যৌনাঙ্গের আঁচিল এর হোমিওপ্যাথি ঔষধ
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম আশা করছি, সবাই ভালো আছেন আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো যৌনাঙ্গের আঁচিল এর হোমিওপ্যাথি ঔষধ কি তা নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়
যৌনাঙ্গের আঁচিল? :
যৌনাঙ্গের আঁচিল অথবা জরুল খুবই একটি সাধারণ ব্যপার একটি যৌন সংসর্গিত সংক্রমণ, যা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) কারণে হয়ে থাকে অন্যান্য উপর্গের মধ্যে ব্যথা, অস্বস্তি এবং চুলকানি হলো এর অন্যতম বৈশিষ্ট পুরুষ-মহিলাদের যৌনাঙ্গ অঞ্চলের কাছাকাছি একটি অথবা একগুচ্ছ আঁচিল দেখা দিতে পারে তবে পুরুষদের তুলনায় নারীরা এই সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
যৌনাঙ্গের আঁচিলের প্রধান কারণগুলি কি কি :
যৌনাঙ্গের আঁচিলের মূল কারণ হলো এইচপিভি সংক্রমণ এই সংক্রমণ এইচপিভি সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে সুস্থ ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে পড়ে যেমন –
যৌন মিলন (যোনি, মুখ অথবা পায়ুপথ দ্বারা)- এইচপিভি দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় তখনই যখন খুব অল্প বয়সে যৌন মিলনে সক্রিয় হয়ে উঠলে বা একাধিক সঙ্গী অথবা সঙ্গীনীর সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌন মিলন এমন কারওর সাথে যৌন মিলন লিপ্ত হওয়ার কারণে যার যৌন মিলন সংক্রান্ত ইতিহাস জানা নেই আবার প্রসব (সংক্রামিত মায়ের থেকে শিশুর দেহে সংক্রামিত হয়) যৌনাঙ্গের আঁচিলের চিকিৎসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এইচপিভি সংক্রমণ, যার থেকে সার্ভিকাল অথবা যোনির ক্যান্সার হতে পারে এইচপিভি প্রতিকারে আঁচিলের পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকি কম কমাতে সহায্য করে যখন হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) ত্বকের একটি কাটা অংশে প্রবেশ করে, তখন এটি ত্বকে সংক্রমণ ঘটায় যা আঁচিল তৈরি করে আঁচিল খুব সংক্রামক হয়. ভাইরাসটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে বা শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি :
যৌনাঙ্গে আঁচিল বিভিন্ন রূপে দেখা দিতে পারে, যৌনাঙ্গে আঁচিলের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলি নিন্মে দেওয়া হলো।
(ক) ছোটো, বিক্ষিপ্ত ফোলা (চামড়ার রঙে অথবা গাঢ় বর্ণ)।
(খ) যৌনাঙ্গে একগুচ্ছ ফোলা অংশ বা আঁচিল।
(গ) কুঁচকির জায়গায় চুলকানি বা অস্বস্তি।
(ঘ) যৌন মিলনের সময় রক্তপাত ও ব্যথা হতে পারে।
মহিলাদের যৌনাঙ্গের কোন কোন জায়গায় আঁচিল জায়গায় দেখা যায় :
(১) যোনির ভিতরে
(২) যোনিদ্বার, জরায়ু গ্রীবা বা কুঁচকিতে
পুরুষদের যৌনাঙ্গের আঁচিল যেসব জায়গায় দেখা দেয় :
(ক) লিঙ্গে।
(খ) অন্ডথলি, উরু বা কুঁচকিতে।
(গ) স্ত্রী-পুরুষদের মলদ্বারের চারপাশে।
(ঘ) ঠোঁট, মুখ, জিভ, অথবা গলায় হতে পারে।
যে সবা জিনিস ব্যবহার করলে ওয়ার্ট বা আঁচিল হতে পারে :
(১) ভাইরাস দ্বারা দূষিত কিছু স্পর্শ করা, যেমন-তোয়ালে, দরজার নব ও ঝরনার মেঝে
(২) যৌন মিলননে মাধ্যমে (জেনটাল ওয়ার্টস)।
(৩) নখ কামড়ানো বা কিউটিকল বাছাই।
(৪) শেভিং এর মাধ্যমে।
Warts বা আঁচিলের উপসর্গ বা লক্ষণ কি কি :
Wartsচেহারা ভিন্ন ভিন্ন দেখতে পারে।
(ক) গম্বুজ আকৃতির হতে পারে।
(খ) সমান হতে পারে।
(গ) রুক্ষ হতে পারে।
(ঘ) ত্বকের রঙ, বাদামী, ধূসর অথবা কালো হতে পারে।
Warts বা আঁচিলের ধরন কি কি :
আক্রান্ত মানবদের অংশের উপর নির্ভর করে ওয়ার্টের ধরন পরিবর্তিত হয়।
(১) হাত এই আঁচিলগুলিকে সাধারণ আঁচিল বলা হয়, কারণ এগুলো সবচেয়ে সাধারণ প্রকার।
(২) মুখ ফ্ল্যাট ওয়ার্ট মুখ এবং কপাল হতে পারে।
(৩) পা পায়ের তলায়, প্লান্টার ওয়ার্টস দেখা দেয় এই আঁচিল গুলি ছোট কালো বিন্দু সহ কলাসের মতো দেখায় এ আঁচিল গুলি প্রায়শই বেদনাদায়ক এবং ক্লাস্টারে গঠন করে।
(৪) যৌনাঙ্গ পুরুষাঙ্গ , যোনি অথবা মলদ্বারে যে আঁচিল তৈরি হয় তাকে যৌনাঙ্গে আঁচিল বলা হয় এই আঁচিল গুলো এক ধরনের যৌনবাহিত সংক্রমণ আপনি একজন সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে যৌন মিলনের মাধ্যমে যৌনাঙ্গে আঁচিল হতে পারে।
(৫) পেরিউংগুয়াল এবং সাবাংগুয়াল এই আঁচিলগুলি আঙ্গুলের নখ এবং পায়ের নখের নীচে অথবা চারপাশে তৈরি হয়।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ঔষধ সমুহের লক্ষণ ভিত্তিক আলোচনা :
থুজা অক্সিডেন্টালিস (Thuja Occidentalis) : রোগীর আঁচিলটি যদি ফুলকপির মতো দানা দানা খাঁজ কাটা হয় তখন থুজা অক্সিডেন্টালিস ব্যবহার করা হয় থুুুুজার রোগী নানা প্রকার কাল্পনিক কল্পনা করে রোগী মনে করে তাহার সর্বশরীর কাঁচ অথবা কাঠ দিয়ে তৈরি যে কোন সময় এই দেহ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে এই ভয়ে সব সময় সতর্ক হয়ে চলাফেরা করে আবার কখনো কখনো মনে করেন কেউ যেন তার পাশে শুয়ে আছে তার আত্মা যেন তার থেকে পৃথক থুজার রোগীর বিশেষত্ব হচ্ছে স্ত্রী-পুরুষের উপমাংশ স্থানে টাটানী ব্যাথা ও সামান্য স্পর্শে রক্ত স্রাব হয় এই লক্ষণগুলি এসিড নাইট্রিকেও আছে স্যাবাইনার রোগীর সাইকোসিসের দোষ যুক্ত, স্ত্রী জননেন্দ্রিয়ে ও মলদ্বারে আঁচিল হয় অসহ্য চুলকানি ও জ্বালাপোড়া এই সমস্যা পুরুষের যৌনাঙ্গে হলেও ব্যবহারিত হয় থুজা তবে থুজার পর স্যাবাইনা ব্যবহার হয়।
নাইট্রিক এসিড (Nitricum Acidium) : নাইট্রিক এসিড এর রোগীর আঁচিল যদি ফুলকপির মতো দেখতে হয় কিন্তু নড়াচড়ায় বা সামান্য লাগলেই রক্তপাত হয় তখন ব্যবহার নাইট্রিক এসিড করতে হবে।
কষ্টিকাম (Causticum) : যদি বহুদিনের পুরাতন আঁচিল তাহা নরম আকারে ছোট আবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এবং দেখতে চেপ্টা, অথবা সূচালো হয়, উহা সাধারণতঃ চোখের পাতায়, নাকের ডগায়, ঘারে, হাতের আঙ্গুলে ও নখের ধারে হয় তাহলে কষ্টিকাম ব্যবহার্যতবে মনে রাখবেন থুজার বিফলতায় কুষ্টিকাম।
ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া (Staphysagria) : আবার যদি কোন রোগীর পারদের অপব্যবহারের মাধ্যমে উৎপন্ন সাইকোটিক দোষযুক্ত ফুলকপির মতো বড় ধরণের আঁচিল বা উপমাংসের সহিত রোগীর একজিমার সথে দাঁতের রোগ থাকে ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া ব্যবহারে ভাল কাজ করে।
সাবাইনা (Sabaina) : কোন শিশু রোগীর শরীরে ও মুখ মন্ডলে গুড়ি গুড়ি আঁচিল হয় তারসংগে আঁচিলের ভিতর হতে ভাতের মতো পদার্থ বাহির হয় তবে সেবাইনা ভাল কাজ করে থাকে আর যদি সেবাইনা ব্যবহারে সম্পূর্ণ ভাবে আঁচিল ভাল না হয় তবে কুষ্টিকামে অব্যর্থ ঔষধ আবার যদি কোন রোগীর মাথায় ফুলকপির মত আঁচিল হয় সে ক্ষেত্রে থুজা ব্যবহারে যথেষ্ট ফল পাওয়া যায়।
আচিঁলের ঔষধ নির্বাচনের গাইড লাইন :
(১) প্রদাহিত আচিঁল : নাইট্রিক এসিড, ক্যালকেরিয়া কার্ব, কষ্টিকাম, সিপিয়া, সাইলেসিয়া, ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া।
(২) আচিঁল হতে সহাজই রক্তপাত হয় : সিনাবেরিস, এডি নাই, থুজা অক্সিডেন্টাল।
(৩) ক্ষত যুক্ত আচিঁল : আর্সেনিক এলবম, কষ্টিকাম, হিপার সালফ, সাইলেসিয়া, থুজা অক্সিডেন্টাল।
(৪) চ্যাপ্টা আচিঁল : ডল্কামারা, ল্যাকেসিস।
(৫) দন্ত যুক্ত আচিল : এন্টিম ক্রুড, এসিড ফস, গ্রাফাইটিস, এসেটিক এসিড, সিপিয়া, থুজা।
(৬) বৃন্ত যুক্ত আচিঁল : কষ্টিকাম, ডল্কা, লাইকো, থুজা অক্সিডেন্টাল।
(৭) বৃহৎ আচিঁল : কষ্টিকাম, ডল্কা, এসিড নাই, সিপিয়া।
(৮) ক্ষুদ্র আচিঁল : ক্যালকেরিয়া কার্ব, এসিড নাই, সার্সাপেরিলা, সিপিয়া, থুজা অক্সিডেন্টাল।
(৯) মুখ মন্ডলে আচিঁল : কষ্টিকাম, ডল্কা, এসিড নাইট্রিকাম, সিপিয়া, থুজা অক্সিডেন্টাল।
(১০) চক্ষুপল্লবে আঁচিল : এসিড নইট্রিকাম।
(১০) নাকের উপর আঁচিল : কষ্টি, থুজা অক্সিডেন্টাল।
(১১) জিহ্বায় আচিঁল : অরাম মিউর, থুজা অক্সিডেন্টাল।
(১২) গ্রীবায় আচিঁল : এসিড নাইট্রিকাম।
(১৩) বাহুর উপর আচিঁল : ক্যালকেরিয়া ফস, এসিড নাইনাইট্রিকাম, সিপিয়া সালফার।
(১৪) হাতের আচিঁল : ক্যালকেরিয়া ফস, এসিড নাইট্রিকাম, লাইকো, সিপিয়া, সালফার, থুজা অক্সিডেন্টাল।
(১৫) করতলে আচিঁল : এনাকার্ডিয়াম ওরি, নেট্রাম মিউর।
(১৬) আঙ্গুলে আচিঁল : বার্বারিস, ক্যাল, কষ্টি, নেট্রাম মিউর, এসিড এসেটিক, রাসটক্স, সিপিয়া, সালফার, থুজা অক্সিডেন্টাল।
(১৭) বৃদ্ধ আঙ্গুলিতে আচিঁল : ল্যাকেসিস।
(১৮) প্রেপুসের উপর আচিল : সিনাবেরিস, ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া, থুজা অক্সিডেন্টাল।
(১৯) থুতনিতে আঁচিল : লাইকোপোডিয়াম, থুজা অক্সিডেন্টাল।
(২০) লিঙ্গ মুণ্ডে আচিঁল : এসিড নাই, এসিড ফস, থুজা অক্সিডেন্টাল।
(২১) স্ত্রীজননেন্দ্রিয়ে আচিঁল : এসিড নাই , ষ্ট্যাফি, থুজা অক্সিডেন্টাল।
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম আশা করছি, সবাই ভালো আছেন আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মেয়েদের সাদা স্রাবের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি কি তা নিয়ে আজকের জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায় আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন নিজের প্রতি যত্নবান হন এবং সাবধানে থাকুন যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন