মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন

লাইকোপডিয়াম-Lycopodium

আরোগ্য হোমিও হল / ৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ন
র‌্যাটানহিয়া-Ratanhia
হোমিও বই

লাইকোপডিয়াম (Lycopodium)

চলতি নাম – ব্লাব মস (Club Moss)

ডা: ইউলিয়াম বরিক।

রেণুগুলি বিচুণিত হইবার পূর্বে এই ঔষধের কোন ক্রিয়াই প্রকাশ পায় না। ইহার অপূর্ব ক্রিয়া হোমিওপ্যাথিক মতে বিচুর্ণ প্রস্তুত হইলে এবং ক্রিমিক শক্তি বর্ধনে উপললব্ধি করা যায়।

যে সকল ক্ষেত্রে লাইকোপোডিয়াম ঔষধ বলিয়া নির্বাচিত হয়, তাহার প্রত্যেকটিতেই মুত্রযন্ত্র অথবা পরিপার্ক ক্রিয়ার গোলযোগ লক্ষিত হইবেই। প্রুভগল বর্ণিত কার্বো-নাইট্রোজেনোয়েড ধাতু, অথাৎ যাহাদের লিথিক এসিড দোষ কোন মতেই দুর করা যায় না, তাহাদের পক্ষে লাইকোপোডিয়াম উৎকৃষ্ট ঔষধ। যখন পীড়াটি ধীরে ধীরে  বৃদ্ধি পায়, ক্রমলঃ যান্ত্রিক ক্রিয়া দুর্বল হইতে থাকে, ক্রমে জীর্ণশক্তি নষ্ট হইয়া যায় ও যকৃতের ক্রিয়া বিশেষ ভাবে বিকৃত হইয়া পড়ে, তখন লাইকোপোডিয়াম উপযোগী ঔষধ। পেশীর দুর্বলতা, পরিপোষণ ক্রিয়ার বিকৃতি। নরম প্রকৃতি, শ্লেম্মাপ্রধান ধাতু, সর্দি হইবার প্রবণতাযুক্ত ব্যাক্তি। চর্ম হলদে হলদে দাগযুক্ত, চর্ম মাটির বর্ণ, মুত্রে ইউরিক এসিডযুক্ত প্রবীণ ব্যাক্তি। গ্রুভগল বর্ণিত কার্বো-নাইট্রোজেনোয়েড ধাতু ব্যাক্তি। অতিসর্তক দুর্বল শিশুর ক্ষেত্রেও। রোগ লক্ষণগুলি স্বভাবতঃ দক্ষিণ দিক হইতে বাম দিকে প্রসারিত হয়। (ঔষটি) প্রধাণতঃ দেহের দক্ষিণ দিকে ক্রিয়া করে। বৈকাল ৪টা হইতে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত রোগের বৃদ্ধি। মুত্রগ্রন্থির পীড়ায় মুত্রে লাল বালুকার মত তলানি। বৃক্কক স্থানে পৃষ্ঠবেদনা মুত্রত্যাগের পূর্বে অধিখ। শীতল পানীয় পছন্দ করে না, সব কিছুই গরম খাইতে চায়। যে সকর ব্যাক্তির বুদ্ধিবৃত্তি প্রখর, কিন্ত দৈহিক শক্তি অল্প, তাহাদের উপর ভাল ক্রিয়া করে। জটিল, ক্রমবর্ধমান, পুরাতন রোগ। কর্কট রোগ। শীর্ণতা। প্রাতঃকালীন অবসাদ। গ্রন্থিরসসমুহের ক্ষরণ ক্রিয়ার বিশেষ উন্নতি সাধন করে। অকাল বার্ধক্য। যকৃৎ পীড়ায় উদর শোথ। লাইকোর রোগী কৃশ, মলিন, উদর বায়ুপূর্ণ, এবং শুস্ক। দেহে জৈব উত্তাপের অভাব। রক্ত সঞ্চালন ক্রিয়া দুর্বল। হস্ত-পদাদি শীতল। বেদনা হঠাৎ আসে হঠাৎ যায়। শব্দ ও গন্ধ সহ্য করিতে পারে না।

বায়ো কম্বিনেশন ২৫

মন : বিমর্ষ, একাকী থাকিতে ভয় করে। সমান্য কারণে চটিয়া যায়। অত্যান্ত অভমানী। নতুন কোন কাজ গ্রহণ করিতে চায় না। অসুস্থ হইলে যোঁয়ার ও বদরাগী হইয়া উঠে। অত্নবিশ্বাসের অভাব। অশঙ্কাপুর্ণ। স্মৃতিশক্তি দুর্বল, চিন্তা এলোমেলো,  বানান ভুল করে, লিখিতে ভুল করে। মস্কিস্কের শক্তি নষ্ট হইতে থাকে (এনাকাডি, ফস ব্যারাইটা)। কোন নতুন  জিনিষ দেখিতে চায় না। নিজে যাহা লিখিয়াছে, তাহাই পড়িতে পারে না। প্রাতকালে নিদ্রা নিদ্রাভঙ্গের পর বিমর্ষতা।

মস্কক : বিনা কারণে মাথা নাড়ে। মুখমণ্ডল ও মুখগহ্বর বাঁকায়। মস্তকশীর্যে প্রচাপনবৎ বেদনা, বৈকাল ৪টা হইতে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত বৃদ্ধি, শুইয়া থাকিলে অথবা অবনত হইলে বৃদ্ধি, নিদিষ্ট সময়ে আহার না করিলে বৃদ্ধি। শীতের সময়, চক্ষুর উপরিভাগে শিরঃপীড়া, মাথা অনাবৃত করিলে উপশম (সালফ)। প্রাতে নিদ্রাভঙ্গের পর শিরঃঘুর্ণণ। শঙ্খদ্বয়ে বেদনা যেন প্যাঁচ কষিয়া একটিকে অপরটির নিকট আকর্ষণকরিতেছে। মস্ককের পশ্চাদিকে ছিড়িয়া ফেলার ন্যায় দেদনা, মুক্ত বাতাসে উপশম। অনেকগুলি করিয়া মাথার চুল পড়িয়া যায়। একজিমা, কানের পশ্চাতে, রস গড়ায়। কপালের চামড়ায় গভীর ভাঁজ পড়ে। অকালে টাক পড়া এবং চুল কাপা।

আরও পড়ুন – বায়ো কম্বিনেশন ১২ (মাথাব্যথা ও নিদ্রাহীনতা)

চক্ষু : অভ্যন্তরিক কোণের নিকটে চক্ষু পাতায় অঞ্জনী দিবাদ্ধতা (বোথ্রোপস)। কিন্ত নিশান্ধতাই লাইকোর বিশেষ স্বভাবগত। কোন বস্তর এক অধাংশ মাত্র দেখে। চক্ষুর পাতায় ক্ষত ও আরক্তিমতা। ঘুমের মধ্যে চক্ষু আধ-খোলা থাকে।

কর্ণ : ঘন, হলদে, দুর্গন্ধ স্রাব। কানের পশ্চাতে ও চারিদিকে একজিমা। কানপাকা এবং বর্ণনাদসহ অথবা কর্ণনাদ ব্যতীত বধিরতা। স্কার্লেট জ্বরের পরবতী বধিরতা। গুনগুন ও গর্জনবৎ শব্দ, তৎসহ কানে কম শোনা। প্রত্যেকটি শব্দ কানে অদ্ভুতভাবে প্রতিধ্বনিত হ।

নাসিকা : ঘ্রাণ শক্তি অতীব তীব্র। নাসিাকর পশ্চাৎভাগে শুস্কতা বোধ। অব্যন্তর হইতে সমান্য ক্ষতকার স্রাব। নাসারুদ্ধ্রে ক্ষত। নাসিকায় মামড়ী, টানিলে লম্বা হয় এরুপ শ্লেম্মা-বটী (ক্যালি ব্রোম, টিউক্রি)। তরল সর্দি, নাসিকার অবরোধ, নাকে নাকে কথা। শিশু নাক ঘষিতে ঘষিতে ঘুম হইতে চমকিয়া উঠে। নাসাপুটদ্বয়ের পাখার ন্যায় উঠা (ক্যালি ব্রাম, ফস)।

মুখমণ্ডল : ধুসরাত হরিদ্রাবর্ণ মুখমণ্ডল, চক্ষুর চারিদিকে নীলবর্ণ গোলাকার দাগ। বির্ষণ, কুঞ্চিত, শুস্ক, তামার বর্ণ উদ্ভেদ। টাইফয়েড জ্বরে, নিন্মচোয়াল ঝুলিয়া পড়ে।

আরও পড়ুন – মুখমন্ডল, মুখ এবং ঠোটের ক্যানসার

মুখগহ্ববর : দন্তগুলিতে অতীব স্পর্শকতরতা। গণ্ডস্থলের স্ফীতিসহ দন্তশূল। উষ্ণতা প্রয়োগে উপশম হয়। পিপাসা ব্যতীত মুখমধ্য ও  জিহ্বার শুস্কতা। জিহ্বা শুস্ক, ফাটা, ফাটা, স্ফীত এদিক ওদিক নড়িতে থাকে। মুখে জল অসে। জিহ্বার উপর ফোস্কা। মুখ হইতে দুর্গন্ধ।

গলগহ্বর : পিপাসা ব্যতীত গলগহ্বরের শুস্কা। নাসিকা দিয়া খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় উঠিয়া অসে। গলমধ্যে প্রদাহ, তৎসহ গিলিতে গেলে খোঁচামারা বেদনা, গরম পানীতে উপশম। টনসিলের স্ফীতি ও পুঁজ সঞ্চয়। টনসিলে ক্ষত দক্ষিণদিক হইতে আরম্ভ হয়। ডিপথেরিয়া , কৃত্রিম পর্দা দক্ষিণদিক হইতে বামদিকে প্রসারিত হয়। স্বরতন্ত্রতে ক্ষত। টিউবারকুলার দোষজ স্বরযন্ত্র প্রদাহ, বিমেষথঃ যখন ক্ষত হইতে আরম্ভ করে।

পাকস্থলী : শ্বেতসারময় ও দ্রুত পচনশীল খাদ্য, যথা-বাঁধাকপি, সিম প্রভৃতি লাইয়া অগ্নিমান্দ্য। অতি ক্ষুধা। রুটি খাইতে অনিচ্ছা। মিষ্টদ্রব্য খাইতে চায়। খাদ্যবস্ত টক লাগে। অম্ল উদ্গার। হজম শক্তির দুর্বলতা, বিকৃত ক্ষুধা তৎসহ অত্যান্ত বায়ু সঞ্চয়। আহারের পর, পাকস্থলীতে চাপ বোধ, তৎসহ তিক্ত স্বাদ। সমান্য দুই এক গ্রাস খাইলেই পেট ভরিয়া যায়। শামুক খাইতে পারে না। পেটে বায়ু গড়গড় করে (চায়না, কার্বো)। রাত্রিাকেল ক্ষুধার্ত হইয়া জাগিয়া উঠি। হিক্কা। জ্বলাকর অসম্পুর্ণ উদ্গার কোবলমাত্র গলকোষ পর্যন্ত উঠে, এবং তথায় ঘন্টার পর ঘন্টা জ্বালা করে। রাত্রে উষ্ণ খাদ্য ও উষ্ণ পানীয় চায়। নিমগ্নতা বোধ, রাত্রে অধিক।

উদরগহ্বর : অতি অল্প আহারের পরেও, তলপেট স্ফীত ও পূর্ণ হইয়া উঠে। উদরগহ্বরে কোন কিছু ফুটিতেছে – এরুপ বোধ, যেন উপর পেটের বামদিকে ইষ্টের উৎসেচন ক্রিয়া আরম্ভ হইয়াছে। দক্ষিণদিকে অন্ত্রবৃ্দ্ধি। যকৃৎ স্পর্শকার। তলপেটের উপর পীতবর্ণ দাগ। যকৃৎপীড়াবশতঃ শোথ। যকৃৎপ্রদাহ, যৃকৃৎ শুকাইয়া কুঁকড়িয়া যায়। বেদনা নিন্ম-উদরের ভিতর দিয়া দক্ষিলদিকে হইতে বামদিকে তীরের মত প্রধাবিত হ।

মল : অতিসার। অন্ত্রপ্রণালীর নিষ্ক্রিয়তা। নিম্ফল মলবেগ। মল শুস্ক, কষ্টে নির্গত, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এবং সম্পুর্ণ মল নির্গত হয় না। অর্শবলি, অত্যান্ত স্পর্শকাতর ও বেদনাম্বিত (মিউরেটিক এসিড)।

আরও পড়ুন – মুত্র যন্ত্রের ক্যানসার

মুত্র : মুত্রত্যাগের পূর্বে পৃষ্ঠবেদনা, মুত্রত্যাগের পর বেদনা উপশমিত হয়। মুত্র প্রবাহ ধীরে ধীরে আসে, কোঁথ দিতে হয়। মুত্ররোধ। রাত্রিকালে বহুবার মুত্রবেগ। মুত্রে ভারি লাল তলানি। শিশু মুত্রত্যাগের আগে কাঁদিতে থাকে (বোরাক্স)।

পুং-জননেন্দ্রিয় : লিঙ্গোখান হয় না, ধ্বজভঙ্গ। অতি শীঘ্র রেত্রঃপাত হয় (ক্যালাড, সেলি, এগ্নাস)। প্রষ্টেট গ্রন্থি বর্ধিত। নিঙ্গের উপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্বুদ।

স্ত্রী-জননেন্দ্রিয় : নিয়মিত সময়ের অনেক পরে ঋতুস্রাব দীর্ঘকালস্থায়ী এবং প্রচুর। যোনিদ্বার শুস্ক। সঙ্গম কার্যে বেদনা লাগে। দক্ষিণ ডিম্বাশয়ে বেদনা। বাহ্য-জননেন্দ্রিয়ে শিরাস্ফীতি। প্রদরস্রাব বিদ্রাহী, তৎসহ যোনিপথে জ্বালা। মলত্যাগ কালে জননেন্দ্রিয় হইতে রক্তস্রাব।

শ্বাসযন্ত্র : সুড়সুড়িযুক্ত কাশি। শ্বাসকৃচ্ছ। বক্ষে টানপড়া, সঙ্কোচক জ্বালাকর বেদনা। কাশি, পর্বত হইতে অবতরণ কালে বৃদ্ধি। কাশি, গভীর ও শূনাগর্ভ। গয়ের ধুসরবর্ণ, ঘন, রক্তাক্ত, পুঁজময় এবং লবণাক্ত (আর্স, ফস, পালস)। রাত্রিকালীন কাশি, গন্ধকের ধোঁয়ায় যেরুপ হয় সেইরুপ সুড়সুড়ি। শিশুদের বুকের সর্দি, শ্লেম্মা ঘড় ঘড় করে। অবহেলিত নিউমোরিয়া তৎসহ অত্যান্ত শ্বাসকষ্ট। নাকের পাখা উঠাপড়া করে এবং শ্লেম্মার ঘড় ঘড়ি শব্দ।

হৃৎপিণ্ড : নাড়ী স্ফীত (ব্যারাইটা কার্ব), এওর্টা লালভের পীড়া। রাত্রিকালে বুক ধড়ফড়ানি। বামপার্শ্বে চাপিয়া শুইতে পারে না।

পৃষ্ঠদেশ : অঙ্গপ্রত্যাঙ্গে অবশতা এবং টারিয়া ধরা, ছিড়িয়া ফেলার মত বেদনা, বিশেষতঃ রাত্রে বিশ্রামকালৈ। বাহুদ্বয় ভারি। স্কন্ধ ও কুনুই সন্ধিতে ছিন্নকর বেদনা। এক পা গরম, অপর পা ঠান্ডা। পুরাতন গ্রন্থি বাত, তৎসহ সন্ধিসমুহে চা খড়ির ন্যায় পদার্থ সঞ্চয়। প্রচুর পদঘর্ম। গোড়ালিতে বেদনা, যেন পাথরের নুড়ির উপর দিয়া চলিতেছে। পদতলে বেদনাযুক্ত কড়া, হস্ত পদাঙ্গুলিগুলি সঙ্কুচিত। বেদনাযুক্ত পার্শ্ব চাপিয়া শুইতে পারে না। হস্তদ্বয় ও বদদ্বয় অসাড়। হস্ত ও পদদ্বয় অবশ হইয়া যায়। দক্ষিণ পা গরম, বাম পা ঠাণ্ডা। রাত্রিতে শায়িত অবস্থায় পায়ের ডিম ও অঙ্গুলিতে খিল ধরে। অঙ্গপ্রত্যাঙ্গ অসাড় হইয়া পড়ে। অঙ্গপ্রত্যাঙ্গে টানিয়া ধরা ও ঝাঁকি মারা।

আরও পড়ুন – বায়ো কম্বিনেশন ১১ (জ্বর)

জ্বর : অপরাহু ৩টা ও ৪টা মদ্যে শীত, তৎপর ঘর্ম বরফের ন্যায় শীতলতা। মনে হয় যেন বরফের উপর শুইয়া আছে। একবার শীত করার পর আবার শীত করে (ক্যাল্ক, সাইলি, হিপার)।

নিদ্রা : দিবাভাগে তন্দ্রালুতা। ঘুমের মধ্যে চমকিয়া উঠে। দুর্ঘটনা বিষয়ক স্বপ্ন দেখে।

চর্ম : ক্ষত জন্মানর প্রবণতা। চামড়ার নীচে ফোঁড়া, গরম প্রয়ােগে বৃদ্ধি  জল বসন্তেরম পীড়কা, গরমে বৃদ্ধি। অত্যান্ত চুলকানি, ফাটা ফাটা উদ্ভেদ। বায়ঃব্রণ। পুরাতনি একজিমা,সহ মুত্রযন্ত্র পাকাশয় এবং যকৃৎ ক্রিয়ার বিকৃতি। অতি সহজে রক্তস্রাব হয়। চর্ম মোটা ও স্ফীত হইয়া পড়ে। শিরাস্ফীতি, জড়ুল, শিঙের মত অর্বুদ। পাদামীবর্ণ দাগ ও পীড়কা, মুখের বামদিকে ও নাসিকায় অধিক। শুস্ক ও কুঞ্চিত, বিশেষভাবে হাতের তালু। চুল অকালৈ পাকিয়া যায়। শোথ রোগ। দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, আঠা আঠা দুগন্ধযুক্ত ঘর্ম, বিমেষতঃ পায়ে বগলে। সোরাইসিস।

বৃদ্ধি : দক্ষিণ দিকে, দক্ষিণ দিকে হইতে বাম দিকে, উপর হইতে নীচের দিকে, বৈকাল ৪টা হইতে রাত্রি ৮টা, উত্তাপে, উষ্ণগৃহে, উষ্ণ বাতাসাসে, উষ্ণ বিছানায়, উষ্ণ প্রযোগে- কেবলমাত্র গোলরোগ ও পাকস্থলীর রোগ ব্যতীত, ঐগুলি উষ্ণ জল পানে উপশম হয়।

উপশম : চলাফেরা করিলে মধ্যরাত্রির পর, উষ্ণ খাদ্য ও পানীয়ে, ঠাণ্ডা লাগাইলে, গাত্রবরণ খুলিয়া ফেলিলে।

সম্বন্ধ : অনুপুরক – ক্যাল্কেরিয়া ও সালফারের পর লাইকো সুন্দর কাজ করে। আয়োড, গ্র্যাফাই, ল্যাকে, চেলিডো।

দোষঘ্ন : ক্যাম্ফার, পালস, কষ্টিকাম।

তুলনীয় : কার্বোনাইট্রোজেনায়েড ধাতু – সালফার, রাস, আর্টিকা, মার্ক, হিপার। এলুমিনা (লাইকোপোডিয়ামই একমাত্র উদ্ভিজ্জ যাহাতে এলুমিনাম আছে -টি এফ, এলেন) এন্টিম ক্রুড, নেট্রাম মিউর, নাক্স, বোথ্রোমস (নিবাদ্ধত, সুর্যোদয়ের পর দেখিতে পায় না, বাম পায়ের বৃদ্ধগুলিতে বেদনা), প্লাম্বোগে লিটোরালিস –  একটি ব্রাজিল দেশীয় উদ্ভিদ (কোষ্ঠবদ্ধতা, তৎসহ লালমুত্র, মুত্র গ্রন্থিতে বেদনা, সন্ধিসমুহ এবং  দেহে বেদনা, দুধের মত লালা, মুখ ক্ষত) অজীর্ণতা রোগে লাইকোর পর হাইড্রোষ্টিস ভাল খাটে।

মাত্রা : উচ্চ শক্তি ও নিন্মশক্তি উভয় প্রকার শক্তিই সুন্দর কাজ করে। নিঃসরণ ক্রিয়া সাহায্যার্থে ২য় ও ৩য় শক্তির অরিষ্ট কয়েক ফোঁটা মাত্রায় দিনে ৩ বার ব্যবহার করিয়া সুফল পাওয়া গিয়াছে। অন্যকথায় ৬ষ্ঠ হইবে ২০০তম শক্তি এবং তদুর্ধ্ব শক্তি। পুনঃপুনঃ ব্যবহার করিবে না।

2454

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন লাইককমেন্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev