার খান যেমন – মাছ, মাংস, ডিম, খিচুড়ি, ডাল ও ভিটামিন যুক্ত খাবার খান। শাকসব্জি, ফলমূল বিশেষ করে টকফল এবং প্রচুর পরিমাণ পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখবেন পুষ্টিকর খাবার মানে দামি খাবার নয় বরং সহজ প্রাপ্য ও খাদ্যগুণ সমৃদ্ধ খাবার। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা সুঁই বা এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনকালে একটু বেশি পুষ্টিকর খাবার যেমন- দুধ, দৈ, ছানা, সেমাই, পায়েস ও খিচুড়ি খেতে হবে।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যতœবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।
