বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন

রক্তস্রাব-সহ অন্যান্য উপসর্গ

আরোগ্য হোমিও হল / ১৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশ কালঃ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
সূচীপত্র
সূচীপত্র

রক্তস্রাব-সহ অন্যান্য উপসর্গ

হোমিওপ্যাথিক মানুসিক রোগ ও যৌন চিকিৎসা

ডা: জে. এন. পাত্র

ডি. এম. এস  (কলকাতা ) ও

ডা: আর. এন. চন্দ্র

এম, ডি হোমিও প্রাপ্তন চিকিৎসক কলকাতা।

 

 

রক্তস্রাব-সহ অন্যান্য উপসর্গ

(১) সমস্যা : একস্থানের রক্ত বন্ধ হয়ে অন্য স্থান দিয়ে রক্তস্রাব।

সমাধান : এসেটিক এসিড ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(২) সমস্যা : ঋতুকালে বা ঋতুবন্ধ হয়ে নাক দিয়ে রক্তস্রাব।

সমাধান : ব্রারোনিয়া ৩০ বা ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৩) সমস্যা : মলত্যাগকালে জননেন্দ্রিয় থেকে রক্তস্রাব।

সমাধান : লাইকোপোডিয়াম ৩০ বা ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(৪) থাইসিস ও মুখ দিয়ে রক্ত ওঠা দিয়ে রক্তস্রাব।

সমাধান : গ্যালিক এসিড ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৫) সমস্যা : টাইফয়েড জ্বরে রক্তস্রাব।

সমাধান : এলিউমিনা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

বায়ো কম্বিনেশন ২৫

(৬) সমস্যা : জরায়ু-কিডনী-পাকস্থলী থেকে রক্তস্রাব।

সমাধান : ম্যাঙ্গিফেরা (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৭) সমস্যা: চোখ থেকে কালো বর্ণের রক্তস্রাব।

সমাধান : আর্নিকা-মন্ট ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)

(৮) সমস্যা : অত্যন্ত অধিক পরিমাণে তরল রক্তস্রাব।

সমাধান : কার্বো-ভেজ ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৯) সমস্যা : দাঁত তোলার পর সর্বদাই রক্ত পড়ে।

সমাধান : ফসফরাস ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(১০) সমস্যা : জরায়ু থেকে প্যাসিভ রক্তস্রাব।

সমাধান : সিকেলি-কর ৪ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

আরও পড়ুন –  আর ৩১ (রক্তশূন্যতা, দুর্বল ক্ষুধা)

(১১) সমস্যা : লাল- ও চাপ রক্তস্রাব—সবিরাম বেদনা।

সমাধান : বেলেডোনা ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(১২) সমস্যা: বেদনা বা উদ্বেগহীন লালবর্ণের রক্তস্রাব।

সমাধান : মিলিফোলিয়াম ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(১৩) সমস্যা : অত্যান্ত অধিক পরিমাণে রক্তস্রাব।

সমাধান : চায়না ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(১৪) সমস্যা : সকল স্থানের রক্তস্রাব-পাতলা, টকটকে লাল।

সমাধান : ফেরম-মেট ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(১৫) সমস্যা : জরায়ুগ্রীবায় ক্ষত—দুর্গন্ধ রক্তস্রাব।

সমাধান : বিউফো ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(১৬) সমস্যা : নানা প্রকার রক্তস্রাব।

সমাধান : হাইড্রাসটিনাম ৩x (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(১৭) সমস্যা : আলকাতরার মতো কালো রক্তস্রাব।

আরও পড়ুন –  মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তস্রাবে হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক ঔষধ

সমাধান :হাইড্রাসটিস-সল্ফ ১x (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(১৮) সমস্যা : জরায়ুতে অর্বুদ হয়ে রক্তস্রাব।

সমাধান : লিডম ৩০ বা ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(১৯) সমস্যা : প্রসবের পর ভারী দ্রব্য উত্তোলনের জন্য রক্তস্রাব।

সমাধান : সিনামোনাম ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)

(২০) সমস্যা : প্রস্রাবদ্বারা দিয়ে উজ্জ্বল লালবর্ণে রক্তস্রাব।

সমাধান : ইপিকাক ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)

(২১)  সমস্যা: গর্ভস্রাবের পর অতিরিক্ত রক্তস্রাব।

সমাধান : স্যাবাইনা ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(২২) সমস্যা : কাশি-সহ মুখ দিয়ে রক্ত ওঠে।

সমাধান : একালিফা-ইন্ডিকা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(২৩) প্রচুর রক্তস্রাব—পেটে ব্যথা।

সমাধান : হ্যামামেলিস ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(২৪) সমস্যা : থাইমিস—গলা সুড়সুড় করে কাশি ও রক্ত ওঠা অত্যন্ত বুক ধড়ফড়ানি-সহ রক্ত ওঠে।

সমাধান :  লাইকোপাস ২০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(২৫)  সমস্যা : নানাবিধ রক্তস্রাব।

সমাধান : ভাইপোরা ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(২৬)  সমস্যা : অত্যান্ত বুক ধড়ফড়ানি-সহ রক্ত ওঠা ।

সমাধান : ক্যাক্টস গ্র্যান্ডি ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)।

(২৭) সমস্যা : জরায়ুর রক্তস্রাব।

সমাধান : ট্রিলিয়ম ৬x (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

আরও পড়ুন – রক্ত স্রাবে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

(২৮) সমস্যা : ক্ষত থেকে সহজে রক্তস্রাব।

সমাধান : ফসফরাস ৬ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)

(২৯) সমস্যা : হৃৎপিণ্ডের পীড়া-সহ সকল দ্বারা দিয়ে রক্তস্রাব গয়েরের সঙ্গে রক্ত ওঠা।

সমাধান : ক্যাক্টস গ্র্যান্ডি ৩০ বা ২০০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)

(৩০) সমস্যা : গয়ারের সঙ্গে রক্ত ওঠা ।

সমাধান :  সিনিসিও ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)

(৩১) সমস্যা : শরীরের সকল স্থানের রক্তস্রাব।

সমাধান : এড্রিনালিন ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে ও রাত্রে সেব্য)

(৩২) সমস্যা : দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তস্রাব।

সমাধান : ব্যাটানহিয়া ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

(৩৩) সমস্যা : নাক দিয়ে রক্তস্রাব।

সমাধান : ন্যাট্রম-নাইট্রিকম ৬ বা ৩০ (প্রত্যহ সকালে, দুপুরে ও রাত্রে সেব্য)।

 

বি. দ্র. : রক্তস্রাবের চিকিৎসায় ওষুধের শক্তি দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এসব শক্তিই প্রযোজ্য। তবে ক্ষেত্র-বিশেষে শক্তির হেরফের ঘটানোর প্রয়োজন হতে পারে। পীড়ার প্রাবল্য অনুযায়ী শক্তি নিরূপণ করা উচিত। তাহলে পীড়া সহজে এবং অল্প সময়ে নিরাময় হয়। আবার, সেবনের জন্য যে সব সময়ের উল্লেখ করা হয়েছে—সে সবেরও পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে। সবই করতে হবে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। রক্তস্রাবের চিকিৎসা কোনো অনভিজ্ঞ হাতে না হওয়াই ভালো। চিকিৎসককে মনে রাখতে হবে, রোগীকে অল্প সময়ে সুস্থ করে তোলাই তাঁর প্রধান কর্তব্য। সুতরাং এ বিষয়ে বইয়ের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করা অনুচিত কাজ হবে। তাছাড়া আরও একটি বিষয়ে চিকিৎসককে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাঁকে আনুষঙ্গিক উপসর্গসমূহের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। তখন হয়তো ওষুধটিই পরিবর্তন করার দরকার হতে পারে। পরিবর্তিত ওষুধের শক্তি ও সেবনের সময় এক নাও হতে পারে।

2454

আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন লাইককমেন্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


এ জাতীয় আরো খবর.......
Design & Developed BY FlameDev