বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ অপরাহ্ন

সহবাস সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?

আরোগ্য হোমিও হল / ২২২ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩, ৫:৫৬ অপরাহ্ন
সহবাস সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?

আরোগ্য হোমিও হল এ আপনাকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজকে আলোচনা করবো সহবাস না করলে সহবাস না করলে মেয়েদের কি ধরনের ক্ষতি  ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা নিয়ে আজকের আলোচনা তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।

সহবাস না করলে মেয়েদের কি ধরনের ক্ষতি হয়?

সহবাস বা যৌনমিলন বিষয়ে ইসলাম কি বলে? যৌনচার বিষয়ে ইসলাম বলতে সে ইসব ইসলামিক অনুশাসনকে বোঝায়, যেগুলো দ্বারা মানুষের যৌনাচার নিয়ন্ত্রিত হবে। এইসব অনুশাসন বহির্ভুত সকল প্রকার যৌনাচার ইসলামী মতে নিষিদ্ধ বা হারাম করা হয়েছে। মানব জীবনের যৌন চাহিদা ইসলাম কর্তৃক স্বীকৃত। কিন্তু যৌনাচারের পন্থা সম্পর্কে রয়েছে অনুশাসন। মানুষের বিবিধ যৌনাচার অনুমোদন যোগ্য কি-না তা দু’টি বিষয় থেকে অনুমানযোগ্য।

আরও পড়ুন – এইচ আর – ৭৯ (মাসিকের আগে উপর্গে কার্যকর)

প্রথমত : যৌনাচারের মূল উদ্দেশ্য বংশ বিস্তার
দ্বিতীয়ত : নারী-পুরুষ কেবল রীতিসিদ্ধ উপায়ে বিয়ের মাধ্যমে যৌনাচারের প্রাধিকার অর্জন করবে।

মিলনের সময় স্ত্রীর বীর্যপাত হলে বুঝবেন কি ভাবে?
মেয়েদের বীর্য বলে কোন কিছু নেই। এক প্রকার তরল পদার্থ নির্গত হয় (ছেলেদেরও হয়)। মেয়েদের বেলায় এটাকে ভেজিনাল ফ্লুইড বলে। এটা নিঃসরণ বন্ধ হলেই বুঝতে হবে আপনার স্ত্রীর অর্গাজম হয়ে গেছে। এখন আপনি কী ভাবে বুঝবেন, যে ফ্লুইড নির্গমন বন্ধ হয়েছে তার কোনো নিয়ম নেই, আন্দাজ করে নিবেন সঙ্গীনিকে জিজ্ঞেস করবেন তার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। এটা সম্পুর্ণ আপনাদের ব্যক্তিগত বোঝাপড়া, ওপেনে বলার কিছু নেই। মেয়েদের বীর্যপাত হয় না। যদি মেয়ে ও ছেলেদের জননাঙ্গ সম্পর্কিত জানা থাকে তা হলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে মেয়েদের শরীরে বীর্য (semen) তৈরি হওয়ার কোন উপায়ই নেই। প্রাকৃতিক নিয়মে যৌন উত্তেজনার সময় মেয়েদের যোনি থেকে এক ধরনের পিচ্ছিল রস নির্গত হয়। এছাড়া অর্গাজম হয়ে গেলে মেয়েদের যোনি হতে আলাদা করে আর কিছুই বের হয় না। কিছু কিছু প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য মুভিতে দেখানো হয় যে অর্গাজমের সময় মেয়েদের যৌনাঙ্গ থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল ফিনকি দিয়ে বের হচ্ছে। ওটা আসলে মূত্রত্যাগ, মূত্রছিদ্র দিয়ে বের হয়ে আসে। অর্গাজমের সময় এ ধরনের মূত্রত্যাগকে (squirting) বলা হয়। তবে মূত্রের সাথে কিছু বিশেষ গ্রন্থি হতে নিসৃত তরলও মিশে থাকতে পারে, যা সাধারণত মূত্রে থাকে না। এই বিশেষ তরল গুলিকে মেয়েদের প্রকৃত (ejaculate) হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এই তরলে কোন প্রকার শুক্রাণু থাকে না।

আরও পড়ুন – এইচ আর -০৮ (মহিলাদের অবাঞ্ছিত মুখের চুলের চিকিত্সায় কার্যকর)

ইসলামিক শারীরিক মিলন সর্ম্পেকে আইনশাস্ত্র বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে, যা নারী ও পুরুষের মধ্যকার নিয়মতান্ত্রিক শারীরিক মিলন সম্পর্কের মধ্যে সীমিত। ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহবহির্ভুত শারীরিক মিলন বা যৌন মিলন সম্পুর্ন হারাম! এমনকি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানীত যে সকল নারী-পুরুষ বিবাহপুর্ব শারীরিক মিলন করেছে তারা বিবাহ পরবর্তী যৌন জীবনে অসুখী। আর যে সকল নারী-পুরুষ বিবাহপুর্ব শারীরিক মিলনে লিপ্ত হননি – তারা বিবাহ পর সুখি জীবনযাপন করেন। এর জন্য বিবাহের আগে শারীরিক মিলন থেকে বিরত থাকুন।

বেশিক্ষণ বীর্য ধরে রাখার উপায় : যে সব পুরুষ বিবাহ না করে শারীরিক মিলন করতে চাইছেন তারা “ব্যভিচারী পুরুষ ও ব্যভিচারিণী নারী। তারা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী বা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে।

” যে সব নারীর সবচেয়ে বেশি যৌন আকাঙ্ক্ষায় ভুগেন, ওষুধ সেবন, কিংবা কনডমসহ জন্ম নিয়ন্ত্রণের আধুনিক যে কোন পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে জম্ম নিয়ন্ত্রণ করেন। এটি ভাল ভাবে জানা থাকলে এদের কোন চিকিত্সকের কাছে যেতে হয় না। মেয়েদের মাসিক বা ঋতুচক্র প্রাকৃতীক ভাবে নির্ধারিততে এমন কিছু দিন আছে যা নিরাপদ দিন হিসেবে ধরা হয়। এই দিন গুলোতে স্বামী-স্ত্রীর সহবাস করলেও স্ত্রীর সন্তান সম্ভব হবে না। এই নিরাপদ দিন গুলো প্রকৃতি গত ভাবেই নির্দিষ্ট। তাই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বলা হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞরা এটাকে ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলে থাকেন। এ পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার স্ত্রীর ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলো। এ জন্য সবার আগে জানতে হবে তার মাসিক নিয়মিত হয় কিনা, হলে তা কতদিন পরপর হয়। এবার সবচেয়ে কম যত দিন পর পর মাসিক হয় তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর প্রথম দিন থেকে ওই দিনটিই হলো প্রথম অনিরাপদ দিন। আবার আপনার স্ত্রীর সব চেয়ে বেশি যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১০ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর প্রথম দিন থেকে ঐ দিনটিই হলো শেষ অনিরাপদ দিন।

আরও পড়ুন – এন – ৫৯ মেদ ভুড়ি ও ওজন কমাতে কার্যকরী

ধরুন, আপনার স্ত্রীর মাসিক ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হয়। তাহলে এবার ২৮-১৮=১০, অর্থাৎ মাসিকের শুরুর পর থেকে প্রথম ৯ দিন আপনার জন্য নিরাপদ দিন, এই দিন গুলোতে অন্য কোনো পদ্ধতি ছাড়াই যৌন মিলন বা সহবাস করা যাবে। ১০ম দিন থেকে অনিরাপদ দিন, তাই ১০ম দিন থেকে যৌন মিলন সংযম করতে হবে। আবার যেহেতু ৩০ দিন হলো দীর্ঘতম মাসিক চক্র। তাই ৩০-১০=২০, অর্থাৎ ২০ তম দিন আপনার যৌন মিলনের জন্য শেষ অনিরাপদ দিন । ২১ তম দিবস থেকে আপনি আবার Aevua যৌন মিলন করতে পারবেন। তাতে সন্তান গর্ভধারণের সম্ভাবনা নাই। তবে এই উদাহরণে শুধু ১০ ম থেকে ২০ ম দিন পর্যন্ত আপনি অবাঁধ যৌন মিলন বা সহবাস করলে আপনার স্ত্রীর গর্ভধারণের সম্ভাবনা আছে।

আরও পড়ুন – গাইনো কার্ড সিরাপ (শ্বেত প্রদর ও মাসিকের সম্যাসায় টনিক)

উপরে যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে অনেকের কাছে জটিল মনে হতে পারে। তবে খুব সহজ পদ্ধতি হলো, মাসিক শুরুর পর ১ম ৭ দিন আর মাসিক শুরুর আগের ৭ দিন Aevua সঙ্গম করা নিরাপদ। মানে, এই সময় মিলন করলে সন্তান গর্ভে আসার সম্ভাবনা নাই। জেনে রাখা ভালো অনিয়মিত ভাবে মাসিক হবার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি কার্যকর হবে না ।
এছাড়া প্রাকৃতীক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ৮০% নিরাপদ, এর সাফল্যের হার শতকরা ৮০ ভাগ। মাসিকের হিসেবে গণ্ডোগোল করে ফেলা, অনিরাপদ দিবসেও মিলন করা মনেই ঝুঁকি নেয়া, অনিয়মিত মাসিক হওয়া কারণে এই পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে। তাই সঠিক হিসেব জেনে নেবার জন্য প্রথম বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিছু কিছু পুরুষের শুক্রাণুর আয়ু বেশি হওয়ায় এ ক্ষেত্রে এটা সফল নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অনিরাপদ দিবস ২ দিন বাড়িয়ে নেবার প্রয়োজন পড়ে। অনেকে এটাকে ঝামেলা মনে করেন, কিন্তু একবার এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এই পদ্ধতিতে যৌন মিলন খুব বেশ সহজ, আরামদায়ক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত ।

আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev