মেয়েদের গোপনাঙ্গের দুর্গন্ধ দূর করার ১১ টি ঘরোয়া উপায়
আরোগ্য হোমিও হল এ আপনাকে স্বাগতম, এখানে আজ মেয়েদের গোপনাঙ্গের দুর্গন্ধ দূর করার ৭ টি ঘরোয়া উপায় কি?এটা এমন সমস্যা যা কউকে শেয়ার করা যায়না বলতে লজ্জা লগে, যাহার ফলে এটা নিয়ে প্রায় ছেলে মে খুব বিব্রত বোধ করেন তা নিয়ে আলোচনা কররো। চলেন কথা না বাড়িয়ে মুল আলোচনায় যায়।
গোপন অঙ্গের দুর্গন্ধের সমস্যা ছেলে মেয়ে উভয়ের হতে পারে। এ গোপন অঙ্গের দুর্গন্ধের সমস্যায় অনেকেই বিব্রত বোধ করেন। তবে বিশেষ করে মহিলাদের এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। অনেকেই লজ্জায় কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেন না। আবার অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও ভাবেন না। কিন্তু মনে রাখবেন গোপন অঙ্গে দুর্গন্ধের ফলে স্বাভাবিক যৌন জীবনে বড় ধরণের সমস্যা হতে পারে।
এমোনিয়ার গন্ধ : মহিলাদের এটি একটি কমন সমস্যা ইউরিন লিকিং। ইনকন্সিস্টেন্সি, প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা। এ সময় গোপন এরিয়াতে ড্রিপিং হয় ইউরিনের। অনেক সময় মেয়ে বুঝতেও পারে না। মেয়েদের প্রস্রাবের রাস্তায় কোনো সমস্যা হলে গোপন অঙ্গে এরিয়াতে এমোনিয়া ধরনের গন্ধ তৈরি করে।
আঁষটে গন্ধ : কখনো কখনো টক টক গন্ধ পরিবর্তন হয়ে এক ধরনের মাছের গন্ধের মতো বের হয়। গোপন অঙ্গের জায়গাটি চুলকাতে পারে। অনেক সময়ে পিরিয়ডের পরপর হতে পারে, আবার সঙ্গমের পরও হতে পারে। এ সমস্যাটি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস নামক সংক্রণ হতে পারে। এমনটি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কপারের গন্ধ : অনেকসময় গোপন অঙ্গ থেকে কপারের মতো গন্ধ পাওয়া যায়। কখনো কখনো লোহার পাইপের গন্ধ পাওয়া যায়। বিশেষ করে মাসিকের পরই সাধারনত এমনটি হয়ে থাকে। এটি মাসিকের কয়েকদিন পর চলে যেতে পারে। কিন্তু মাসিকের অনেক পরে এমন গন্ধের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এর সাথে কোনো ধরনের ব্লিডিং হলে গন্ধটি স্বাভাবিক নয়। এ অবস্থায় চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করুন।
টক টক গন্ধ : কোনো সময় গোপন অঙ্গ থেকে এক ধরনের টক টক বা দইয়ের মতো গন্ধ বের হয় কিছুদিন ধরে। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই।
এর বাইরেও কখনো মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ, কখনো ব্লিচের গন্ধ, আবার কখনো গ্রোয়েনে বের হওয়া ঘামের গন্ধ জমেও গোপন অঙ্গে এরিয়াতে গন্ধ তৈরি করতে পারে। পরিবর্তনগুলো হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এ পরিবর্তন যদি বেশিদিন চলতে থাকে এবং এর সঙ্গে গোপন অঙ্গে পোড়া পোড়া ভাব, ইরিটেশন এবং কোনো ধরনের স্মেলি ডিসচার্জ নিয়মিত হতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুণ।
গোপনাঙ্গের দুর্গন্ধ দুর করার ঘরোয়া ভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
(ক) ভালভাবে গোপন অঙ্গের যত্ন নিন। সর্বদা পরিষ্কার থাকুন।
(খ) ভাল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করেন। ব্যান্ডের কোম্পানির বডি ওয়াশ পাওয়া যায়, সেগুলোও ব্যবহার করুণ।
(গ) গোপন অঙ্গে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও সুগন্ধী পাউডার ব্যবহার করুণ ।
(ঘ) টাইট অন্তর্বাস পরিহার করুণ। গোপন অঙ্গে দুর্গন্ধ হলে ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুণ।
(ঙ) ব্যান্ডের কোম্পানির স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করুন। মাসিকের সময় নিজেকে বাড়তি পরিছন্ন থাকুন।
(চ) নিয়মিত শাওয়ার করবেন, ভ্যাজাইনাল জায়গাটি গরম পানি নয়, নরমাল তাপমাত্রার পানিতে নিয়মিত পরিষ্কার করবেন।
(ছ) পারফিউম ব্যবহার না করাই উচিত।
(জ) ব্যায়াম করবেন, বিশেষ করে পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম। স্কিপিং পেলভিক ফ্লোরের ভালো ব্যায়াম, সঙ্গে স্ট্র্যচিং।
(ঝ) পিরিয়ডের সময় এক প্যাড বেশিক্ষণ পরে থাকবেন না, সময় সময় চেঞ্জ করবেন।
(ঞ) গোপন অঙ্গে এরিয়ার বাইরে সাবান বা জেল দিয়ে পরিষ্কার করলেও গেপান অঙ্গ এরিয়া বা ভেতরে কোনো ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে ধোবেন না। পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন শুধু।
(চ) ডিসচার্জ বেড়ে গেলে পরিমাণের চেয়ে বেশি পানি পান করুণ।
এতে সমস্যার সমাধান না হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।