মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৬ অপরাহ্ন

রাস টক্সিকোডেণ্ড্রণ-Rhus Toxicodendron

আরোগ্য হোমিও হল / ১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ন
ম্যাঙ্গেনাম এসেটিকাম-Manganum Aceticum
হোমিও বই

রাস টক্সিকোডেণ্ড্রণ (Rhus Toxicodendron)

চলতি নাম – জয়জন-আইডি (Poison-iby)

ডা: উইলিয়াম বরিক।

চর্মের উপরে ক্রিয়া, বাত রোগের ব্যথা। শ্লৈম্মিক ঝিল্লী সংক্রান্ত রোগ সমুহ এবং টাইফয়েড প্রকৃতির জ্বরে উপযোগী বলিয়া ইহা একটি বহুব্যবহাত ঔষধ। রাস সৌত্রিক তন্ত্রসমুহকে আক্রমণ করে, বিশেষত: সন্ধি, পেশীবন্ধনী, পত্রকোষ প্রভৃতিকে আক্রমণ করিয়া বেদনা ও আড়ষ্টতা সৃষ্টি করে। অস্ত্রোপচারের পরবর্তী উপসর্গসমুহ। ছিড়িয় ফেলার ন্যায় বেদনা। রাস কক্সের রোগী সব অবস্থাতেই সঞ্চালনে উপশমপ্রাপ্ত হয়। সুতারাং অবস্থান পরিবর্তন করিলেই সে আরাম পায়। রক্তদুষ্টি অবস্থা। কৌষিক ঝিল্লী-প্রদাহ (Carbuncle), বিষ সংক্রমণ, দুষ্ট ব্রণ (Carbuncle) রোগের প্রাথমিক অবস্থা (ইচিনে)। শীতকালীন বাতরোগ। পুয়জ জ্বর।

বায়ো কম্বিনেশন ২৫

মন : উদাসীন, বিষগ্ন। আত্নহত্যার চিন্তা করে। অত্যান্ত অস্থিরতা, অবিরত স্থান পরিবর্তন করে। প্রলাপ, মনে করে কেহ তাহাকে বিষ খাওয়াইবে (হায়োস)। জ্ঞানকেন্দ্র ঝাপসা হইয়া পড়ে। রাত্র ভয়ানক আশঙ্কিত হয় বিছানায় শুইয়া থাকিতে পারে না।

মস্তক : মনে হয় যেন, কপালের উপর একখানি তক্তা বাঁধিয়া দিয়াছে। উঠিলে মাথা ঘোরে। মস্তিস্ক আলগা বোধ হয়। এবং চলিতে গেলে অথবা উঠিলে মনে হয় যেন উহা খুলির সহিত ধাক্কা খাইতেছে। মস্কক-ত্বকে স্পর্শকাতরতা, যে পার্শ্বে চাপিয়া শোয়, সেই পার্শ্বে অধিক। মস্তকের পশ্চাতে বেদনা (রাস র‌্যাড), স্পর্শ করিলে ব্যথা লাগে। কপারৈ বেদনা এবং সেই  বেদনা সস্তকের পশ্চাদ্দিকে প্রসারিত হয়। মস্কক-ত্বকে ভিজা ভিজা উদ্ভেদ, অত্যান্ত চুলকানি।

চক্ষু : স্ফীত, রক্তবর্ণ, ফোলা ফোলা, চক্ষুকোটরের কৌষিক ঝিল্লীসমুহের প্রদাহ। পুঁজযুক্ত প্রদাহ। আলোকাতঙ্ক, প্রচুর পরিমাণে হরিদ্রাবর্ণ পুঁজ নিঃসরণ। চক্ষুপত্রের শোথ, পুঁজপ্রবণ উপতারা-প্রদাহ। চক্ষুপত্রদ্বয় প্রদাহিত, জুড়িয়া যায় এবং স্ফীত হয়। পুরাতন আঘাতপ্রাপ্ত চক্ষু। কনীনিকায় সীমাবদ্ধ স্থানে আক্রান্তি। কনীনিকায় বর্ধণশীল ক্ষত। ঠাণ্ডা লাগাহেতু অথবা বাত রোগ হইতে উপতারা-প্রদাহ। চক্ষু ঘুরাইলে অথবা চাপ দিলে বেদনা। চক্ষু নাড়িতে পারে না, চক্ষুগোলকের পশ্চাদ্ভাগের স্নায়ু-প্রদাহ অনুরুপ অবস্থা। চক্ষু খুলিলে প্রচুর, উষ্ণ, বিদাহী অশ্রু স্রোতের মত বাহির হইয়া আসে।

আরও পড়ুন – সিনেরারিয়া মারিটিমা (চোখের ছানি পড়ায় কার্যকর)

কর্ণ : কণে বেদনা, মনে হয় যেন, কর্ণের মধ্যে কোন কিছু প্রবেশ করিয়াছে। কর্ণের উপখণ্ড (নতি) স্ফীত। রক্তাক্ত পুঁজ নির্গমন।

নাসিকা : হাঁচি জলে ভিজিবার ফলে সর্দি। নাকে ডগা লাল, বেদনা ও ক্ষতযুক্ত। নাসিকার স্ফীতি। মাথা অবনত করিলৈ রক্তপাত।

মুখমণ্ডল : চিবাইবার সময় দাঁতের পাটি কড় কড় করে। সহজেই চোয়ালদ্বয় স্থানচ্যুত হয় (ইগ্নে, পেট্রল)। মুখমণ্ডল স্ফীত। ইরিসিল্পাস। চোয়ালের অস্থিতে স্পর্শকাতরতা। কর্ণমুল-প্রদাহ। মুখমণ্ডেলের স্নায়ুশূল তৎসহ শীত শীতভাব, সন্ধ্যাকালে বৃদ্ধি। দুগ্ধ পীড়কা (ক্যাল্পে ভায়োলাট্রিক)।

মুখগহ্বর : দাঁতগুলি আলগা এবং রম্বা মনে হয়। মাড়িতে বেদনা। জিহ্বা লাল এবং ফাটা ফাটা। জিহ্বাগ্রে লাল ত্রিকোণাকার স্থান ব্যতীত অন্য অংশ সাদা লেপে আবৃত, জিহ্বার ধারগুলি লালবর্ণ এবং শুস্ক। মুখের কোণে ক্ষত, মুখের চারিদিকে এবং চিবুকে জ্বরঠুঁটো (নেট্রাম মিউর)। চোয়ালের সন্ধিস্থলে বেনদনা।

গলগহ্বর : বেদনা, তৎসহ গ্রন্থিস্ফীতি। গিলিতে গেলে খোঁচামারা বেদনা। কর্ণমুল-প্রদাহ, বাম পার্শ্বে।

পাকস্থলী : কোন খাদ্যেই রুচি থাকে না, তৎসহ নিদারুণ তৃষ্ণা। তিক্ত স্বাদ  (কুপ্রাম)। বিবমিষা, মাথাঘোরা, আহারের পর উদরস্ফীতি। দুঃধ খাইতে চায়। অত্যান্ত পিপাসা, মখগহ্বার এবং গলগহ্বর শুস্ক। পাকস্থলিতে পাথর চাপার ন্যায় বোধ (ব্রায়ো, আর্স), আহারের পর ঘুম ঘুমভাব

উদরগহ্বর : দারুণ যন্ত্রণা, উপুড় হইয়া শুইলে উপশম। কুঁচকি-গ্রন্থির স্ফীতি। বৃহদন্ত্রের উপর অংশে বেদনা। শূলব্যথা, রোগীকে সম্মুখ দিকে ঝুকিয়া হাঁটিতে বাধ্য করে। আহারের পর অত্যান্ত উদরস্ফীতি। প্রথম উঠিয়া দাঁড়াইলে পেট ডাকিয়া উঠে, কিন্ত চলাফেরা করিলে উহা বন্ধ হইয়া যায়।

আরও পড়ুন – রাস টক্সিকোডেনড্রন হোমিওপ্যাথি মাদার টিংচার

সরলান্ত্র : রক্তাক্ত, পিচ্ছিল এবং লালবর্ণ শ্লেম্মাযুক্ত উদরাময়। আমাশয়, তৎসহ উরুদেশের নিন্ম পর্যন্ত ছিঁড়িয়া ফেলার ন্যায় যন্ত্রণা। মলে বিশ্রা গন্ধ। ফেনাযুক্ত, বেদনাশূন্য মল। সরলান্ত্রের নিকটবর্তী স্থানে পুঁজ সঞ্চয়ের সম্ভবনা দেখা দিলে এই ঔষধ উহা দমন করে। আমাশয়।

মুত্রযন্ত্র : কাল, ঘোলাটে, উগ্রবর্ণ, অল্প পরিমাণ মুত্র। মুত্রে সাদা তলানি। রক্তহীনতাসহ মুত্রকৃচ্ছ রোগ।

পুং-জননেন্দ্রিয় : গ্রন্থিসমুহ ও লিঙ্গাগ্র-ত্বকের স্ফীতি-গাঢ় লালবর্ণ এবং ইরিসিপ্লাস সদৃশ। অণ্ডকোষের ত্বক পুরু, স্ফীত এবং শোথযুক্ত। অত্যান্ত চুলকানি

স্ত্রী-জননেন্দ্রিয় : স্ফীত, যৌনিকপাটে ভয়ানক চুলকানি। নড়িবার চেষ্টা করিলে বস্তি কোটরের অস্থিসন্ধি শক্ত বোধ হয়। নিয়মিত সময়ের পুর্বে ঋতুপ্রাকশ, স্রাব প্রচুর, বিদাহী এবং দীর্ঘস্থায়ী। প্রসবান্ত্রিক স্রাব পাতলা, দীর্ঘস্থায়ী দুর্গন্ধযুক্ত এবং পরিমানে অল্প (পালস, সিকেলি), তৎসহ যোনিমধ্যে চিড়িকমারা বেদনা উপর দিকে ছুঠিয়া চলে (সিপিয়া)।

শ্বাসযন্ত্র : উপর বক্ষাস্থির পশ্চাভাগে সুড় সুড় করে। মধ্যরাত্রি হইতে প্রাতঃকাল পর্যন্ত শীতাবস্থায় অথবা হাত বিছানা হইতে বাহির করিয়া রাখিলে শুস্ক, বিরক্তিকর কাশি। অত্যধিক পরিশ্রমজনিত ফুসফুস হইতে রক্তস্রাব ঐ রক্ত উজ্জল লালবর্ণ। ইনফ্লুয়েঞ্জা, তাহাতে সমস্ত শরীরে কামড়ানি ব্যথা (ইউপে পার্ফ)। অত্যাধিক কণ্ঠস্বর চালনার জন্য স্বরভঙ্গ (আর্ণিকা)। বক্ষে চাপ বোধ, খোঁচামারা বেদনার জন্য শ্বাস লইতে পারে না। বৃদ্ধ ব্যক্তিগণের শ্বাসনলী সংক্রান্ত কাশি, ঘুম হইতে জাগিলে বৃদ্ধি, ছোট ছোট ঢেলার মত শ্লেম্মা বাহির হয়।

হৃৎপিণ্ড : অতি পরিশ্রমের জন্য হৃৎপিণ্ডের বিবর্ধন। নাড়ী দ্রুত স্পন্দনযুক্ত, দুর্বল, অসম, বিরামশীল, তৎসহ বাম বাহুর অবশতা। চুপ করিয়া থাকিলে কম্পন ও বুক ধড়ফড়ানি

পৃষ্ঠদেশ : গলাধঃকারণ করিবার সময় স্কন্ধদ্বয়ের মধ্যে বেদনা। পৃষ্ঠের নিন্মাংশে আড়ষ্টতা ও বেদনা, চলিয়া বেড়াইলে অথবা শক্ত কিছুর উপরে শুইলে উপশম

আরও পড়ুন – অ্যাডাল-৩৯ (সায়াটিকা, বাত ব্যথা)

হস্ত-পদাদি : সন্ধিস্থলসমুহ উষ্ণ, বেদনাযুক্ত ও স্ফীত। কণ্ডরা, পেশী ও পেশীবন্ধনীসমুহ ছিঁড়িয়া ফেলার ন্যায় ব্যথা। বাত বেদনা- সমস্ত ঘাড়ে, কটিদেশে এবং নিন্মাঙ্গে, চলাফেরা করিলৈ উপশম (এ্যাগারিকাস)। অস্থগ্র প্রবর্ধনসমুহে বেদনা। অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গগুলি আড়ষ্ট ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত। শীতল উন্মুক্ত বাতাস সহ্য হয় না, উহাতে ত্বকে বেদনা জন্মে। প্রকোষ্ঠাস্থিতে বেদনা। উরুদেশে ছিন্নকর বেদনা। সায়েটিকা, ঠাণ্ডা ও স্যাঁতসেতে আবহাওয়ায় এবং রাত্রিকালে বৃদ্ধি। বেশী পরিশ্রম করিলে এবং ঠাণ্ডা বাতাস লাগাইলে অসাড়তা, ও পিপীলিকা চলার ন্যায় অনুভুতি। পক্ষাঘাত, একটু পরিশ্রম করিলেই কম্পন দেখা দেয়। হাঁটুতে স্পর্শকাতরতা। বাহু ও অঙ্গুলির পরিশ্রম করিলেই কম্পন দেখা দেয়। হাঁটুতে স্পর্শকাতরতা। বাহু ও অঙ্গুলির শক্তিহীনতা, আঙ্গুরৈর ডগায় সুড়সুড়ি। পদতলে ঝিন ঝিন করে।

জ্বর : অতি দুর্বলতাযুক্ত, অস্থির কম্পনশীল। আন্ত্রিক জ্বর, জিহ্বা শুস্ক ও বাদামীবর্ণ। দন্তগত মল (Sordes), পাতলা মলত্যাগ। অত্যন্ত অস্থিরতা। সবিরাম জ্বর, শীতের সময় শুস্ক কাশি ও অস্থিরতা। উত্তাপ অবস্থায় আমবাত। ঘামাচি । ঘামাচি। ঠাণ্ডা জল গায়ে ঢালার ন্যায় শীত, তৎপর উত্তাপ এবং হাত-পা ছড়াইবার চেষ্টা।

চর্ম : লাল, স্ফীত, অত্যান্ত চুলকানিযুক্ত। ফোস্কা, দদ্রু, আমবাত পোড়া নারাঙ্গা, ইরিসিপ্লাস, পুঁজ উৎপাদনকারী ফোস্কা। গ্রন্থি-স্ফীতি। কৌষিক ঝিল্লীর প্রদাহ। জ্বালাকর কাউর ঘা, তাহার উপরে মাড়ী পড়ে।

নিদ্রা : অত্যান্ত পরিশ্রমজনক কাজের স্বপ্ন, গভীর নিদ্রা, আচ্ছন্নের মত। মধ্যরাত্রির পূর্ব পর্যন্ত অনিদ্রা।

উপচয়, উপশম: বৃদ্ধি – নিদ্রাকালে, ঠাণ্ডা ভিজা বর্ষার সময় এবং বৃষ্টির পরে, রাত্রিকালে, বিশ্রামকালে, জলে ভিজিলে, চিৎ হইয়া শুইলে, দক্ষিণ পার্শ্বে চাপিয়া শুইলে।

উপশম : উষ্ণ, শুস্ক আবহাওয়ায়, সঞ্চালনে, চলিলে, অবস্থান পরিবর্তনে, ঘষিয়া দিলে, গরম কিছু লাগাইলে, হাত-পা ছড়াইলে।

সম্বন্ধ : অনুপুরক – ব্রায়ো, ক্যাল্কে ফ্লুওর, ফাইটো (বাত)। আমবাত রাস টক্সের পর ভোভিষ্টা ভাল খাটে। পুর্বে ও পরে খাটে না – না এপিস।

দোষঘ্ন : দুগ্ধে স্নান এবং গ্রিণ্ডেলিয়া লোশনের বাহ্যিক প্রয়োগ বিশেষ উপকারী। এম্পিলোপ্সিস ট্রাইফোলিয়া-ত্রি-পত্র উডবাইন (বিষাক্ত শাকসব্জি খাওয়ার জন্য ত্বক-প্রদাহ -৩০ এবং ২০০ শক্তি। রাস টক্স বিষাক্ততার অনুরুপ লক্ষণ)। প্রাচীন মতে আইভি বিষাক্ততা দুর করিবার জন্য অধিক মাত্রায় সেবন বা ইঞ্জেকশন করার ব্যবস্থা দেওয়া হইত। কিন্ত হোমিওপ্যাথি মতে রাস টক্স ৩০ ও ২০০ শক্তি এবং এ্যানাকাডি প্রভৃতি অধিকতর ফলপ্রদ। এ্যানাকাডি, ক্রোটন, গ্রিণ্ডেলিয়া, মেজের, সাইপ্রি, প্লাম্বাগো (যোনিকপাটে কাউর ঘা), গ্র্যাফাই।

আরও পড়ুন – সালফার আয়োড ৩x (চর্মপীড়ায় কার্যকরী)

তুলনীয় : রাস রেডিক্যান্স (প্রায় সমগুণ ঔষধ)। ইহার বিশেষত্ব জিহ্বায় জ্বালা, জিহবাগে ক্ষতবৎ বোধ হয়। বেদনা অনেক ক্ষেত্রে একাঙ্গিক এবং বিভিন্ন স্থানে, অনেক সময় দুরবর্তী অংশে এবং পুনঃপুনঃ আগত। অনেক লক্ষণ ঝড় আরম্ব হইবার পর উপশমিত হয়, বিশেষতঃ ঝড়টি যদি বৈদ্যুতিক প্রকৃতির হয়। এই ঔষধের বৎসরান্তে রোগক্রমণ লক্ষণ আছে (ল্যাকে)। রাস রেডিক্যান্সে মস্তকের পশ্চাতে বেদনা আছে, ঐ বেদনা ঘাড়ে নামিয়া যায়, আবার সেখান হইতে মাথার সম্মুখ দিকে চলিয়া আসে। রাস ডাইভার্সি-ক্যালফর্ণিয়ার পয়জন ওক (রাস টক্সের বিষঘ্ন) ভয়াবহ চর্ম-লক্ষণ, তৎসহ ভয়ঙ্কর চুলকানি। মুখমণ্ডল, হস্তদ্বয় ও জননেন্দ্রিয়ে অত্যান্ত স্ফীতি। চর্ম অত্যান্ত স্পর্শকাতর, একজিমা এবং ইরিসিপ্লাস। অত্যান্ত স্নায়বিক দুর্বলতা, সামান্য শ্রমেই ক্লান্ত হইয়া পড়ে, শুধু  ক্লান্তির জন্যই শয্যা গ্রহণ করিতে বাধ্য হয়- যেরোফাইলাম (কষ্টরজঃ এবং চর্ম লক্ষণ)।

আরও তুলনীয় : আর্ণিকা, ব্যাপ্টি, ল্যাকে, আর্স, হায়োসা, ওপি (আরও অধিক মাদকতা)। মাইমোসা- লজ্জাবতী লতা (ব্ত, হাঁটুর আরষ্টতা, পৃষ্ঠে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছুরিকাবিদ্ধবৎ বেদনা। গোড়ালিদ্বয়ের স্ফীতি। পদদ্বয় কম্পনশীল)।

মাত্রা : ৬ষ্ঠ হইতে ৩০ শক্তি। ২০০তম ও তদুর্ধ্ব শক্তি রাস টক্স, পয়জন আইডি গাছ অথবা ঐ টিংচার দ্বারা বিষাক্ততায় বিষঘ্ন ক্রিয়া করে।

2454

 আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন লাইককমেন্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev