মাসে দুবার পিরিয়ড, সমাধানের উপায়?
আরোগ্য হোমিও হল এ সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো মেয়েদের মাসে দুইবার মাসিক কেন হয়, সমাধানের উপায় কি তা নিয়ে আজকে জনবো, এটা সবার জানা জরুরী! তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল আলোচনায়।
মেয়েদের নিয়মিত মাসিক হয় না। কারও আবার সন্তান নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও শারীরিক জটিলতার কারণে তা হচ্ছে না। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির সরাসরি স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে সুস্থতার ব্যবস্থাপত্র- মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক ও হরমোনজনিত ব্যাধি ও এর প্রতিকার সম্পর্কে কথা বলেছেন আজগর আলী হাসপাতালের অবস্ট্রেটিক্স, গাইনোকলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: হাসিনা আকতার।
এক দর্শক ডাক্তারকে বলেন, আমার গত ছয় মাস ধরে এক মাসে দুবার মাসিক হচ্ছে। অনেক আগে একবার এ সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু এক মাসই এমন হয়েছিল, তার পরের মাসেই বিনা চিকিৎসায় ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ছয় মাস ধরে ঠিক ১৫ দিন পরেই মাসিক হয়ে যাচ্ছে এবং আমার ডিউরেশন থাকে সাধারণত সাত থেকে আট দিন।
দর্শকের ওই সমস্যার জবাবে ডা: হাসিনা আকতার বলেন, এ ধরনের অবস্থায় আমরা যদি কোনও প্রবলেম না পাই, তখন আমরা এ সমস্যাকে বলে থাকি ডিজফাংশনাল, যেটাতে হরমোনাল কিছু সমস্যা হয়। এটাকে সাধারণত ডিজফাংশনাল ইউটেরিন ব্লিডিং বলে। কারণ, ১৫ দিন পরপর কারও পিরয়োড হওয়ার কথা নয়। এই সমস্যা রাখা যাবেনা এবং এটা হতে দেওয়া যাবে না। যদি আপনার এটা হতে থাকে তবে হিমোগ্লোবিন কমে যাবে। এ জন্য অবশ্যই আপনাকে আলট্রাসনোগ্রাম করা উচিত, কোনও প্রবলেম আছে কি না, এটা অবশ্যয় পরিক্ষা করতে হবে।
ডা: হাসিনা আকতার আরো বলেন, যাঁরা বিবাহিত, তাঁদের আমরা সাজেস্ট করি ট্রান্স-ভ্যাজাইনাল আলট্রাসনোগ্রাম করার পরার্শ দিয়ে থাকি। গাইনির যে কোনও প্রবলেমেই আমরা করি না কেন, এটা বিশেষভাবে দেখা যায়।
আরেক দর্শক ডাক্তারকে বলেন, আমার বয়স ৩৭। আমার একটা বেবি হয়েছে। তার বয়স ৯ বছর। আমি এখন আরেকটা বেবি নিতে চাচ্ছি। আমি ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছি। ডাক্তার বলেছেন, আমার ওভারি একটু বড় হয়ে গেছে। আমার ওজন অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
দর্শকের ওই সমস্যার জবাবে ডা. হাসিনা আকতার বলেন, যাতে ওজন না বাড়ে, সে জন্য ব্যায়াম করতে হবে। ডায়েট কন্ট্রোল করতে হবে, লেস কার্ব খেতে হবে। ডায়েটিশিয়ানের আন্ডারেও থাকতে পারেন। আমার যেটা মনে হচ্ছে, এই মুহূর্তে উনার ওষুধ দরকার। নরমালি ট্রাই করে যেহেতু হচ্ছে না, মেডিসিন নিয়ে তারপর ফলিকল বড় হয় কি না… উনার সুপারভিশনে ট্রিটমেন্ট করা দরকার। শুধু ওভাবে ট্রাই করলে সম্ভব হবে না।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হবো অন্য দিন। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যতœবান হউন এবং সাবধানে থাকুন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
আরোগ্য হোমিও হল এডমিন : এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ওয়েব সাইটটি কে কোন জেলা বা দেশ থেকে দেখছেন “লাইক – কমেন্ট” করে জানিয়ে দিন। যদি ভালো লাগে তবে “শেয়ার” করে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।