লিলিয়াম টিগ্রিনাম (Lilium Tigrinum)
চলতি নাম – কলিক রুট (Colic Root)
ডা: ইউলিয়াম বরিক।
বস্তিপ্রদেশের যন্ত্রসমুহের উপর বিশষ ক্রিয়া প্রকাশ করে এবং জরায়ু ও ডিম্বকোষ রোগের প্রতিক্রিয়াজনিত বিবিধ লক্ষণে উপযোগী হয়। অনেক সময় (বিধবা) অবিবাহিত রমণীদের পীড়ায় সুফল প্রদান করে। হৃৎপিণ্ডের উপর ক্রিয়া বিশেষ ভাবে লক্ষলীয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্থানে বেদনা (অক্স্যালিক এসিড)। বাতজ সন্ধি বেদনা।
মন : রোগিনী তাহার পরলৌকিক মুক্তি সম্বন্ধে বিশেষ চিন্তত। সান্তনা বাক্যে রোগ বৃদ্ধি হয়। অত্যন্ত মানসিক অবসাদ। সর্বদাই ক্রন্দন প্রবৃত্তি। উদ্বিগ্ন, কোন যান্ত্রিক এবং অসাধ্য ব্যাধির ভয়ে ভীত থাকে। অভশাপ দেওয়া, আঘাত করা, অশ্লীল বিষয় সম্বন্ধে চিন্তা করার প্রবৃত্তি । উদ্দেশ্যহীনভাবে ব্যস্ত থাকে, সর্বদা কোন কাজে ব্যস্ত থাকে।
মস্তক : উত্তপ্ত নিস্তেজ ও ভারি। গরম ঘরে মুছিতের ন্যায় হইয়া পড়ে। মস্তকে প্রবল অস্বস্তি বোধ করে।
চক্ষু : কনীনিকার সংবেদরাহিত্য। বেদনা মস্কক অভ্যন্তরের দিকে প্রসারিত। অশ্রুপাত এবং দৃষ্টিশক্তির ক্ষীনতা। অদৃরদৃষ্টিসহ তির্ষক দৃষ্টি। দুর্বল চক্ষুপেশীর শক্তি পুনরুদ্ধার করে (আর্জ নাই)।
পাকস্থলী : বিবমিষা, তৎসহ মনে হয় যে পাকাশয়ে একটি পিত্ত রহিয়াছে। ক্ষুধার্ত, মাংস খাইতে চায়। তৃষ্ণার্ত, পুনঃপুনঃ ও অধিক জলপান করে। কোন প্রবল রোগ লক্ষণ প্রকাশের পুর্বে পিপাসা।
উদরগহ্বর : বেদনাযুক্ত, স্ফীত, উদরগ্বররে কম্পনের অনুভুতি। সরলান্ত্রে ও মলদ্বারের নীচের দিকে এবং তৎবিপরীত দিকে চাপ বোধ, দাঁড়াইলে বৃদ্ধি, মুক্ত বাতাসে বেড়াইলে উপশম। মনে হয় নিন্মোদরের সব কিছু বাহির হইয়া পড়িবে।
মুত্রযন্ত্র : পুনঃপুনঃ মুত্রবেগ। মুত্র দুধের ন্যায়, অল্প ও উষ্ণ।
মল : সরলান্ত্রে চাপ বোধহেতু পুনঃপুনঃ মলবেগ দাঁড়াইলে বৃদ্ধি। মলদ্বারে নিন্মমুখী চাপবোধ। ভোরে প্রবল বাহ্যের বেগ। আমাশয়, আম ও রক্ত তৎসহ কোঁথানি, বিশেষতঃ রক্তধিক্যযুক্ত, স্নায়ুবিক প্রকৃতি, বয়ঃসন্ধিক্ষণে সমাগাত রমণীদের।
হৃৎপিণ্ড : মনে হয় যেন হৃৎপিণ্ডকে লোহার সাঁড়াসি দিয়া চাপিয়া ধরিয়াছে (ক্যাকটাস)। পুর্ণতা বোধ, যেন ফাটিয়া যাইবে। সারাদেহে স্পন্দনানুভুতি। বুক ধড়ফড়ানি, নাড়ী দ্রুত এবং অনিয়মিত। হৃৎপিণ্ডস্থানে বেদনা, তৎসহ মনে হয় যেন, বুকে একটা ভারি জিনিষ চাপান আছে। হৃৎপিণ্ডের চতুদিকে শীতলতা বোধ। উষ্ণ এবং জলপুর্ণ গৃহে শ্বাসরোধের মত বোধ হয়। হৃৎশূল তৎসহ দক্ষিণ বাহুতে বেদনা।
স্ত্রী-জননেন্দ্রিয় : ঋতু নিয়মিত সময়েল পুর্বে, সমান্য মাত্র, কাল, চাপ চাপ দুর্গন্ধযুক্ত রক্তস্রাব, তৎসহ মলবেগ, মনে হয় যে তলপেটের যন্ত্রগুলি বাহির হইয়া পড়িবে। বিশ্রমকারৈ ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে (সিপিয়া, ল্যক, বেল)। জরায়ুতে রক্তসঞ্চয়, জরায়ু নির্গমন, জরায়ু সম্মুখ দিকে আবর্তন। সর্বদা বাহির দিক হইতে জরায়ুস্থান চাপিয়া ধরিবার প্রবৃত্তি। ডিম্বোকেষে বেদনা, উহা উরদেশ পর্যন্ত নামিয়া আসে। ক্ষতকর, বাদামীবর্ণ প্রদরস্রাব, যোনিওষ্ঠে চিড়িকমারা বেদনা। রতীচ্ছা উদ্দীপিত। জরায়ু স্থানে স্ফীতিবোধ। জরায়ুর আংশিক পুনরাবর্তন। ভগস্থানে চুলকানি।
হস্ত-পদাদি : উঁচুনীচু জমিতে হাঁটিতে পারে না। পৃষ্ঠে ও মেরুদণ্ডে বেদনা, তৎসহ কম্পন, কিন্ত অনেক সময়েই বেদনা সম্মুখদিকে, নিন্মাভিমুখী চাপ দেওয়ার মত। হস্তাঙ্গুলিতে খোঁচামার মত বোধ। দক্ষিণ বাহু ও কটিদেশে বেদনা। হস্ততালু ও পদতলে জ্বালা।
নিদ্রা : নিদ্রায় তৃপ্তি হয় না, অপ্রীতিকর স্বপ্ন দেখে। মস্ককে অস্বস্তিকর জন্য নিদ্রা যাইতে পারে না।
জ্বর : অপরাহে অত্যন্ত উত্তাপ ও অবসাদ, তৎসহ সারা দেহে স্পন্দন।
উপচয়, উপশম : বৃদ্ধি – সান্তানায়, উষ্ণ ঘরে।
উপশম : মুক্ত বায়ুতে।
সম্বন্ধ : তুলনীয় – ক্যাকটাস, হেলেনিয়াস, মিউরেক্স, সিপিয়া, প্ল্যাটিনা, প্যালাড।
দোষঘ্ন – হেলোন।
মাত্রা : মধ্য ও উচ্চতম শক্তিই সর্বোৎকৃষ্ট মনে হয়। ইহার আরোগ্যকারী শক্তি ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।